(http://www.ittefaq.com.bd/assets/images/news_images/2018/04/30/1525106144.jpg)
প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ নিয়ে উদ্বেগের দিন এবার সত্যি-সত্যিই শেষ হওয়ার পথে। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষকদল জানাচ্ছেন, ‘প্লাস্টিক-খেকো’ এনজাইমের হদিশ পেয়েছেন তারা। প্লাস্টিকের ওই বিশেষ যৌগটির নাম ‘পলিইথিলিন টেরেফ্থ্যালেট’ (পিইটি বা ‘পেট’)।
(http://www.ittefaq.com.bd/assets/images/news_images//2018/04/30/for_details/1525106144_0.jpg)
ওই প্লাস্টিক যৌগ গিয়ে বোতল বানানোর জন্য প্রথম পেটেন্ট হয়েছিল ১৯৪০ এর দশকে। বোতল বানানোর জন্য প্লাস্টিক পরিবারের ওই বিশেষ যৌগটিকে বেছে নেয়া হয়েছিল একটাই কারণে, তা হল- ওই যৌগটি পরিবেশে লক্ষ লক্ষ বছর টিঁকে থাকতে পারে। গবেষণায় এও দেখা গেছে, প্লাস্টিকের এই বিশেষ যৌগ পলিইথিলিন টেরেফ্থ্যালেট-ই পৃথিবীর স্থল ও জলের বেশির ভাগ অংশে দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে।
(http://www.ittefaq.com.bd/assets/images/news_images//2018/04/30/for_details/1525106144_1.jpg)
অন্য একটি বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সময়েই ব্রিটেনের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন শক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরির (এনআরএএল) বিজ্ঞানীরা ওই এনজাইমটির হদিশ পেয়েছেন। গবেষকরা দেখেছেন, ওই এনজাইমটি একটি বিশেষ ব্যাকটেরিয়াকে সাহায্য করে প্লাস্টিকের বিশেষ যৌগ ‘পেট’কে ভেঙে ফেলতে বা ‘খেয়ে হজম’ করে ফেলতে।
(http://www.ittefaq.com.bd/assets/images/news_images//2018/04/30/for_details/1525106144_2.jpg)
পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন ম্যাকগিহান জানিয়েছেন, এনজাইমটির এই ক্ষমতার কথা জানতে পেরে তারা সেই ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেন। এজন্য তারা কয়েকটি অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রয়োগ করে দেখেন, তাতে এনজাইমগুলি আরো দ্রুত প্লাস্টিক খেয়ে নিতে পারছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এনজাইমটি আদৌ বিষাক্ত নয় বলে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর হতে পারে ভবিষ্যতে, শিল্পজাত প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে। তবে এ ব্যাপারে আরও গবেষণা দরকার। রয়টার্স।
Source: The Daily Ittefaq