Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Allah: My belief => Topic started by: rumman on February 12, 2018, 02:44:43 PM

Title: Analysis of Arabic words used before and after name
Post by: rumman on February 12, 2018, 02:44:43 PM

শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের পর লেখা হয়- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ধর্মীয় নেতা কিংবা ব্যক্তিত্বের নামের আগে বা পরে নানা ধরনের উপাধি লেখা হয়।
ব্যবহৃত উপাধিসমূহের কিছু অর্থ বুঝা যায়, আর কিছু উপাধি বা নামের আগে পরে থাকা শব্দের অর্থ অনেকই বুঝেন না; জানেন না। ক্ষেত্রবিশেষ এসব আবার সংক্ষেপেও লেখা হয়।
না জানা থেকে এগুলো পড়তে অনেকের ভুল হয়। কেননা, লেখার সময় সংক্ষেপণ রীতিসিদ্ধ হলেও পড়ার সময় কিন্তু সংক্ষেপণ রীতি সিদ্ধ নয়। বরং পড়ার সময় সংক্ষিপ্ত শব্দের বিস্তারিত রূপ পাঠ করাই হলো- নিয়মের কথা। নামের আগে-পরে ব্যবহৃত ওইসব শব্দের মাঝে রয়েছে-
সা., স., দ.
এ শব্দগুলো সংক্ষেপের যে কোনো একটি লেখা হয় শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের পর। সা., স. অথবা দ. যেটাই লেখা থাকুক; পড়তে হবে- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এর অর্থ, আল্লাহ তার (নবী মুহাম্মদ) ওপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুক।
পরিভাষায় এ বাক্যের নাম দরুদ। তাই সংক্ষেপ করতে যেয়ে অনেক সময় ‘দ.’ লেখা হয়। আবার প্রথম বর্ণ ‘স’ হওয়ায় শব্দ সংক্ষেপ করে ‘সা.,’ কিংবা ‘স.’ লেখা হয়। তবে বেশ আগে ‘দ.’ লেখার প্রচলন থাকলেও বর্তমানে তা নেই বললেই চলে। এখন সবাই ‘সা.,’ অথবা ‘স.’ লেখে থাকেন।
তবে অভিজ্ঞ ইসলামি স্কলাররা এ বাক্যকে সংক্ষেপ করে লেখাকে পছন্দ করেন না। তারা সবসময় পূর্ণ বাক্য লেখার পক্ষপাতী।
আ.
এ শব্দসংক্ষেপ লেখা হয়ে থাকে শেষ নবী ব্যতীত অন্য সব নবীদের নামের পর। এর পূর্ণ রূপ হলো- ‘আলাইহিস সালাম।’ অর্থ, তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।
রা., রাযি., রাজি. ও রাদি.
এ শব্দগুলোর যে কোনোটি লেখা হয়- সাহাবিদের নামের পরে। ইসলামের পরিভাষায় সাহাবি বলা হয়, যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণের পর শেষ নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন এবং মুসলিম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ শব্দ সংক্ষেপগুলোর পূর্ণরূপ একবচন পুরুষের ক্ষেত্রে ‘রাযিয়াল্লাহু আনহু’, বহুবচন পুরুষের ক্ষেত্রে ‘রাযিয়াল্লাহু আনহুম’, একবচন মহিলার ক্ষেত্রে ‘রাযিয়াল্লাহু আনহা’, বহুবচন নারীর ক্ষেত্রে ‘রাযিয়াল্লাহু আনহুন্না’ এবং দ্বি-বচন পুরুষ-মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে ‘রাযিয়াল্লাহু আনহুমা।’ পূর্ণ বাক্যের অর্থ হলো- আল্লাহ তার অথবা তাদের প্রতি


Source: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮-০২-১১ ৬:৩৮:৩২ পিএম