Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: Md. Alamgir Hossan on April 06, 2017, 02:33:22 PM
-
হাসি সুখ, আনন্দ ও সুস্থতার প্রতীক। হাঁচি কিংবা কাশির শব্দ শুনলে যেমন আমরা বুঝতে পারি অসুস্থতা তেমনি হাস্যরসের আওয়াজ শুনলে আমরা বুঝি বিরাজ করছে সুখ, আনন্দ ও সুস্থতা। হাসি প্রাকৃতিক, হাসি স্বাভাবিক। কিন্তু হ্যাঁ সত্যিই হাসির রয়েছে নানা মনোদৈহিক উপকারিতা।
সময় থেমে যায়:
যখন সত্যি সত্যি আন্তরিকভাবে হাসেন আপনি তখন মুহূর্তেই সব বদলে যায় আপনার। মুখের সমস্ত পেশি ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। চোখের চারদিকের পেশি জানিয়ে দেয় হাসিটি আন্তরিক, নাকি মেকি। যে কোনো সময়কে তৎক্ষণাত বদলে দেওয়া যায় হাসির মাধ্যমে। চেহারার গড়ন বদলে যায় এবং তারুণ্যের আভা ফুটে ওঠে ব্যক্তিত্বে।
আবেগ বহন করে:
সবচেয়ে বড় তথ্যটি হলো হাসি আবেগ বহন করে। হাসিতে রয়েছে সুখ, আনন্দ এবং ভালোবাসা। এছাড়া আরো অনেক কারণে আমরা হাসি। অনেক আবেগের সঙ্গে মিশে যেতেও হাসি আমরা। রাগ, দুঃখ অথবা যন্ত্রণা মেনে নিতেও হাসি আমরা।
দৈহিক স্বাস্থ্য:
এন্ডোরফিনস হরমোন বিষনাশক হিসেবেও কাজ করে। এই হরমোন ক্ষরণের সঙ্গে সঙ্গে কর্টিসল নামের আরেক হরমোন কমে যায় যা কষ্টের অনুভূতি দেয়। তা ছাড়া হাসির ফলে বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। আর এসব কারণেই বলা হয় হাসি সবচেয়ে কার্যকর ঔষুধ।
উন্নত জীবন:
বাজে একটি দিন অতিবাহিত করে থাকলে এমন কিছু খুঁজে বের করুন যাতে আপনি হাসতে পারেন। আশপাশের সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলো দেখুন যেখানে হাসির উপাদান রয়েছে। যত হাসবেন জীবনটাকে তত উপভোগ্য মনে হবে। উন্নত জীবন মানেই হাসি আনন্দে ভরপুর জীবন।
স্ট্রেস কমিয়ে দেয়:
গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে আবার ছেড়ে দেওয়া এবং সামান্য মুখের পেশির নড়াচড়ায় এন্ডোরফিনসের আগমন ঘটে। ফলে কর্টিসল দ্রুত ভেগে যায় এবং এতে মানসিক চাপ কমে যায়। তা ছাড়া শুধু হাসি হাসি মুখ করে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও স্ট্রেস কমিয়ে ফেলা যায়।