Daffodil International University

Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: Tanvir Shifat on May 28, 2017, 08:00:29 PM

Title: রমজান ও কিছু কথা...
Post by: Tanvir Shifat on May 28, 2017, 08:00:29 PM
রমজান মাসের পুরো সময় রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ বা মৌলিক ইবাদতের অন্যতম।এটি অত্যন্ত পবিত্র মাস, পূণ্যের মাস।
"এই মাসে যে মানুষ আল্লাহর রহমত পেলনা, তার গুণাহ মাফ করিয়ে নিতে পারলনা এবং দোযখ থেকে নাজাতের ব্যবস্থা করে নিতে পারলনা, তার চেয়ে ভাগ্যহীন দুর্ভাগা আর নেই।" -সহীহ হাদিস
এই মাসেই পবিত্র কোরআন মজিদ নাযিল হয়েছে। তাই এই পবিত্র মাসে রোজা বা সিয়াম সাধনাকে আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন প্রত্যেক ঈমানদার নরনারীর উপর ফরজ বা বাধ্যতামূলক করেছেন। শুধু আল কোরআনই নয়, অন্যান্য প্রধান প্রধান আসমানি কিতাবও রমজান মাসেই নাযিল হয়েছিল এবং একারণে পূর্ববর্তী উম্মতদের উপরও রমজান মাসে সিয়াম সাধনা বাধ্যতামূলক ছিল। যেমন পবিত্র কোরআন মজিদে আল¬াহ রাব্বুল আ’লামীন স্বয়ং বলেন:

‘হে মু’মিনগণ! তোমাদের তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হইল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হইয়াছিল, যাহাতে তোমারা মুত্তাকী হইতে পার।’ -[বাকারা : ১৮৩]

রোজা শুধু মাত্র সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং এটি রীতিমত একটি সাধনার নাম। অনেককেই দেখা যায়, রোজা রাখা সত্বেও নামাজ পড়ে না, টেলিভিশন ও সিনেমা দেখে সময় কাটায়। রোজার তাৎপর্য তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। মনে রাখতে হবে রোজা আর উপবাস/অনশন এক নয়। রোজা রেখে যদি খোদাভীতি অর্জন করা না যায় তাহলে কোন লাভ নেই। কারণ খোদাভীতি অর্জন করাই রোজার মূল উদ্দেশ্য। মহানবী (সা.) বলেছেন: '‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যা কাজ থেকে বিরত থাকতে পারল না, তার রোজা রেখে পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহ্র কোন প্রয়োজন নেই।’'
রোজা যদি শুধু না খেয়ে থাকার নাম হয় তবে মানুষ ছাড়াও বিশ্বের অনেক প্রাণী রোজা রাখে।রোজার সংজ্ঞায় ইসলামিক স্কলারবৃন্দ বলেছেন, সূর্যোদয়ের পূর্ব থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার থেকে বিরত থাকার নামই রোজা।

 সেহরি থেকে শুরু করে ইফতার গ্রহন আবার ইফতার গ্রহন থেকে শুরু করে সেহরি গ্রহন পর্যন্ত প্রতিটি সৎ কাজেই মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত প্রাপ্ত হয় । দিনে পানাহার থেকে বিরত এবং রাতে আল্লাহর স্মরণে নামাজে দাঁড়ানোর মধ্যে অসংখ্য ফায়দা লুকায়িত । এ পবিত্র মাসে মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকে তাঁর সকল রোজাদার বান্দার প্রতি করুণার ফল্গুধারা বর্ষিত হয়। রমজানের প্রত্যেকটি নেক আমলের সওয়াব স্বয়ং স্রষ্টা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহতায়ালা হাদীসে কুদসীতে ঘোষণা করেছেন-
 ‘রোজা আমার জন্য এবং এর প্রতিদান আমি নিজ হাতে দিব।’
রমজান মাসের মর্যাদার কোন সীমা পরিসীমা নেই। এ মাসে যেমন অতীতের গুনাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তেমনি অগণন সওয়াবের অধিকারি হওয়া যায়। এ মাসের প্রত্যেকটি আমল তার পূর্বেকার আমলের চেয়ে ককেগুণ বেশি তাৎপর্য বহন করে। এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়, রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদেরকে অবারিত সুযোগ দান করেন।

আত্মসংযম হল রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার মূল কথা। সমস্ত লোভ, লালসা হারাম থেকে বেঁচে থাকা রমজানের বড় শিক্ষা। এজন্য যথেষ্ট সবর ও ধৈর্য্য প্রয়োজন। প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি সহনশীল হওয়া, সহমর্মিতা প্রকাশ করা।
রোজার মাসে যে সকল কাজের মাধ্যমে অধিক সওয়াব হাসিল করা যায় তার মধ্যে অন্য রোযাদারকে ইফতারি করানো অন্যতম । হাদীস শরীফে মানবতার মুক্তির দুত, সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট রাসূল, নবী-রাসূলদের সর্দার হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ঘোষণা করেছেনঃ
"কোন রোযাদার ব্যক্তি যদি অন্য রোযাদার ব্যক্তিকে ইফতার করায় হোক সে একটি খুরমা দ্বারা কিংবা এক গ্লাস পানি দ্বারা তবে সে ব্যক্তি ঐ রোযাদার ব্যক্তির সমপরিমান সওয়াবের অধিকারী হবে ।"
 তবে যে ব্যাক্তিকে ইফতার করানো হবে তার সওয়াব থেকে সওয়াব কমানো হবে না । সুতরাং সকল রোযদার ব্যক্তি রোযার মাসে অন্য রোযাদারদের ইফতার করানোর মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ঘোষিত সওয়াবের মালিক হতে চায়।

প্রতিটি মুসলমান রোজাদার নর-নারীর উচিত শরীয়তের বিধানাবলীকে পুঙ্খানূপুঙ্খরূপে পালন করা। আল্লাহ্‌ আমাদের রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার তওফীক দিন। রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে যেন আমরা ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তিলাভ করতে পারি। আল্লাহ আমাদেরকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখুন, যেন আমরা রমজান মাস জুড়ে তাঁর সকল আদেশ নিষেধ পালন করতে পারি।
Title: Re: রমজান ও কিছু কথা...
Post by: Mohammad Salek Parvez on June 05, 2017, 09:18:14 AM
good sharing.
Zajakallahu .
Title: Re: রমজান ও কিছু কথা...
Post by: ishaquemijee on June 17, 2017, 04:01:02 PM
Thanks for sharing.