Daffodil International University
Educational => You need to know => Topic started by: Noor E Alam on September 21, 2017, 09:46:52 AM
-
কোর্ট ম্যারেজ হইতে সাবধান!
.
কোর্ট ম্যারেজ বলে কোন
কিছু আইনে নেই। যুবক-যুবতি বা নারী-
পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে
বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে
যে হলফনামা সম্পাদন করে থাকে, তাই
কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত। এর
কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এই রুপ
কোন বিয়ে যদি কাজী অফিসে
রেজিষ্ট্রী না করা হয় তাহলে আইনগত
কোন ভিত্তি থাকবেনা। কোন এক সময়
যদিএক পক্ষ অন্য পক্ষকে ত্যাগ
করে তাহলে আইনগত কোন প্রতিকার
পাবেনা।
পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল
স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে
কিংবাএকশত পঞ্চাশ টাকার নন-
জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর
ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে
হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত
করা হয়। অথচ এফিডেভিট বা
হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র।
আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও
আকদ সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার
জন্য এফিডেভিট করা যাবে।
আবেগঘন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক তরুণ
তরুণীর ভুল ধারণা হয় যে, শুধুমাত্র
এফিডেভিট করে বিয়ে করলে বন্ধন
শক্ত হয়। কাজী অফিসে বিয়ের জন্য
বিরাট অঙ্কের ফিস দিতে হয় বলে
কোর্ট ম্যারেজকে অধিকতর ভাল মনে
করে তারা।
যদি কাবিন রেজিষ্ট্রী করা না হয়
তাহলে স্ত্রী মোহরানা আদায় করতে
ব্যার্থ হবে। অধিকিন্তু আইন অনুযায়ী
তার বিয়ে প্রমান করাই মুশকিল হয়ে
দাঁড়াবে। তাই এই ক্ষেত্রে সঙ্গী
কর্তৃক প্রতারিত হবার সম্ভাবানাই
অধিক।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক
(রেজিস্ট্রিকরণ) আইন, ১৯৭৪-এর
ধারা ৫(২) অনুযায়ী যে ক্ষেত্রে
একজন নিকাহ রেজিস্টার ব্যাতিত
অন্য ব্যাক্তি দ্বারা বিবাহ অনুষ্টিত
হয় সে ক্ষেত্রে বর বিবাহ অনুষ্টানের
তারিখ থেকে পরবর্তী (৩০) ত্রিশ
দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ
রেজিস্টারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল
করবেন।
ধারা ৫(৪) অনুযায়ী অত্র আইনের
বিধান লঙ্গন করলে দুই বছর পর্যন্ত
বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম
কারাদণ্ড বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত
বর্ধনযোগ্য জরিমানা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত হবে।