Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: SabrinaRahman on June 14, 2017, 01:17:49 PM
-
চিকন গুনিয়া রোগ প্রতিরোধে তুলসি পাতা
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুর ভয় নেই। আগাম বর্ষার কারণে মশার উপদ্রব বাড়ছে। আর এ মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। হাসপাতাল ঘুরেও দেখা যাচ্ছে এমন চিত্র। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও চিকুনগুনিয়ায় রব।
এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগের প্রতিষেধক হচ্ছে প্যারাসিটামল খাওয়া এবং বিশ্রাম নেওয়া। আর বেশি করে তরল খেলেই সেরে উঠবে এই জ্বর। ঘাতক এডিশ মশাকে রুখে দিতে পারলেই সবচেয়ে বেশি রক্ষা।
শুধু মশা ধ্বংস নয় এর সঙ্গে প্রতিষেধক ওষুধের কথাও বলছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। ডা. ওসমান গনি শাহেদ বলেন , হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওসিমাম স্যাকটাম (ocimum sac) সেবন করলে এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এটা বড়ি বা পাউডার করে খাওয়া যায়।
ওসিমাম স্যাকটাম হচ্ছে তুলসী পাতা থেকে নেওয়া ভেষজ চিকিৎসায় ব্যাবহৃত তরল ওষুধ।
এছাড়াও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে সিম্পটম মিলিয়ে কিছু ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এগুলো হচ্ছে আর্সেনিক এলবাম (ars alb), রাস টক্স (Rhus tox), ব্রায়োনিয়া রুটা (Bryonia ruta) ইত্যাদি।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। তবে চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জ্বর চলে গেলেও রোগী আরও দীর্ঘদিন অসুস্থ ও দুর্বল বোধ করছেন। শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে গিটে গিটে ব্যথা কিছুতেই যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়ার মূল উপসর্গ হলো জ্বর এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা। জ্বর অনেকটা ডেঙ্গুর মতোই দেহের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়, প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়, তবে কাঁপুনি বা ঘাম দেয় না। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা করা, গায়ে লাল লাল দানার মতো রেশ, অবসাদ, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
জ্বর সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিন থাকে এবং এর পর নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। তবে তীব্র অবসাদ, পেশিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা ইত্যাদি জ্বর চলে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, চিকুনগুনিয়া সন্দেহ হলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি দেখা হয়। এতে দুই থেকে ১২ দিন লাগতে পারে। রোগীর আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে শুধু শুধু এ পরীক্ষা করার কোনো দরকার নেই। কেননা এতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো লাভ হবে না।
এর চিকিৎসা মূলত রোগের উপসর্গগুলোকে নিরাময় করা। রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি বা অন্য তরল খেতে দিতে হবে। জ্বরের জন্য সিম্পটমেটিক হোমিও ওষুধ খেতে হবে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। আবার যেন মশা না কামড়ায় এ জন্য রোগীকে মশারির ভেতরে রাখাই ভালো। কারণ, আক্রান্ত রোগীকে মশায় কামড় দিয়ে কোনো সুস্থ লোককে সেই মশা কামড় দিলে ওই ব্যক্তিও এ রোগে আক্রান্ত হবেন।
প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এডিস মশা প্রতিরোধ। মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা এবং মশাকে নির্মূল করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বাসাবাড়ির আশপাশে যেখানে পানি জমে থাকতে পারে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে অথবা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। পানি জমে থাকে এমন সব জায়গাই পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়া মসকুইটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে মশা কাছে না আসতে পারে। বাইরে যাওয়ার সময় শরীর ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে মশা কামড়াতে না পারে।
source: BD morning desk
-
তুলসি পাতা সত্যিই অনেক কার্যকর ।
-
উপকারি তথ্য, ধন্যবাদ।
-
Informative...
-
Has anyone been tested with "Tulsi" leaves?
-
Informative