Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: rumman on March 13, 2018, 12:11:41 PM
-
প্রাণিজগতে, বিশেষ করে মানবসমাজে সহানুভূতি গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়। অনেকের ধারণা, মানুষের সঙ্গে মেলামেশা ও বড় হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যক্তির মধ্যে ক্রমে সহানুভূতি জন্মাতে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এমন ধারণাকে নাকচ করে দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের এক দল গবেষকের দাবি, শুধু প্রতিদিনের জীবনযাপনে নয়, মানুষের সহানুভূতিতে জিনেরও প্রভাব আছে। অর্থাৎ বিষয়টি বংশগতও। গবেষণাটি করেছেন ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের এক দল গবেষক। তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি ছাপা হয়েছে ‘ট্রান্সন্যাশনাল সাইকিয়াট্রি’ সাময়িকীতে। তাতে বলা হয়েছে, মোট ৪৬ হাজার মানুষের ওপর তাঁরা গবেষণাটি করেছেন। গবেষণার অংশ হিসেবে সবাইকে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। এই যেমন—কাউকে সহানুভূতি শেখানো সম্ভব কি না, কিংবা পূর্বপুরুষদের এ ক্ষেত্রে ভূমিকা আছে কি না ইত্যাদি। এ ছাড়া ওই ৪৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য সবার মুখের লালা নেওয়া হয়। এরপর বিজ্ঞানীরা সব কিছু গবেষণা করে দেখেন যে সহানুভূতিতে জিনের প্রভাব রয়েছে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, পুরুষের চেয়ে নারীরা তুলনামূলক বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে থাকে।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের ভারান ওয়ারিয়ার। তিনি বলেন, ‘এই গবেষণা মানুষের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। কারণ, কারো ব্যক্তিত্ব মূল্যায়নের সময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে ব্যক্তির মধ্যে সহানুভূতি থাকা না থাকার সঙ্গে জিনেরও সম্পর্ক রয়েছে।
সূত্র : বিবিসি।