Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: saima rhemu on April 19, 2018, 05:00:32 PM

Title: শরীর সতেজ রাখতে অনিদ্রা দূর করুন সহজেই
Post by: saima rhemu on April 19, 2018, 05:00:32 PM
স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। সারা দিনের কাজের পর মস্তিষ্ক ও দেহ বিশ্রাম চায়। ঘুমাতে চাইলেও ঘুম না আসা ভীষণ যন্ত্রণার। ঘুম না আসাকে অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া বলা হয়। সাধারণত কায়িক পরিশ্রম যাঁরা কম করেন তাঁদের এ রোগ বেশি দেখা যায়। অনিদ্রার কারণে আমাদের শরীরে নানা ধরণের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। অসুন অনিদ্রার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিই।

কী করে বুঝবেন ইনসমনিয়া

* অনেকক্ষণ শুয়ে থাকার পরে ঘুম আসা বা দেরিতে ঘুম আসা।
* রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া।
* দু-তিন রাত পর পর ঘুম না হওয়া।
* রাতে একবার ঘুম ভেঙে গেলে আর ঘুম না আসা।
* শেষ রাতে বা সকাল হওয়ার অনেক আগে ঘুম ভেঙে যাওয়া।

ইনসমনিয়ার প্রভাবে শরীরে কি ক্ষতি হয়?

* ঘুম থেকে জাগার পর শরীর-মনে সতেজ অনুভূতি না আসা।
* মাথাব্যথা।
* অল্পতেই রেগে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে থাকা।
* অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তিবোধ, পড়াশোনা ও যেকোনো কাজে মনোযোগের অভাব।
* উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।

অনিদ্রা দূর করার উপায়

নির্দিষ্ট সময়ে রোজ ঘুমাতে যাওয়া
প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠা প্রয়োজন। যদি আপনার মনে হয় আপনি ক্লান্ত নন, তবুও নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করলে ইনসমনিয়ার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায় অনেকখানি। প্রথম কয়েক দিন কষ্ট হলেও আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে।

আরামদায়ক বিছানায় ঘুমান

বেছে নিন আরামদায়ক বিছানা। খুব বেশি নরম বা খুব বেশি শক্ত না হওয়াই ভালো। ডান দিকে কাত হয়ে শোবার চেষ্টা করুন। এতে শরীর রিলাক্স হয়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। বাঁ দিকে কাত হয়ে ঘুমালে পাকস্থলী, লিভার, ফুসফুস সবগুলো হার্টের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে। বিছানায় অযথা শুয়ে থাকবেন না। আপনার বিছানাটা শুধু ঘুমের জন্যই ব্যবহার করুন।

শোবার ঘরের আবহাওয়া

আলো-বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। হালকা তাজা বাতাস ও ঘরের তাপমাত্রা ২০ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ঘুমের জন্য আরামদায়ক। শোবার ঘর ধুলোবালিমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।

প্রতিদিন একটু ব্যায়াম

প্রতিদিন একটু হালকা ব্যায়াম করুন। যাঁরা মানসিক কাজ বেশি করেন তাঁদের ঘুমের সমস্যা বেশি। যাঁরা শারীরিক কাজ করেন তাঁদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা কম। প্রতিদিন ১৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম আপনার শরীরে যথেষ্ট অক্সিজেন সরবরাহ করবে,শরীরকে রিলাক্স করতে সাহায্য করবে। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে ব্যায়াম করা যেতে পারে। ওই ৩০ মিনিটে শরীর রিলাক্স হবে এবং ঘুমও ভালো হবে।

ঘুমানোর আগে গোসল

সারা দিনের কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন ঘুমানোর আগে। এতে শরীর রিলাক্স হবে। শরীরের মাংসপেশি শিথিল হবে। গোসলের পানিতে এক চামচ বাথ সল্ট বা ইপসাম লবণ নিতে পারেন। শরীর থেকে জীবাণু ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।

রাতের খাবার

ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ভরাপেটে বিছানায় গেলে অস্বস্তির কারণে ঘুম নাও আসতে পারে। রাতে গুরুপাক খাবার বাদ দিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ পান করুন। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে থেকে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত চা-কফি এবং কোমলপানীয় পান করবেন না। ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে এসব পানীয় পান সম্পূর্ণ বাদ দিন।

লক্ষ রাখুন

সঠিক চিকিৎসায় ইনসমনিয়া পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। প্রয়োজন শুধু কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা।