Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Cancer => Topic started by: rumman on November 29, 2017, 01:43:53 PM
-
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে প্রাকৃতিকভাবেই ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করা যায়। কিছু খাবার এবং পানীয় টিউমার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
দেহে নতুন কোষ সৃষ্টির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে বলে অ্যানজিওজেনেসিস। আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রক্রিয়ার গতি কমে আসে। ফলে দেহ নিজে নিজেই আরোগ্য লাভের সক্ষমতা হারায়। অ্যানজিওজেনেসিস নিয়ন্ত্রিত হয় অ্যাকটিভেটরস এবং ইনহিবিটরস দিয়ে।
টিউমাররাও এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে নতুন রক্তের শিরা-উপশিরা সৃষ্টি করে। যার মাধ্যমে তারা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে এবং নতুন কোষবৃদ্ধি করে চলে। এর মানে হলো টিউমাররাও অ্যাকটিভেটরস এবং ইনিহিবিটরস এর ওপর নির্ভর করে। এটা জানার পর বিজ্ঞানীরা অ্যানজিওজেনেসিস ইনহিবিটরস তৈরি করেছেন যা এমন একটি ওষুধ যার মধ্যে কেমোথেরাপির বিপরীত প্রভাব আছে।
কিছু খাবার আছে যেগুলো প্রাকৃতিকভাবেই ক্যান্সার কোষদের মারতে সক্ষম এবং আপনি কেমোথেরাপির ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও রেহাই পাবেন।
আসুন জেনেও নেওয়া যাক কী সেই খাবারগুলি...
১. টমেটো
গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিতভাবে টমেটোর সস বানিয়ে খান তাদের প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০% কমে আসে। টমেটোতে আছে লাইকোপেন যা একটি শক্তিশালি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
২. আঙ্গুর
আঙ্গুরের চামড়ায় আছে রেজভারেট্রল নামের একটি উপাদান যেটি হৃদরোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩. ব্লুবেরি এবং র্যাসপবেরি
এই দুটি ফল অক্সিডেটিভ ড্যামেজ কমাতে সক্ষম এবং অ্যানজিওজেনেসিস বা ক্যান্সারের নতুন কোষ বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও প্রতিরোধ করে। এসবে আছে শক্তিশালী ফাইটোকেমিকেল।
৪. ডার্ক চকোলেট
গবেষণায় দেখা গেছে, ডার্ক চকোলেট অ্যানজিওজেনেসিস এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম এবং ক্যান্সারের ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে পারে।
৫. কফি এবং গ্রিন টি
এই দুটি পানীয় টিউমারে অ্যানজিওজেনেসিস বা নতুন কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং ক্যান্সারের ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করে।
৬. হলুদ
হলুদের আছে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। আর এর শীর্ষ একটি উপকারিতা হলো ক্যান্সারের ছড়িয়ে পড়া বন্ধ এবং কোষবৃদ্ধি প্রতিরোধ করা।
Source: কালের কণ্ঠ অনলাইন ২৮ নভেম্বর, ২০১৭ ১৫:২৯