Daffodil International University

Faculty of Engineering => EEE => Topic started by: mahmud_eee on April 25, 2017, 03:11:00 PM

Title: বাংলাদেশি প্রকৌশলীর মুখে বোয়িং বানানোর গল্প
Post by: mahmud_eee on April 25, 2017, 03:11:00 PM
বৃহস্পতিবার বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে ‘এসেনশিয়াল আসপেক্টস অব এয়ারক্রাফট ডিজাইন অ্যান্ড অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বোয়িংয়ে শিক্ষানবিশ হিসেবে যুক্ত হওয়ার পথও দেখান তিনি।

ঝিনাইদহের সন্তান আশরাফ আলী ১৯৭৯ সালে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন। দুই বছর পর ১৯৮১ সালে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানে নিউ ইয়র্কের রেনেসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে এমএস ডিগ্রি নেন ১৯৮৩ সালে।
যুক্তরাষ্ট্রে এএনএসওয়াইএস নামের একটি কোম্পানিতে র‌্যানডম ভাইব্রেশন, হাইপার ইলাস্টিসিটি, ইনফিনিট এলিমেন্টস, কাপলড ইম্পিসিট-এক্সপ্লিসিট এনালাইসিসসহ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেন ১০ বছর (১৯৮৮ থেকে ১৯৯৭)।

সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৯৭ সালে যুক্ত হন বিশ্বের ১ নম্বর বিমান উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখায় কাজ করার পাশাপাশি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বিভাগেও কাজ করেন এই প্রকৌশলী। তবে বর্তমানে বোয়িংয়ের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী হিসাবেই কর্মরত আছেন আশরাফ।

যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষী এই প্রতিষ্ঠান যাত্রীবাহী বিমান, যুদ্ধ বিমান ও রকেটসহ অন্যান্য আকাশযানের ডিজাইন, পরিকল্পনা, নির্মাণ ও বিপণন করছে বিশ্বব্যাপী। মহাকাশযান নির্মাণেও অংশীদারিত্ব রয়েছে তাদের।

সেমিনারে বিমান নির্মাণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ তুলে ধরেন আশরাফ আলী।
ডিজাইন

অন্য যে কোনো যন্ত্রাংশের নির্মাণ প্রক্রিয়ার মতোই বিমানের ডিজাইন ও পরিকল্পনাকে প্রাথমিক কর্মযজ্ঞ বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে বাজারে বিমানটির সম্ভাব্য মূল্য ও ক্রেতাদের বিভিন্ন চাহিদা থাকে বিবেচনায়।

প্রাথমিক পরিকল্পনা শেষে প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়াল বা কাঁচামালের ওজন, বিমানের ডানার প্রয়োজনীয় বিস্তৃতি নিয়ে হিসাব-নিকাশ করা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় চলতি অবস্থায় বিমানের শব্দ ও কম্পন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা। এভাবে প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে স্তরে স্তরে ঘটা সব ঘটনার বিশ্লেষণ ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশনে জমা দেওয়া হয়।

উইন্ড টানেল টেস্টিং

নতুন একটি মডেলে বিমান নির্মাণ শেষে তা ‘উইন্ড টানেল টেস্টিং’ নামে এক ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়ে। টানেলে বাতাসের গতি বাড়িয়ে বিমানের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও আচরণ জেনে নেওয়া যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে।

তত্ত্বে বা বইপুস্তকে যাই থাকুক না কেন- এই পরীক্ষায় মাধ্যমে বিমানটির যে আচরণ বা সমস্যা পাওয়া যায় তাই প্রকৃত অবস্থা বলে মনে করেন প্রকৌশলীরা।
জিএজি সাইকেল

জিএজি বা গ্রাউন্ড-এয়ার-গ্রাউন্ড সাইকেল হলো বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সক্ষমতা পরীক্ষা। অর্থাৎ একটি বিমান কত ডিগ্রি কোণ নিয়ে আকাশে উড়তে পারবে, অবতরণের জন্য কতটুকু ভূমির প্রয়োজন হবে, উড়ন্ত অবস্থায় ডানে বাঁয়ে কতটুকু বাঁক নেওয়ার সক্ষমতা রাখে তা পরীক্ষা করা হয়। বিমানের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের ভর, আকাশে উড্ডয়মান অবস্থায় অতিরিক্ত যে চাপ ও কম্পন তার মাত্রা হিসাব করা হয়।

ডাইনামিক বাফেট লোড
আকাশে দ্রুতগতির ফলে বিমানে যে শক্তিশালী কম্পন সৃষ্টি হয় তাকে ডাইনামিক বাফেট বলে। সাধারণত এর পুরো প্রভাব বিমানের পেছনের অংশে গিয়ে পড়ে। অনেক সময় সামনের অংশও কম্পনে আক্রান্ত হয়, যার চূড়ান্ত প্রভাবও গিয়ে পড়ে পেছনের অংশে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি কম্পন হলে বিমান সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হয়ে পড়ে যাবে। সে কারণে চলাচলকারী পথের সম্ভাব্য বাতাস প্রবাহের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ডাইনামিক বাফেট লোড দেওয়া হয় বিমানে।

উইং বাফেট বাউন্ডারি

কম্পনের একটা প্রভাব দুই পাশের দুই পাখাতে গিয়েও পড়ে। সে ক্ষেত্রে পাখায় একটা ‘বাফেট বাউন্ডারি’ স্থাপন করা হয়, যাতে এর প্রভাব না পড়ে।
Title: Re: বাংলাদেশি প্রকৌশলীর মুখে বোয়িং বানানোর গল্প
Post by: abdussatter on March 13, 2018, 11:31:30 AM
 :) :)
Title: Re: বাংলাদেশি প্রকৌশলীর মুখে বোয়িং বানানোর গল্প
Post by: Tanvir Ahmed Chowdhury on April 28, 2018, 07:43:15 PM
 :)
Title: Re: বাংলাদেশি প্রকৌশলীর মুখে বোয়িং বানানোর গল্প
Post by: saikat07 on April 30, 2018, 01:05:08 PM
Thanks for sharing
Title: Re: বাংলাদেশি প্রকৌশলীর মুখে বোয়িং বানানোর গল্প
Post by: mdashraful.eee on May 05, 2018, 02:40:50 PM
thanks
Title: Re: বাংলাদেশি প্রকৌশলীর মুখে বোয়িং বানানোর গল্প
Post by: fahad.faisal on May 24, 2018, 11:54:06 PM
Thanks for sharing.
Title: Re: বাংলাদেশি প্রকৌশলীর মুখে বোয়িং বানানোর গল্প
Post by: Nahid_EEE on May 26, 2018, 06:00:11 PM
Thank you for your information.