Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: protima.ns on February 28, 2018, 09:38:50 PM
-
ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়:
দেহে যদি ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে বিভিন্ন অস্থিসন্ধীতে ব্যথাসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। আর তাই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লেখায় তুলে ধরা হলো ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণের কিছু খাবার।
যেসব খাবার খাবেন না—
শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। বাড়তি চিনি, অ্যালকোহল, মাংস, ডাল ইত্যাদি কম করে খেতে হবে। পিউরিনযুক্ত খাবার কম করে খেতে হবে। বাঁধাকপি, পালংশাক, মটরশুঁটি ও মাশরুমের মতো খাবারেও প্রচুর পিউরিন আছে। এসব খাবার খাওয়া তাই কমিয়ে দিতে হবে।ইউরিক এসিডের প্রভাব
বেশি খাবেন—
পানি
পানি দেহের যেকোনো ধরনের বিষকে দূর করতে সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পানি। আপনার দেহে যদি ইউরিক এসিড বেড়ে যায় তাহলে প্রতিদিন বেশি করে পানি পান করুন। সম্ভব হলে ১০-১২ গ্লাস পানিও পান করতে পারেন।
আপেল
আপেলের একটি উপাদান হলো ম্যালিক এসিড। এটি ইউরিক এসিড কমাতে সহায়তা করে। ইউরিক এসিড কমানোর জন্য খুব বেশি পরিমাণে আপেল খাওয়ার প্রয়োজন নেই। পরিমিত মাত্রায় নিয়মিত কয়েক দিন খেলেই কাজ হবে।
লেবু
এতে আছে সাইট্রিক এসিড। এটি বাড়তি ইউরিক এসিড দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অর্ধেক পরিমাণ লেবুর রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে হবে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
এক ধরনের ভিনেগার নাম অ্যাপল সিডার ভিনেগার। এটি প্রতিদিন তিন চা চামচ কিংবা আট আউন্স পরিমাণ সেবন করলে উপকার মিলবে। এটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে হবে।
সবজির জুস
গাজর, বিট ও শসা ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। আর এ তিন উপাদান একত্রে জুস করে পান করতে পারেন। এ জন্য ১০০ এমএল বিট জুস ও শসার জুস এবং ৩০০ এমএল গাজরের জুস একত্রে মিশিয়ে নিতে পারেন।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। তাই আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার বেশি করে রাখতে হবে। আমলকী, পেয়ারা, বাতাবি লেবু, কমলা, ক্যাপসিকাম ও সবুজ পাতাযুক্ত শাক খেতে পারেন।
আঁশযুক্ত খাবার
প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার রক্তের ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক। এ জন্য ইসবগুল, ওট ও নানা ধরনের শাকসবজি খেতে পারেন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি ইউরিক এসিড কমাতে সহায়তা করে। তাই ইউরিক এসিড কমাতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করা যেতে পারে।
-
Thanks