Daffodil International University

Bangladesh => Positive Bangladesh => Topic started by: Anuz on September 30, 2017, 09:20:00 AM

Title: ইতালির জাতীয় দলে বাংলাদেশের রাকিবুল
Post by: Anuz on September 30, 2017, 09:20:00 AM
একটা সময় সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, এনামুল হক, তাইজুল ইসলাম, আবুল হোসেন রাজুদের সঙ্গে একই দলের হয়ে মাঠ মাতাতেন রাকিবুল হাসান। ডাক পেয়েছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের জন্য ঘোষিত ৩০ জনের স্কোয়াডেও। জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত সেবার রাকিব নিয়েছিলেন ৪০ উইকেট। হয়েছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। খেলেছেন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়েও। স্বপ্ন দেখতেন একদিন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন, মাঠ মাতাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে! আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্নটা ঠিকই পূরণ হয়েছে রাকিবুলের। তবে বাংলাদেশের নয়; ইতালির জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ ঘটেছে রাকিবুল হাসানের। ইতালির ক্রিকেট দলে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ইতিমধ্যে ইতালির জার্সি গায়ে পাঁচটি ম্যাচও খেলে ফেলেছেন ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। রয়েছে দুটি হাফ সেঞ্চুরি। ঝুলিতে পুরেছেন একটি উইকেটও!

ফুটবলের দেশ হলেও আশির দশকের গোড়ার দিক থেকে ছোট আকারে ক্রিকেটের চর্চা শুরু হয় ইতালিতে। বর্তমানে আইসিসির ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ, বিশ্ব টি-টোয়েন্টির বাছাই পর্ব ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপসহ বেশ কিছু আয়োজনে খেলছে ইতালি। তবে ইতালির জাতীয় ক্রিকেট দলে স্থানীয়দের চেয়ে অভিবাসীর সংখ্যাই বেশি। পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে ভাগ্যান্বেষণে ইতালিতে যাওয়া অনেকেই জায়গা করে নিয়েছেন ইতালির জাতীয় ক্রিকেট দলে।

তাদের ভিড়ে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের রাকিবও। যদিও সে পথটা মোটেও সুগম ছিল না তার জন্য। শুরুতে যখন ইতালিতে পাড়ি জমান তখন সেখানে অবস্থানের জন্য বৈধ কাগজপত্রও ছিল না রাকিবের কাছে। পরবর্তীতে নিজে থেকেই পুলিশের কাছে ধরা দেন তিনি। বয়স সতেরোর নিচে হওয়াতে ইমিগ্রেশন পুলিশই তার অনুমতিপত্রের ব্যবস্থা করে দেয়।

জীবনের এই অমসৃণ পথচলার মাঝেও ক্রিকেটকে ভোলেননি তিনি। কাজের পাশাপাশি নাম লেখান স্থানীয় ক্লাব বোলোনিয়া ক্রিকেটে। সেখানে খেলার তিন বছর পর বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার ডাক পান পিয়ানর ক্রিকেট ক্লাব থেকে। পরবর্তীতে জায়গা করে নেন ইতালির জাতীয় ক্রিকেট দলেও। নিজের দেশের হয়ে না হোক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো খেলা হচ্ছে রাকিবুল হাসানের। বাস্তবতার শত কষাঘাতের মাঝেও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, এটাই বা কম কিসে!