Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Mousumi Rahaman on June 02, 2018, 12:33:27 AM

Title: ডিপথেরিয়া প্রতিষেধক!
Post by: Mousumi Rahaman on June 02, 2018, 12:33:27 AM
ডিপথেরিয়া প্রতিষেধক!

ডিপথেরিয়া এক ধরনের রোগ। এ রোগ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মানব দেহের শ্বসনতন্ত্রে (গলা, ফুসফুস,কিডনি, মস্তিষ্ক) দেখা দেয়। এই রোগের জন্য দায়ী কর্নিব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি (corynebacterium diphtheriae) নামক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া মানব দেহের শ্বসনতন্ত্রের উপরের অংশের বাসিন্দা।

এই ব্যাকটেরিয়া এন্ডোস্পোর, দণ্ডাকার ও গ্রাম পজিটিপ উৎপাদনকারী। ডিপথেরিয়া একটি এ,বি টক্সিন। এটি একটি শক্তিশালী টক্সিন। এছাড়া এরোগ দেহের রোধপ্রতিরোধ শক্তি কমে গেলে জননাঙ্গসহ চোখের কনজাংটিভাতেও হয়। এ রোগটি বিড়ালের নখ থেকেও হয়।

আমাদের দেশে সাধারনত শিশুদেরই বেশি হয়ে থাকে, তাছারাও বড়রাও এরোগে আক্রান্ত হতে পারে। ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকারের জন্য প্রতিষেধক হিসাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে অতুলনীয় আবিষ্কার করা হয়েছিল তা মানব কল্যাণের জন্য অভাবনীয় সুফল বয়ে এনেছিল। আর সেই অভাবনীয় আবিষ্কার হল-ডিপিটি টীকা।

এমন কল্যাণকর আবিষ্কারটি করেন বিজ্ঞানী ভন ভেহরিং। যখন এই রোগের কারনে অনেক প্রাণ মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ছিল তখন এই মহান বিজ্ঞানী এ রক্ষা কবচ ও মানব কল্যাণী প্রতিষেধক আবিষ্কার করেন।

ডিপথেরিয়া রোগ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে ও হাসপাতালে নেয়াটা জরুরী। এ রোগের মৃত্যুর ঝুকি খুব বেশি। ডিপথেরিয়া রোগ দেখা দিলে খুব তাড়াতাড়ি ডিপথেরিয়ার জীবাণুর বিষটাকে নষ্ট করার জন্য এন্টিটক্সিন শরীরে দিতে হবে।

ডিপথেরিয়া রোগের জীবাণু ধরা পড়ার আগে এন্টিবায়োটিক হিসেবে পেনিসিলিন বা ইরাথ্রোমাইসিন দিতে হবে। তা না হলে গলার পর্দা আটকে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে ট্রাকিয়োসটোমি করাতে হবে।

যখন শিশুটি জন্ম গ্রহন করে তার দেড় মাস পর থেকে শুরু করে প্রত্যেক মাস অন্তর তিনটি করে টীকা দিতে হবে। ডিপথেরিয়া রোগ দ্বারা আক্রান্ত এমন শিশুদের কাছ থেকে সুস্থ শিশুদের দূরে রাখতে হবে।

তারপরেও যদি কেউ রোগীর সংস্পর্শে চলেই আসে তাহলে অবশ্যই তাকে এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হবে। এবং সব রকম ভাবে রোগীর সেবা যত্ন করতে হবে ও নিয়মিত ঔষধ খাওয়াতে হবে।