Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: effatara on April 04, 2017, 06:34:12 PM
-
ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি হওয়া শিশুদের জন্য একটি নিয়মিত সাধারণ ঘটনা।
ঠাণ্ডা লেগে শিশুর নাক বন্ধ থাকলে দুধ টানতে কষ্ট হয়। নাক বন্ধ থাকার কারণে দু’এক টান দিয়েই দুধ ছেড়ে দিয়ে মুখে শ্বাস নিতে হয়, যার জন্য শিশু বিরক্ত হয় এবং বুকের দুধ খেতে চায়না এবং সারাক্ষণ ঘ্যান-ঘ্যান করে, কান্না করে।
গরম-ঠাণ্ডার আবহাওয়ার পরিবর্তনে (বিশেষ করে শীতকালে) শিশুদের প্রায়ই ঠাণ্ডা লেগে নাক দিয়ে পানি/সর্দি পড়ে, হাঁচি হয়। অনেক সময় এইসাথে হালকা জ্বর এবং কাশি থাকে। তখন বুকে ঘড়ঘড় শব্দ করে বা শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
শিশুকে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে গিয়ে একগাদা জামাকাপড় পরালে ঘেমে উল্টো ঠাণ্ডা লাগে। সাধারণ সর্দি কাশিতে বিশেষ কিছু করার নেই। আপনা আপনিই তা কমে যায়। নাক বন্ধ থাকলে কুসুম গরম লবণ পানিতে বা নরসল ড্রপে তুলা ভিজিয়ে বা পরিষ্কার সুতি কাপড় পানিতে ভিজিয়ে ৩/৪ বার নাকের ভিতর লাগানো যায়, যা শিশুর নাক খুলতে সাহায্য করে।
আপনার করণীয়:
* নরসল বা জীবাণুমুক্ত কুসুম গরম লবণ-পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিবেন। বিশেষ করে দুধ খাওয়ানোর ১৫/২০ মিনিট আগে।
* অযথাই ভারি কাপড় পরাবেন না। লক্ষ্য রাখুন শিশু যাতে ঘেমে না যায়।
* কাশি থাকলে, শিশুকে আদা-চা, মধু, তুলসি পাতার রস ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন।
কখন শিশুর ডাক্তার দেখাবেন:
* ঠাণ্ডা লাগার সাথে খুব বেশি কাশি হলে বা বুকের মধ্যে গরগর শব্দ হলে বা শ্বাসকষ্ট হলে বা ঘনঘন শ্বাস নিলে।
* খুব জ্বর থাকলে।
* ৪/৫ দিনের মধ্যে যদি ভালো না হয়।
* প্রথম থেকেই শিশুকে অসুস্থ মনে হলে।
* সর্দির সাথে যে কোনো সময় (বিশেষ করে রাতে) হঠাৎ করেই খুব বেশি কান্না করলে (কানে ব্যথা/কান পাকা হতে পারে)।
-
Informative post....