Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Sports Zone => Football => Topic started by: Md. Alamgir Hossan on April 19, 2017, 03:31:31 PM
-
মানুষ যন্ত্র নয়, ভুল তো হতেই পারে। তাই বলে এক ম্যাচে তিন-তিনটি ভুল সিদ্ধান্ত দেবেন রেফারি? তাও আবার সেই ভুল তিনটি একই দলের বিপক্ষে যাবে! বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড়েরা। জার্মান ক্লাবটির ডাচ উইঙ্গার তো একে ‘ডাকাতি’ই বলে দিয়েছেন।
রেফারির এই ‘ডাকাতি’র শুরু ৮৪ মিনিটে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে হারা বায়ার্ন তখন রিয়ালের মাঠে একই ব্যবধানে এগিয়ে। দুই লেগ মিলিয়ে লড়াইয়ে তখন ৩-৩ গোলে সমতা। বায়ার্নের মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদালকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ফলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় চিলির এই তারকাকে। টিভি রিপ্লেতে অবশ্য দেখা গেছে অবিচারেরই শিকার হয়েছেন ভিদাল।
রেফারির বাকি দুটি ভুল অতিরিক্ত সময়ে। ১০৪ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে রোনালদো পরিষ্কারভাবেই অফসাইড ছিলেন। পাঁচ মিনিট পর করা পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ডের হ্যাটট্রিক গোলটির সঙ্গেও জড়িয়ে আছে বিতর্ক। টিভি রিপ্লে বলছে, এই গোল করার সময়ও তিনি অফসাইড পজিশনে ছিলেন।
ম্যাচ শেষে রোবেনকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন ম্যাচের রেফারিং নিয়ে। উত্তরে রোবেন বললেন রীতিমতো ডাকাতিরই শিকার হয়েছে বায়ার্ন, ‘বায়ার্ন ডাকাতির শিকার। আমি মনে করি, এটা দুঃখজনক। কারণ, এমনিতে ম্যাচটা কিন্তু অসাধারণ হয়েছে।’
এমনিতে রেফারির সমালোচনা রোবেন করেন না। তবে এই ম্যাচটির পর রেফারিং নিয়ে কথা বলতে বাধ্যই হয়েছেন তিনি, ‘আমি রেফারিদের নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। কিন্তু আপনাকে সব সময় নিজের দিকে আর নিজের করা ভুলগুলোর দিকে তাকাতে হবে। একটা ভুল ছিল না। অনেকগুলো ভুল ছিল।’
রেফারিকে ধুয়ে দিয়েছেন বায়ার্নের আরেক উইঙ্গার ফ্রাঙ্ক রিবেরিও। তাঁর সমালোচনার ধরনটা অবশ্য একটু ভিন্ন। সমালোচনা করার জন্য রিবেরি বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ‘এক বছরের কঠিন পরিশ্রম। ধন্যবাদ রেফারি, সাবাস!’ কার্লো আনচেলত্তি বিতর্ক এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন। বায়ার্ন কোচ রেফারির সমালোচনা করলেন ‘ভদ্র ভাষায়’, ‘আমি শুধু বলব যে রেফারির বাজে একটি ম্যাচ গেছে। আমি রেফারিকে বলেছি, “ভালো”।’
-
:(
-
Not True!