Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: Md. Alamgir Hossan on April 15, 2017, 12:08:55 PM
-
ঘুম শরীরকে চাঙ্গা করে পরবর্তী দিনের কাজের জন্য আমাদের তৈরি করে।মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী এবং অন্য বেশ কিছু প্রানীর যেমন কিছু প্রজাতির মাছ, পাখি, পিঁপড়া এবং ফ্রুটফ্লাই অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে নিয়মত ঘুম আবশ্যক। ঘুমানোর কারণ সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা এখনো পুরোপুরি জানতে পারেননি এবং তা নিয়ে বর্তমানে গবেষণা চলছে। আর একটি ব্যপার। ঘুমন্ত মানুষের চেহারার কোন এক অজানা অতিরিক্ত আবেগ অনুভূতি কাজ করে। যা তার গোপন এক প্রাকৃতিক নিরাপত্তা দেয়। দিনে ঠিক কত ঘণ্টা ঘুম উচিত! এই প্রশ্নটা আট থেকে ৮০ সবাইকেই ভাবায়। যদিও এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর নেই। চিকিৎসকরা বলেন, কারও কতক্ষণ ঘুমনোর প্রয়োজন, তা বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এর মধ্যে অন্যতম হল বয়স।
❏ ০ থেকে ৩ মাস— নবজাতকদের ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমনো জরুরি। ঘুমের সময় তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ হয়।
❏ ৪ থেকে ১১ মাস— চার মাস বয়স পেরোলেই বাচ্চাদের ঘুমের পরিমাণ একটু কমে যায়। তখন তারা জেগে খেলা করে। বা পরিজনদের চেনার চেষ্টা করে। তবে এই বয়সি বাচ্চাদের ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।❏ ১ থেকে ২ বছর— এই বয়সি বাচ্চাদের দিনে ঘুমনোর প্রবণতা কমে যায়। রাতেই মূলত ঘুমোয়। দিনে ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুম না হলেই নয়।
❏ ৩ থেকে ৫ বছর— বাচ্চারা স্কুলে ভর্তি হলে ঘুমের সময় কম পায়। তার ওপর সকালে ওঠার ঝামেলা থাকে। এসবের পরেও ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। দিনে ২–৩ ঘণ্টা, বাকিটা রাতে পুষিয়ে নিতে হবে।
❏ ৬ থেকে ১৩ বছর— এই বয়সে পড়াশোনার চাপ আস্তে আস্তে বাড়ে। সঙ্গে যোগ হয় নাচ, গান বা আঁকা শেখা। ফলে চাপও বাড়ে। তা বলে বাচ্চাদের ঘুমের ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলে চলবে না। ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। রোজ ঠিক সময় ঘুমোতে যাওয়াটাও দরকার। নয়তো ঠাপ পড়ে শরীরে।
❏ ১৪ থেকে ১৭ বছর— এ সময় পড়াশোনার চাপ আরও বাড়ে। বেশিরভাগ কিশোর–কিশোরীই রাত জেগে পড়াশোনা করে। ফল ভোগে শরীর। মনে রাখা উচিত, যতই চাপ থাকুক, ৮ ঘণ্টা অন্তত ঘুমতেই হবে।
❏ ১৮ থেকে ২৫— স্কুল ছেড়ে কলেজে ভর্তি। তার পর চাকরি জীবন। জীবনে এতগুলো পরিবর্তন। তাই বিশ্রামটাও বেশি জরুরি। অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমতো চেষ্টা করুন।
❏ ২৬ থেকে ৬৪— এই বয়সে নিউরনের একটি অংশ (ভেন্ট্রোল্যাটেরাল প্রিঅপটিক নিউক্লিয়াস) নষ্ট হতে থাকে। ফলে ঘুম কমে যায়। দিনে তবু ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম কিন্তু জরুরি।
❏ ৬৫–এর বেশি— বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম আরও কমে যায়। ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমতেই হয়। তবে অনেকের ৫ ঘণ্টারও কম ঘুম হয়।
সতর্কতা: অনেকেই রয়েছেন যাঁরা ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা অবসাদ ও ক্লান্তি তৈরি করে কর্মোদ্দম কমিয়ে দেয়। যাঁরা এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা হয়তো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভরসা করেন ঘুমের ওষুধের ওপর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশি ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।