Daffodil International University

IT Help Desk => IT Forum => Topic started by: rubel on October 07, 2011, 10:43:26 PM

Title: Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies
Post by: rubel on October 07, 2011, 10:43:26 PM
Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies

Read more: http://www.seattlepi.com/news/article/Apple-s-Steve-Jobs-father-of-Mac-iPhone-dies-2204709.php#ixzz1a7CjnVRY
Title: Re: Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies
Post by: Golam Kibria on October 08, 2011, 08:37:03 AM
(http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2011-10-07-16-52-00-064226000-c--1.jpg)

স্টিভ জবসের সেরা কিছু পণ্য

বিশ্বসেরা অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য তৈরি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ছিলেন দারুণ উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী। নানা ধরনের সময়োপযোগী প্রযুক্তি পণ্যের বিষয়ে ভাবা থেকে শুরু করে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অসাধারণ। অ্যাপল কম্পিউটারের তৈরি চমক লাগানো নানা ধরনের পণ্যই সেসবের প্রমাণ।
প্রযুক্তি জগৎকে বদলে দেওয়া অ্যাপলের তৈরি সেরা পণ্যের তালিকাটাও তাই বেশ সমৃদ্ধ। ১৯৭৬ সালে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ধারণা নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল অ্যাপল-১। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই তৈরি এ কম্পিউটারটি সারা বিশ্বে জায়গা করে নেয় ব্যবহারকারীদের প্রিয় তালিকায়। এ তালিকায় ছিল আরও উন্নত সুবিধা নিয়ে তৈরি অ্যাপল-২। পরবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি ছবিভিত্তিক (গ্রাফিক্যাল) ইন্টারফেস ব্যবহারের জন্য অ্যাপল বাজারে আনে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার। ডেস্কটপ আদলে তৈরি ম্যাকিনটোশ বিপণন ও প্রচারণার মাধ্যমে নতুনভাবে বাজারে তৈরি হয় এক ধরনের আগ্রহ।
স্টিভ অ্যাপল ছেড়ে দিয়ে চালু করেছিলেন নেক্সট কম্পিউটার, যাতে যুক্ত ছিল ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার। এতেই থেমে থাকেননি স্টিভ। পুনরায় অ্যাপলে ফিরে এসে বাজারে আনেন প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি মনিটর এবং কম্পিউটার। নাম ছিল যার আই-ম্যাক। ছোট ডিভাইসে কয়েক হাজার পছন্দের গান শোনার সুবিধা নিয়ে যখন আইপড বাজারে আসে, তখন কম্পিউটারের বাইরে নতুন পণ্য তৈরিতে পা রাখে অ্যাপল। গান শোনার ক্ষেত্রে যোগ হয় নতুন মাত্রা। বাজার যখন বহনযোগ্য ল্যাপটপে মাতাচ্ছে, তখন এনেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ল্যাপটপ ম্যাকবুক এয়ার। এর পরে চালু হয় আইটিউন স্টোর। যাতে রয়েছে সংগীতের বিশাল সংগ্রহ। এর পরেই স্টিভ নিয়ে আসেন দুনিয়া কাঁপানো স্মার্টফোন আইফোন আর স্পর্শকাতর পর্দার সুবিধার আইপ্যাড। আইপ্যাড এসে ট্যাবলেট পিসির ধারণাই বদলে দেয়। দুনিয়া বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাপলের এসব পণ্যই স্টিভকে মনে রাখবে সব সময়।
দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে ৫ অক্টোবর মারা যান স্টিভজবস। —ইয়াহু নিউজ

Source : http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-08/news/191972 (http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-08/news/191972)
Title: Re: Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies
Post by: Golam Kibria on October 09, 2011, 10:32:33 PM
(http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2011September/SM/steve-jobs-sm20111009221631.jpg)

স্টিভ জবস: আরও যা করতে চেয়েছিলেন...

নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও প্রিয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা ভেবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পণ্যের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছেন ক্যান্সার আক্রান্ত স্টিভ জবস।

ক্যালিফোর্নিয়াতে মহাকাশ যানের আদলে অ্যাপলের প্রধান কার্যালয় নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল তার।

কুপারটিনোর বর্তমান কার্যালয়ের পাশেই পার্কের মতো করে একটি কমপ্লেক্স করার কথা চিন্তা করছিলেন জবস। সেখানে ১২ হাজার কর্মীর জন্য যথেষ্ট জায়গা ও সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গত জুনে শহর কাউন্সিল সভায় তিনি গিয়েছিলেনও।

যে স্থানে তিনি প্রধান কার্যালয়টি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন সে এলাকায় হিউলেট প্যাকার্ডে (এইচপি) পার্ট টাইম কাজ করতেন জবস। তখন তার বয়স ১৩ বছর। পরে সুযোগ হলে ওই জায়গাটি কেনার ব্যাপারে তিনি অ্যাপলকে নিশ্চিত করেছিলেন।

অ্যাপলের আইক্লাউড প্রকল্প উন্নয়নেও খুব উদগ্রিব ছিলেন তিনি। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, অ্যাপল ব্যবহারকারীরা গান, ছবি এবং অন্যান্য তথ্যাদি  অনলাইনে সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া, আইপড, আইপ্যাড, আইফোন এবং ম্যাকবুকের আরও আকর্ষণীয় হালনাগাদ ভার্সন আগামী চারবছরের মধ্যে বাজারে আনার চিন্তা ছিল তার।

এদিকে অ্যাপল সূত্রে জানা গেছে, স্টিভ জবসের জীবনীগ্রন্থ আগামী  ২৪ অক্টোবর বাজারে আসছে। এ বইতে থাকছে তার ৪০টিরও বেশি সাক্ষাতকার। এগুলো নেওয়া হয়েছে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে। এতে আরও থাকবে শতাধিক জনের সাক্ষাতকার। এদের মধ্যে আছেন, তার পরিবারের সদস্য, বন্ধু, বিরোধী, প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সহকর্মী।

স্টিভের ক্যান্সার, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, মৃত্যু এবং সমাহিত সবকিছুতেই অসম্ভব রকম গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। তার মৃত্যু সংবাদও জানা গেছে অ্যাপলের বরাতে। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী টিম কুক অ্যাপলের কর্মীদের স্টিভের মৃত্যু সংবাদ দিয়েছেন ই-মেইলের মাধ্যমে। আত্মীয়-স্বজনরা শুধু জানিয়েছেন, স্টিভের মৃত্যু হয়েছে এক শান্তির মৃত্যু।

অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা, পরিকল্পক, পরিচালক স্টিভ জবস গত বুধবার ৫৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

Source : http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=529915fad6f9b265ce55a9238729557c&nttl=2011100962137 (http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=529915fad6f9b265ce55a9238729557c&nttl=2011100962137)
Title: Re: Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies
Post by: Golam Kibria on October 09, 2011, 10:45:45 PM
(http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2011September/steve_jobsNext2EditB20111008184446.jpg)

স্টিভ নেই। তবুও আছে তার বিশ্বব্যাপী তর্জমা। বহুগুণের অধিকারী স্টিভ কতটা বড় মানের শীর্ষব্যক্তি ছিলেন এটি তাঁর ভক্তের সংখ্যাই আজ প্রমাণ করছে প্রতিপদে। আজ কোনো রাষ্ট্রের প্রধানের মৃত্যুতেও বিশ্ব এতটা থমকে যায় না। যেমনটা হয়েছে স্টিভের জন্য।

তাই সবাই এখন আরেক স্টিভের অপেক্ষায়। কে হবেন সেই মহান ব্যক্তি যিনি শুধু ব্যবসা নয়, মানুষের জন্য রেখে যাবেন তাঁর ভালোবাসার স্বাক্ষর। স্টিভের জন্য তাঁর জীবন বদলে দেওয়া প্রতিষ্টানের নাম ‘নেক্সট’। আবারও সেই নেক্সটকেই দেখতে চাইছে বিশ্ব। জীবন বদলে একটি পণ্যই সবকিছু তা অ্যাপলই প্রমাণ করেছে।

(http://www.banglanews24.com/images/PhotoGallery/2011September/jobs_nextEditM220111008192948.jpg)

তবে স্টিভ তাঁর জীবনে দুজন উদ্ভাবকের কথা সব সময়ই বলতেন। একজন হেনরি ফোর্ড। আরেকজন টমাস এডিসন। এদের উদ্ভাবনায় বিশ্ব পেয়েছিল ব্যবসা গতি। বদলে গিয়েছিল জীবনমান।

মানব ইতিহাসে জীবন বদলের পণ্যগুলো সব সময়ই স্টিভের প্রেরণায় শক্তি যুগিয়েছে। এ ধারাতেই টমাস এডিসন এবং হেনরি ফোর্ডের দূরদৃষ্টি স্টিভকে জাগ্রত রেছেছিল সর্বদাই।

তাই পরের স্টিভ কতটা স্টিভ অনুসারী হবে তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনার ধুম্রজাল। পরের তালিকায় আছে অনেক সম্ভবনাময় ব্যক্তির নাম। এদের প্রত্যেকেই নিজগুণে এরই মধ্যে পৌঁছেছেন খ্যাতি আর সাফল্যের শীর্ষে।

সান মাইক্রোসিস্টেমসের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিনোদ খোসলা এদেরই একজন। সুদীর্ঘ সময় পুঁজিবাদী রাজত্বের নেপথ্যে অবাধ আস্থা আর দাম্ভিকতা। এটাই বিনোদের মূলমন্ত্র বলে বিশ্লেষকেরা তথ্য দিয়েছেন।

আরেক পুঁজিবাদী বিশেষজ্ঞ অ্যাকসেলের সহযোগী আর্থার পিটারসন জানান, অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভকে দূর্ভাগ্যজনকভাবে অ্যাপল ছেড়ে যেতে হয়েছিল। তবে স্টিভ একে তাঁর জীবনের অর্জিত সাফল্যের আর্শিবাদ বলে উল্লেখ করেন।

অ্যাকসেল এটাও বলেন, অ্যাপল সৌভাগবান যে ১২ বছর পরে হলেও তাঁড়িয়ে দেওয়া স্টিভকে যথাযথ সম্মান দিয়ে একেবারে শীর্ষ পদে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল। এরপর অ্যাপল শুধুই এগিয়েছে। এ ১২ বছর যদি স্টিভ অ্যাপলেই থাকত তাহলে বিশ্বপ্রযুক্তি উদ্ভাবনায় বিশ্ব আরও ১২ বছর এগিয়ে যেত। এতে অ্যাপলের তুলনায় বিশ্ব উদ্ভাবনারই সবচে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

১৯৯৭ সালে অ্যাপলে ফিরে এসেই স্টিভ তাঁর স্বপ্নপণ্যের বীজ বুনতে শুরু করেন। এ বীজের সবচে সক্রিয় এবং শক্তিশালী ফসল হচ্ছে ‘খুদে পণ্যেয় ইন্টারনেট’। ১২ বছরের পুষে থাকা উদ্ভাবনী শক্তিতে দ্রুতই মানববিকাশে উৎসর্গ করতে স্টিভ নিরলস পরিশ্রম শুরু করেন। আর এর সাফল্যগাঁথা আজ তো সরাই জানা।

অ্যাকসেল হচ্ছে ফেসবুকের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রসঙ্গে এসে যায় ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মার্ক জুকারবার্গের নাম। জুকারবার্গকেও স্টিভের মতো স্বপ্নচারী বলে বিশেষজ্ঞেরা মন্তব্য করেছেন।

(http://www.banglanews24.com/images/PhotoGallery/2011September/jobs-markEditB20111008193948.jpg)

স্টিভের মতো জুকাবার্গও কলেজের গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ঝড়ে (ড্রপ আউট) পড়ে। এমন সব পণ্য আর উদ্ভাবনা জুকারবার্গ উপহার দিচ্ছেন যা সবারই চাহিদা। কিন্তু এ চাহিদার কথা কেউ কখনও অনুমান করেনি। স্টিভের মধ্যে এমন গুণই খুঁজে পেয়েছিল সবাই।

জেট ব্লু এয়াওয়েজের চেয়ারম্যান এবং স্টানফোর্ড ভার্সিটির অধ্যাপক জোয়েল পিটারসন এ ধরনের গুণসম্পন্ন মেধাবীদের ‘উৎপাদনক্ষম সৃজনশীল ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করেছেন।

আর পথপ্রদর্শকদের অর্জনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া ছিল স্টিভ সাফল্যের অন্যতম গুণ। আর সে কারণেই ১৯৮৫ সালে অ্যাপল থেকে যাওয়া স্টিভের তুলনায় ১৯৯৭ সালে ফিরে আসা স্টিভ ছিলেন একেবারেই ভিন্ন, অপ্রতিরোধ্য।

তাই এসব বিচার বিশ্লেষণে জুকারবার্গই হতে পারেন পরবর্তী স্টিভ। স্টানফোর্ড ভার্সিটির ব্যবসাবিষয়ক অধ্যাপক জেফরি পিফিফার তাই জুকারবার্গকেই পরের স্টিভ বলে অভিহিত করেছেন।

জাপান সফটব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মাসাওশি সন স্টিভ সম্পর্কে বলেন, স্টিভের আগে কোনো স্টিভ ছিল না। এবং স্টিভের পরেও কোনো স্টিভ নেই। এতটাই অতুলনীয় হয়ে আছেন স্টিভ।

নিপ্পন টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোনি প্রতিষ্ঠা এবং একে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত করতে সন সবচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০০৮ সালে সন অ্যাপলকে রাজি করিয়ে সফটব্যাংকের মাধ্যমে জাপানে আইফোন নিয়ে আসেন।

এ মুহূর্তে বিশ্বের ইন্টারনেট জনসংখ্যায় চীনই এগিয়ে। আলিবাবা গ্রুপের সিইও জ্যাক মা চীনের ইন্টারনেট শিল্প বিপ্লবের ইতিহাসে সবচে সফল ব্যক্তি। সর্বাধিক ইন্টারনেট জনসংখ্যার দেশে ই-বিকিকিনিতে এখন ছুটে বেড়াচ্ছে আলিবাবা।

আলিবাবা এখন ইবের চেয়েও বাণিজ্যিক সফল। সর্ববৃহৎ ই-জনসংখ্যার চীনে খুদে ব্যবসাকে অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত করেছে আলিবাবা। ই-শপিং সংস্কৃতিতে ভোক্তা এবং পণ্য সেবাদাতার মধ্যে সমন্বয়ে আলিবাবা অঢেল অর্থের মালিক হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আলিবাবা এখন ইয়াহু ক্রয়ের জন্য দেন-দরবার করছে। এতে সফল হলে ইয়াহু হবে আলিবাবার।

জ্যাক মা তাঁর প্রতিষ্ঠান পরিচালনার গুণে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। জ্যাক মা অনলাইন বিশ্বে চীনের পিছিয়ে থাকার হিসেবে সরকারি ব্যাংকগুলোর সেকেলে কার্যক্রমকেই চিহ্নিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে জ্যাক মা জানান, যদি ব্যাংকগুলো নিজে থেকেই না বদলে যায়, তাহলে আমরাই তাদের বদলে দেব।

স্টিভের বিশ্বপ্রযুক্তি বিপ্লবের সঙ্গে জ্যাক মার উদ্যোগের অনেক মিল খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই সংশ্লিষ্ট অনেকেই জ্যাক মাকেও স্টিভের পরের সক্রিয় সিইও বলছেন। সত্যিই ভক্তশ্রেষ্ঠ স্টিভের মতো এতটা জনপ্রিয়তা আর কোনো সিইও অর্জন করতে পারবে- এ প্রশ্নেই মুখর হয়ে আছে বিশ্বপ্রযুক্তি অঙ্গন।

Source : http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=61cea591ead5535009b0263e32914472&nttl=2011100806120961878 (http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=61cea591ead5535009b0263e32914472&nttl=2011100806120961878)
Title: Re: Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies
Post by: Golam Kibria on October 11, 2011, 12:45:13 AM
(http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2011-10-10-04-59-02-098379700-jobs_land.jpg)

এডউইন এইচ ল্যান্ড: স্টিভ জবসের অনুপ্রেরণা

মৃত্যুর পর স্টিভ জবসকে তুলনা করা হচ্ছে টমাস এডিসন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল কিংবা হেনরি ফোর্ডের সঙ্গে। যাঁরা নিজেদের উদ্ভাবন দিয়ে বদলে দিয়েছিলেন প্রযুক্তির মানচিত্র। যাঁরা নিজেদের বুদ্ধিদীপ্ততায় উদ্দীপ্ত করেছিলেন আপামর জনসাধারণকে। যাঁদের উদ্ভাবনী কর্ম বদলে দিয়েছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচার। স্টিভ জবস ছিলেন তেমনই এক ব্যক্তি, যিনি নিজের চিন্তায় আর কর্মে তৈরি করেছিলেন প্রযুক্তি জগতে কিছু মাইলস্টোন। যে মাইলস্টোন আধুনিক মানুষকে দিয়েছে সহজিয়া পথের সন্ধান।
বৃহস্পতিবার জবস পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। সত্তরের দশকের শুরু থেকে অচিন্তনীয় কম্পিউটার প্রযুক্তিকে নিয়ে কাজ শুরু করে তিনি আইপ্যাডে এসে শেষ করেছিলেন। বেঁচে থাকলে বাকি সময়টা আর কত কী করতেন, সেটা তর্কসাপেক্ষ হলেও এই স্টিভ জবসকেই মানুষ ইতিমধ্যেই বসিয়ে দিয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় প্রবাদ পুরুষের আসনে।
অ্যাপল কম্পিউটার, ম্যাকিনটোশ, আইপড, আইফোন কিংবা আইপ্যাড-আধুনিক জীবনাচারের এসব দুর্দান্ত অনুষঙ্গগুলো যাঁর বুদ্ধিময়তার উপহার, তিনি মানুষের হিরো হবেনই—এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু স্টিভ জবস কাকে অনুসরণ করে এ পর্যায়ে এসেছিলেন, সেটা কিন্তু রয়ে গেছে নেপথ্যেই। স্টিভ জবস সারা জীবন একজন মানুষকেই অনুসরণ করেছেন। তিনি আর কেউ নন, পোলারয়েড ক্যামেরার জনক রসায়নবিদ এডউইন এইচ ল্যান্ড।
স্টিভ জবস মনে-প্রাণে অনুসরণ করতেন এই এডউইন ল্যান্ডকে। কথা-বার্তা, চালে-চলনে তো বটেই, জবসকে এডউইন তাঁর যে গুণটি দিয়ে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করতে পেরেছিলেন, সেটা হলো—কঠিনকে সোজা করে ভাবার ক্ষমতা। বিজ্ঞানের সু-কঠিন, জটিল কোনো সমীকরণও এডউইন মানুষকে রূপকথার গল্পের মতো করে বুঝিয়ে দিতে পারতেন। চাল-চলনে কেতাদুরস্ত না হয়েও একজন মানুষ যে কতটা আকর্ষণীয় হতে পারেন—সেটা এডউইন এইচকে ল্যান্ডকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। এ কথা জীবদ্দশায়ও বহুবার উল্লেখ করেছিলেন জবস।
অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই সত্তরের একেবারে গোড়ার দিকে টাইম সাময়িকীতে প্রচ্ছদ কাহিনির উপকরণ হয়েছিলেন এডউইন। ১৯৭২ সালে ইন্সট্যান্ট ফটোগ্রাফির জনক হিসেবে তাঁকে নিয়ে একটি প্রচ্ছদ কাহিনি টাইম সাময়িকীতে ছাপা হয়। বলা হতো তিনি ফটোগ্রাফি বিষয়ে এত জানতেন যে পোলারয়েডের ব্যাপারটি তিনি কয়েক ঘণ্টাতেই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আসল ব্যাপারটি হলো, তিনি সবকিছু গুছিয়ে আনার পরেও সর্বশেষ কয়েকটি ব্যাপার নিয়ে তিনি ব্যয় করেছিলেন ৩০টি বছর। এতটাই একাগ্র ও ধৈর্যে নিরবচ্ছিন্ন ছিলেন এই এডউইন।
স্টিভ জবস তাঁর স্নাতক সম্পন্ন করেননি। কয়েক মাস কলেজে পড়ে তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন তাঁর উচ্চশিক্ষাকে। এ ব্যাপারে স্টিভ তাঁর গুরু এডউইনকে অনুসরণ করেছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে এডউইন ল্যান্ডও তাঁর স্নাতক সম্পন্ন করেননি। স্টিভ ও এডউইন—দুজনই পরে নিজেদের কর্ম দিয়ে নিজেদের এমন এক উচ্চতায় তুলে ধরেছিলেন, যা তাঁদের করে তুলে ধরেছিল অনেক ‘শিক্ষিতের’ চেয়েও অনেক ওপরে। তাঁর দুজনই পরে বিলিয়নীয়র হয়েছিলেন। পোলারয়েড করপোরেশনে নিয়োগ করেছিলেন স্মিথ কলেজের সেরা গ্র্যাজুয়েটদের। নিজে রসায়নবিদ ছিলেন। তিনি তৈরি করতে চেয়েছিলেন এমন কিছু রসায়নবিদ—যারা রসায়ন নিয়ে কথা বললে মনে হবে, তাঁরা যেন ক্যানভাসে রসায়নের তুলির আঁচড় দিচ্ছেন।
অ্যাপলের হয়ে স্টিভ জবস যখন কোনো পণ্য নিয়ে হাজির হতেন, তখন তাঁর পোশাকে থাকত না কোনো কেতাভাব। চাল-চলন হতো খুবই সহজ-স্বাভাবিক। পণ্যটিকে তিনি সবার সামনে উপস্থিত করতেন রূপকথার গল্পের ছলে। এই স্টাইলটি তিনি নিয়েছিলেন তাঁর গুরু এডউইন এইচ ল্যান্ডের কাছ থেকে। পণ্য উপস্থাপনকে কতটা সহজ করা যায়। সেটা প্রথম দেখিয়েছিলেন এডউইন। স্টিভ জবসের সেই জিনস ও কালো গলাবদ্ধ পুলওভারের স্টাইলটিতে মিশে রয়েছে এডউইন এইচ ল্যান্ডের ছোঁয়া।
জীবনে দুবার ল্যান্ডের সঙ্গে দেখা হয়েছিল স্টিভ জবসের। একবার একটি আলোচনায় নিজেদের দুটি উদ্ভাবন নিয়ে কথা বলেছিলেন স্টিভ ও ল্যান্ড। পোলারয়েড ক্যামেরা নিয়ে স্টিভ জবস নিজেই জানতে চেয়েছিলেন ল্যান্ডের কাছে। ল্যান্ড জবাবে বলেছিলেন। ‘আমি পোলারয়েড ক্যামেরা বানানোর অনেক আগেই কল্পনা করতাম, এটি যেন আমার সামনের টেবিলেই রয়েছে। আমি এর প্রতিটি যন্ত্রাংশ চোখের সামনেই দেখতে পেতাম।’ স্টিভ জবস ম্যাকিনটোশ নিয়ে বলেছিলেন, ‘ব্যাপারটি অনেকটা আমি যেভাবে ম্যাকিনটোশকে দেখতে পেতাম। ম্যাকিনটোশ নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে কি না—তা স্টিভের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ল্যান্ড।’ এর জবাবে জবস বলেছিলেন, যে ম্যাকিনটোশ কোনো দিন দেখেইনি, সে কীভাবে এর সম্পর্কে বলবে। ম্যাকিনটোশ ক্রেতাদের কোনো মতামত ছাড়াই তৈরি হয়েছে, যেমনটা তৈরি হয়েছে আপনার পোলারয়েড ক্যামেরা। দুটো বিষয়ই পৃথিবীর মানুষের কাছে একেবারে নতুন দুটি ব্যাপার। স্টিভ জবসের এ কথায় দারুণ খুশি হয়েছিলেন এডউইন এইচ ল্যান্ড।
উদ্ভাবন সম্পর্কে ল্যান্ডের নিজস্ব একটি তত্ত্ব ছিল। তিনি বলেছিলেন, পৃথিবীতে নতুন কোনো বিপ্লব যে উদ্ভাবন তৈরি করে, তা হতে হবে আকস্মিক। এমন কিছু হতে হবে, যা কোনো দিন পৃথিবীর মানুষ ভাবতেও পারেনি। এ ব্যাপারে যত গবেষণা হবে, এটি ততই ফিকে হয়ে যেতে থাকবে। একবার ভেবে দেখুন তো। সত্তরের দশকের আগে নিজের বাড়িতে একটা কম্পিউটার রাখার কথা কেউ কি ভেবেছিল? কিংবা ম্যাকিনটোশ আসার আগে কেউ কি ভেবেছিল, মাউস নামের একটি যন্ত্র দিয়ে আপনি কম্পিউটারের মতো জটিল একটি ব্যাপারকে সম্পূর্ণ পোষ মানিয়ে নিতে পারবেন? কিংবা সংগীত প্রিয়রা কখনো ভাবতেও পারেনি, পকেটে করেই কয়েক হাজার গান নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব। কেবল স্পর্শের মাধ্যমে যে অত্যাধুনিক একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব—তা আইফোন ও আইপ্যাডের আগে কে ভেবেছিল? স্টিভ জবস তাহলে গুরু এডউইন এইচ ল্যান্ডের কথা বেদবাক্যের মতোই হূদয়ে ধারণ করতেন।
স্টিভ জবস ল্যান্ডের যে ব্যাপারটি আরও গভীরভাবে অনুসরণ করতেন সেটা হলো, বিজ্ঞানের সঙ্গে শিল্প ও ব্যবসার সংমিশ্রণকে। অ্যাপলের প্রতিটি পণ্যেও সেই ছায়াটি দারুণভাবে পড়েছে। আইফোন কী অসাধারণ শৈল্পিক এক ব্যাপার। স্পর্শে এর পর্দা সরে যাচ্ছে, একটার পর একটা বিষয় পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে হাতের একেকটি স্পর্শে। এতে কেবল বিজ্ঞান নেই, রয়েছে দারুণ এক নান্দনিক ব্যাপার। ল্যান্ড যেমন এসএক্স-৭০ ক্যামেরায় নন্দনতত্ত্বের ছোঁয়া দিয়েছিলেন। শিষ্য জবস সেই নান্দনিকতাকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। স্টিভ জবসের নন্দনতত্ত্বকে ছাপিয়ে যেতে দরকার নতুন কাউকে।
হ্যালো, স্টিভ জবসের শিষ্য কি কেউ আছেন?

Source : http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-10/news/192647 (http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-10/news/192647)
Title: Re: Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies
Post by: fatima on October 18, 2011, 03:42:10 PM
Great loss for humanity.Our next generation could get some thing different from him.
Title: Re: Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies
Post by: samiha sultana on October 18, 2011, 03:44:57 PM
Everytime when i use ipod,i feel why so early!
Title: Re: Apple's Steve Jobs, father of Mac, iPhone, dies
Post by: tasnuva on October 31, 2011, 11:52:10 AM
what a man!!!! We should learn something from him.