Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Mousumi Rahaman on June 02, 2018, 12:09:03 AM

Title: তরমুজের উপকার্য জানুন!
Post by: Mousumi Rahaman on June 02, 2018, 12:09:03 AM
★ তরমুজ একটি শক্তিশালী ফল যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। তরমুজ এর বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনার মস্তিষ্ক থেকে পা পায়ের পাতা পর্যন্ত প্রতিটি সেলকে কার্যকরি করে তুলে।
এক মাত্র গ্রীষ্ম ঋতুতেই এ ফল জন্মে। তরমুজ সরস, ও মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এতে থাকে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ। তরমুজের শতকরা ৯২ ভাগই পানি এবং প্রাকৃতিক ভাবেই এতে কোনো চর্বি থাকে না। তরমুজের পটাশিয়াম শরীরে ফ্লুইড ও মিনারেলসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই তরমুজ আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার একটি অংশ করলে আপনার ইমিউন সিস্টেমকে বাড়াতে সাহায্য করবে ও চোখের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান দেবে।
কার্ডিওভাসকুলার ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে:
তরমুজ বিশেষ করে আমাদের কার্ডিওভাসকুলার-এর জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং বর্তমান সময়ে দেখা গেছে এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যেও অনেক বেশী প্রয়োজনীয়। তরমূজ ভাসডিলেশন (vasodilation) এর মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, ও কার্ডিওভাসকুলার এর সাথে সম্পর্কিত ফাংশনসমূহ উন্নত করে। এটি হাড়ের গঠন শক্ত ও মজবুত করে। তরমুজ পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল তাই হাড়ের ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে, এবং হাড়ের জয়েন মজবুত করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করে:
গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজ আমাদের শরীরের জমে থাকা চর্বি কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। Citrulline একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা কিডনির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি। আর তাই পেট ভরে তরমুজ খেলেও সেই অনুযায়ী ওজন বাড়ে না।
প্রদাহবিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমর্থন:
তরমুজ ফ্ল্যাভোনয়েড (flavonoids), ক্যারটিনয়েড (carotenoids), ট্রিটেপেনইডিস (triterpenoids) এবং ফেনোলিক (phenolic)এর মতো যৌগের সমৃদ্ধ ফল। ফলে শরীরের যে কোনো প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তরমুজ খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস জনিত অসুস্থতা কমে যায়। এছাড়াও নিয়মিত তরমুজ খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
মূত্রবর্ধক এবং কিডনি সুস্থ রাখে:
তরমুজ প্রস্রাবের প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, কিন্তু (মদ এবং ক্যাফিন থেকে ভিন্ন) যা একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তরমুজ কিডনির জন্যও বেশ উপকারি ফল । ডাবের পানির যে গুণাগুণ, তরমুজেও রয়েছে সেই গুণাগুণ। এটি কিডনি ও মুত্রথলিকে বর্জ্যমুক্ত করে। কিডনিতে পাথর হলে, চিকিৎসকরা ডাবের পানি, তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চোখ সুস্থ রাখে:
তরমুজ বেটাক্যরোটিনের একটি চমৎকার উৎস (তরমুজের লাল রঙ=বেটাক্যরোটিন)যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বেটাক্যরোটিন রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
তরমুজে লাইকোপেন নামের এক ধরনের খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা অন্ত্রের ক্যানসার ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তরমুজ হার্টের জন্য ভালো। রক্তবাহী ধমনীকে নমনীয় ও শীতল রাখে এটি। স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে এ ফলটি। লাইকোপিনসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ তরমুজ খাওয়ার অভ্যাসে বার্ধক্য দেরিতে আসে। ত্বকে সহজে ভাঁজ বা বলিরেখা পড়ে না।

-সূত্র: লাইভলাভফ্রুট।