Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: protima.ns on February 28, 2018, 09:55:43 PM

Title: উত্তর কোরিয়ায় ১৫ টি সাধারণ কাজ করলে আপনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে
Post by: protima.ns on February 28, 2018, 09:55:43 PM
উত্তর কোরিয়ায় এই ১৫ টি সাধারণ কাজ করলে আপনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে
কিছু দিন আগে ট্রাম্প যখন UNGA তে বক্তব্য রাখছিলেন তখন তিনি উত্তর কোরিয়াকে তাদের পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য চড়া সুরে হুমকি দিয়েছিলেন। বিশ্বের বেশিরভাগের মত অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ এমনিতেই অন্ধকার আর আমরা আশা করব বিশ্বের অন্যান্য নেতারা ট্রাম্পের হুমকির হাত থেকে উত্তর কোরিয়াকে বাঁচাবে।

আর সবথেকে মজাদার ব্যাপার হল যে উত্তর কোরিয়া যে শুধু বাইরের লোকেদের সাথে বাজে ব্যবহার করছে তাই নয়, সেখানকার বেশিরভাগ লোক খুব কষ্টের সাথে জীবন চালাচ্ছে। কারণ এখানকার সরকার দেশের মানুষদের কঠোর শাসনের মধ্যে রাখবার জন্য বোকার মত কিছু কঠোর আইন তৈরি করেছে।

এখানে এরকম ১৫ টি কাজ বা আইন নিয়ে এসেছি যেগুলি উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ কিন্তু অন্যান্য দেশের মানুষ তা স্বাধীনভাবে করতে পারে।

দেখে নেওয়া যাক!

১৫. আপনি টিভি দেখতে পারবেন না।

উত্তর কোরিয়ার জনগণের টিভি দেখার অনুমতি নেয়। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি শো গুলি দেখলে আপনার কঠোর শাস্তিও হতে পারে। ২০১৪ সালে একজন লোক এক দক্ষিণ কোরিয়ার অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় এবং পরে তার মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হয়।

১৪. আপনি গাড়ি কিনতে পারবেন না।

এটা বলা হয় যে এখানে শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকদের গাড়ি কেনার অধিকার আছে। উত্তর কোরিয়ায় ১০০০ জন লোক পিছু একটি মাত্র গাড়ি আছে। যদি কেউ গাড়ি চালাতে চায় তাহলে তার বিশেষ অনুমতির দরকার হয়, যেটা আবার সহজে পাওয়া যায় না।

১৩. উত্তর কোরিয়ায় গান চালানো যায় না।

উত্তর কোরিয়ার লোকেরা কোন দিন টেলর সুইফট বা বিয়ানসের গান শোনেনি। উত্তর কোরিয়ার লোকেদের কাছে গান বলতে শুধু নিজের দেশ বা নেতা কিম জং-উন এর জয়গান করা।

১২. বিদেশের কোন লোকের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন না।

যদি আপনি উত্তর কোরিয়ার বাইরে ফোন করেন তাহলে আপনাকে খুঁজে বার করে মেরে ফেলা হবে। ২০০৭ সালে এক উত্তর কোরিয়ান কারখানার মালিককে একটা স্টেডিয়ামে ১৫০০০০ লোকের উপস্থিতিতে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

১১. ইন্টারনেট ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যে হিসেব পাওয়া যায়, সেখানে দেখা গেছে উত্তর কোরিয়াতে ১০২৪ টি আই.পি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া গেছে, যাদের বেশিরভাগই সরকারি আধিকারিক। এছাড়া এই দেশে আর কারুর ইন্টারনেট ব্যবহার করার অনুমতি নেয়।

১০. রিয়েল এস্টেট।

উত্তর কোরিয়ার লোকেরা বাড়ী বিক্রি বা কিনতে পারে না। অন্য দেশগুলির মত যেখানে বিল্ডাররা জমি কিনে তারপর সেখানে বিল্ডিং নির্মাণ করে লাভজনক মার্জিনে বিক্রি করে, সেটি এখানে হয় না ।

৯. অ্যাপেল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।

সোনি বা অ্যাপেলের কোন ব্যবসা এখানে হয় না, তাই আপনি যদি অ্যাপেল ফোনের ফ্যান হন তাহলে হয়ত আপনি কোনদিন উত্তর কোরিয়া যেতে চাইবেন না। অদ্ভুতভাবে উত্তর কোরিয়ার অদ্বিতীয় নেতা নিজে যা খুশি তাই ব্যবহার করতে পারেন এবং অ্যাপেল ফোন তার মধ্যে একটা।

৮. চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য বিমা।

রাষ্ট্র দেশবাসীকে জানিয়েছে যে রাষ্ট্র তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে তাই দেশবাসীর নিজস্ব কোন স্বাস্থ্য বিমা করাবার অধিকার নেই। ঔষধের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে শোনা গেছে ডাক্তাররা রুগীকে অজ্ঞান না করিয়েই তাদের অস্ত্রপ্রচার করে দিয়েছে।

৭. জিন্স পড়া যাবে না।

হ্যা এটা একদম সত্যি যে আপনি উত্তর কোরিয়ায় জিন্স পড়তে পারবেন না। আপনি জিন্স কোন দোকানে খুঁজে পাবেন না। বিশ্বের বাকি সব জায়গায় যে জিনিসটা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় সেটা আপনি উত্তর কোরিয়াতে একটা জায়গাতেও খুঁজে পাবেন না।

৬. সিগারেট নিষিদ্ধ।

উত্তর কোরিয়ায় সিগারেট নিষেদ্ধ হওয়ার কারণটি খুব অদ্ভূত। তাদের প্রাক্তন নেতা কিম জং ২ এর সিগারেটে অ্যালারজি ছিল তাই তাকে প্যাসিভ স্মোকিং এর হাত থেকে বাঁচাবার জন্য সরকার পুরো দেশেই সিগারেট নিষিদ্ধ করে দেয়। এখন উনি মারা গেলেও এই নিয়মটা এখনও আছে।

৫. স্যানিটারি প্যাড।

আপনার পরের প্রশ্ন যেটা হতে পারে যে উত্তর কোরিয়ার মেয়েরা পিরিয়ডের সময় কি করে? এরকম নয় যে উত্তর কোরিয়ায় স্যানিটারি প্যাড বিক্রি হয় না, তাবে সেগুলো এতটাই দামি যে খুব বেশি মহিলা তা কিনতে পারে না।

৪. কন্ডোম।

কন্ডোম উত্তর কোরিয়ায় খুবই বিরল প্রজাতির পণ্য। এই দেশের একটা বড় অংশের মানুষের কন্ডোমের অস্তিত্ব সম্পর্কেই কোন ধারণা নেই। আর যারা এই ব্যাপারে কিছুটা হলেও জানে তারা আবার এটা ব্যবহার করার পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু জানে না।

৩. বই এবং ম্যাগাজিন।

উত্তর কোরিয়ার মানুষরা যা বই বা ম্যাগাজিন পড়ে তা সবটাই সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

২. সরকার এর বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।

এখানকার যে সব লোকেদের সবকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যায় তাদের কঠোর সাজা দেওয়া হয় এমনকি অনেক সময় মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়।

১. শেষে বলা যায়, এখানে সদ্য যুবক যুবতীদের জন্য কোন স্টারবাক্স খুঁজে পাওয়া যায় না।

স্টারবাক্সের উত্তর কোরিয়ায় কোন ব্যবসা নেই। এককাপ কফিকেও উত্তর কোরিয়ায় বিলাসিতা বলে ধরা হয় এবং এখানকার ধনী পরিবারের লোকজনদেরই এইসব জায়গায় যাবার সামর্থ্য আছে।

এখানে এগুলো খুবই সাধারণ ব্যাপার, কারণ এখানে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার প্রচলন আছে।
Title: Re: উত্তর কোরিয়ায় ১৫ টি সাধারণ কাজ করলে আপনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে
Post by: safayet on March 01, 2018, 10:12:31 PM
Thanks
Title: Re: উত্তর কোরিয়ায় ১৫ টি সাধারণ কাজ করলে আপনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে
Post by: 710001113 on March 01, 2018, 10:23:22 PM
thnx