Daffodil International University
Faculty of Science and Information Technology => Environmental Science and Disaster Management => Topic started by: azharul.esdm on July 16, 2017, 03:11:24 PM
-
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশগত নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগসহ নানা কারণে প্রকৃতি ও পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এমতাবস্থায় দিন দিন পরিবেশবিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং প্রকৃতিকে ঝুঁকিতে ফেলে কোনো প্রকল্প যেন না নেয়া হয় সেজন্য উন্নত বিশ্বে পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বৃত্তি দেয়া হচ্ছে পরিবেশ শিক্ষায়। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও এ শিক্ষা এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি পরিবেশ বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্রও বাড়ছে।
প্রসপেক্ট : পরিবেশ বিজ্ঞানের একজন গ্রাজুয়েট ভূ-বিজ্ঞান থেকে শুরু করে জলবায়ু তত্ত্ব, সমুদ্র তত্ত্ব, উদ্ভিদ-ভূগোল তত্ত্ব, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, বাস্তুসংস্থান বিদ্যা, দুর্যোগ মোকাবিলা, নগর পরিকল্পনা, গ্রামীণ পরিকল্পনা ইত্যাদি নানা বিষয়ে জেনে থাকে। তাই সরকারি বেসরকারি যে কোনো প্রকল্পের পরিবেশগত ঝুঁকি ও প্রভাব নিরূপণে পরিবেশবিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটদের দরকার হচ্ছে। দেশের দুর্যোগ মোকাবিলায় যেমন দরকার একজন পরিবেশ বিজ্ঞানীর, তেমনি জলে-স্থলে-শূন্যে যে কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশবিদের বিকল্প খুঁজে পাওয়া ভার। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, পৃথিবীতে মেধাবী পরিবেশবিদের চাহিদা শীর্ষে থাকলেও খুব কম সংখ্যক তরুণ-তরুণী আমাদের দেশে পরিবেশ বিজ্ঞান পড়তে আগ্রহী হচ্ছে। মূলত পরিবেশ বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটদের জব প্রসপেক্ট না জানার কারণে এমনটা হচ্ছে।
চাকরির ক্ষেত্র : সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিবেশ বিজ্ঞানে পড়ালেখার পাঠ চুকানোর পর একজন গ্রাজুয়েটের বেকার থাকতে হয় না। দেশেই ভালো মানের চাকরি হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এনভায়নমেন্টাল সেল খোলা হচ্ছে, সেখানে এ বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। চাকরি হচ্ছে কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদফতর, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট, এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ, মাছ ও বন্যপ্রাণী সেবা অধিদফতর, জাতীয় বন পরিসেবা, খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগে।
এনজিও-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান : এছাড়া বিভিন্ন আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভায় আবাসিক-বাণিজ্যিক ভবনসহ উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশগত ঝুঁকি নিরূপণের জন্য পরিবেশ বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটদের দরকার হচ্ছে।
ট্যুরিজম সেক্টরেও অনেকের চাকরি হচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পে এ বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের প্রসপেক্ট অত্যন্ত উজ্জ্বল। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যঝুঁকি এসব নিরূপণে পরিবেশ বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটদের দরকার হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ডসহ উন্নত দেশগুলো পরিবেশ শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি বৃত্তি দিচ্ছে। কেউ চাইলে সহজেই বৃত্তি নিয়ে পরিবেশের ওপর মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে ওইসব দেশে ভালো চাকরির সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।
রোজগার : পরিবেশ বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটরা চাকরির শুরুতে অন্যদের চেয়ে বেশি বেতনে কাজ শুরু করতে পারে। একজন ফ্রেশ গ্রাজুয়েটের বেতন প্রতিষ্ঠানভেদে ২০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কোথায় পড়বেন : মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাবিপ্রবি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান অথবা মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান নামে ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ড্যাফােডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্থসাউথ, ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা পড়ানো হচ্ছে। আগ্রহীরা যে কোনো একটিতে পড়তে পারেন।
-
Informative 8)
-
Thanks.