Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: Md. Alamgir Hossan on April 02, 2017, 01:21:52 PM

Title: শ্যাম্পু আর সয়াবিন তেল দিয়ে তৈরি হয় মিল্কভিটার দুধ !
Post by: Md. Alamgir Hossan on April 02, 2017, 01:21:52 PM
বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি মিল্কভিটার দুধে ভেজাল পাওয়ার অভিযোগ করেছেন সমবায় মন্ত্রী মশিউর রহমান। ভেজাল দুধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ বন্ধে অভিযান চালানোর একটি আইনি প্রক্রিয়া সোমববার শুরু করেছে সংস্থাটি। সমবায়ের মাধ্যমে নিজস্ব খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারজাত করে মিল্কভিটা।

ভেজাল দুধের বিষয়ে সংস্থাটি কি ধরনরে ব্যবস্থা নিচ্ছেন সে বিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন মিল্কভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদের হোসেন। তিনি বলেন, প্রথমত আমরা অফিসিয়ালি মন্ত্রণালয়কে নোটিশ করেছি যে বাজারে কিছু ভেজাল দুধ আসছে যারা সরকারের বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া বাজারে মিল্কভিটার প্যাকেটের ডিজাইন নকল করে দুধ বিক্রি করছে। এখন ভিতরে দুধের কি কোয়ালিটি আছে সেটা বিএসটিআই বলতে পারবে বা তাদের আদৌও কোন অনুমতি আছে কিনা। সে কারণে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি, তারা সমস্ত মিডিয়ার লোক ডেকে কথা বলেছে।

ভেজালের কি ধরনের অভিযোগ আসে বা কি ধরনের ভেজাল মেশানো হয় এর উত্তরে শেখ নাদের হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত মাঠে গিয়ে কোন কিছু ধরতে পারি নাই। কিন্ত লোকমুখে বা বিশেষজ্ঞদের কাছে যেটা শুনেছি বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে ঘোষ সম্প্রদায়ের লোক বেশি থাকে তারা এই ভেজাল দুধ তৈরি করে থাকে। ভেজাল দুধ তৈরির জন্য দুধের ছানা তৈরি করার পর যে পানি থাকে সেই পানিতে শ্যাম্পু, সয়াবিন তেল, চিনি এবং ভেজিটেবিল ফ্যাট মিশিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করে। ভেজাল দুধ তৈরি করলে লাভ বেশি হয়। ভেজাল ১ লিটার দুধ তৈরি করতে হয়তো ১০ টাকার মত খরচ হয় আর বিক্রি করে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

নাদের হোসেন আরও বলেন, মিল্ক ভিটা নিজেরাই দুধ উৎপাদন করে। সারা বাংলাদেশে ৪৩ টা সেন্টার থেকে দুধ সংগ্রহ করে। এই সেন্টারগুলোতে অত্যাধুনিক মিল্ক এনালাইজার মেশিন আছে। এই মেশিনের মাধ্যমে দুধ পরীক্ষা করে তারপর সংগ্রহ করে।

কিভাবে ভেজাল বিরোধী অভিযান চলবে সে প্রসঙ্গে নাদের হোসেন বলেন, ভেজাল বিরোধী অভিযান যেভাবে চালাতে চাই সেটা হল র‌্যাব, পুলিশ দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আমরা অভিযান চালাতে চাই। এই অভিযান মুলত যেখানে ভেজাল দুধ তৈরি হয় সেখানেই চালানো হবে। দোকানে অভিযান পরিচালনা করে লাভ নাই কারণ তারা নকল দুধ বা আসল দুধ কোনটা সেটা তারা ধরতে পারবে না। সুতরাং যেখানে ভেজাল দুধ উৎপাদন হয় সেটা বন্ধ করতে হবে।