Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Travel / Visit / Tour => Topic started by: Naznin.Tania on June 09, 2018, 12:21:40 PM

Title: জীবন্ত গাছ দিয়ে তৈরী যে ব্রীজ
Post by: Naznin.Tania on June 09, 2018, 12:21:40 PM
(http://www.bdnews24us.com/bangla/wp-content/uploads/2018/05/bride.jpg)

প্রকৃতি তার নিজের খেয়ালে কোখন কি করে সেটা বুঝা আমাদের জন্য খুবই কঠিন। প্রকৃতি কখনো দেখায় তার রাগ, খোব, ভালোবাসা। আবার কখনো দেখায় তার শীল্পকর্ম। প্রাকৃতির তেমনই একটি শীল্পকর্ম হচ্ছে মেঘালয়ের পূর্ব খাসি হিলস এবং জয়ন্তিয়া হিলস জেলায় ‘লিভিং রুটস ব্রিজ’।

এই গ্রামে এটা এখন একটা কমন ব্যাপার। স্নোংপেডাং, নংবারেহ্, খোংলা, কুদেং রিম অত্যাদি গ্রামে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গলগুলোতে কবে থেকে গছেরা তাদের শিকড় দিয়ে সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছিল কেউই বলতে পারেন না। ১৮৪৪ সালে লেফটেন্যান্ট এইচ ইউল ‘জার্নাল অফ এশিয়াটিক সোসাইটি’-তে প্রথম এই অরণ্যের কথা সবিস্তারে লেখেন। ছোট-খাটো সেতুর বাইরেও এই অরণ্যে রয়েছে ৫০ মিটার দীর্ঘ একটি ‘রুট ব্রিজ’। খাসি পাহাড়ের পাইনুর্সলা নামের একটি ছোট শহরের কাছে এই সেতুটি একটি দ্রষ্টব্য বিষয়। এটি ছাড়াও রয়েছে একটি ‘দোতলা’ এবং একটি ‘তিন তলা’ সেতু।

যে গাছগুলো এই সেতু তৈরি করে তারা ডুমুর জাতীয় গাছ। সেতু তৈরিতে গাছেরা অনেক সময়েই পাথর, ধুলোবালি ইত্যাদি কাজে লাগায়। স্থানীয় মানুষ জানান, সাধারণত একটা সেতু তৈরিতে ১৫ বছর সময় লাগে। তাদের জীবনে এই সেতুগুলোর প্রভাবও যথেষ্ট। এগুলো তারা নিয়মিত ব্যবহার করেন।
(http://www.bdnews24us.com/bangla/wp-content/uploads/2018/05/12-500x348.jpg)

প্রাকৃতিক এই সেতুর দেখা পেতে আপনাকে মেঘালয়ের শিলং যেতে হবে। ‘লিভিং রুট ব্রিজ’ নামে পরিচিত সেতুটি দেখার জন্য ছবির মতো সাজানো গোছানো ‘রিওয়াই’ গ্রামের রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে হবে। গ্রামের পাহাড়ি নদী ‘থাইলং’ এর উপরে শেকড় তৈরি সাঁকোটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমান অসংখ্য পর্যটক।

শিলং থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে রিওয়াই গ্রাম। গ্রামের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে রাস্তা ধরে হাঁটলেই পেয়ে যাবেন সাইনবোর্ডে লেখা নির্দেশনা। সেই অনুযায়ী হেঁটে যেতে যেতে পাহাড়ি সিঁড়ি খুঁজে পাবেন। সেই সিঁড়ি ধরে বেশ কিছু দূর নামার পরই চোখ আঁটকে যাবে আশ্চর্য এই সেতুতে।

ছোটবড় শেকড় সুতার মতো নিপুণ বুননে তৈরি করেছে চওড়া সেতু। প্রায় ৫০০ বছর বয়স এই প্রাকৃতিক সেতুর। প্রতিনিয়ত বাড়ছে জ্যান্ত এই শেকড়। একারণেই ব্রিজের নাম ‘লিভিং রুট ব্রিজ।’

প্রায় ৫০ মিটার লম্বা এই সেতু একসঙ্গে ৫০০ জন মানুষকে জায়গা দিতে পারবে। তবে ব্রিজে উপর দাঁড়াতে দেওয়া হয় না এটি যথাযথ সংরক্ষণের খাতিরে। সেতুর নিচ দিয়ে কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী। ব্রিজের উপর দাঁড়াতে না পারলেও নদীর পাড়ে বসে কিংবা পাহাড়ের উপর থেকে এর সৌন্দর্য দেখতে পারবেন ইচ্ছে মতো।

যেভাবে যাবেন: সোনাংপেডাং গ্রাম থেকে একটা গাড়ী রিজার্ভ করলে ওই গাড়ী আপনাকে লিভিং রুট ব্রিজ নিয়ে যাবে।

এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে সোনাংপেডাং গ্রাম ১রাত থেকে পরের দিন সকালে সোনাংপেডাং গ্রাম থেকে একটা গাড়ী রিজার্ভ করলে ওই গাড়ী আপনাকে মাওলিনং গ্রাম,লিভিং রুট ব্রিজ দেখিয়ে আবার ডাউকি বর্ডারে নামিয়ে দেবে।ভাড়া পড়বে ১৮০০-২০০০ রুপি।



http://www.bdnews24us.com/bangla/article/742284/index.html