Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: SabrinaRahman on April 24, 2017, 06:37:46 PM
-
ছুটির আগে ও পরে
ঈদ, ঈদ, ঈদ। চারদিকে এখন উৎসবের আমেজ। ব্যস্ত ঢাকাকে ‘টা টা বাই বাই’ বলার তোড়জোড় যেন সর্বত্র। তবে দরকার একটুখানি সতর্কতা। ছুটির দিনগুলোতে বাড়ির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখবেন—এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরস বিভাগের প্রভাষক তাসমিয়া জান্নাত বলেন, ‘কোথাও বেড়াতে গেলে আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে পড়েন আর ভাবেন এখনই বা কী করার আছে? ফিরে এসেই বরং সবকিছু গোছানো যাবে। কিন্তু না, আগে বাসার সবকিছু গুছিয়ে রেখে তবেই বাসার বাইরে পা রাখা উচিত।’
বাড়ি যাওয়ার আগে
প্রথম কথা হলো, সতর্কতার সঙ্গে ঘরের ভেতর ও বাইরে, বারান্দায় রাখা সবকিছু সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখা। বাইরে (বারান্দায় কিংবা ছাদে) যেন ঝুলন্ত অবস্থায় জামাকাপড় পড়ে না থাকে। ধোয়া কাপড় ইস্তিরি করে ভাঁজ করে আলমারিতে তুলে রাখুন। আলমারির তাকে ন্যাপথলিন বা পাতলা কাপড়ে মোড়ানো শুকনো ঝুরঝুরে নিমপাতা রাখুন। এতে পোশাক ছত্রাক ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচবে। সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া বলেন, সব ধরনের বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে যেতে হবে। সব সুইচ বন্ধ আছে কি না, আবার পরখ করে বের হবেন। কয়েক দিনের জন্য যেহেতু বাসা খালি পড়ে থাকছে, তাই এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামায় ফ্রিজের ক্ষতি হতে পারে। তাই এ সময় ফ্রিজ খালি করে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা উচিত। ঈদের পর বাসায় ফিরলে না হয় আবার নতুন করে চালু করলেন।
চুলা বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে শুধু সামনের নবই নয়, চুলার পেছনের নবও ভালোভাবে বন্ধ করে নিন। দরজা-জানালা সব ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে। দেখা যায়, দরজা বা জানালার সব কপাট বন্ধ থাকলেও কী করে যেন ধুলাবালি ঠিকই ঘরে ঢুকে পড়ে। শুধু দরজা-জানালা বন্ধ করলেই চলবে না, ভেতরের দিকে ব্যবহার করতে পারেন ভারী বা মোটা কাপড়ের পর্দা। আর সবশেষে জোরালো নিরাপত্তার খাতিরে দরজায় ব্যবহার করতে পারেন অতিরিক্ত তালাও।
বাসায় ফেরার পর
বাসায় ফিরেই সব বন্ধ দরজা-জানালা খুলে বায়ুপ্রবাহের সুযোগ করে দিন।
তাতে কয়েক দিনের বন্ধ থাকা গুমোট পরিবেশটা কেটে যাবে। প্রথম যে সমস্যা হয়, তা হলো বাসায় ফিরে কী খাব? দরজা খুলেই কাটাকুটি করে রান্নাবান্না বেশ কষ্টের ব্যাপার। জরুরি ভিত্তিতে একবেলা বাইরে থেকে আনা খাবার খাওয়া যেতেই পারে। পরিবারের সবাই মিলে ধুলাবালি পরিষ্কার করে সবকিছু আবার আগের মতো গুছিয়ে নিন। খাবার আয়োজনের আগে প্রয়োজনীয় থালাবাসন ভালো করে ধুয়ে নিন। বন্ধ থাকা বাড়িতে ঢুকেই দেশলাই জ্বালবেন না। প্রথমে রান্নাঘর ও অন্যান্য ঘরের জানালা খুলে রাখুন। যদি কোনো কারণে গ্যাস পাইপে ছিদ্র হয়ে গ্যাস বের হয়েও থাকে, বাইরের বায়ুপ্রবাহের ফলে আবদ্ধ ঘরের গ্যাস বেরিয়ে যাবে। এতে আর দুর্ঘটনার ভয় থাকবে না। তাই প্রথমে দরজা-জানালা খুলে রাখুন কিছুক্ষণ, তারপর দেশলাই বা চুলা জ্বালুন।
অন্দরের গাছপালা
আপনার যত্নে বেঁচে থাকছে অন্দরের গাছপালা, ঈদে গ্রামের বাড়ি গেলে এদের কী উপায় হবে? না পারবেন সঙ্গে নিতে, না পারবেন এদের দেখাশোনায় কেউ একজনকে রেখে যেতে! তাহলে উপায়? এ ব্যাপারে কথা বলেন ঢাকার আগারগাঁওয়ের গ্রিন সেভারস নার্সারির প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি। তিনি জানান, এ সময় গাছের গোড়ায় পুরো স্তর করে নারকেলের ছোবড়া বিছিয়ে বেশি করে পানি দিন। এটি বেশি পরিমাণে পানি ধরে রাখতে পারে, ফলে গাছ তার প্রয়োজনমতো পানি শোষণ করে নিতে পারে।
আবার পানি বা কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভর্তি করে ওপর থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। পানিভর্তি সেই বোতলের নিচের অংশে সরু সুই দিয়ে সূক্ষ্ম ছিদ্র করে দিন। এতে রোগীকে স্যালাইন দেওয়ার মতো করে, প্রতি দুই-তিন সেকেন্ড সময়ে এক ফোঁটা করে পানি পড়বে গাছের গোড়ায়। এমনি করে একটি বোতলের পানি শেষ হতে প্রায় তিন-চার দিন সময় লাগবে, ফলে গাছ সহজে খাদ্যের অভাব বোধ করবে না। আর ফিরে এসে তো পানি দিচ্ছেনই।
কোকমাস বা নারকেলের ছোবড়া ছাড়াও গাছের গোড়ায় পানি ধরে রাখতে এখন পাওয়া যায় পোড়া মাটির তৈরি মার্বেল আকৃতির ছোট গোলাকার বল। নাম হাইড্রোজেন, কেউ আবার হাইড্রোপলিক বিড হিসেবেও চেনেন। শুধু তা-ই নয়, আপনি মাটি ছাড়াই ছোট প্রজাতির ফুল-ফল ও শোভাবর্ধনকারী গাছ, যেমন স্ট্রবেরি, মানি প্ল্যান্ট, লাকি বেম্বু ইত্যাদি লাগাতে পারেন এই হাইড্রোটোন-ভর্তি কোনো টবে। দামও খুব কম, ছোট প্যাক মাত্র ২০ টাকাতেই পাওয়া।
আহসান আরও জানান, এরপরও যদি কেউ গাছের যত্নের ব্যাপারে নিশ্চিত না হতে পারেন, তবে গাছগুলো সব পৌঁছে দিতে পারেন আগারগাঁওয়ের গ্রিন সেভারস নার্সারিতে। আপনি না থাকার দিনগুলোতে বিনা মূল্যে গাছগুলো দেখভাল করবে গ্রিন সেভারস।
তবে আর ভাবনা কী? সবদিক সুন্দরভাবে সামলে নিয়ে নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়ুন ঈদের আনন্দে মেতে!
-
nice :D
-
good
-
informative post