Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: rumman on May 12, 2018, 10:53:27 AM
-
(http://kalerkantho.com/assets/news_images/2018/05/08/154339Microwave-oven.jpg)
ব্যস্ত জীবনে পেরেশানি অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে মাইক্রোওয়েভ ওভেন। চটজলদি খাবারটা গরম করে নিতে এর চেয়ে সুবিধাজনক উপায় আর নেই। কিন্তু এই যন্ত্রের বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ বিজ্ঞানীরা দিচ্ছেন শঙ্কার বার্তা।
গবেষণায় বলা হয়, যেসব প্লাস্টিক বাটিতে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করা হয় তা গর্ভে থাকা শিশুর অনুর্বরতা, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। মাইক্রোওয়েভে গরম হয়ে ওঠা প্লাস্টিক পাত্র তার ৯৫ শতাংশ রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত করে। এগুলো খাবারে মিশে যায়। এসব খাবার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। উর্বরতা নষ্ট করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় বিরূপ প্রভাব ফেলে।
নিউ দিল্লির ইন্দিরা আইভিএফ হসপিটালের আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ড. নিতাশা গুপ্ত বলেন, প্লাস্টিকের পাত্র থাকা সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান হলো বাইস্ফেনল এ। এটা বিপিএ নামেই পরিচিত। আরো আছে ফাথালেট। বিপিএ রক্তে মিশে যায় এবং অনুর্বরতা, হরমোনে পরিবর্তন, লিঙ্গ নির্ধারণে সমস্যা এবং নানা ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই উপাদান টেস্টিকুলার ক্যান্সার, জেনিটাল ডিফর্মেশন, শুক্রাণু কমে আসা এবং অনুর্বরতা দেখা দেয়। বিশেষ করে পোলার ভালুক, তিমি এবং অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে।
বিপিএ'র প্রভাব এতটাই বেশি যে সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দেখিয়েছে, আমেরিকার জনগণের ৯০ শতাংশের দেহেই সহজেই বিপিএ খুঁজে পাওয়া যায়। প্লাস্টিকে আরো থাকে পিভিসি, ডিওক্সিন এবং স্টাইরিন। এগুলো সবই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
এটাই সত্য যে তাপমাত্রা প্লাস্টিক থেকে এসব ক্ষতিকর উপাদান খুব সহজেই খাবারে ছড়িয়ে দেয়। দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে এসব উপাদান, জানান নিতাশা।
গাইনকোলজিস্ট ড. সোয়াতি জানান, খাবার রাখা এবং গরম করার জন্য সবচেয়ে ভালো কাচের পাত্র। কাচ থেকে কখনো কোনো ক্ষতিকর উপাদান বের হয় না। তাপমাত্রতেও কোনো সমস্যা নেই।
আমেরিকান সোসাইটি অবব রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ এক গবেষণায় জানায়, বিপিএ গর্ভের ভ্রূণের সঙ্গেও মিশে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে গর্ভের শিশুকে নষ্টও করে দিতে সক্ষম।
Source: সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস