Daffodil International University

Faculty of Science and Information Technology => Environmental Science and Disaster Management => Topic started by: nafees_research on May 04, 2018, 04:20:41 PM

Title: পাটের সুদিনে আরেক ধাপ অগ্রগতি
Post by: nafees_research on May 04, 2018, 04:20:41 PM
পাটের সুদিনে আরেক ধাপ অগ্রগতি

পাট নিয়ে গবেষণার দ্বার উন্মোচন হওয়ার পর কয়েক বছর ধরেই চলছিল নতুন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা। জেনম সিকোয়েন্সিংয়ের পাশাপাশি হাইব্রিডাইজেশন প্রক্রিয়ায় চলছিল এ প্রচেষ্টা। কয়েক বছরের এ চেষ্টার ফলও মিলেছে। লবণাক্ততাসহিষ্ণু পাটের চারটি নতুন জাত উদ্ভাবনে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিজেআরআই)। এসব জাতের মাধ্যমে নতুন করে চাষের আওতায় আসবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ১০ জেলার প্রায় ১০ লাখ হেক্টর লবণাক্ত জমি।

জমিতে সর্বোচ্চ ১৪ মাত্রার (ডিএস পার মিটার) লবণাক্ততা থাকলেও উদ্ভাবিত জাতগুলো আবাদ করা যাবে। ফলে ৩০ লাখ টনের মতো অতিরিক্ত পাট উৎপাদন করা যাবে দেশে। এসব জাতের বীজও কৃষক নিজেই উৎপাদন করতে পারবেন। সব দিক দিয়েই এ উদ্ভাবনকে দেশের পাট খাতের সুদিনে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন গবেষকরা।

এ উদ্ভাবনের সঙ্গে ছিলেন বিজেআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদ আল হোসেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, এটি সর্বোচ্চ ১৪ মাত্রার লবণাক্ত জমিতেও  জাতটি হেক্টরপ্রতি তিন টনের বেশি ফলন দিয়েছে। পরবর্তীতে লবণাক্ততা বেড়ে গেলেও গবেষণার মাধ্যমে আরো লবণাক্ততাসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন সম্ভব হবে। জাতগুলো উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষক পর‌্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ করতে পারলে আর্থিকভাবে তাদের লাভবান করার সুযোগ তৈরি হবে। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, রফতানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে জাতগুলো।

মার্চ থেকে মে পর্যন্ত উচ্চমাত্রার লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোর ১১-১২ লাখ হেক্টর জমি পতিত থাকে। অন্য সময়ে কিছু শস্য আবাদ হলেও এ তিন মাস কোনো শস্য আবাদ হয় না। এ কারণে এ অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা যেমন কম, একইভাবে দরিদ্রতাও বেশি। এটি বিবেচনায় নিয়েই ছয় বছর ধরে উপকূলীয় ছয়টি জেলায় লবণাক্ততাসহিষ্ণু পাটের জাত নিয়ে গবেষণা করছে বিজেআরআই। গবেষণার অংশ হিসেবে পাটের যে নতুন চারটি জাত উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে, তা দিয়ে পতিত জমির প্রায় ৮৫ শতাংশ আবাদের আওতায় আনা যাবে।

পাটের বপন সময় এপ্রিল। এর দেড় মাস পরই এ অঞ্চলের জমিগুলোয় কিছুটা পানি চলে আসে। এতে লবণাক্ততার মাত্রাও কিছুটা কমে। এ দেড় মাস লবণাক্ততা মোকাবেলা করে টিকে থাকতে সক্ষম এমন জাত উদ্ভাবনের জন্য পিরোজপুরের নাজিরপুর, খুলনার দাকোপ, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, সাতক্ষীরা সদর, বরগুনার বেতাগী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গবেষণা পরিচালনা করা হয়। জমিতে লবণাক্ততার মাত্রাভেদে চারটি লাইন উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরা। লাইনগুলো হলো সি-১২২২১, সি-২৫৯৩, সি-১২০৩৩ ও সি-৩৪৭৩। এসব লাইন জাত হিসেবে জাতীয় বীজ বোর্ড চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। বীজ বোর্ডের অনুমোদনের পর কৃষক পর‌্যায়ে আবাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে জাতগুলো।

বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. মনজুরুল আলম বলেন, উদ্ভাবিত জাতগুলো মধ্যম মানের লবণাক্ততাসহিষ্ণু হলেও পরবর্তীতে উচ্চলবণাক্ততাসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে জোর দেয়া হবে। খরিপ-১ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলকে সবুজে ভরে দিতে আমাদের উদ্ভাবিত জাতগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। গত তিন বছর জাতগুলো লবণাক্ত এলাকায় আবাদের মাধ্যমে আমরা তা প্রমাণও করতে পেরেছি। প্রক্রিয়াগুলো শেষ করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই কৃষকের কাছে পাটের জাত দিতে সক্ষম হব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন উদ্ভাবিত জাতের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে পাট উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হলেও কিছু ঝুঁকি থাকছেই। এর মধ্যে অন্যতম বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন। অতিরিক্ত উৎপাদিত পাট কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে পাট উৎপাদন প্রক্রিয়ায়, বিশেষ করে বপনের সময় মাটি কিছুটা আর্দ্র থাকা প্রয়োজন। সেজন্য সেচের প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া কৃষকদের কাছে বীজ পৌঁছতে না পারলে বাধাগ্রস্ত হতে পারে উৎপাদন। কারণ প্রতি বছর যে পাঁচ হাজার টনের মতো ভারতীয় পাটবীজ আমদানি হয়, তা মূলত স্বাভাবিক জমিতে চাষের জন্য। কিন্তু লবণাক্ততাসহিষ্ণু জাত আবাদ করতে হলে দেশেই কৃষক পর‌্যায়ে বীজ উৎপাদন করতে হবে।

বিজেআরআইয়ের সাবেক গবেষক এবং ঢাকা ও সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আহমেদ শামসুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, জাতগুলো নিয়ে মাঠপর‌্যায়ে ট্রায়াল অ্যান্ড এরোর ভিত্তিতে আরো কয়েক বছর গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে লবণাক্ততা যদি বেড়ে যায়, তা মোকাবেলায় উচ্চঘাতসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের জন্যই এ গবেষণা চলমান রাখতে হবে। তাছাড়া কৃষক পর‌্যায়ে কীভাবে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব, গবেষণা করতে হবে সেটি নিয়েও।

প্রচলিত জাতের চেয়ে লবণাক্ততাসহিষ্ণু এসব জাত ফলনও দেবে তুলনামূলক বেশি। স্বাভাবিক জমিতে দেশী জাতগুলো থেকে হেক্টরপ্রতি পাট পাওয়া যায় ১১ বেলের মতো। এর বিপরীতে লবণাক্ততাসহিষ্ণু নতুন জাতগুলো থেকে পাটের ফলন পাওয়া যাবে ১৩ বেল।

কয়েক বছর ধরেই পাট উৎপাদন ৮৫-৯০ লাখ বেলের মধ্যে আছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছর দেশে পাটের উৎপাদন ছিল ৭৬ লাখ বেল। গত অর্থবছর তা ৮৩ লাখ বেলে উন্নীত হয়। অর্থবছরটিতে দেশে পাট আবাদ হয়েছিল ৭ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি অর্থবছর ১০ লাখ হেক্টর জমিতে ৮৯ লাখ বেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

Source: http://bonikbarta.net/bangla/news/2018-05-04/156592/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%85%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF/
Title: Re: পাটের সুদিনে আরেক ধাপ অগ্রগতি
Post by: Mashud on May 13, 2018, 02:08:12 PM
Thanks
Title: Re: পাটের সুদিনে আরেক ধাপ অগ্রগতি
Post by: Mst. Sharmin Akter on August 30, 2018, 02:57:11 PM
thanks
Title: Re: পাটের সুদিনে আরেক ধাপ অগ্রগতি
Post by: zahid.eng on October 06, 2018, 01:57:21 PM
thank you.