Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: rumman on March 27, 2017, 05:03:27 PM
-
তেঁতুল আমাদের পরিচিত একটি টক ফল। এটি শরীরের নানা প্রকার প্রদাহরোধ করে, চোখ স্বাস্থ্য ভাল রাখে, শ্বাসনালীর জন্য উপকারি, ত্বকের ক্ষত সারায়,
হজমশক্তি উন্নত করে, ব্যথানাশক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক, জ্বর কমায়, কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে, পাইলস রোগের চিকিৎসা, ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং শিশুদের কৃমি ও পরজীবী ঘটিত নানা রকম রোগ থেকে রক্ষা করে।
তেঁতুল কাঁচাপাকা উভয় অবস্থায়, আচার, শুকিয়ে মশলা করে বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। উপকারী এই ফল সম্পর্কে নানারকম ভ্রান্ত ধারণাও প্রচলিত আছে।
অনেকে বলে থাকেন, এটি মানুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস করে ও পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
তেঁতুলের নানাবিধ উপকারিতা:
তেঁতুল বিশ্বজুড়ে খুবই উপকারি একটি ফল হিসেবে গণ্য হয়। কারণ এতে নানা প্রকার পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
এতে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, লৌহ, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং আঁশ রয়েছে।
তেঁতুলে কিছু জৈব উপাদান রয়েছে যেগুলো শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট ও এন্টি-ইনফ্লামেটরী কাজে ব্যবহৃত হয়। চলুন জানা যাক, বিস্তারিত-
পৌষ্টিকতন্ত্রের স্বাস্থ্য: তেঁতুলকে প্রাকৃতিক ল্যাক্সাটিভ বা জোলাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তেঁতুল খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং কোষ্ঠকাঠিণ্যের সমস্যা দূর হবে। পিত্তরসের সক্রিয়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে তেঁতুল দ্রুত হজমে সহায়তা করে। দীর্ঘদিন ডায়রিয়াজনিত সমস্যায় ভুগলে তেঁতুল খেতে পারেন।
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে: রক্তচাপ ও রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক তেঁতুল। তেঁতুলে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমায়।
পটাশিয়াম রক্তনালীর প্রসারণ ঘটিয়ে রক্ত সংবহনতন্ত্রের চাপ কমায়। তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি: তেঁতুলে প্রচুর লৌহ রয়েছে। লৌহ লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে।
রক্তশূণ্যতা, দূর্বলতা, অবসাদ, মাথা ব্যথা, মেধাশূণ্যতা, পাকস্থলীর সমস্যা ইত্যাদি দূর করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ তেঁতুল খান।
স্নায়ুর কার্যক্ষমতা সচল রাখা: তেঁতুলে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। এই পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হচ্ছে থায়ামিন যা তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান।
থায়ামিন স্নায়ুর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে ও পেশী উন্নত করে।
ওজন কমায়: তেঁতুল চূর্ণ থেকে হাইড্রোক্সি সাইট্রিক এসিড নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়। এটি শরীরে চর্বি জমতে বাঁধা প্রদান করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: তেঁতুল ওজন বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রদাহরোধী ক্ষমতা: তেঁতুল তেলের প্রদাহরোধী ক্ষমতা রয়েছে। অস্থিসন্ধির ব্যথা এবং প্রদাহ, বাত ও বাতজনিত অবস্থা এবং গাউট রোগ প্রতিরোধ করে। চোখের এলার্জি ও কনজাংটিভাইটিস রোগেও তেঁতুল খুবই উপকারি।
প্রজনন ক্ষমতা: তেঁতুলে ভিটামিন ই থাকায় তা প্রজনন ক্ষমতা কমায় না বরং ভাল রাখে।
সতর্কতা: তেঁতুল রক্তচাপ কমায় এবং রক্ত পাতলা করতে পারে। সুতরাং কোনো কারণে রক্তপাত শুরু হলে বন্ধ করা কঠিন হতে পারে।
যদি অ্যাসপিরিন অথবা অন্যকোনো রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
Source: অর্গানিক ফ্যাক্টস ডট নেট।-সময়ের কণ্ঠস্বর
-
informative post...
-
Helpful
-
Beneficial :)