Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: SabrinaRahman on April 25, 2017, 12:02:40 PM
-
পণ্যটি সত্যিই কি চামড়ার?
জুতা আর ব্যাগে চামড়ার বদলে রেক্সিনও ব্যবহার করা হয়। রেক্সিনের তৈরি পণ্য ব্যবহারে চর্মরোগ সংক্রমণের পাশাপাশি আরও নানা সমস্যা দেখা দেয় ত্বকে। প্রাকৃতিকভাবেই চামড়ায় অনেক সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে। যে কারণে চামড়ার শোষণ ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই চামড়ার তৈরি জুতা পায়ে দিলে পা খুব কম ঘামে। অন্যদিকে, রেক্সিন কৃত্রিম হওয়ায় এর কোনো পানি শোষণ ক্ষমতাও নেই। যে কারণে রেক্সিনের তৈরি জুতা পায়ে দিলে তা দ্রুত ঘেমে গিয়ে পায়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
বাজার থেকে কেনা পণ্যটি রেক্সিন না চামড়ার তৈরি, তা বুঝবেন কীভাবে? এই সমস্যার সমাধান দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান সবুর আহমেদ।
১. রেক্সিনে কোনো না কোনো ফেব্রিক ব্যবহার করে তার ওপর পলিমার দিয়ে কোটিং করা হয়। এ জন্য রেক্সিনের তৈরি পণ্যটি ওল্টালেই কাপড় বা নেটের আস্তরণ পাওয়া যায়। কিন্তু চামড়ার তৈরি পণ্য, যেমন: জুতা বা ব্যাগে দেখবেন এমন কোনো কিছু নেই।
২. প্রাকৃতিকভাবেই চামড়ায় ফাইবার থাকে। যে কারণে চামড়ার তৈরি পণ্যে আঁচড় দিলেই সেই ফাইবার দেখা যায়। কিন্তু রেক্সিনের তৈরি পণ্যে তেমনটি হবে না।
৩. চামড়ার পুরুত্ব অনেক বেশি। যে কারণে চামড়ার তৈরি পণ্য বেশ পুরু বা মোটা হয়। কিন্তু রেক্সিনের পুরুত্ব অনেক কম।
৪. পণ্যটি চামড়ায় তৈরি কি না, তা বোঝার আরেকটি উপায় হলো চামড়ার তৈরি পণ্যে চকচকে ভাবটা একেবারেই কম। প্রাকৃতিকভাবেই চামড়া কখনো মসৃণ হয় না। যে কারণে চামড়ার তৈরি পণ্যের উপরিভাগে ছোটখাটো ত্রুটি দেখা যায়। অন্যদিকে কৃত্রিম হওয়ার কারণে রেক্সিনের পণ্য নিখুঁত হয়।
এবার এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। তাহলে জুতা বা ব্যাগ কিনতে গিয়ে চামড়া ভেবে রেক্সিনের পণ্য কিনে আর ঠকতে হবে না।
-
আগুন দিয়ে টেস্ট করতে দেখেছি। আসল চামড়া পুড়তে অনেক সময় লাগে কিন্তু রেক্সিন দ্রূত পুড়ে যায়
-
Thanks for the information!
-
Nice Topic........... Thanks for sharing