Daffodil International University

Science & Information Technology => Technology => Technology News => Topic started by: nafees_research on June 03, 2018, 03:18:11 PM

Title: বিশ্বের সবচেয়ে হালকা উড়ুক্কু যন্ত্র
Post by: nafees_research on June 03, 2018, 03:18:11 PM
বিশ্বের সবচেয়ে হালকা উড়ুক্কু যন্ত্র

(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/640x359x1/uploads/media/2018/05/31/7143f65619ed6a4c92e8edcdf76c787a-5b0f875f9f4d6.jpg)

মাছির যন্ত্রণায় অনেকেই ত্যক্তবিরক্ত হয়ে থাকেন। মাছি মারা যে কত কঠিন, তা সবারই জানা। মাছির মতোই রোবট নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্রও। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতেও রোবট মাছির কথা শুনেছেন। সত্যি কি এ ধরনের মাছি তৈরি করা সম্ভব?

গবেষকেরা অনেক দিন ধরেই মাছির মতো দ্রুতগতির খুদে ড্রোন তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছোট আকারের যন্ত্রাংশ তৈরিতে এখন যেন প্রকৌশলীরা ঠিক ‘জাদু’ দেখাচ্ছেন। যন্ত্রকে যতটা ছোট ও উন্নত করা যায়, এর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ড্রোন বা চালকবিহীন যানের কথাই ধরুন না কেন, এটি দিন দিন আরও ছোট ও বহু কাজের কাজি হয়ে উঠছে। সম্প্রতি এমনই এক খুদে রোবটিক যান বা ড্রোন তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এ রোবটকে এতটাই হালকা করে তৈরি করেছেন যে এতে ব্যাটারির ব্যবহার করেননি তাঁরা। এর বদলে তারহীন উপায়ে এতে শক্তি জোগানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।

ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকেরা মাছির মতো খুদে ওই ড্রোনের নাম দিয়েছেন ‘রোবোফ্লাই’। এটি তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সায়েয়ার ফুলারের নেতৃত্বে একদল গবেষক কাজ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ব্রিসবেনে জুনে রোবোটিকস অ্যান্ড অটোমেশন নামের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ ড্রোন প্রদর্শন করবেন তাঁরা।

গবেষকেরা বলেন, ড্রোনটি তৈরিতে তাঁদের তিনটি প্রযুক্তিগত বাধা পেরোতে হয়েছে। একটি হচ্ছে প্রপেলার ও রোটর-সংক্রান্ত। সাধারণত ছোট আকারের ড্রোনের ক্ষেত্রে বাতাসের ঘনত্বের কারণে প্রচলিত প্রপেলার ও রোটর কার্যকর হয় না। দ্বিতীয় বাধাটি হলো ছোট ও পাতলা ড্রোনের ক্ষেত্রে এর সার্কিট ও মোটর হালকা করা। তৃতীয় বাধাটি হলো ড্রোনের ব্যাটারি হালকা-পাতলা করা।

ছোট আকারের এ ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে বড় বাধাগুলো দূর করতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষকেরা কাজ করছিলেন। ২০১৩ সালের গবেষক ফুলার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সময় ৮০ মিলিগ্রাম ওজনের পোকার মতো একটি রোবট তৈরি করেছিলেন। সে রোবটে এক জোড়া পাখা বসিয়েছিলেন, যা মাছির মতোই মতো সেকেন্ডে ১২০ বার ওঠানামা করতে পারে। এ পদ্ধতি নতুন ড্রোনে জুড়ে দিয়েছেন তাঁরা।

এর বাইরে প্রচলিত মোটর ব্যবহারের পরিবর্তে গবেষকেরা পিজোইলেকট্রিক সিরামিক ব্যবহার করেছেন, যা বিদ্যুৎস্পর্শের মতোই সাড়া দিতে সক্ষম। এর পরের বাধাটি ছিল ড্রোনকে তারহীন করা। গবেষক ফুলার সার্কিট ব্যবহারের পরিবর্তে লেজার প্রযুক্তির সাহায্য নেন। এ ছাড়া ওই ড্রোনে আট মিলিগ্রাম ওজনের একটি সোলার সেল ব্যবহার করেন। এতে লেজার রশ্মি পড়লেই বিনা তারেই এতে শক্তি তৈরি হয়।

অবশ্য ড্রোনটির সমস্যাও হচ্ছে ওই লেজার। লেজারের আওতার বাইরে গেলেই এটি আর চলতে সক্ষম নয়। এ সমস্যা সমাধান করতেও কাজ করছেন গবেষকেরা। এ সমস্যা সমাধান হলেই উড়ে বেড়াতে পারবে রোবট মাছি।

এ মাছির কাজ কী হবে, তা জানতে নিশ্চয়ই কৌতূহল হচ্ছে? এ রোবট মাছিতে নানা রকম সেন্সর, যোগাযোগের যন্ত্রপাতি যুক্ত করে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা বা তাকে দিয়ে নানা কাজ করানো যাবে। গবেষকেরা বলছেন, ছোট এ ড্রোন প্রযুক্তি বিশ্বে হইচই ফেলে দিতে পারে।

Source: http://www.prothomalo.com/technology/article/1499846/বিশ্বের-সবচেয়ে-হালকা-উড়ুক্কু-যন্ত্র