Daffodil International University

General Category => Common Forum => Topic started by: Mohammad Nazrul Islam on April 11, 2018, 09:29:13 PM

Title: কোটা সংস্কার অান্দোলন অধিকার আর মানবতার ধারাবাহিকতা
Post by: Mohammad Nazrul Islam on April 11, 2018, 09:29:13 PM
বিগত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় আজকের কোটা সংস্কার আন্দোলন অনেকাটাই বিক্ষোভপূর্ণ এবং স্বঃর্স্ফূত। একদিকে দাবি আদায়ের কঠিন ব্রত, অন্যদিকে বর্তমান সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের কতিপয় বির্তর্কীত মন্তব্য আন্দোলনকারীদেরকে তাদের লক্ষ্য আদায়ে কঠিন থেকে কঠিনতর করে তুলেছে।

ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ সাধারন মানুষ-ই কোটা ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে- আন্দোলকারীদের মৌন সমর্থনে করে। দেশের শিক্ষিত সুধিজন কোটা সংস্কারের পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন। এ কথা বলতে বাধাঁ নাই, রাজনৈতিক কূট-কৌশলের সকল ধাপ পেরোতে পারলেই আন্দোলনকারীরা শতভাগ সফল হবে এটা নিশ্চিত।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের র্দুদান্ত তরঙ্গ বহমান রয়েছে। নতুন নতুন ইস্যুতে আন্দোলনে যোগদান করছে ক্লাসের সবচেয়ে বোঁকা ছেলেটিও।

র্দীঘ পথ-পরিক্রমায় ছাত্রদের এই আন্দোলনে ম্রিয়মান সুশীল সমাজও। তারা পথে-ঘাটে সেখানে, যে অবস্থায় আন্দোলকারীদের দেখছে সেখানেই মৃদ-হাসিঁ হাঁসছে। হিসাবের অংক, তদের এই হাসিঁই বলে দিচ্ছে ‘জয় এবার হবে-ই।

কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি যৌক্তিক আন্দোলন। স্বাধীনতাত্তর স্বল্প শিক্ষিত ও বেকারত্বের এই দেশে সরকারী চাকুরীতে ৫৬% ভাগ কোটা কিছু সংখ্যক জাত-গোষ্ঠির জন্য বরাদ্দ যা ইতিহাসে বিরল, যা ফরাসী স্বৈরতন্ত্র, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ কিংবা পাকিস্তানী উপনিবেশবাদকে স্মরন করে দেয়। সার্বজনীন মতামত, স্বাধীনদেশে র্দীঘ সময় কোটা পদ্ধতি অর্থহীন। বরং কোটা ব্যবস্থার ফলে দিনকে দিন জাতি মেধাশূণ্য হয়ে পড়ছে। প্রশাসনে জায়গা দখল করে নিচ্ছে এক শ্রেণীর মেধাহীন আগাছা। যারা দেশ জাতির বিবেচনা না করে নিজেদের আখেড় গোঁছাতে বিভিন্ন প্রকার দুনীর্তির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে (সাধারন জনতার অধিকার) রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
<strong>

নন্দবাবু গন্দম খেয়ে ধান্দা বলে সরকারী কেরানী হয়েছেন। সরকারী চেয়ারে পা‘তে পা তুলে বাপ-দাদার কীর্ত্তণ বলে ঘৃত্য আহরণ করছেন। তার ছেলে নরাধম এখন কোটিপতি কংস। পাশের বাড়ীর পিতৃহারা মজুরের সন্তান মায়ের আঁচলে জমানো পয়সা খরচে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বচ্চ ডিগ্রী নিয়ে বেকারত্বের যাতা কলে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। অনাহারী মা চিৎকার করে বলছে- আমার ছেলেকে বাচঁতে দাও।</strong> এই হলো বাংলাদেশের অবস্থা।

সর্বতঃ ভাবেই এহেন অবস্থা কোন জাতি-গোষ্ঠির জন্য মঙ্গল জনক কি? তাই স্বধীনতার মহান অধিপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুমহান পথেই কোটা বৈষম্য নিপাত যাক। কোটাতন্ত্রের বেড়াজাল থেকে মুক্তিপাক শিক্ষিত বিবেক। বিবেক আর সুধিজনের ছোঁয়ায় প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে প্রতিষ্ঠা পাক সাধারন জনতার মৌলিক অধিকার। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায় আমাদের প্রাণেও গেয়ে উঠুক কবি কাজী নজরুলের সেই মহান বানী-
সাম্যের যুগ, বেদনার যুগ, মানুষের যুগ আজি-
কেহ কাহারও র’বেনা বন্দি উঠেছে ডংকাবাজী।