Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: protima.ns on October 01, 2017, 01:21:23 PM
-
ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ হলে যা খাবেন
অনেকের ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসে। দিনে ৪-৫ বার প্রস্রাবের চাপ আসা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। তবে তার থেকে বেশি বার হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়!
বিশেষ করে দিনে যদি ৮-৯ বার প্রসাবের প্রয়োজন হয় এবং এরজন্য র্নিঘুম রাত কাটাতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লাডার যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাজ করা শুরু করে তাহলেই ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসে। আর এরকমটা নানা কারণে হতে পারে যেমন: অ্যালকোহল সেবন, ক্যাফিন, ডায়াবেটিস, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, পেলভিক রিজিয়ানে কোনো অসুবিধা, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রয়া থেকেও হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ও আধুনিক নানা চিকিৎসার মাধ্যমে এ সমস্যা দূর করা যায় ঠিকই। তবে বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা দিয়েছেন যা এক্ষেত্রে দারুন কাজ করে। এ ব্যপারে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো :
পালংশাক : এই শাকে রয়েছে নানা রকমের পুষ্টিকর উপাদান, যা এই ধরনের রোগ সারাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া ডাবের পানিতে পালংশাক চুবিয়ে খেলেও একই কাজ হয়।
চেরি : চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা ব্লাডারের অস্বাভাবিকতা কমায়। এতে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে।
মেথি বীজ : এটি ঘন ঘন প্রস্রাব চাপার অসুবিধা কমায় এবং যে কোনো ধরনের ইউরিনারি ডিজঅর্ডার সারাতে দারুন কাজ করে।
তিল বীজ : এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফাইবার, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা কমায়।
ছোলা : ছোলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফোনোলস, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম। এগুলো ব্লাডারের কাজকে স্বাভাবিক করে এই সমস্যা কমিয়ে ফেলে।
কুমড়ার বীজ: কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রস্টেট এবং ব্লাডারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই এমন সমস্যা হলে এটি খাওয়া শুরু করতে পারেন।
ডালিম : ডালিমের কোয়াগুলি নিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এটি খেলে প্রায় সব ধরনের ইউরিনারি সমস্যা কমে যাবে। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ব্লাডারের প্রদাহ হ্রাস করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসবে না। এছাড়া রাতে একাধিকবার ইউরিন চাপার অসুবিধা কমাতেও এটি দারুন কাজ করে।
পাকা কলা:যাঁরা বার-বার প্রস্রাব করেন বা অধিক মাত্রায় যাঁদের প্রস্রাব হয় বা প্রসাব করার সময় জ্বালা অনুভূত হয় তাঁরা দুপুরে খাওয়ার পর কিছুদিন দুটো করে পাকা কলা খেলে উপকার পাবেন।
আঙুর : নিয়মিত আঙুর খেলেও বহুমূত্র রোগে ফল পাওয়া যায়। আঙুর মিষ্টি হওয়া বাঞ্ছনীয়।
-
Informative one.