Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Diabetics => Topic started by: Anuz on May 05, 2018, 11:56:45 PM
-
জাম গ্রীষ্মলীন ফল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর নাম বিভিন্নরকম। ব্ল্যাকবেরী, জাম্বুল, কালা জামুন, রাজামান, নেরেদু জামালিসহ আরও অনেক নামে একে ডাকা হয়। তবে যে নামেই ডাকা হোক না কেন জামের পুষ্টিগুণের শেষ নেই। জাম নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেকে কাজ করে। বিশেষ করে ডায়বেটিস দূর করতে দারুণ কাজ করে এটি। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় জাম ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। জামে থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগ সারাতে বেশ উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম জামে থাকে ৫৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
জামের আরেকটা গুণ হলো, এটি কোষ্টকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও জামের জুড়ি নেই। এতে থাকা ভিটামিন ও নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জামে থাকা পুষ্টি উপাদানের মধ্যে লবণ, চিনি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন সি উল্লেখযোগ্য। ত্বক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে জাম। কারণ এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রাকৃতিকভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। জামে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি থাকায় এটি হাড়ের সুরক্ষা করে। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যও রক্ষা করে। রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়াতে জাম বেশ কার্যকরী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকে। দিনে ১০০ গ্রাম জাম খেলে রক্তে প্রয়োজনীয় লোহিতকণিকার সেল তৈরি হয়। এছাড়া ক্ষুধামন্দা দূর করতে, দীর্ঘমেয়াদি কাশি সারাতেও জাম বেশ কার্যকরী।