Daffodil International University

Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Body Fitness => Topic started by: Anuz on May 06, 2018, 12:03:19 AM

Title: চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে কি কি উপকার পাওয়া যায়
Post by: Anuz on May 06, 2018, 12:03:19 AM
মিষ্টি না খেলে জীবনের স্বাদটাই যে ফিকে হয়ে যায়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তো বন্ধু চিনিকে বাদ দিয়ে বেঁচে থাকাটা বাস্তবিকই সম্ভব নয়! তবে এই কঠিন কাজটি যদি একবার করে উঠতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাবেন। আসলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে চিনির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলে শরীরের কর্মক্ষমতা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু জটিল রোগও ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও বেশ কিছু উপকারও। যেমন ধরুন...

১. মন আনন্দে ভরে ওঠে:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন! আমাদের মন মেজাজ কেমন থাকবে, তা অনেকাংশেই চিনি খাওয়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে থাকে। বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে বেশি মাত্রায় চিনি খাওয়া শুরু করলে অ্যাংজাইটি লেভেল বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে মন খারাপ এবং মানসিক অবসাদের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই তো বন্ধু, খুশি মনে যদি বাঁচতে চান, তাহলে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন!
২. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে শরীরের ক্ষমতা একদিকে যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি এনার্জির ঘাটতিও দূর হতে শুরু করে। ফলে ক্লান্তি ভাব দূরে পালাতে সময় লাগে না।
৩. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় চিনি খাওয়া শুরু করলে রক্তেও চিনির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে "গ্লাইকেশন" নামে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করে শরীরের অন্দরে, যার প্রভাবে ত্বকে বলিরেখা ফুটে উঠতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্কিনের ঔজ্জ্বল্যও হ্রাস পায়। সেই কারণেই তো ত্বকের বয়স কমাতে আর্টিফিসিয়াল সুগার খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
৪. টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে:
সত্যিই কি চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে? এতদিন পর্যন্ত মনে করা হত, চিনি খেলেই যে ডায়াবেটিস হবে, এমনটা নয়। কিন্তু এই ধরণা বদলেছে। কারণ ২০১৪ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে খাবারে চিনির মাত্রা যত বেশ হবে, তত ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। আসলে মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে ভিসেরাল ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগকে শরীরের অন্দরে বাসা করে দেওয়ার পথকে প্রশস্ত করে।
৫. ওজন কমতে শুরু করে:
পেটের চারিদিকে, বিশেষত লিভার, প্যানক্রিয়াস এবং ইন্টেস্টাইনকে ঘিরে চর্বির স্থর পুরু হতে থাকলে কিন্তু বিপদ! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ভুঁড়ি যত বারতে থাকে, তত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটে। তাই তো মধ্যপ্রদেশে যাতে কোনওভাবে মেদ না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এমনটা তখনই সম্ভব হবে, যখন চিনি খাওয়া কমাবেন। কারণ চিনির সঙ্গে পেটের মেদ বৃদ্ধির সরাসরি যোগ রয়েছে।
৬. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
চিনি কেবল দাঁতের ক্ষয় করে না, মস্তিষ্কেরও মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় চিনি খেলে মস্তিষ্কের কগনিটিভ ফাংশন কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পায়। সেই কারণেই চিনি খাওয়ার বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
৭. হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:
২০১৪ সালে এই বিষয়ক হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যারা বেশি মাত্রায় চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খান, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। তাই হার্টকে বাঁটাতে যতটা সম্ভব কম চিনি খাওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, চিকিৎসেকদের মতে দিনে ৬-৭ চামচ চিনি খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু তার বেশি হলেই কিন্তু বিপদ!