Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: SabrinaRahman on June 19, 2017, 10:37:35 AM
-
একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদন: অটিস্টিক শিশু জন্মের নেপথ্যে
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিংবা অটিস্টিক শিশু কেন জন্ম নেয়! এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে গবেষণায় দেখা গেছে অন্তঃসত্ত্বা মা যদি সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় যথেষ্ট পরিমাণ thyroid হরমোন তৈরি করতে না পারে তবে ঐ মায়ের গর্ভে অটিজমে আক্রান্ত শিশু জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আমেরিকার Houston Methodist Neurological Institute এর গবেষকরা কেন অটিস্টিক শিশু জন্ম নেয় সেই বিষয়ে একটি বিস্তারিত গবেষণা চালান এই গবেষণায় গবেষকদল ৪,০০০ মা এবং তাঁদের সন্তানের উপর জরিপ চালান বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে। গবেষকরা এই গবেষণায় দেখতে পান একটি শিশু জন্মের পর কেন অটিস্টিক হয়! তারা এর মূল কারণ হিসেবে আবিষ্কার করেন শিশু মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় যদি যথেষ্ট পরিমাণ থাইরয়েড হরমোন তৈরি না হয় তবে ঐ সব শিশু অটিস্টিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, এর আগে একই ধরণের আরেক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল গর্ভবতি মায়ের গর্ভে শিশু বৃদ্ধি হওয়ার সময় তার মস্তিষ্ক গঠনের মূল পর্যায়ে ভ্রূণ উন্নয়ন ত্রুটির কারণে একটি শিশু অটিজমে আক্রান্ত হতে পারে।
গবেষকরা জানিয়েছেন এতদিন অনেকের ধারণা ছিল বংশগত কারণেই একটি শিশু অটিজমে আক্রান্ত হয় কিন্তু এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে আসল ঘটনা তা নয়! অটিজম একটি গর্ভকালীন ত্রুটি এবং এটি সচেতনতার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব!
গবেষণায় আরও দেখা গেছে অটিজম আক্রান্ত শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায় যদি শিশুর জন্মের সময় মায়ের T4 যাকে thyroxine বলা হয় এর উৎপাদন কম হয়। সুতরাং মায়ের গর্ভে থাইরয়েড হরমোন সঠিক উৎপাদন নিশ্চিত করতে T3 ,T4 অত্যন্ত গুরুত্ব পর্ণ এই দুইটি যদি নিশ্চিত করা যায় তবে শিশু অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই লাঘব করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
Erasmus Medical Centre এর ডাক্তাররা ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চালানো একটি জরিপে দেখেন প্রতি ৪০৩৯ জন জনগণের মাঝে ৮০ জন শিশু অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জরিপে আরও দেখা যায় ১৫৯ জন মা তাঁদের শরীরে T4 এর স্বাভাবিক জটিলতায় ভুগছেন এবং ১৩৬ জন মা তাঁদের শরীরে মধ্যম আকারের T4 জটিলতায় ভুগছেন।
যাই হোক সত্যি যদি এই গবেষণা অটিস্টিক শিশু জন্ম নেয়ার বিষয়ে সঠিক ধারণা দিয়ে থাকতে পারে এবং সেই অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা আরও গবেষণা চালান কি করে এই ধরণের শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা কমানো যাবে তবে তা অত্যন্ত সুখবর বলেই ধারণা করা যায়।
সূত্রঃ ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস