Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Food Habit => Topic started by: Mafruha Akter on March 22, 2017, 04:11:42 PM
-
সকালের নাস্তার গুণগান আর রাতের খাবারের ভুল শোধরানো নিয়ে সচেতন অনেকেই। তবে অবহেলায় রয়ে গেছে দুপুরের খাবার।
স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেহের বাড়তি ওজন কমাতে দুপুরের খাবারের দিকেও নজর দিতে হয়।
প্রচণ্ড ক্ষুধা পর্যন্ত অপেক্ষা করা: দুপুরে ক্ষুধায় পেটে ছুঁচো দৌড়ানোর অবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রবণতা আছে অনেকের, কেউ আবার কাজের চাপে নিরুপায়। যা স্বাস্থ্যে জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দুপুরের খাবারের একটি সময় স্থির করতে হবে এবং সেই নির্দিষ্ট সময়েই খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
রেস্তোরাঁকে না বলুন: দুপুরের খাবারে রেস্তোরাঁয় বসায় টান যেন একটু বেশিই থাকে। রেস্তোরাঁ থেকে যতই স্বাস্থকর সালাদ, সুপ অর্ডার করা হোক না কেনো ভুলে গেলে চলবে না, এতে আছে প্রচুর ক্যালরি। তাই বাসা থেকে নিজের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।
গাপুস গুপুস গেলা চলবে না: প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে খেতে বসে গোগ্রাসে গিলতে শুরু করলেন- এটা খুবই খারাপ অভ্যাস। এমন করলে পেট যে ভরেছে তা অনুভব করার সময় পায়না মস্তিষ্ক। ফলে আপনি খেতেই থাকেন। শরীরের স্বাভাবিক ক্ষুধাচক্রের ভাসাম্যও নষ্ট করে এই বদভ্যাস।
কার্বোহাইড্রেট বাদ দেওয়া যাবে না: মস্তিষ্ক কর্মচঞ্চল এবং শরীরে কর্মোদ্যোম ধরে রাখতে দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট জরুরি। কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে মাথা ঝিমঝিম আর শরীরে ম্যাজম্যাজে-ভাব আসতে পারে।
চাই আমিষও: বিকালের অবসাদ এড়াতে মধ্যাহ্নভোজে আমিষ বাদ দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে দিন শেষে ফাস্টফুডের ক্ষুধা দূরে রাখতে সাহায্য করবে দুপুরে খাওয়া আমিষ।
চাই পর্যাপ্ত আঁশ: দুপুরের খাবারে কমপক্ষে ৮ গ্রাম আঁশ থাকা চাই। এতে দৈনিক আঁশ গ্রহণের পরিমাণ থাকবে বাড়তির খাতায়।
সঠিক চর্বি: স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। আর তা থাকতে হবে দুপুরের খাবারে। এজন্য বেছে নিতে পারেন বাদাম, বীজজাতীয় খাবার। চিনিযুক্ত খাবারের লোভ সামলাতেও এটি সাহায্য করবে।
সঠিক সময়: সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবারের মাঝখানে ছোট্ট একটা স্ন্যাকস খান অনেকেই। এ সময় একটি ফল, এক গ্লাস ঘোল কিংবা কম চিনি বা চিনিছাড়া কোল্ড কফি খেতে পারেন। মনে রাখতে হবে, এই নাস্তার এক থেকে দুই ঘণ্টা পর দুপুরের খাবার খেতে হবে।
দুপুরের খাবারে যা খেতে পারেন: লাল চালের ভাতের সঙ্গে শসার সালাদ বা রায়তা। মৌসুমি সবজি দিয়ে দুটি ছোট রুটি। দই দিয়ে সালাদ। পনিরের টিক্কা দিয়ে রাজমা বিনের সালাদ।
;D
-
Good one............ :)