Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: protima.ns on March 28, 2017, 12:13:04 PM
-
জানেন কি তেঁতুল কি কি রোগ থেকে বাঁচাতে পারে ?
তেঁতুল সুবৃহৎ ও সুদৃশ্য চিরসবুজ বৃক্ষ। গাছ প্রায় ২৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। তেঁতুলগাছের পাতা, ছাল, ফলের শাঁস(কাঁচা ও পাকা), পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা সব কিছুই ব্যবহার হয়ে থাকে। তেঁতুলে শাঁসে টারটারিক এসিড থাকায় এরূপ টক স্বাদ হয়।
তেঁতুলের আদি নিবাস আফ্রিকার সাভানা অঞ্চল ও দক্ষিণ এশিয়া। ধারণা করা হয় সুদান থেকেই তেঁতুল বাংলাদেশের মাটিতে এসেছে। তাহলে এবার আসুন জেনে নেই এর উপকারী দিক গুলো।
১. এটি পরিপাকবর্ধন ও রুচিকারক। তেঁতুলের কছিপতপায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে এমাইনো এসিড।
২. পাতার রসের শরবত সর্ধি-কাশি, পাইল্স ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় বেশ কাজে দেয়।
৩. তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে। তাবে তা দেহের কোষে নয়, রক্তে। এতে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৪. দেখা যায় পুরোনো তেঁতুলের কার্যকারিতা বেশি। যদি পেট ফাঁপার সমস্যা থাকে এবং বদহজম হয়, তাহলে পুরোনো তেঁতুল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় দিয়ে খেলে অসুবিধা দূর হবে। আবার হাত-পা জ্বালা করলেও এই শরবতে উপকার পাওয়া যায়।
৫. তেঁতুলের বীজও বিভিন্ন শিল্পে কাজে লাগে।
৬. পাকা ফলের শাঁস শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
৭. তেঁতুলের পাতা বেটে মরিচ ও সামান্য লবণ দিয়ে বড়া তৈরি করে পান্তাভাতের সাথে খেলে শরীরে এমাইনো এসিড পাওয়া যায়।
৮. তেঁতুলের সাথে রসুন মেশানো যায়, এটি রক্তের চর্বি কমানোর কাজে লাগে।
৯. তেঁতুল এমনই এক ভেষজ, যার সব অংশই কাজে লাগে।
* তেঁতুল বা তিন্তিড়ী হল একপ্রকার টক ফলবিশেষ। হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী তেঁতুল বসন্তকালের ফল হলেও সারা বছরই পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্ত পানি করে। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভূল। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। ভেষজবিদদের মতে, নিয়মিত তেঁতুল খেলে শরীরে সহজে মেদ জমতে পারে না।
* এতে টারটারিক এসিড থাকায় হজমে সহায়তা করে। পেটের বায়ু, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তাই সরাসরি তেঁতুল না খেয়ে তিন-চার দানা পুরনো তেঁতুলের এক কাপ রসের সঙ্গে চিনি বা লবণ মিশিয়ে খাওয়া ভালো। যাদের পেটে গ্যাস জমে তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তেঁতুলের শরবত খেলে পেটে গ্যাস জমা থেকে রক্ষা পাবেন। হাঁপানি ও দাঁত ব্যথায় তেঁতুলগাছের ছাল চুর্ণের রস খেলে উপশম পাওয়া যায়।
* তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ুর্বেদীয়, হোমিও, এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। স্কার্ভি রোগ. কোষ্ঠবদ্ধতা প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত বেশ উপকারী। পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ুনাশক, খিদে বাড়ায় ও উষ্ণবীর্য হয়।
তেঁতুলের ভেষজ ব্যবহার:
* পেটের গ্র্যাস, মাথাব্যথা, ধুতরা অথবা কচুর বিষাক্ততা থেকে রক্ষা পেতে তেঁতুল ফলের শাঁসের শরবত খেলে শতভাগ খেলে শতভাগ সুফল পাওয়া যায়। এভাবে নিয়মিত খেলে প্যারালাইসিস আক্রান্ত রোগীর অঙ্গের অনুভূতি ফিরে আসে। এসব উপকার পেতে সরাসরি না খেয়ে পুরনো তেঁতুলের ৩/৪টি দানা এক কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে লবণ অথবা চিনি দ্বারা খাওয়া অত্যধিক নিরাপদ।
তেঁতুল গাছের ছালের চূর্ণ ব্যবহার করে চোখের জ্বালাপোড়া থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। তেঁতুল পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে সেই পানি জিরার ফোড়ন দিয়ে খেলে আমাশয় রোগ ভাল হয়। এভাবে ২/৩ দিন খেলে পেটে জমে থাকা মিউকাস বেরিয়ে আসে।
* তেঁতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়। মুখে ঘা বা ক্ষত হলে পাকা তেঁতুল জলে কুলকুচি করলে উপকারী। কাঁচা তেঁতুল বায়ুনাশক। কাঁচা তেঁতুল গরম করে আঘাত পাওয়া স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা সারে। তেঁতুল গাছের শুকনো বাকলের প্রলেপ ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষত সারে। পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি।
-
good news
-
:P