Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: saima rhemu on February 28, 2018, 04:19:26 PM
-
আজকাল ওজন বৃদ্ধি অনেকের জন্যই একটি মারাত্নক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ এর ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা বাসা বাঁধে। এর জন্য আমরা ডাইটিং ও ব্যায়াম করা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও শাক সবজি গ্রহণ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু কিছু ফলমূল ও শাক সবজির জুসও অনেক কার্যকরী। যা নিয়মিতভাবে খেলে তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে।
টমেটোর জুস
টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও আয়রন, তাই এক গ্লাস টমেটোর জুস খেলে তা আমাদের শরীরকে সারাদিন সতেজ ও চাঙা রাখতে সাহায্য করে। টমেটো আমাদের মুখের স্বাদগ্রন্থিগুলোকে আচ্ছন্ন করে ফেলে ফলে খাবারের রুচি কমে যায়, যার কারণে শরীরের ওজনও কমে যায়।
করলার জুস
ওজন কমানোর জন্য করলার জুসও অনেক কার্যকরী। করলাতে খুব অল্প পরিমাণ ক্যালরি থাকে। নিয়মিতভাবে করলার জুস গ্রহণ করলে তা আমাদের পিত্তের রস নিঃসরণ করে। যার ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়া শক্তিশালী হয় যা শরীরের চর্বি পুড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
লেবুর জুস
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে লেবুর জুসও বেশ উপকারী। কারণ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। নিয়মিতভাবে লেবুর জুস খেলে তা আমাদের শরীরের চর্বী ঝড়াতে সহায়তা করে ফলে শরীরের ওজন কমে যায়। এছাড়া ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। যেটি ওজন কমানোর সহায়ক।
জাম্বুরার জুস
জাম্বুরা বা বাতাবী লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রতিবার খাবারের আগে জাম্বুরার জুস খেলে তাতে অনেক ভা্লো উপকার পাওয়া যায়। জাম্বুরা ক্ষুধাও কমিয়ে দেয়। ফলে ওজনও কমে।
গাজর জুস
গাজর একপ্রকার মূল জাতীয় সবজি। এতে আঁশ বেশি থাকে, কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। গাজর ক্ষুধা নিবারণে সহায়তা করে। তাই ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন সকালে গাজরের জুস খেলে দুপুর পর্যন্ত আর ক্ষুধা লাগবে না। যার কারণে অতিরিক্ত আর কোন খাবার খাওয়ার প্রয়োজনও পড়বেনা। গাজরের জুস লিভার থেকে পিত্তের রস নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা শরীরের চর্বি দ্রুত পোড়াতে সহায়তা করে, ফলে ওজন কমে যায়।
বাঁধাকপির জুস
বাঁধাকপিতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ ও পানি। এক গ্লাস বাঁধাকপির জুস খেলে এতে থাকা আঁশের কারণে পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা থাকবে। ফলে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের প্রয়োজন পড়বেনা। তখন ওজন কমে যাবে।
ডালিমের জুস
ডালিমে রয়েছে আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ডালিমের জুস নিয়মিত খেলে এসব উপাদান শরীরের চর্বি পোড়ায় এবং বিপাকীয় শক্তি বাড়ায়। এছাড়া ক্ষুধা কমিয়ে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে।
শসার জুস
শসাতে আছে প্রচুর পানি। ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। এছাড়া এতে প্রচুর আঁশও আছে। এসব উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিতভাবে শসার জুস খেলে আপনার শরীরের ওজন কমে যাবে।
তরমুজের জুস
তরমুজের জুস হচ্ছে ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ পানীয়। তরমুজে খুব কম পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে আঁশ। এছাড়া এতে রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। এটি আপনার ওজন কমানোর গতিকে ত্বরান্বিত করে কোন রকম ক্লান্ত ও দুর্বলতা বোধ ছাড়াই।
-
Nice sharing but I need to improve my weight :P
-
:P ::) :P
-
I will try ..
-
Definitely mam :)
-
Helpful post indeed
-
Thanks :)
-
Helpful post
-
Thanks :)