Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Md. Rasel Hossen on March 12, 2017, 09:08:07 PM
-
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হতাশ ও মর্মাহত হলেও মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই বলে জানালেন হাজারীবাগের ট্যানারি মালিকেরা। আদালতে প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁরা এই রায় মেনে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি কারখানাগুলো অবিলম্বে বন্ধ করতে এবং বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ট্যানারি মালিকের করা এক আবেদন আজ রোববার খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ওই আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দুঃখভারাক্রান্ত। তবে এই রায় মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে এর ফলে চামড়া শিল্পের উৎপাদন ও রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে।’
আজ এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পসচিবের সঙ্গে ট্যানারি মালিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর সীমান্ত স্কয়ারে ট্যানারি মালিকদের দুটি সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবেন না মালিকেরা।
ট্যানারি মালিকেরা বলছেন, বর্তমানে চামড়া খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় পাঁচ লাখ লোক জড়িত। হাজারীবাগে চামড়াশিল্প নগরীতে কর্মরত আছেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।
সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরা গ্রামে প্রায় ১৯৯ একর জমিতে চামড়াশিল্প নগর গড়ে তুলছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ জন্য ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। ট্যানারি মালিকদের অভিযোগ, এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি। এমন অবস্থায় ওখানে গিয়ে এখনই উৎপাদন সম্ভব নয়। এতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানালেন তাঁরা।