রিয়েল এস্টেটে ক্যারিয়ার
খবর সূএ:
[size=06]Click Here (http://banglaonline.tk/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%86)[/size]
বাংলাদেশে হাউজিং ব্যবসার শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। প্রথমে কিছুসংখ্যক কোম্পানি এতে যুক্ত হলেও ধীরে ধীরে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকায় দিন দিন বাড়তে থাকে বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্প। ’৭০-এর দশকে প্রথম আবাসন প্রকল্প শুরু হলেও চাহিদার ব্যাপকতা তৈরি হয় ’৯০-এর দশক থেকে। রাজধানী বাণিজ্যিক নগরী হওয়ার কারণে আশির দশক থেকে মানুষ ঢাকায় বসবাস করতে শুরু করে। ফলে ঢাকার ভবিষ্যৎ আবাসন চাহিদার কথা চিন্তা করে এবং এই খাতে বিপুল পরিমাণ লাভের সম্ভাবনা দেখে অনেক ব্যবসায়ী বিনিয়োগ শুরু করেন। ’৯০-এর দশকের শেষের দিকে আবাসন ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর দেশ ও দেশের বাইরের বিনিয়োগকারীরা প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছেন। এখন শুধু ঢাকা নয়, বাংলাদেশের বড় বড় শহরে গড়ে উঠছে বিভিন্ন কোম্পানির আবাসিক প্রকল্প। ফলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় একটি শিল্প। এ শিল্পের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দক্ষ কর্মীর চাহিদা। কারণ এ ব্যবসায় শুধু বিনিয়োগ করলেই হয় না, প্রয়োজন দক্ষ ম্যানেজমেন্ট। একটি সফল প্রতিষ্ঠান সব সময় ভালো ও যোগ্যকর্মী কামনা করে। তাই এই শিল্পে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে অবশ্যই এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। খোদ আমেরিকায় ৭ মিলিয়ন রিয়েল এস্টেট প্রফেশনাল রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রায় ১৫০০ টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে। প্রতিবছর আরো ২০-৩০ টি কোম্পানি নতুন করে এ খাতে বিনিয়োগ করছে। এতেই বোঝা যায়, আবাসন শিল্পে প্রফেশনালদের চাহিদা কতটুকু। আবাসন শিল্পে জবসমূহ এ শিল্পে আপনি নিজেকে বিভিন্ন সেক্টরে যুক্ত করতে পারেন।
নিম্নে জব অপশনসমূহ উল্লেখ করা হলো :
১. রিয়েল এস্টেট এজেন্ট
২. সেলস্ এ্যান্ড মার্কেটিং
৩. প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট
৪. রিয়েল এস্টেট এ্যাডভাইজরি
৫. ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং
৬. ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন
এ ছাড়া দক্ষ ডিজাইনারদের চাহিদা প্রচুর। দেশের বাইরেও এদের চাহিদা রয়েছে।
একজন রিয়েল এস্টেট প্রফেশনাল মাধ্যমে কোম্পানির অফার ক্রেতার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। তাই ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার দক্ষতা অর্জন করতে হয়। সফল কর্মী হতে হলে যে সব দক্ষতা থাকতে হবে।
১-দক্ষতা প্রয়োজন সেলস্ স্কিল
২-খুব বেশি কমিউনিকেশন স্কিল
৩-বেশি বিশ্লেষকের যোগ্যতা
৪-মাঝামাঝি ক্রিয়েটিভ স্কিল
৫-সাধারণ কাজের সময়কাল
২০-৭০ ঘণ্টা/সপ্তাহ সফল রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হওয়ার কিছু টিপস্ আপনি যদি আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে চান তাহলে জমি ক্রয়ের সময় লক্ষ্য রাখবেন যাতে প্রতারণার শিকার না হন। সতর্কতার সঙ্গে খুঁটিনাটি জেনে তার পর জমি নির্বাচন করুন। জমির মালিক হলে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ বুঝে বিক্রি করতে হবে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে নিচের তিনটি ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করলে আপনি বিনিয়োগকৃত অর্থের মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
১. প্রথমত :
বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে কিংবা এ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করে আপনি কত মুনাফা অর্জন করতে যাচ্ছেন সেটা ঠিক করে নিন। হতে পারে এটা সত্য, কারণ আপনি বিনিয়োগ অনুযায়ী মুনাফা করতে চাচ্ছেন।
২. অবস্থা বুঝে কীভাবে আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা যায় সেটা চিন্তা করুন। প্রয়োজনে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মিটিংয়ে বসতে পারেন।
৩. আপনাকে হিসাব রাখতে হবে প্রোপার্টি থেকে যে মুনাফা আপনার পকেটে আসছে।
উপরের তিনটি পদ্ধতি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করলে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। যখন প্রোপার্টি কিনবেন তখন বিক্রেতা আপনাকে অনেক ভুল তথ্য দিতে পারে। ফলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আবাসন কর এবং অন্যান্য খরচ সম্বন্ধে পর্যাপ্ত তথ্য জানতে হবে। সুতরাং বিনিয়োগ করার পূর্বে সবকিছু ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় মার্কেটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের কোম্পানিকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য মার্কেটিং করতে হয়। আপনি টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা ছাড়াও ইন্টারনেটে বিভিন্ন ক্লাসিফায়েডস্ সাইটে কোম্পানির তথ্য প্রদান করে আরো দেশি-বিদেশি ক্রেতা পেতে পারেন।
অনলাইনে রিয়েল এস্টেট বিষয়ক তথ্য এ ছাড়া অনেক ওয়েব সাইট রয়েছে যেখানে আপনি রিয়েল এস্টেট সম্পর্কিত অনেক তথ্য পেতে পারেন। এসব ওয়েব সাইটে বিভিন্ন সফল ব্যবসায়ীদের লেকচার, আর্টিকেল পাবেন যা আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে। ওয়েব সাইটগুলো হলো :
www.creonline.com
www.realestatedevelopmentcoach.com
www.realtyuonline.com
www.zillow.com
www.360training.com/realestate-online-courses.cfm
www.realestateexpress.com
www.realestatebook.com
www.learningrealstate.com
www.realestate.com.au
এছাড়া ও ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এ স্নাতক পড়ানো হয়।
রিয়েল এস্টেটে স্মার্ট ক্যারিয়ার
[ ... Shift+R improves the quality of this image. Shift+A improves the quality of all images on this page.]
শহর এলাকায় অধিকাংশ মানুষের জীবন কাটে ভাড়া বাসায় থেকে। জমি ক্রয় করা এবং সেই জমিতে বহুতল ভবনের বাড়ি করার স্বপ্ন সবার থাকলেও বাস্তবায়ন হয় খুব কম লোকেরই। তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে ঝামেলাবিহীন একটি নিজস্ব আবাসস্থল পাওয়া শহরের যে কোনো মানুষেরই স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের আবির্ভাব। আশির দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু হয়। বর্তমানে এ ব্যবসায় জনপ্রিয়তা শীর্ষ স্থানে। কোম্পানিগুলো বিভিন্ন লোকশনে জমি ক্রয় করে বা লিজ নিয়ে নিজ খরচ ও তত্ত্বাবধানে বাড়ি বানিয়ে বিভিন্ন মানের ও দামের এপার্টমেন্ট তৈরি করে। মানুষ তার সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দসই এপার্টমেন্ট ক্রয় করে নিজস্ব একটি আবাসস্থল খুঁজে পায়। ক্রয় করার মতো জমি না থাকা, বাড়ি করার খরচ ও ঝামেলা বৃদ্ধি পাওয়া, নিরাপত্তাহীনতা, বছর বছর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি, সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা প্রভৃতি কারণে এ রিয়েল এস্টেট ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেশে প্রায় পাঁচ শতাধিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ব্যবসা করছে।
রিয়েল এস্টেট কোম্পানির এই ব্যাপক সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার বিভিন্ন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে সম্মান এবং সম্মানী দু'দিক থেকেই রিয়েল এস্টেট ক্যারিয়ার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে প্রায় পনের লক্ষাধিক লোক এই শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের ফলে প্রতিনিয়তই এই কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্যারিয়ার সুযোগ : রিয়েল এস্টেট শিল্পের কার্যক্রম জমি ক্রয় থেকে শুরু করে ফ্লাট তৈরি করে বিক্রয় করা এবং নিয়মিত তত্ত্বাবধান করা পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই এখানে বিভিন্ন বিভাগে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। এসব বিভাগের কাজ যেমন ভিন্ন তেমনি বিভিন্ন যোগ্যতার লোকবলের প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে কার্যভিত্তিক যেসব বিভাগ রয়েছে তা হলো_ ক্রয় বিভাগ, তত্ত্বাবধান, লিগ্যাল এডভাইজর, মার্কেটিং বিভাগ, হিসাব বিভাগ, বিক্রয় বিভাগ, মান নিয়ন্ত্রণ বা বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশল বিভাগ ও অফিস ব্যবস্থাপনা। ক্রয় বিভাগ জমি ক্রয়, নির্মাণ-সামগ্রী ক্রয় প্রভৃতি কাজ দেখাশুনা করে। তত্ত্বাবধানের মধ্যে রয়েছে সিকিউরিটি, পিয়ন, লেবার, ক্লিনার জাতীয় কর্মচারীদের সংগ্রহ করা ও তাদের দিয়ে কাজ করানো। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা যেহেতু জমি নিয়ে কাজ করে তাই মালিকপক্ষ, সরকার, কোম্পানি ইত্যাদি বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আইনগত অনেক ঝামেলা হয়। এজন্যই প্রত্যেক কোম্পানিতে রাখা হয় লিগ্যাল এডভাইজর। তারা আইনগত ঝামেলাগুলো সমাধানে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ট্যাঙ্ প্রদানেও তারা সহযোগিতামূলক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মার্কেটিং বিভাগ কোম্পানির বিভিন্ন সুবিধা, বৈশিষ্ট্যাবলী ও অফারসমূহ নিয়ে ফ্লাট বিক্রয়ের জন্য কাজ করে। হিসাব বিভাগ যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের হিসাব পরিচালনা ও সংরক্ষণ করে থাকে। বিক্রয় বিভাগ ক্রেতাদের সঙ্গে ফ্লাট বিক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। মান নিয়ন্ত্রক ও বিশেষজ্ঞগণ সয়েল টেস্ট, সার্বিক মান, ভূমিকম্প ঝুঁকি, সেপটি সিস্টেম প্রভৃতি বিষয়গুলো নিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং এসব কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ডিরেক্টরস বা উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপনা সার্বিক কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় করে থাকেন। যোগ্যতা : বিভিন্ন বিভাগে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিভিন্ন যোগ্যতার লোকবল প্রয়োজন হয়। সাধারণত সব বিভাগেই শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাস চাওয়া হয়। অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যবস্থাপনায় যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর চাওয়া হয়। এইচআরএমএম আইস প্রভৃতি বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। হিসাব শাখার জন্য একাউন্টিংয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, বিবিএ, এমবিএ চাওয়া হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে সিএ বা আইসিএমএ নিয়োগ দেওয়া হয়। মার্কেটিং বিভাগের জন্য মার্কেটিংয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর বা বিবিএ, এমবিএ চাওয়া হয় এবং মার্কেটিং কাজের যেকোনো অভিজ্ঞতা বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিক্রয় বিভাগের জন্যও একই যোগ্যতার লোকবল চাওয়া হয়। প্রকৌশল বিভাগের জন্য ডিপ্লোমা বা বিএসসি অর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। এ বিভাগে অধিকতর দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। মান নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে ওইসব ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন এবং ওই সেক্টরের কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী নিয়োগ করা হয়।আয় : রিয়েল এস্টেট ক্যারিয়ারে কাজ করার মধ্যে স্মার্টনেসের পাশাপাশি আকর্ষণীয় বেতন পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। সাধারণত গড়ে সুপারভাইজারদের ৮,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা, অফিস এঙ্িিকউটিভদের ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা, লিগ্যাল এডভাইজরদের ২০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা, ক্রয় বিভাগে ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা, মার্কেটিংয়ে ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা, সেলসে ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা, একাউন্টসে ১৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা। মান নিয়ন্ত্রক ও বিশেষজ্ঞদের ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা, ইঞ্জিনিয়ারদের ১৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা সম্মানী প্রদান করা হয়। প্রত্যেক বিভাগে বিভিন্ন পদমর্যাদায় একাধিক কর্মী থাকে। তাদের বেতন কাঠামো পদক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। কোম্পানির কাজের চাহিদা, বিস্তৃতি, আয় ও ধরন অনুযায়ী বেতন কাঠামো হয়ে থাকে।
খবর সূএ:
Click Here (http://webster.site5.com/~pratidin/?view=details&type=single&pub_no=62&cat_id=3&menu_id=26&news_type_id=1&index=0)
[/size]