Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: rumman on December 14, 2017, 12:53:53 PM

Title: The medicine of 8 diseases is the only date
Post by: rumman on December 14, 2017, 12:53:53 PM
আনেকেই বিশ্বাস করেন মিষ্টি খাবার মানেই তা শরীরের জন্য ভালো নয়। এই ধরণা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ খেজুর একটা মিষ্টি ফল, তবু এর মধ্য কোনও ক্ষতিকর উপাদান নেই। বরং এটি খেলে সার্বিকভাবে শরীর অনেক চাঙ্গা থাকে।

খেজুরের মধ্য বিপুল পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ক্য়ালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকার কারণে শীতকালে এই ফলটি খাওয়া খুব জরুরি। সর্বোপরি এর খাদ্যগুনের জন্য রমজান মাস চালাকলীন মুসলমানরা ইফতার করেন এই ফল দিয়েই।

কারণ রোজার কারণে শরীরের বিপুল পিরমাণ শক্তির দরকার পরে, আর খেজুর সে সময় এই কাজটিই করে খুব সুন্দরভাবে। এখানেই শেষ নয়, যারা নিজের ওজন কমাতে ইচ্ছুক তাদের জন্যও এই ফলটি খাওয়া জরুরি। কারণ খেজুর ওজন কমাতে দারুন কাজে আসে। খেজুরের আরো কিছু গুনাগুন আমরা জানি

১. শরীর গরম রাখে:

খেজুরে বিপুল পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ক্য়ালসিয়াম, ভিটামিন এবং ম্য়াগেনশিয়াম থাকার কারণে এটি শরীর গরম রাখতে খুব সাহায্য় করে। সেই কারণেই তো শীতকালে এই ফলটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

২. ঠান্ডা কমায় :

ঠান্ডায় খুব হাঁচি-কাশি হচ্ছে। চিন্তা নেই। এখনই ২-৩ টে খেজুর, কিছুটা মরিচ আর ১-২ টো এলাচ নিয়ে গরম জলে ফেল সেদ্ধ করে নিন। দাঁড়ান দাঁড়ান, এখনই খাবেন না। শুতে যাওয়ার আগে ওই জল খেয়ে নিন। দেখবেন ঠান্ডা কেমন দূরে পালাচ্ছে।

৩. অ্যাজমা সারায়:

শীতে যে যে রোগ খুব মাথাচারা দিয়ে ওঠে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল হাঁপানি বা অ্যাস্থেমা। প্রতিদিন সকালে আর বিকালে নিয়ন করে ১-২ টো খেজুর খান। দেখবেন শীতকালে আর হাঁপানি হচ্ছে না আপনার।

৪. শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে:

খেজুরে যেহেতু অনেক পরিমাণে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে, তাই এই ফলটি খেলে নিমেষ শরীরের শক্তি বেড়ে যায়।

৫. কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়:

কেয়েকটা খেজুর নিয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খেজুরটা ফাটিয়ে জলে মিশিয়ে সেই জল পান করুন। দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্য়া কেমন কমতে শুরু করেছে। আসলে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুন কাজে আসে।

৬. হার্টের জন্য  ভালো:

ফাইবার হার্টকে ভালো রাখে। আর একথা তো সকলেরই জানা যে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই এই ফলটি খেলে হার্ট যেমন ভালো থাকে, তেমনি হার্টরেটও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফেল কমে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা।

৭. আর্থারাইটিস কমায়:

শীতে যারা আর্থ্রারাইটিসের সমস্য়ায় খুব ভোগেন তারা আজ থেকেই খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ থাকার কারণে আর্থ্রারাইটিসের ব্য়থা কমাতে এটা দারুন কাজে দেয়।

৮. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে:

ম্য়াগনেশিয়াম আর পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য় করে। আর এই দুটি খনিজ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে থাকায় এই ফলটি খেলে রক্তচাপ একেবারে নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্য়া আছে, তারা প্রতিদিন ৫-৬টা খজুর খেতে ভুলবেন না যেন!