Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: tnasrin on May 08, 2018, 11:21:11 AM
-
মজাদার কোনো ফ্রাই খাচ্ছেন? সঙ্গে এক চামচ টমেটো সস বা টাটকা টমেটোর খানিকটা সালাদ? তোফা! স্বাদটা তখন বেড়ে যায় বহুগুণ। একই সঙ্গে শরীরে কিছু ভিটামিন আর পুষ্টিও যোগ হয়। সবজি বা ঝালঝোলেও মুখরোচক সবজি টমেটোর কদর কম নয়। কিন্তু টমেটো খেতে হবে পরিমাণমতো। এর অন্যথা হলেই শরীর-স্বাস্থ্য একটু গড়বড় হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা তা-ই বলছেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর টমেটোর আছে নানা গুণ। টমেটো হচ্ছে একমাত্র সবজি, যাতে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ আছে বিপুল পরিমাণে। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটিকে ফল হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। বিশ্বজুড়ে টমেটোর নানা রকম ব্যবহার রয়েছে। এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হতে দেখা যায়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এটি মানুষকে রক্ষা করে বলে ধারণা করা হয়। খাবারে স্বাদ আনতেও অনেকে টমেটো ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি, টমেটোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
অতিরিক্ত টমেটো খেলে হজমে গন্ডগোল থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা, চুলকানির মতো শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। বেশি টমেটো খাওয়ার কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন:
অম্লের প্রবাহ: টমেটোতে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ তৈরি করতে পারে। তাই বেশি টমেটো খেলে বুক জ্বালা করতে পারে। এমনকি পেটে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বেশি হয়ে হজমে গন্ডগোল হয়। যাঁরা প্রায়ই পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাঁদের গ্যাস্ট্রোওফাজাল রিপ্লেক্স রোগ (জিইআরডি) আছে, তাঁদের অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।
অ্যালার্জি: টমেটোতে হিস্টামিন নামের একধরনের যৌগ আছে, যা থেকে ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ বা র্যাশ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নানা রকম অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁদের টমেটো খেলে অ্যালার্জি হয়, তাঁরা টমেটোর ধারেকাছেও যাবেন না। কারণ, টমেটো মুখে দিলেই মুখের ভেতর চুলকানি, জিব ও গাল ফুলে যাওয়া, সর্দি ও গলা চুলকানোর মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
কিডনিতে পাথর: শুনতে আশ্চর্য লাগলেও অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। কারণ, টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট। শরীরে এর মাত্রা বেড়ে গেলে তা শরীর থেকে সহজে দূর হয় না। এ উপাদান শরীরে জমে কিডনির পাথর তৈরি করতে শুরু করে।
গিঁটে বাত: অতিরিক্ত টমেটো খেলে গিঁটে বাত দেখা দিতে পারে। এমনকি অস্থিসন্ধিগুলো ফুলে উঠতে পারে। কারণ, এতে সোলানিন নামে বিশেষ অ্যালকালয়েড থাকে। এ যৌগ বিভিন্ন কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।
লাইকোপিনোডার্মিয়া: টমেটোতে লাইকোপেন আছে, এটা সবার জানা। টমেটোর লাইকোপেন প্রোস্টেট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার রোধে সাহায্য করে। এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৩১ শতাংশ কমাতে পারে। তবে অতিরিক্ত লাইকোপেন থেকে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামের একধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে লাইকোপেন বেড়ে গেলে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরের জন্য লাইকোপেন ভালো হলেও দৈনিক ৭৫ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা হলে তা লাইকোপিনোডার্মিয়ার দিকে চলে যেতে পারে।
ডায়রিয়া: টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি ডায়রিয়ার জন্য দায়ী। তবে যাঁরা টমেটো সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড়া টমেটো খেলে ডায়রিয়া কম দেখা যায়।
পরামর্শ: স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলেও টমেটো পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
-
I sufferer diarrhea while eating Tomato.