Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Md. Sazzadur Ahamed on September 19, 2017, 05:00:35 PM
-
আইফোন টেনের দাম ৯৯৯ মার্কিন ডলার হবে। খুব বেশি কি? দীর্ঘদিন ধরেই নতুন এই আইফোন ঘিরে বাজারে গুঞ্জন ছিল। ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে নতুন চমক হিসেবে আইফোন টেনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষের মতে, তারা বরাবরই উন্নত ফোন তৈরি করে। তাদের ফোন প্রিমিয়াম ফোন। ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি।
এক দশক আগে অ্যাপলের বাজারে আনা প্রথম আইফোনের চেয়ে এবারের ঘোষণা দেওয়া আইফোন টেনের দাম দ্বিগুণ। বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চেয়েও এর দাম বেশি। শুধু আইফোন টেনের দাম নয়, ৮ ও ৮ প্লাসের দামও আগের সংস্করণের আইফোন ৭-এর চেয়ে বাড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ মনে করে, ক্রেতারা ভালো নকশার প্রিমিয়াম ফোন চান। এ জন্য তারা বেশি দাম দিতে আগ্রহী। তাই আইফোন টেনের দাম বেশি হলেও এটি ঘিরে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুকের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই।
এক দশক আগে অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের হাত ধরে আসা প্রথম আইফোনের দাম ছিল ৪৯৯ মার্কিন ডলার। ওই আইফোনকে স্মার্টফোনের যুগান্তকারী আবিষ্কার বলে মনে করা হয়। টিম কুক দাবি করছেন, প্রথম আইফোনটির মতো আইফোন টেনও এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। প্রথম আইফোনের পর এটাকে বড় অগ্রগতি বলছেন তিনি।
অবশ্য টিম কুকের কথাতে সায় দিচ্ছেন অনেক প্রযুক্তি বিশ্লেষক। তাঁরা বলছেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে আইফোন টেন প্রশ্নাতীত আকর্ষণীয়। এতে এজ-টু-এজ স্ক্রিন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চিপ, ফেসিয়াল রিকগনিশন নতুন সেন্সর, এনিমেটেড ইমোজি, ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করার সুবিধাযুক্ত পোর্টেট মোড সেলফি, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি গেম প্ল্যাটফর্ম ও তারহীন চার্জিংয়ের মতো প্রযুক্তি আছে। অ্যাপলের দাবি, ফোনটি আইফোন ৭-এর চেয়ে দুই ঘণ্টা বেশি চার্জ ধরে রাখতে পারে। তবে আইফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম ডিসপ্লে, ফেসিয়াল রিকগনিশন, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি ও তারহীন চার্জিং সুবিধা আছে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের বিশ্লেষক ব্রায়ান ব্লাউ বলেন, দৈনন্দিন মানুষ যা ব্যবহারে অভ্যস্ত ও ভালো বোঝে, তার সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি সমন্বয়ে অ্যাপল সবচেয়ে ভালো করে। অগমেন্টেড রিয়্যালিটি তাই শুধু আইফোন টেনেই নয়, অন্য মডেলগুলোতেই আইওএস ১১-এর সঙ্গে যুক্ত হবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষক প্যাট্রিক মুরহেড বলেন, অ্যাপল তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধন্যবাদ দিতে পারে। বাজারে দুর্দান্ত প্রতিযোগিতা বিশেষ করে স্যামসাং, গুগল ও হুয়াওয়ের চাপে নতুন আইফোনে বড় চমক দেখাতে বাধ্য হয়েছে অ্যাপল।
মুরহেড বলেন, আইফোন টেনের মধ্য দিয়ে বাজারে সুপার ফোনের একটি ভাগ তৈরি হলো। বর্তমানে বাজারে ফ্ল্যাগশিপ, হাই-এন্ড, মিডরেঞ্জ বিভিন্ন ভাগে স্মার্টফোন বিক্রি হতে দেখা যায়। অ্যাপল তাদের আইফোনের জন্য ঐকান্তিক এক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
অ্যাপলের অন্য যন্ত্রগুলোও উন্নত হচ্ছে। অ্যাপল যে নতুন স্মার্টওয়াচ এনেছে তাতে ফোন কল করার সুবিধা এসেছে। অ্যাপল টিভিতে ফোরকে মানের ভিডিও দেখার সুবিধা এসেছে। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।