Daffodil International University
Faculty of Humanities and Social Science => Law => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 08:00:33 AM
-
উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫
(THE SUCCESSION ACT, 1925)
(১২৫ সনের ৩৯নং আইন)
[৩০ শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৫]
বাংলাদেশে উইলবিহীন অবস্থা এবং উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইন৷
যেহেতু বাংলাদেশে উইলবিহীন অবস্থা এবং উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন সংহত করা প্রযোজনীয় ও সমীচীন; সেইহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ
ভাগ - ১
প্রাথমিক
ধারা-১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম৷- এই আইন উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ নামে অভিহিত হইবে৷
ধারা-২৷ সংজ্ঞা৷ - বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে-
(ক) ''প্রশাসক'' অর্থ নির্বাহক না থাকিলে মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি পরিচালনার জন্য উপযুক্ত কর্র্তৃপক্ষের দ্বারা নিযোগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে বুঝাইবে;
(খ) ''কডিসিল'' (Codicil) অর্থ উইল সংক্রান্ত কৃত কোন দলিল এবং উহার ব্যাখ্যা, পরিবর্তন, বা সংযোজন এবং উইলের অংশবিশেষ গঠন করে বলিয়া বিবেচিত হইবে;
(খখ) ''জেলা জজ'' অর্থ মূল এক্তিয়ারসম্পন্ন প্রধান আদালতের বিচারক বুঝাইবে৷
(গ) ''নির্বাহক'' অর্থ উইলকারীর নিয়োগ দ্বারা মৃত ব্যক্তির সর্বশেষ উইলের কার্যকরণ করার জন্য বিশ্বাস বলে অর্পিত কোন ব্যক্তি;
(ঘ) ''বাংলাদেশ খৃস্টান'' অর্থ বাংলাদেশের একজন নাগরিক যিনি অবিমিশ্র এশিয়াটিক বংশোদ্ভূত বলিয়া নিজেকে দাবী করেন এবং যিনি খৃস্ট ধর্মের কোন অংশে অনুগত;
(ঙ) ''নাবালক'' অর্থ ১৮৭৫ সনের সাবালকত্ব আইন সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি, যিনি উক্ত আইনের অর্থানুসারে সাবালকত্ব অর্জন করেন নাই, এবং অন্য কোন ব্যক্তি, যাহার বয়স ১৮ বত্সর হয় নাই এবং ''নাবালকত্ব'' অর্থ উক্ত কোন ব্যক্তির মর্যাদা;
(চ) ''প্রবেট'' অর্থ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির পরিচালনা মঞ্জুর সম্পর্কিত উপযুক্ত এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালতের সীল মোহরে সত্যায়িত উইলের অনুলিপি;
(ছ) ''উইল'' অর্থ উইলকারীর সম্পত্তি বিষয়ে তাহার ইচ্ছার আইনগত ঘোষণা বুঝাইবে, যাহা তিনি তাহার মৃত্যুর পরে কায॔কর হইবে মর্মে ইচ্ছা পোষণ করেন৷
ধারা-৩৷ এই আইনের প্রয়োগ হইতে কোন জাতি, গোষ্ঠী বা উপজাতিকে অব্যাহতি দানে সরকারের ক্ষমতা৷- (১) সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ১৮৬৫ সনের ১৬ই মার্চ হইতে ভূতাপেক্ষভাবে কিংবা ভবিষ্যত্ হইতে এই আইনের নিম্নলিখিত কোন বিধানাবলীর কার্যকরতা হইতে অর্থাত্ ৫ ধারা থেকে ৪৯ ধারা পর্যন্ত, ৫৮ ধারা থেকে ১৯১ ধারা পর্যন্ত, ২১২, ২১৩ ধারা এবং ২১৫ ধারা থেকে ৩৬৯ ধারা পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী, সম্প্রদায় বা উপজাতিকে কিংবা উহার কোন অংশকে, অব্যাহতি দিতে পারিবে যাহার ক্ষেত্রে সরকার উক্ত বিধানাবলী বা আদেশে উল্লেখিত কোন একটি প্রযোজ্য হওয়া অসম্ভব বা অসমীচীন বলিয়া বিবেচনা করে৷
(২) একইরূপে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার উক্ত কোন আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবে, কিন্তু এমনভাবে নয় যে যাহাতে উক্ত প্রত্যাহারের কোন ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা থাকে৷
(৩) এই ধারায় উল্লিখিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে ''অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ'' হিসাবে উল্লেখিত৷
ভাগ - ২
স্থায়ী নিবাস সম্পর্কিত
ধারা ৪৷ এই অধ্যায়ের প্রয়োগ৷- মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ বা জৈন হইলে এই অধ্যায় প্রযুক্ত হইবে না৷
ধারা ৫৷ মৃত ব্যক্তির যথাক্রমে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রণকারী আইন৷-(১) মৃত্যুর সময়ে যেখানেই স্থায়ী নিবাস (domicile) থাকুক না কেন মৃত ব্যক্তির বাংলাদেশে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷ (২) মৃত্যুর সময় যে দেশে স্থায়ী নিবাস থাকিবে মৃত ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ঐ দেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷
উদাহরণ
(অ) বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস থাকাকালে 'ক' ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডে অস্থাবর সম্পত্তি এবং বাংলাদেশে স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি রাখিয়া ফ্রান্সে মারা গেল৷ এক্ষেত্রে সমস্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷
(আ) 'ক' একজন ইংরেজ ব্যক্তি৷ ফ্রান্সে স্থায়ী নিবাস থাকাকালে বাংলাদেশে তাহার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া বাংলাদেশে মারা গেল৷ অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়টি ফ্রান্সে বসবাসরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী একজন ইংরেজ ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ফ্রান্সে প্রচলিত যে বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, উক্ত বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে, এবং স্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷
আলোচনা
এই ধারার প্রথম অংশে বলা হয়েছে যে, মৃত্যুর সময় একজন ব্যক্তির স্থায়ী আবাসভূমি বাংলাদেশ বা অন্য দেশে যেখানেই থাকুক না কেন বাংলাদেশে অবস্থিত তার স্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হবে৷
দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সময় একজন ব্যক্তির যেদেশে স্থায়ী আবাস থাকবে অস্থাবর সম্পত্তিতে তার উত্তরাধিকার ঐ দেশের আইন অনুযায়ী হবে৷
ধারা-৬৷ শুধুমাত্র একটা স্থায়ী আবাস অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার প্রভাবিত করে৷ - অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তির কেবলমাত্র একটি স্থায়ী আবাস থাকিতে পারিবে৷
আলোচনা
এই ধারাটি মূলতঃ Somerville Vs. Somerville (5 Ves. 750) মামলার ভিত্তিতে এই আইনে স্থান পেয়েছে৷ কোন উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তির একাধিক স্থায়ী আবাস থাকতে পারে কিন্তু অস্থাবর সস্পত্তিতে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে তার একটিমাত্র স্থায়ী আবাস থাকতে পারবে৷
ধারা-৭৷ বৈধভাবে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির উত্ পত্তি স্থায়ী আবাস৷- বৈধভাবে জন্ম গ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তির উত্ পত্তি স্থায়ী সম্পর্কে আবাস তাহার জন্মের সময় তাহার পিতা যে দেশে স্থায়ীভাবে বাস করিতেন কিংবা উক্ত ব্যক্তি মরণোত্তর জাত সন্তান হইলে পিতার মৃত্যুর সময় পিতা যে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করিতেন ঐ দেশে হইবে৷
উদাহরণ
'ক' এর জন্মের সময় তার পিতার স্থায়ী আবাস ছিল ইংল্যান্ডে৷ অতএব, ক যে দেশেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন তাহার মূল আবাস হবে ইংল্যান্ডে৷
আলোচনা
মূল স্থায়ী আবাস বা জন্মসূত্রে স্থায়ী নিবাসঃ Udmy vs Udmy (1 HL Sc 111) মামলায় Lord Westburn বলেছেন, এটা স্বীকৃত নীতি যে, স্থায়ী নিবাস ব্যতীত কোন মানুষ থাকতে পারে না এবং বৈধ জন্মের ক্ষেত্রে জন্মমাত্রই প্রত্যেকটি শিশু তার পিতার এবং অবৈধ জন্মের ক্ষেত্রে প্রতিটি শিশু তার মাতার স্থায়ী নিবাস পেয়ে থাকে৷ মরণোত্তর জাত সন্তানের বেলায় পিতার মৃত্যুর সময় পিতা যে দেশে স্থায়ী নিবাস৷ এটাকেই বলে জন্মসূত্রে স্থায়ী নিবাস বা মূল স্থায়ী নিবাস৷
ধারা ৮৷ অবৈধ সন্তানের মূল স্থায়ী নিবাস৷- অবৈধ সন্তানের জন্মের সময় তাহার মাতা যে দেশে স্থায়ীভাবে নিবাসিত ছিলেন, ঐ দেশই হইবে তাহার মূল স্থায়ী নিবাস৷
ধারা ৯৷ মূলস্থায়ী নিবাসের স্থায়িত্ব (Continuance)৷- নতুন কোনো স্থায়ী নিবাস অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত মূল স্থায়ী নিবাস বিদ্যমান থাকে৷
ধারা ১০৷ নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷- মূলস্থায়ী নিবাস নয় এমন কোন দেশে স্থায়ী আবাস (fixed habitation) দলিলের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নতুন স্থায়ী আবাস অর্জন করিতে পারিবে৷
ব্যাখ্যা- বাংলাদেশে বেসামরিক, সামরিক, নৌ কিংবা বিমান বাহিনীতে চাকুরী অথবা কোন পেশা বা জীবিকা (calling) নির্বাহ করিবার সুবাদে শুধুমাত্র বাংলাদেশে বসবাস করিবার কারণে কোনো ব্যক্তি এই দেশে স্থায়ী আবাস দখল করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে না৷
উদাহরণ
(অ) ক-এর স্থায়ী নিবাস ইংল্যান্ডে; তিনি বাংলাদেশে আসিয়া তাহার বাকী জীবনকাল এখানেই বসবাস করিয়া কাটিয়ে দিবার ইচ্ছা পোষণ করিয়া ব্যারিস্টার বা ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন৷ তাঁহার বর্তমান স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশে হইবে৷
(আ) ইংল্যান্ডের স্থায়ী নিবাসী 'ক' অস্ট্রেলিয়া যান এবং অস্ট্রেলীয় একটি চাকুরীতে যোগদান করেন এবং ঐ চাকুরীতে বহাল থাকিবার ইচ্ছা পোষণ করেন৷ 'ক' অস্ট্রেলিয়ায় একটি স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়াছেন৷
(ই) ফ্রান্সে স্থায়ী নিবাসী 'ক' বাংলাদেশ সরকারের সহিত কয়েক বত্সরের চুক্তির অধীনে এই দেশে বসবাস করিবার জন্য আসেন৷ তিনি উক্ত সময় শেষে ফ্রান্সে ফিরিয়া যাইবার ইচ্ছা পোষন করেন৷ তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করেন নাই৷
(ঈ) ক-এর স্থায়ী নিবাস ইংল্যান্ডে; তিনি বিলুপ্ত অংশীদারিত্বের বিষয়াবলী অবসায়নের উদ্দেশ্যে বসবাস করিতে বাংলাদেশে যান, এবং উক্ত উদ্দেশ্য পূরণ হওয়া মাত্র ইংল্যান্ডে ফিরিয়া যাইবার ইচ্ছা পোষণ করেন৷ তাঁহার বসবাসের মেয়াদ যত দীর্ঘই হোক না কেন এইরূপ বসবাসের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিবেন না৷
(উ) পূর্বোক্ত সর্বশেষ উদাহরণে উল্লেখিত পরিস্থিতিতে 'ক' বাংলাদেশে বসবাস করিতে গিয়া পরবর্তীতে তাঁহার ইচ্ছার পরিবর্তন ঘটান এবং বাংলাদেশে স্থায়ী আবাস গড়িয়া তোলেন৷ 'ক' বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়াছেন৷
(ঊ) চন্দরনগর ফরাসী বসতিতে স্থায়ী নিবাসী৷ ক' রাজনৈতিক কারণে ঢাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন সংঘটিত হইলে তিনি চন্দরনগরে ফিরিতে পারিবেন এই আশায় অনেক বত্সর ঢাকাতে বসবাস করেন৷ এইরূপ বাস করিবার কারণে তিনি বাংলাদেশে কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করেন নাই৷
(ঋ) পূর্বোক্ত সর্বশেষ উদাহরণে বর্ণিত পরিস্থিতি ঢাকায় আসিয়া বসবাস করিবার এক পর্যায়ে চন্দরনগরে নিরাপদে ফেরার উক্ত রাজনৈতিক পরিবর্তন সংঘটিত হইবার পরে 'ক' অব্যাহতভাবে ঢাকায় বসবাস করিতে থাকে এবং ঢাকাতে তাহার স্থায়ী আবাস হইবে এইরূপ ইচ্ছা পোষণ করেন৷ 'ক' বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ (অর্জন) করিয়াছেন৷
আলোচনা
কিভাবে নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন (গ্রহণ) করা যায় সে সম্পর্কে এই ধারায় আলোচনা করা হয়েছে৷ মূল স্থায়ী নিবাস নয় এমন যে কোন দেশে স্থায়ী আবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার নতুন স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করতে পারে৷ তবে এই ধারাটি এ্যাংলো- ইন্ডিয়ান হিসেবে পরিচিত জাতি এবং স্থায়ীভাবে এখানে বসবাসকৃত জাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না [PLD 1958 (Lah.) 699]৷
ধারা-১১৷বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণের বিশেষ পদ্ধতি৷- বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণের ইচ্ছা সম্বলিত স্বহস্তে লিখিত ঘোষণাপত্র তৈরী এবং সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিয়োজিত বাংলাদেশের কোন অফিসে উহা দাখিল পূর্বক যে কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করিতে পারিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ঘোষণাদানের অব্যবহিত এক বত্সর পূর্ব পর্যন্ত তাহাকে বাংলাদেশে বসবাস করিতে হইবে৷
ধারা-১২৷ বিদেশী সরকারের প্রতিনিধি বা তাহার পরিবারের অংশ হিসাবে আবাসের মাধ্যমে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করা যাইবে না৷ - কোন দেশের সরকার কর্তৃক উহার রাষ্ট্রদূত, কনসাল বা অন্যকোন প্রতিনিধি হিসাবে অন্যকোনো দেশে নিয়োগকৃত কোনো ব্যক্তি তাঁহার নিয়োগের সুবাদে শুধুমাত্র ঐ অন্যদেশে বসবাস করিবার কারণে সেখানে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করেন না কিংবা এইরূপ প্রথমোল্লিখিত ব্যক্তির পরিবারের অংশ বা চাকর হিসাবে তাঁহার সহিত শুধুমাত্র বসবাসের কারণে অন্যকোন ব্যক্তি এইরূপ কোন স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করেন না৷
ধারা-১৩৷ নতুন স্থায়ী নিবাসের স্থায়িত্ব৷- পূর্বের স্থায়ী নিবাস পুনরায় গ্রহণ অথবা অন্য একটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নতুন স্থায়ী নিবাস অব্যাহত থাকিবে৷
ধারা-১৪৷ নাবালকের স্থায়ী নিবাস৷ - নাবালকের স্থায়ী নিবাস পিতামাতার স্থায়ী নিবাস অনুসরণ করিবে, যাহাদের নিকট হইতে সে মূল স্থায়ী নিবাস পাইয়াছে৷
ব্যতিক্রম- নাবালক বিবাহিত হইলে, কিংবা প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদ ধারণ করিলে অথবা নিয়োজিত থাকিলে কিংবা পিতামাতার সম্মতিতে পৃথক কোন ব্যবসা শুরু করিলে তাহার স্থায়ী নিবাস তাহার পিতামাতার স্থায়ী নিবাসের সহিত পরবর্তিত হইবে না৷
ধারা-১৫৷ বিবাহের ফলে মহিলা কর্তৃক অর্জিত স্থায়ী নিবাস৷- বিবাহের মাধ্যমে একজন মহিলা তাহার স্বামীর স্থায়ী নিবাস অর্জন করিয়া থাকেন, যদি পূর্বে তাহার (মহিলার) ঐ একই স্থায়ী নিবাস না থাকে৷
ধারা-১৬৷ বিবাহ চলাকালে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস৷- বিবাহকালীন সময়ে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস তাহার স্বামীর স্থায়ী অনুসরণ করিবে৷
ব্যতিক্রম- কোন উপযুক্ত আদালতের দণ্ড দ্বারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পৃথক হইয়া গেলে, কিংবা স্বামীকে দীপান্তরে পাঠানো হইলে স্ত্রীর স্থায়ী নিবাস আর স্বামীর স্থায়ী নিবাসকে অনুসরণ করিবে না৷
ধারা-১৭৷ নাবালকের নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷ - এই ভাগে ইতিপূর্বে অন্যভাবে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত, একজন ব্যক্তি তাহার নাবালকত্ব চলাকালে নতুন কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে পারে না৷
ধারা-১৮৷ পাগলের নতুন স্থায়ী নিবাস অর্জন৷- অন্যকোন ব্যক্তির স্থায়ী নিবাস অনুসরণকারী কোন স্থায়ী নিবাস ব্যতীত অন্যকোন ভাবে একজন বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তি নতুন কোন স্থায়ী নিবাস অর্জন করিতে পারেন না৷
ধারা-১৯৷ অন্য কোথাও স্থায়ী নিবাস প্রমাণের অবর্তমানের বাংলাদেশে অস্থাবর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার৷- অন্য কোথাও কোন স্থায়ী নিবাসের প্রমাণের অবর্তমানে যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া মারা যায়, তাহা হইলে ঐ সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়স্ত্রিত হইবে৷
ভাগ-৩
বিবাহ
ধারা-২০৷ বিবাহ দ্বারা স্বার্থও ও অধিকার অর্জিত হইবে না কিংবা নষ্ট হইবে না৷ -(১) কোন ব্যক্তি তিনি যাহাকে বিবাহ করিয়াছেন ঐরূপ বিবাহ দ্বারা তাহার সম্পত্তিতে কোন অর্জন করিবেন না, কিংবা তিনি অবিবাহিত হইলে করিতে পারিতেন এইরূপ কোন কার্য তাহার নিজস্ব সম্পত্তি সম্পর্কে করিতে অক্ষম হইবে না৷
(২) এই ধারা-
(ক) ১লা জানুয়ারী-১৮৬৬ইং তারিখের পূর্বে চুক্তিভুক্ত কোন বিবাহের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইবে না;
(খ) বিবাহের সময় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন ধর্মের প্রতি আনুõ
-
ভাগ-৫
অকৃত উইল সম্পর্কিত উত্তরাধিকার
অধ্যায় - এক
প্রাথমিক
ধারা-২৯৷ এই ভাগের প্রয়োগ৷- (১) এইভাগ ১লা জানুয়ারী ১৮৬৬ সালের পূর্বে ঘটমান কোন উইলবিহীন অবস্থা অথবা কোন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈনের সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইবে না৷
(২) উপ-ধারা (১) অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত, এই ভাগের বিধানাবলী সকল উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন সৃষ্টি করিবে৷
ধারা ৩০৷ মৃত ব্যক্তি কোন সম্পত্তি উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া মারা গিয়াছে সম্পর্কে৷- কোন ব্যক্তি কার্যকর হইতে সক্ষম উইল সম্পর্কিত বিলিব্যবস্থা করেন নাই এইরূপ সকল সম্পত্তি সম্পর্কে উইলবিহীন (অকৃত উইল) অবস্থায় মারা গিয়াছেন বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
উদাহরণ
(অ) 'ক' কোন উইল না করিয়া মারা যান৷ 'ক' তাহার সমস্ত সম্পত্তি সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷
(আ) 'ক' উইল করিয়া এবং 'খ' কে তাহার নির্বাহক নিয়োগ করিয়া মারা যান, কিন্তু উইলে আর অন্যকোন বিধান নাই৷ 'ক' তাহার সম্পত্তির বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷
(ই) 'ক' বেআইনী উদ্দেশ্যে সমস্ত সম্পত্তি উইল করিয়া মারা যান৷ 'ক' তাহার সম্পত্তির বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন৷
(ঈ) 'ক' খ কে ১০০০ এবং 'গ' এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ১০০০ টাকা উইল করিয়া দেন এবং উইলমূলে আর কোন কিছু প্রদান করেন নাই এবং ২০০০ টাকা রাখিয়া এবং অন্য কোন সম্পত্তি নয়, মারা যান৷ 'গ' কোন পুত্র না রাখিয়া ক-এর পূর্বে মারা গেলেন৷ ক ১০০০ টাকার বণ্টন সম্পর্কে উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেলেন৷
অধ্যায় - দুই
পার্সি ব্যতীত অকৃত উইলের ক্ষেত্রে বিধিমালা
ধারা-৩১৷ পার্সিদের ক্ষেত্রে এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবে না৷- পার্সিদের ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের কোন কিছুই প্রযুক্ত হইবে না৷
ধারা-৩২৷ এইরূপ সম্পত্তি বর্তানো৷- অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি তাহার স্ত্রী বা স্বামী কিংবা ক্রমানুসারে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়গণের উপর এবং এই অধ্যায়ে অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুসারে বর্তাইবে৷
ব্যাখ্যা- একজন বিধবা, তাহার বিবাহের পূর্বে সম্পাদিত বৈধ চুক্তির দ্বারা তাহাকে তাহার স্বামীর ভূ-সম্পত্তিতে তাহার বণ্টনমূলক অংশ হইতে বাদ দেওয়া হইলে, তাহার জন্য এতদ্বারা প্রণীত বিধানে অধিকারী হইবে না৷
ধারা-৩৩৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা স্ত্রী এবং সরাসরি (বা প্রত্যক্ষ) বংশধর, বা শুধুমাত্র বিধবা স্ত্রী ও জ্ঞাতি বা বিধবা স্ত্রী এবং কোন জ্ঞাতি নয়, রাখিয়া গিয়াছেন৷ - যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন-
(ক) যদি তিনি কোন সরাসরি বংশধরও রাখিয়া যান, তাহলে অতঃপর উল্লেখিত বিধি অনুসারে তাঁহার এক তৃতীয়াংশ পাইবে তাঁহার বিধবা স্ত্রী এবং অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ পাইবে তাঁহার সরাসরি বংশধরগণ;
(খ) ৩৩ক ধারায় যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত, যদি তিনি কোন সরাসরি বংশধর না রাখিয়া কিন্তু তাঁহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণকে রাখিয়া যান, তাহলে অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুযায়ী তাঁহার সম্পত্তির অর্ধাংশ পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী এবং অন্য অংশ পাইবে ক্রমানুযায়ী তাহার জ্ঞাতিগণ;
(গ) যদি তিনি তাঁহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় কাউকে রাখিয়া না যান, তাহলে তাহার সমুদয় সম্পত্তি পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী৷
ধারা-৩৩ক৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন এবং কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই সেক্ষেত্রে বিশেষ বিধান৷- (১) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন, কিন্তু কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই এবং তাহার সম্পত্তি প্রকৃত মূল্য ৫,০০০/= টাকার অধিক নয়, সেক্ষেত্রে তাহার সমুদয় সম্পত্তি পাইবে তাহার বিধবা স্ত্রী৷
(২) যেক্ষেত্রে সমুদয় সম্পত্তির মূল্য ৫,০০০/= টাকার অধিক হয়, সেক্ষেত্রে বিধবা স্ত্রী উহা হইতে ৫,০০০/= টাকা পাইবেন এবং অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে বাত্সরিক ৪% হারে সুদ সহ উক্তরূপ ৫,০০০/= টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ঐ সমুদয় সম্পত্তির উপর তাহার (বিধবার) চার্জ থাকিবে৷
(৩) অত্র ধারায় বিধবার জন্য প্রণীত বিধান তাহার পূর্বোক্ত সুদসহ উক্ত ৫,০০০/= টাকা পরিশোধের পরে বিদ্যমান উক্ত উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশে তাহার (বিধবার) স্বার্থের অতিরিক্ত স্বরূপ এবং উক্তরূপ অবশিষ্টাংশ ৩৩ ধারার বিধান অনুযায়ী এমনভাবে বণ্টন করিয়া দিতে হইবে যেন উহা উক্ত প্রকৃত উইলকারীর সম্পত্তির সমুদয় অংশ৷
(৪) সম্পত্তির মোট মূল্য হইতে অকৃত উইলকারীর সকল দেনা এবং সত্কারে ব্যায়িত সকল অর্থ, এবং সম্পত্তির অন্যান্য সমস্ত দায় এবং চার্জ বাদ দিয়া সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করিতে হইবে৷
(৫) অত্র দ্বারা প্রযোজ্য হইবে না-
(ক) নিম্নের কোন ব্যক্তির সম্পত্তির ক্ষেত্রে-
(অ) বাংলাদেশী কোন খৃস্টান,
(আ) বাংলাদেশী খৃস্টান অথবা মৃত্যুকালে বাংলাদেশী খৃস্টান ছিল এইরূপ কোন পুরুষের কোন সন্তান বা নাতি-নাতনী; বা
(ই) অত্র আইনের বিধানাবলী দ্বারা, বিশেষ বিবাহ আইন, ১৮৭২ সালের ২৪ ধারার অধীন, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রিত এইরূপ হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্ম গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি;
(খ) সমুদয় সম্পত্তি সম্পর্কে মৃত ব্যক্তি উইলহীন অবস্থায় মারা না গেলে৷
ধারা-৩৪৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী বিধবা কোন স্ত্রী এবং কোন জ্ঞাতি রাখিয়া যান নাই৷- যেক্ষেত্রে অকৃত-উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে অতঃপর বর্ণিত বিধি অনুসারে তাহার সম্পত্তি পাইবে তাহার সরাসরি বংশধরগণ অথবা সরাসরি বংশধর নয় তাহার এমন জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণ; এবং তিনি তাহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় কাউকেও না রাখিয়া গেলে উক্ত সম্পত্তির অধিকারী হইবে সরকার৷
ধারা-৩৫৷ বিপত্নীকের অধিকার৷- স্বামী রাখিয়া স্ত্রী মারা গেলে, স্বামী উইলহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার সম্পত্তি সম্পর্কে একজন বিধবা স্ত্রীর যেমন অধিকার থাকে, সে (স্ত্রী) উইলহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার সম্পত্তি সম্পর্কেও তাঁহার (স্বামীর) একইরূপ অধিকার থাকিবে৷
সরাসরি বংশধর থাকিলে বণ্টন
ধারা-৩৬৷ বণ্টন বিধি৷- (বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গেলে বিধবার অংশ বাদ দেওয়ার পর) সরাসরি বংশধরদের মধ্যে অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বণ্টন বিধি ৩৭ থেকে ৪০ ধারায় বর্ণিত বিধির অনুরূপ হইবে৷
ধারা-৩৭৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী শুধুমাত্র একটি সন্তান বা একাধিক সন্তান রাখিয়া যান৷- যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী তাহার এক বা একাধিক সন্তান ছাড়া মৃত কোন সন্তানের মাধ্যমে কোন দূরবর্তী সরাসরি বংশধর না রাখিয়া যান, সেক্ষেত্রে তাহার সম্পত্তি কেবলমাত্র একটি সন্তান থাকিলে ঐ জীবিত সন্তান অথবা তাহার সকল জীবিত সন্তানের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করিয়া দিতে হইবে৷
ধারা-৩৮৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী এক বা একাধিক পৌত্র-পৌত্রী ছাড়া কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই৷ - যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী একজন পৌত্র/পৌত্রী বা একাধিক পৌত্র-পৌত্রী ছাড়া জীবিত কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই এবং মৃত পৌত্র/পৌত্রীর মাধ্যমে দূরবর্তী কোন বংশধরও রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে সম্পত্তি পাইবে তাহার জীবিত পৌত্র/পৌত্রী যদি কেবলমাত্র একজন থাকে, অথবা তাহার সকল জীবিত পৌত্র-পৌত্রীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হইয়া যাইবে৷
উদাহরণ
(অ) জন, মেরী এবং হেনরী নামে 'ক' এর তিন সন্তান ছাড়া অন্য কেউ নেই৷ তাহারা সকলে পিতার মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন৷ জন দুইটি, মেরী তিনটি এবং হেনরী চারটি সন্তান রাখিয়া যান৷ পরে ক মৃত পৌত্র/পৌত্রীর কোন বংশধর না রাখিয়া কেবলমাত্র ঐ নয়জন পৌত্র/পৌত্রী রাখিয়া উইলবিহীন অবস্থায় মারা যান৷ তাঁহার প্রত্যেক পৌত্র/পৌত্রী এক নবমাংশ করিয়া পাইবে৷
(আ) কিন্তু হেনরী যদি কোন সন্তান না রাখিয়া মারা যাইতেন, তাহা হইলে সমুদয় সম্পত্তি অকৃত উইলকারীর পাঁচ পৌত্র-পৌত্রী অর্থাত্ জন ও মেরীর সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হয়ে যেত৷
ধারা-৩৯৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী শুধুমাত্র প্রপৌত্র-পৌত্রী বা দূরবর্তী সরাসরি বংশধর রাখিয়া গিয়াছেন৷- একইভাবে সম্পত্তি পাইবে দাগ অনুসারে অকৃত উইলকারীর নিকটতম জীবিত সরাসরি বংশধরগণ, যেক্ষেত্রে তাহারা সকলে ধাপ অনুসারে তাহার প্রপৌত্র. পৌত্রী অথবা ধাপ অনুসারে সকলে আরো দূরবর্তী৷
ধারা-৪০৷ যে ক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান যাহারা তাহার জ্ঞাতির একই ধাপে নয় এবং যাহাদের মাধ্যমে দূরবর্তী বংশধর মৃত৷ - (১) যদি অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান যাহারা তাহার জ্ঞাতির একই ধাপে অবস্থান করেন না এবং যে সকল ব্যক্তির বরাবরে তাহার নিকট হইতে আরো দূরবর্তী বংশধরগণ মৃত সেক্ষেত্রে উইলকারীর সরাসরি বংশধরের সংখ্যার অনুরূপ সমান ভাগে সম্পত্তি বণ্টিত হইবে, যাহারা তাহার মৃত্যুতে তাহার নিকটতম জ্ঞাতি ধাপে অবস্থান করতো অথবা তাহার উত্তরজীবি হিসাবে সরাসরি বংশধর রাখিয়া তাহার পূর্বে তাহার অনুরূপ ধাপের বংশধরগণ মারা যায়৷
(২) উইলকারীর মৃত্যুতে তাহার জ্ঞাতির নিকটতম ধাপে অবস্থানকারী সরাসরি বংশধরগণের প্রত্যেকের মধ্যে উক্ত ভাগের অংশ বণ্টিত হইবে এবং উক্ত মৃত সরাসরি বংশধরগণের প্রত্যেকের সম্পর্কে উক্ত ভাগ বণ্টিত হইবে এবং উক্ত মৃত সরাসরি বংশধর প্রত্যেকের সম্পর্কে বণ্টিত ভাগ তাহার উত্তরজীবি সন্তান বা সন্তানগণ বা অধিক দূরবর্তী সরাসরি বংশধরগণের দখলভুক্ত হইবে৷ যাহারা সর্বদা অকৃত উইলকারী উত্তরজীবি হিসাবে তাহার পিতামাতা যে অংশ পাইত ঐ অংশ গ্রহণ করেন৷
উদাহরণ
(অ) ক- এর জন, মেরী এবং হেনরী নামে তিন সন্তান ছিল৷ জন চার সন্তান, এবং মেরী এক সন্তান রাখিয়া মারা যায়, এবং হেনরী পিতার উত্তরজীবি থাকেন৷ উইলবিহীন অবস্থায় এক-তৃতীয়াংশ হেনরী এক-তৃতীয়াংশ জনের ৪ সন্তান এবং অবশিষ্ট তৃতীয়াংশ মেরীর এক সন্তান পায়৷
(আ) ক- কোন সন্তান রাখিয়া যান নাই, কিন্তু আটজন নাতি-নাতনী এবং মৃত নাতি-নাতনীর দুই সন্তান রাখিয়া যান৷ সম্পত্তি নয় অংশে ভাগ করা হয়, যাহার এক অংশ প্রত্যেক নাতি-নাতনী এবং অবশিষ্ট এক নবমাংশ দুই প্রনাতি-নাতনীর মধ্যে সমান অংশে ভাগ করা হয়৷
(ই) ক-এর তিন সন্তান আছে, জন, মেরী এবং হেনরী৷ জন চার সন্তান, এবং জনের এক সন্তান দুই সন্তান রাখিয়া মারা যান৷ মেরী এক সন্তান রাখিয়া মারা যান৷ 'ক' পরবর্তীতে উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায়৷ তাহার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ হেনরী, এক-তৃতীয়াংশ মেরীর সন্তান এবং এক-তৃতীয়াংশ চার অংশে ভাগ করা হয়, যাহার এক অংশ জনের তিন উত্তরজীবি সন্তানের প্রত্যেকের মধ্যে ভাগ করা হয় এবং অবশিষ্টাংশ জনের দুই নাতি-নাতনীর মধ্যে সমান অংশে ভাগ করা হয়৷
(ঈ) ক-এর দুই জন সন্তান আছে, জন এবং মেরী৷ জন তাহার গর্ভবতী স্ত্রী রাখিয়া পিতার পূর্বে মারা যান৷ তারপর ক মেরীকে রাখিয়া মারা যায় এবং যথাসময়ে জনের সন্তান জন্মায়৷ ক-এর সম্পত্তি মেরী এবং মরণোত্তর সন্তানের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করা হয়৷
সরাসরি বংশধর না থাকিলে বণ্টননীতি
ধারা-৪১৷ অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর রাখিয়া না গেলে বণ্টননীতি৷- যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যান নাই, সেক্ষেত্রে তাহার সম্পত্তি ধারা ৪২ হইবে ৪৮ অনুযায়ী বণ্টনের বিধিসমূহ (একজন বিধবা স্ত্রী থাকিলে তাহার অংশ বাদ দেওয়ার পর)
ধারা-৪২৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা জীবিত৷- যদি অকৃত উইলকারীর পিতা জীবিত থাকেন, তাহা হইলে তিনি সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইবেন৷
ধারা-৪৩৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা মৃত, কিন্তু তাহার মাতা, ভাই এবং বোন জীবিত৷ - অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু তাহার মাতা জীবিত এবং ভাই বা বোনও জীবিত এবং মৃত ভাই বা বোনের কোন সন্তান জীবিত না থাকে সেক্ষেত্রে মাতা এবং জীবিত প্রত্যেক ভাই বা বোন সমান অংশে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইবেন৷
উদাহরণ
ক- তাহার মাতা সহোদর দুই ভাই জন ও হেনরী এবং এক বোন মেরী, যে মায়ের কন্যা, কিন্তু পিতার নয়, রাখিয়া উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেল৷ মাতা এক-চতুর্থ অংশ এবং বৈপিত্রেয় বোন মেরী পাবে এক চতুর্থ অংশ৷
ধারা-৪৪৷ অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু তাহার মাতা জীবিত থাকেন, এবং কোন ভাই বা বোন এবং কোন ভাইয়ের বা বোনের সন্তান বা সন্তান-সন্ততি, যিনি বা যাহার উক্ত অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যেতে পারতেন, জীবিত থাকে, তাহলে মাতা এবং প্রত্যেক জীবিত ভাই বা বোন, এবং প্রত্যেক মৃত ভাই বা বোনের জীবিত সন্তান বা সন্তান-সন্ততি, এমনভাবে সম্পত্তিতে সমান অংশ পাইবে যেন উক্ত অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে এইরূপ সন্তান-সন্ততি (একাধিক হইলে)'র নিজ নিজ পিতা-মাতা জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন তাহারা কেবলমাত্র সেই অংশ সমানভাবে গ্রহণ করছেন৷
উদাহরণ
ক উইল না করে তার মাতা, তার দুই ভ্রাতা জন ও হেনরী এবং মৃত বোন মেরীর এক সন্তান এবং মৃত বৈমাতৃয় ভাই জজের দুই সন্তান রেখে মারা যান৷ মাতা এক পঞ্চমাংশ, মেরীর সন্তান এক পঞ্চমাংশ, জন ও হেনরী প্রত্যেকে এক পঞ্চমাংশ এবং অবশিষ্ট এক পঞ্চমাংশ জজের দুই সন্তানের মধ্যে বণ্টিত হবে৷
ধারা-৪৫৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর পিতা মৃত এবং তাহার মাতা এবং এক ভাই বা বোন কোন মৃতের ভাই বা বোনের সন্তানগণ জীবিত৷- অকৃত উইলকারীর পিতা যদি মৃত হন, কিন্তু মাতা জীবিত থাকেন এবং ভাই ও বোন সকলে মৃত হন, কিন্তু অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহাদের সকল বা একজন সন্তান জীবিত থাকে, তাহা হইলে মাতা এবং প্রত্যেক মৃত ভাই বোনের সন্তান বা সন্তানগণ সম্পত্তিতে এমনভাবে সমান অংশ পাইবে যেন অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় উক্তরূপ সন্তানদের (একাধিক হইলে) নিজ নিজ পিতা মাতা জীবিত থাকিলে যে অংশ পাইতেন তাহারা (সন্তানরা) কেবলমাত্র সেই অংশ সমানভাবে গ্রহণ করিতেছে৷
উদাহরণ
ক- একজন অকৃত উইলকারী৷ তিনি তাহার মাতা এবং মৃত বোন মেরীর এক সন্তান এবং মৃত ভাই জর্জের দুই সন্তান ছাড়া কোন ভাই কিংবা বোন রাখিয়া যান নাই৷ মাতা এক-তৃতীয়াংশ, মেরীর সন্তান এ
-
অধ্যায়-তিন
পারসী অকৃত উইলকারীর জন্য বিশেষ বিধি
ধারা-৫০৷ উইলবিহীন উত্তরাধিকার সম্পর্কিত সাধারণ নীতি-পারসীদের মধ্যে উইলবিহীন উত্তরাধিকারের উদ্দেশ্যে-
(ক) মৃত ব্যক্তির জীবদ্দশায় বাস্তবিকভাবে জন্মগ্রহণকারী এবং তাহার মৃত্যুর সময়ে কেবলমাত্র গর্ভে আসা কিন্তু পরবর্তীতে জীবিত অবস্থায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির মধ্যে কোন পার্থক্য থাকিবে না;
(খ) অকৃত উইলকারীর সরাসরি বংশধর কোন ব্যক্তি যে ব্যক্তি কোন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক না রাখিয়া অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা গিয়াছেন কিংবা কোন সরাসরি বংশধর কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বিভাজন পদ্ধতি নির্ণয়ে বিবেচিত হইবে না; এবং
যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহার কোন অত্মীয়ের বিধবা স্ত্রী পুনরায় বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে ঐ মহিলা অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি কোন অংশ পাইবে না এবং অকৃত উইলকারীর মৃত্যুতে তাহার অস্তিত্ব ছিল না বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
ধারা-৫১৷ পুরুষ অকৃত উইলকারীর স্ত্রী তাহার বিধবা স্ত্রী, সন্তান এবং পিতামাতার মধ্যে বিভাজন সম্পর্কে৷ -(১) উপ-ধারা (২)-এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, একজন পুরুষ পারসীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি ভাগ হইবে-
(ক) যেক্ষেত্রে সে একজন বিধবা স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তান এবং বিধবার অংশ প্রত্যেক কন্যার অংশের দ্বিগুণ পরিমাণে তাহার বিধবা স্ত্রী এবং সন্তানরা পাইবে; বা
(খ) যেক্ষেত্রে সে ছেলেমেয়ে রাখিয়া মারা যান কিন্তু কোন বিধবা স্ত্রী থাকে না, সেক্ষেত্রে প্রত্যেক পুত্রের অংশ প্রত্যেক কন্যার অংশের দ্বিগুণ পরিমাণে সন্তানদের মধ্যে ভাগ হইবে৷
(২) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সন্তান অথবা বিধবা স্ত্রী এবং সন্তান ছাড়াও পিতামাতার একজন অথবা উভয়কে রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে পিতা এক পুত্রের অর্ধেকের সমান অংশ এবং মাতা এক কন্যার অর্ধেকের সমান অংশ পাইবে৷
ধারা-৫২৷ বিপত্নীক স্বামী এবং সন্তানের মধ্যে একজন মহিলা অকৃত উইলকারীর সম্পত্তি বিভাজন৷ -একজন মহিলা পারসীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি বণ্টিত হইবে-
(ক) যেক্ষেত্রে সে স্বামী এবং সন্তান রাখিয়া মারা যায়, সেক্ষেত্রে বিপত্নীক স্বামী এবং সন্তানদের মধ্যে যাহাতে বিপত্নীক স্বামী এবং প্রত্যেক সন্তান সমান অংশ পায়; বা
(খ) যেক্ষেত্রে সে সন্তান রাখিয়া, কিন্তু স্বামী নয়, মারা যায়, সেক্ষেত্রে সমান অংশে সন্তানদের মধ্যে৷
ধারা-৫৩৷ সরাসরি বংশধর রাখিয়া যাওয়া অকৃত উইলকারীর পূর্বমৃত সন্তানের অংশের ভাগ৷- যে সকল ক্ষেত্রে একজন পারসী ব্যক্তি সরাসরি বংশধর রাখিয়া মারা যায় এবং তাহার জীবদ্দশায় তাহার কোন সন্তান মারা যায়, সেক্ষেত্রে উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া তাহার সম্পত্তি অংশ, যাহা তাহার ঐরূপ পুত্র তাহার মৃত্যুর সময় জীবিত থাকলে পাইত, নিম্নলিখিত বিধি মোতাবেক বণ্টিত হইবে, যথাঃ-
(ক) যদি ঐরূপ মৃত সন্তান পুত্র হইত, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী এবং সন্তান এই অধ্যায়ের বিধানাবলী মোতাবেক এমনভাবে অংশ পাইবে যেন অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে সে (ঐরূপ সন্তান) মারা গিয়াছেঃ তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ঐরূপ মৃত সন্তান একজন বিধবা স্ত্রী কিংবা সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া গিয়াছেন কিন্তু কোন সরাসরি বংশধর রাখিয়া যায় নাই, সেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তিতে উক্তরূপ বণ্টনের পর তাহার ভাগের অবশিষ্টাংশ এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অনুযায়ী ভাগ হইবে, এবং উক্তরূপ অবশিষ্টাংশ বণ্টনের বেলায় অকৃত উইলকারীর উক্ত মৃত সন্তান বিবেচিত হইবে না৷
(খ) যদি উক্ত মৃত সন্তান কন্যা হ্ইত, তাহা হ্ইলে তাহার অংশ তাহার সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হইবে৷
(গ) যদি উক্ত সন্তানের কোন সন্তান অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়, তাহা হ্ইলে অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকিলে তাহার প্রাপ্য অংশ ক্ষেত্রমত দফা (ক) বা দফা (খ) অনুযায়ী একইভাবে বণ্টিত হইবে৷
(ঘ) যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীর জীবদ্দশায় তাহার কোন দূরবর্তী সরাসরি বংশধর মারা যায়, সেক্ষেত্রে (গ) দফার বিধানাবলী প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ অকৃত উইলকারীর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকিলে সে যে অংশ পাইত ঐ অংশের বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হ্ইবে তাহা হ্ইলে এবং অকৃত উইলকারীর মধ্যে অকৃত উইলকারীর সকল সরাসরি বংশধরের পূর্ব-মৃত্যুজনিত কারণে৷
Case Law
Section 63 & 283- Admittedly, except PW1 no one was examined among the 8 attesting withnesses to prove attestation of the alleged will and no explanation was given for their non-examination even though the law required that at least two attesting witnesses each of whom saw the testator sign or affix his mark should be examined by the propounder of the will. The long delay of 15 years in filing the application for probate was not explained. The alleged will was found not to be physically genuine. [Bhagirat Barman & another Vs. Haricharan Barman, 4 BLC 234].
ধারা-৫৪৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি কোন বংশধর রাখিয়া যান না কিন্তু বিধবা স্ত্রী, বিপত্নীক স্বামী বা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান সেক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টন৷- যেক্ষেত্রে একজন পারসী কোন সরাসরি বংশধর না রাখিয়া মারা যান কিন্তু একজন বিধবা স্ত্রী, বিপত্নীক স্বামী অথবা সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া মারা যান, সেক্ষেত্রে তাহার উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি নিম্নলিখিত বিধি অনুসারে বণ্টিত হইবে,
যথাঃ-
(ক) যদি বিধবা স্ত্রী একজন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া যান, কিন্তু সরাসরি বংশধরের কোন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান না, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী উক্ত সম্পত্তির অর্ধেক পাইবে৷
(খ) যদি অকৃত উইলকারী একজন বিধবা স্ত্রী অথবা বিপত্নীক স্বামী এবং কোন সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রীও রাখিয়া যান, তাহা হইলে বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাইবে, কিংবা যদি উক্তরূপ একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকে, তাহা হইলে সর্বশেষ উল্লেখিত এক-তৃতীয়াংশ তাহাদের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হইবে৷
(গ) যদি অকৃত উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী কিংবা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া না যান কিন্তু সরাসরি বংশধরের একজন বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যান, তিনি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাইবেন কিংবা যদি অকৃত উইলকারী কোন বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী রাখিয়া না যান কিন্তু সরাসরি বংশধরের একাধিক স্ত্রী রাখিয়া যান, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ উক্তরূপ বিধবাদের মধ্যে সমান অংশে বণ্টিত হইবে৷
(ঘ) (ক), (খ) বা (গ) দফায় উল্লিখিত অংশ বণ্টনের পরে অবশিষ্টাংশ তফসীল ২ এর ভাগ এক- এ উল্লিখিত অকৃত উইলকারীর আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ক্রমানুসারে বণ্টিত হইবে৷ উক্ত তফসিলের ভাগ ১-এ প্রথমে অবস্থানকারী নিকটাত্বীয়গণ, দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী আত্মীয়গণের উপর প্রাধান্য পাইবে৷ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণ, তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর এবং এইভাবে ক্রমপর্যায়ে, তবে শর্ত থাকে যে, সম্পত্তি এমনভাবে বণ্টিত হইবে যাহাতে প্রত্যেক পুরুষ নিকট আত্মীয়ের দিক হইতে একই ধাপে অবস্থানকারী প্রত্যেক মহিলার দ্বিগুণ পায়৷
(ঙ) দফা (গ)-এ উল্লিখিত অবশিষ্টাংশের অধিকারী যদি কোন আত্মীয় স্বজন না থাকে, তাহা হইলে সম্পূর্ণ অবশিষ্টাংশ এই ধারায় অংশ লাভে অধিকারী ব্যক্তিগণের মধ্যে উল্লিখিত অংশের আনুপাতিক হারে বণ্টিত হইবে৷
ধারা-৫৫৷ যেক্ষেত্রে অকৃত উইলকারী সরাসরি বংশধর কিংবা বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রীও রাখিয়া না যান সেক্ষেত্রে সম্পত্তির বণ্টন৷ -যেক্ষেত্রে একজন পারসী সরাসরি কোন বংশধর কিংবা বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী কিংবা কোন সরাসরি বংশধরের বিধবা স্ত্রী রাখিয়া না যান, দ্বিতীয় তফসিলের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত ক্রমানুসারে তাহার নিকট আত্মীয়গণ তাহার উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া সম্পূর্ণ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইবেন৷ উক্ত তফসিলের দ্বিতীয় ভাগে প্রথমে অবস্থানকারী নিকট আত্মীয়গণ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর প্রাধান্য পাইবে, দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণ তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারীগণের উপর এবং এইভাবে ক্রমানুযায়ী, তবে শর্ত থাকে যে, সম্পত্তি এমনভাবে বণ্টিত হইবে যাহাতে প্রত্যেক পুরুষ নিকটাত্মীয় দিক হইতে একই ধাপে অবস্থানকারী প্রত্যেক মহিলা দ্বিগুণ পায়৷
ধারা-৫৬৷ যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলী অধীনে উত্তরাধিকার লাভে কোন আত্মীয় না থাকে সেক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টন৷- যেক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলীর অধীন উইলবিহীন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়া পারসী সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হওয়ার মতো কোন আত্মীয় না থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি তাহার জ্ঞাতির দিক হইতে নিকটতম ধাপে অবস্থানকারী আত্মীয়জনের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হইবে৷
-
ভাগ-৬
উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকার
অধ্যায়-এক
সূচনাপবᐂ
ধারা-৫৭৷ হিন্দু, প্রভৃতি কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে এই ভাগের কতিপয় বিধানাবলীর প্রয়োগ৷- তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত এই ভাগের কতিপয় বিধানাবলী উক্ত তফসিলে উল্লেখিত বাধা-নিষেধ এবং পরিবর্তন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য হইবে-
(ক) বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে ১৮৭০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তারিখে বা তত্পরবর্তীতে কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত সকল উইল এবং কডিসিল (Codicil) -এর ক্ষেত্রে; এবং
(খ) উক্ত ভূ-খণ্ড এবং সীমার বাইরে কৃত সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রে ততখানি যতখানি উহা ভু-খণ্ড বা সীমার মধ্যে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত হইবে, এবং
(গ) যে সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রে দফা (ক) এবং (খ)-এর বিধানাবলী প্রযুক্তি নয়, ১৯২৭ সালের ১লা জানুয়ারী তারিখে বা তত্পরবর্তীতে কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত ঐ সকল উইল এবং কডিসিলের ক্ষেত্রেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বিবাহের মাধ্যমে উক্তরূপ কোন উইল বা কডিসিল প্রত্যাহার করা যাইবে না৷
ধারা-৫৮৷ এই ভাগের সাধারণ প্রয়োগ৷- (১) এই ভাগের বিধানাবলী কোন মুসলমানের সম্পত্তিতে উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কিংবা ৫৭ ধারায় যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈনের সম্পত্তিতে উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, কিংবা উহা ১৮৬৬ সনের ১লা জানুয়ারীর পূর্বে কৃত কোন উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
(২) (১) উপধারায় কিংবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা বলা হইয়াছে উহা ব্যতীত এই ভাগের বিধানাবলী উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাংলাদেশের আইন বলে গণ্য হইবে৷
অধ্যায় -দুই
উইল এবং কডিসিল সম্পর্কিত
ধারা-৫৯৷ উইল সম্পাদনে যোগ্য ব্যক্তি৷- নাবালক নয় এমন সুস্থ মস্তিষ্ক প্রত্যেক ব্যক্তিই উইলের মাধ্যমে তাঁহার সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷
ব্যাখ্যা ১৷ একজন বিবাহিত মহিলা তাঁহার জীবদ্দশায় তাঁহার নিজস্ব কার্যের মাধ্যমে যে সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারিতেন উইলের মাধ্যমে ঐ সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷
ব্যাখ্যা ২৷ বধির, বোবা বা অন্ধ ব্যক্তিগণ উইল সম্পাদনে অযোগ্য হইবে না যদি তাহারা জানে যে তদদ্বারা তাহারা কি করিতেছে৷
ব্যাখ্যা ৩৷ স্বাভাবিকভাবে বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তি তাঁহার সুস্থ মস্তিষ্কের বিরামকালে উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন৷
ব্যাখ্যা ৪৷ যদি কোন ব্যক্তি মাতাল অবস্থা কিংবা অসুস্থতা কিংবা অন্যকোন কারণে এমন মানসিক অবস্থায় থাকে যে, তিনি কি করিতেছেন তাহা তিনি জানেন না, তাহা হইলে ঐ ব্যক্তি উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন না৷
উদাহরণ
(১) ক- তাহার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কি হইতেছে তাহা বুঝিতে পারে এবং জানা সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে কিন্তু তাহার সম্পত্তির বা তাহার জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণের প্রকৃতি সম্পর্কে পূর্ণ অবহিতি নাই কিংবা উইল সম্পাদন করিলে তাহার সুবিধা হইবে উহা সম্পর্কেও ধারণা নাই৷ ক- কোন বৈধ উইল সম্পাদন করিতে পারিবে না৷
(২) ক- উইল বলিয়া গণ্য এমন একটা দলিল সম্পাদন করে, কিন্তু সে দলিলের প্রকৃতি কিংবা ইহার বিধানের প্রভাব সম্পর্কে কিছু জানে না৷ দলিলটি বৈধ উইল না৷
(৩) ক একজন দুর্বল ব্যক্তি, কিন্তু সে তাঁহার সম্পত্তি যথার্থ বিলি ব্যবস্থা সম্পর্কে রায় দিতে পারে এবং সেই অনুসারে উইল সম্পাদন করে৷ এটা একটি বৈধ উইল৷
ধারা-৬০৷ উইল সংক্রান্ত অভিভাবক৷- বয়স যাহাই হোক না কেন একজন পিতা উইলের মাধ্যমে নাবালক অবস্থায় তাহার সন্তানের অভিভাবক নিযুক্ত হইতে পারিবেন৷
ধারা-৬১৷ প্রতারণা, বল প্রয়োগ বা জবরদস্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত উইল৷- কোন উইল বা উইলের কোন অংশ প্রতারণা, বল প্রয়োগ কিংবা উইলকারীর সম্মতি নাই এমন জোর জবরদস্তির মাধ্যমে সম্পাদিত হইলে উইলটি বাতিল বলে গণ্য হইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক- মিথ্যাভাবে এবং জানিয়া উইলকারীর নিকট এইরূপ বলে যে তাহার একমাত্র সন্তান মৃত কিংবা সে কিছু অনৈতিক কার্য করিয়াছেন এবং তদদ্বারা ক-কে তাঁহার বরাবরে উইল করার জন্য প্ররোচিত করে৷ এইরূপ উইল প্রতারণার মাধ্যমে লাভ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং ইহা অবৈধ৷
(আ) ক- প্রতারণা এবং সঠতার মাধ্যমে তাহার বরাবরে উইল করিয়া দিবার জন্য উইলকারীকে প্ররোচিত করে৷ উইলটি অবৈধ৷
(ই) ক- আইনগত কর্তৃপক্ষের কয়েদি থাকা অবস্থায় উইল সম্পাদন করে৷ কয়েদবাসের কারণে উইলটি অবৈধ নয়৷
(ঈ) গ-কে উইল করিয়া না দিলে ক-খ কে গুলি করার বা তাহার বাড়ি পুড়িয়ে দেবার বা ফৌজদারী অভিযোগে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেয়৷ ফলে খ, গ কে উইল করিয়া দেয়৷ বল প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পাদিত বলিয়া উইলটি বেআইনী৷
(উ) অন্যের প্রভাবে প্রভাবিত না হইয়া উইল করার মত পর্যাপ্ত বুদ্ধি ক-এর আছে৷ সে খ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা অবস্থায় খ-এর নির্দেশে উইল সম্পাদন করে৷ এইরূপ প্রতীয়মান হইবে যে, ক-এর ভয়েই খ উইল সম্পাদন করিয়াছেন৷ উইলটি বেআইনী৷
(ঊ) ক-এর এমন ভগ্ন স্বাস্থ্য যে, অন্যের জবরদস্তি প্রতিরোধ করিতে অক্ষম৷ ক, খ-এর চাপে পড়িয়া শুধুমাত্র শান্তি রক্ষার্থে একটা নির্দিষ্ট অংশ উইল করিয়া দেয়৷ উইলটি বেআইনী৷
(ঋ) ক-এর এমন ভগ্ন স্বাস্থ্য যে, সে তাহার নিজস্ব বিবেচনা এবং ইচ্ছা প্রয়োগ করিতে অক্ষম৷ খ-এর অনুনয় বিনয় এবং প্ররোচনায় খ-এর সুপারিশক্রমে কিন্তু তাহার নিজস্ব বিবেচনা এবং ইচ্ছায় একটা উইল করে৷ উইলটি খ এর অনুনয় বিনয় এবং প্ররোচনায় সম্পাদিত হইলেও বেআইনী হইবে না৷
(এ) ক, খ-এর নিকট হইতে উইলপত্র লাভের উদ্দেশ্যে তাহার (খ-এর) মনোযোগ আকৃষ্ট করিয়া তাহাকে তোষামোদ করেন এবং তাহার মধ্যে ক-এর প্রতি একটি খামখেয়ালি পক্ষপাতিত্বের সৃষ্টি করে৷ এইরূপ মনোযোগ ও তোষামোদের ফলে 'খ' উইল করিয়া ক-কে উইলপত্র দিয়া দেন৷ ক-এর উক্ত মনোযোগ ও তোষামোদের কারণে উইলটি বে-আইনী হইবে না৷
ধারা-৬২৷ উইল প্রত্যাহার কিংবা পরিবর্তন করা যাইবে৷- উইলের মাধ্যমে সম্পত্তি বিলি ব্যবস্থাকরণে যোগ্য হইলেই উইল সম্পাদনকারী উইলটি প্রত্যাহার কিংবা পরিবর্তন করিতে পারিবেন৷
-
অধ্যায়-তিন
প্রকাশিত উইলের সম্পাদন সম্পর্কে
ধারা-৬৩৷ প্রকাশিত উইলের সম্পাদন৷- কোন অভিযানে নিয়োজিত বা যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সৈনিক নয় অথবা অনুরূপভাবে নিয়োজিত বা সংশ্লিষ্ট বৈমানিক অথবা সমুদ্রের নাবিক নয় এমন প্রত্যেক উইলকারী নিম্ললিখিত বিধি মোতাবেক উইল সম্পাদন করিতে পারিবেন-
(ক) উইলকারী উইলে স্বাক্ষর করিবেন কিংবা তাঁহার চিহ্ন (mark) লটকাইয়া দিবেন কিংবা উইলটি তাঁহার উপস্থিতি এবং নির্দেশে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে৷
(খ) উইলকারীর স্বাক্ষর বা চিহ্ন বা তাঁহার পক্ষে স্বাক্ষরকারীর স্বাক্ষর এমনভাবে দিতে হইবে যে, যাহাতে উহা উইল হিসাবে কার্যকর লিখন হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা হইয়াছিল এইরূপ প্রতীয়মান হয়৷
(গ) উইলে উইলকারীকে স্বাক্ষর দিতে কিংবা চিহ্ন লটকাইয়া দিতে দেখিয়াছেন অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উইলে স্বাক্ষর করিতে দেখিয়াছেন, এমন দুই বা ততোধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে উইলটি সত্যায়িত হইতে হইবে এবং উইলকারীর নির্দেশে অথবা উইলকারীর নিকট হইতে তাঁহার স্বাক্ষর বা চিহ্ন সম্পর্কে কিংবা উক্তরূপ ব্যক্তির স্বাক্ষর সম্পর্কে ব্যক্তিগত পরিচিতি লাভ করিয়াছেন এবং প্রত্যেক সাক্ষী উইলকারীর উপস্থিতিতে উইলে স্বাক্ষর করিবেন কিন্তু একই সময়ে একাধিক সাক্ষীর উপস্থিতি এবং সত্যায়িত করার বিশেষ কোন ফরমের প্রয়োজন হইবে না৷
ধারা-৬৪৷ রেফারেন্সের মাধ্যমে কাগজপত্রের অন্তর্ভূক্তি৷- যথাযথভাবে নিবন্ধিত কোন উইল বা কডিসিলে যদি কোন উইলকারী তাঁহার ইচ্ছার প্রকাশ স্বরূপ লিখিত অন্য কোন দলিলের বরাত দিয়া থাকেন, তাহা হইলে ঐ দলিল উইল বা কডিসিলের অংশ বলিয়া বিবেচিত হইবে৷ উপযুক্ত উইলকারী উইল সম্পাদন করিলে এই অনুমান করা যায় যে, তিনি উইলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানিতেন এবং উহা অনুমোদন করিয়াছেন৷
-
অধ্যায় -চার
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত (প্রিভিলেজড) উইল সম্পর্কে
ধারা-৬৫৷ প্রিভিলেজড উইল৷- কোন অভিযানে নিয়োজিত বা যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সৈনিক অথবা অনুরূপভাবে নিয়োজিত বা সংশ্লিষ্ট বৈমানিক অথবা সমুদ্রের নাবিক এমন যে কেউ, যদি তিনি ১৮ বত্সর বয়স পূর্ণ করে থাকেন, ৬৬ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে উইলের মাধ্যমে তাঁহার সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারিবেন৷ এইরূপ উইলকে প্রিভিলেজড উইল বলে৷
উদাহরণ
(অ) কোন রেজিমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট ক, একজন মেডিকেল অফিসার, সত্যিকারে কোন অভিযানে নিয়োজিত৷ তিনি প্রকৃতই কোন অভিযানে নিয়োজিত সৈনিক, আর তাই প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন৷
(আ) ক, সমুদ্রে অবস্থানরত কোন বাণিজ্যিক জাহাজের পার্সার (Purser), তিনি একজন নাবিক, এবং সমুদ্রে অবস্থান করায় প্রিভেলেজড উইল করতে পারবেন৷
(ই) ক, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ময়দানে যুদ্ধরত একজন সৈনিক হওয়ায় তিনি প্রকৃত পক্ষেই যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োজিত বলে গণ্য হন এবং সেইহেতু প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন৷
(ঈ) ক, একটা জাহাজের নাবিক৷ সমুদ্র যাত্রাকালে অল্প সময়ের জন্য তিনি তীরবর্তী পোতাশ্রয়ে শুয়ে আছেন৷ এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণ কল্পে তিনি সমুদ্রের একজন নাবিক হওয়ায় প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন৷
(উ) নৌবাহিনীর কমান্ডদানকারী একজন এডমিরাল৷ কিন্তু তিনি তীরে বাস করেন এবং মাঝে মাঝে জাহাজে গমন করেন৷ তিনি সমুদ্রে অবস্থানকারী হিসেবে গণ্য না হওয়ায় প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন না৷
(ঊ) ক সামরিক অভিযানে কর্মরত একজন নাবিক, কিন্তু সমুদ্রে অবস্থানরত নয়৷ তিনি একজন সৈন্য হিসাবে গণ্য হওয়ায় প্রিভিলেজড উইল করতে পারবেন৷
ধারা-৬৬৷ প্রিভিলেজড উইল করার নিয়ম এবং সম্পাদনের বিধি৷-(১) প্রিভিলেজড উইল লিখিত হইতে পারিবে, অথবা মৌখিকভাবেও করা যাইবে৷
(২) প্রিভিলেজড উইলের সম্পাদন নিম্নলিখিত বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবেঃ
(ক) উইলটি সম্পূর্ণভাবে উইলকারীর নিজহাতে লিখিত হইতে পারিবে৷ এইরূপ ক্ষেত্রে উহা স্বাক্ষরিত কিংবা সত্যায়িত হওয়ার প্রয়োজন নাই৷
(খ) উহা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে লিখিত হইতে পারিবে এবং উইলকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে পারিবে৷ এই ক্ষেত্রে উহা সত্যায়িত হওয়ার প্রয়োজন নাই৷
(গ) যদি হিসাবে বিবেচিত দলিলটি অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে লিখিত হয় এবং উইলকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত না হয়, তাহা হইলে, যদি এই মর্মে প্রমাণ করা যায় যে, উহা উইলকারীর নির্দেশে লিখিত হইয়াছে কিংবা তিনি উহা উইল হিসাবে স্বীকার করিয়াছেন, দলিলটি তাঁহার উইল হিসাবে বিবেচিত হইবে৷
(ঘ) যদি দলিল হইতে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, দলিলটি উইলকারীর ইচ্ছানুযায়ী সম্পূর্ণ করা হয় নাই, তাহা হইলে উক্ত কারণে, দলিলটি উইল হিসাবে বৈধ হইবে না, এই শর্তে যে, দলিলটির অসম্পাদন দলিলে প্রকাশিত উইল সংক্রান্ত অভিপ্রায়ের পরিত্যাগ ব্যতীত যুক্তিসংগতভাবে অন্য কোন কারণ অনুমোদন করা যাইবে৷
(ঙ) যদি সৈনিক, বৈমানিক এবং নাবিকদের উইল প্রস্তুতের জন্য লিখিত নির্দেশ থাকে, কিন্তু উইল প্রস্তুত এবং সম্পাদিত হওয়ার আগে মারা যায়, তাহা হইলে ঐরূপ নির্দেশ তাঁহার উইল সৃষ্টিকারী হিসাবে বিবেচিত হইবে৷
(চ) যদি উইল প্রস্তুত করার জন্য সৈনিক, বৈমানিক কিংবা নাবিক, দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মৌখিক নির্দেশ দিয়া থাকেন, এবং উক্ত নির্দেশ তাঁহার জীবদ্দশায় লিখিত হইয়া থাকে, কিন্তু উহা প্রস্তুত এবং সম্পাদনের আগেই তিনি মারা যান, তাহা হইলে উক্ত নির্দেশ তাহার উপস্থিতিতে লিখিত না হইলেও কিংবা তাহাকে পাঠ করিয়া শুনানো না হইলেও উইল বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
(ছ) সৈনিক, বৈমানিক কিংবা নাবিক এই সময়ে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাঁহার ইচ্ছা ঘোষণার মাধ্যমে মৌখিকভাবে উইল তৈরী করিতে পারিবেন৷
(জ) মৌখিকভাবে তৈরী উইল এক মাসের অবস্থানে বাতিল হইয়া যাইবে এবং তত্পরে উইলকারী জীবিত থাকিলেও কোন প্রিভিলেজড উইল করিতে পারিবেন না৷
-
অধ্যায়-পাঁচ
উইল সত্যায়িতকরণ, প্রত্যাহার, পরিবর্তন এবং পুর্নবহাল সম্পর্কে
ধারা-৬৭৷ সত্যায়িতকরণ সাক্ষীকে প্রদত্ত দানের ফল৷- উইল সত্যায়িতকারী কোন ব্যক্তি, কিংবা তাঁহার স্বামী বা স্ত্রীকে বিকোয়েস্ট বা চাকুরী হিসাবে প্রদত্ত কোন লাভের কারণে উইলটি অপর্যাপ্তভাবে সত্যায়িত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে না কিন্তু রিকোয়েস্ট বা পদ/চাকুরীটি যতদূর পর্যন্ত সত্যায়িতকারী ব্যক্তি, তাহার স্বামী বা স্ত্রী, কিংবা তাহাদের মাধ্যমে দাবীদার যে কোন সম্পর্কে হইবে তত্দূর পর্যন্ত বাতিল বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
ধারা-৬৮৷ স্বার্থ থাকিবার কিংবা নির্বাহক হওয়ার কারণে সাক্ষীগণ অযোগ্য হইবেন না৷-উইলে স্বার্থ থাকা কিংবা নির্বাহক হওয়ার কারণে কোন ব্যক্তি সাক্ষী হিসাবে উইলটির সম্পাদন প্রমাণ করার কিংবা উহার বৈধতা বা অবৈধতা প্রমাণ করার অযোগ্য হইবেন না৷
ধারা-৬৯৷ উইলকারীর বিবাহের মাধ্যমে উইল প্রত্যাহার৷ - পদের ক্ষমতাবলে প্রস্তুত ব্যতীত প্রত্যেকটি উইল উইলকারীর বিবাহের মাধ্যমে প্রত্যাহৃত হইবে, যখন উক্ত পদের ক্ষমতা প্রযোজ্য সম্পত্তি, উক্তরূপ বন্দোবস্ত না থাকিলে তাঁহার নির্বাহক বা প্রশাসক কিংবা উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে অধিকারী ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইত৷
ব্যাখ্যা- যখন কোন ব্যক্তি তিনি মালিক নন এমন কোন সম্পত্তির বিলিব্যবস্থা নির্ধারণ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন, তখন ঐরূপ সম্পত্তি নির্দিষ্ট করিবার ক্ষমতা তাঁহার থাকিবে৷
ধারা-৭০৷ আনপ্রিভিলেজড উইল বা কডিসিলের প্রত্যাহার৷- কোন আনপ্রিভিলেজড উইল বা উহার কোন অংশ, বিবাহ বা অন্যকোন উইল বা কডিসিল কিংবা উহা প্রত্যাহার করিবার জন্য কোন লিখিত ঘোষণা এবং ইতিপূর্বে সম্পাদিত হওয়ার জন্য আনপ্রিভিলেজড উইল সম্পাদনের পদ্ধতি কিংবা উহা প্রত্যাহারের ইচ্ছায় তাঁহার উপস্থিতিতে বা নির্দেশে তদকর্তৃক বা অন্যকোন ব্যক্তি কর্তৃক পুড়ে যাওয়া, ছিঁড়ে ফেলা বা অন্য কোনভাবে ধ্বংস হওয়া ব্যতীত, প্রত্যাহৃত হইবে না৷
উদাহরণ
(অ) ক- একটা আনপ্রিভিলেজড উইল করিয়াছেন৷ পরবর্তীতে তিনি প্রথমটির প্রত্যাহারের ইচ্ছায় অন্য আরেকটি প্রিভিলেজড উইল করিয়াছেন৷ ইহা প্রত্যাহার হইবে৷
(আ) ক- একটা আনপ্রিভিলেজড উইল করেন৷ পরবর্তীতে তিনি অন্য একটা প্রিভিলেজড উইল করিবার অধিকারী হইয়া আনপ্রিভিলেজড উইল প্রত্যাহারের ইচ্ছায় একটা প্রিভিলেজড উইল করেন৷ এটা প্রত্যাহার হইবে৷
ধারা-৭১৷ আনপ্রিভিলেজড উইলে বিলোপ, ইন্টার-লাইনেশন, বা পরিবর্তনের ফল৷- যতদূর পর্যন্ত কোন আনপ্রিভিলেজড উইলের শব্দাবলী বা অর্থ অপাঠ্য বা বোধগম্যহীন হয়, ততদূর পর্যন্ত ব্যতীত সম্পাদনের পরে উহাতে কোন বিলোপ, ইন্টারলাইনেশন বা পরিবর্তন ঘটানো যাইবে না, যদি না উইল সম্পাদনের জন্য ইতোপূর্বে পদ্ধতিতে উক্ত পরিবর্তন সম্পাদিত না হইয়া থাকেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপে পরিবর্তিত উইল যথোপযুক্তভাবে সম্পাদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যদি উইলের শেষ প্রান্তে বা মাঝের কোন অংশে বা উক্ত পরিবর্তনের বিপরীতে বা নিকটে বা উক্ত পরিবর্তনের উল্লেখকারী স্মারকের শেষে বা বিপরীতে উইলকারীর স্বাক্ষর এবং সাক্ষীর নাম সই দেওয়া হয় এবং উইলের শেষে বা অন্য কোন অংশে লিখিত হয়৷
ধারা-৭২৷ প্রিভিলেজড উইল বা কডিসিলের প্রত্যাহার৷- একটা প্রিভিলেজড উইল বা কডিসিল কোন আনপ্রিভিলেজড উইল বা কডিসিলের মাধ্যমে অথবা উহা প্রত্যাহারের ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া কোন কার্যের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা যাইবে এবং প্রিভিলেজড উইলের বৈধতা দেওয়ার পর্যাপ্ত আনুষ্ঠানিকতাও উহার সহিত থাকিতে হইবে৷ আবার উহা প্রত্যাহারের ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া উইলকারীর দ্বারা অথবা তাঁহার উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে কোন ব্যক্তির দ্বারা পুড়িয়ে, ছিড়ে ফেলে কিংবা অন্য কোনভাবে ধ্বংস করিয়াও প্রত্যাহার করা যাইবে৷
ব্যাখ্যা - প্রিভিলেজড উইলকে বৈধতা দান করার পর্যাপ্ত আনুষ্ঠানিকতা সংযোগে কার্যদ্বারা প্রিভিলেজড উইল বা কডিসিলের প্রত্যাহারার্থে উক্ত কার্য করিবার সময় উইলকারীকে প্রিভিলেজড উইল করিবার অবস্থানে থাকিবার প্রয়োজন নাই৷
ধারা-৭৩৷ আন প্রিভিলেজড উইলের পুনর্বহাল৷- (১) প্রত্যাহার করা হইয়াছে এমন কোন আন প্রিভিলেজড উইল বা কডিসিল বা উহার কোন অংশবিশেষ উহার পুন সম্পাদন, কিংবা কডিসিল সম্পাদিত হবার পূর্বোক্ত পদ্ধতি এবং উহা পুনর্বহালের ইচ্ছা প্রকাশ ব্যতীত অন্য কোনভাবে পুনর্বহাল করা যাইবে না৷
(২) যখন আংশিকভাবে প্রত্যাহার করা হইয়াছে এবং পরবর্তীতে সস্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হইয়াছে এইরূপ কোন উইল বা কডিসিল পূনর্বহাল করা হয়, তখন এইরূপ পুনঃপ্রচলন সম্পূর্ণ অংশের প্রত্যাহারের পূর্বে যতখানি প্রত্যাহার করা হইয়াছে ততখানি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হইবে; উক্ত উইল বা কডিসিলের মাধ্যমে বিপরীত মর্মে কোন ইচ্ছা প্রমাণিত না হইলে৷
-
অধ্যায় -ছয়
উইলের ব্যাখ্যা সম্পর্কে
ধারা-৭৪৷ উইলের শব্দ৷- উইলে কোন টেকনিক্যাল শব্দ বা কলা সম্পর্কিত পদ ব্যবহৃত হইবে এইরূপ প্রয়োজন নাই, তবে শুধুমাত্র উইল হইতে উইলকারীর ইচ্ছা জানা যায় এইরূপ শব্দ ব্যবহার করিতে হইবে৷
ধারা-৭৫৷ উইলের উদ্দেশ্য বা বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন নির্ণয়ে তদন্ত৷- উইলের ব্যবহৃত কোন শব্দাবলীর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা কোন সম্পত্তি নির্দেশ করা হইয়াছে৷ এতদবিষয়ে প্রশ্নের নিষ্পত্তিকল্পে আদালত উক্ত উইলের অধীনে স্বার্থ আছে বলিয়া দাবীদার ব্যক্তি সম্পর্কিত প্রত্যেকটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা/বিষয়, বিলি ব্যবস্থার বিষয় হিসাবে দাবীকৃত সম্পত্তি, উইলকারী এবং তাহার পরিবারের অবস্থা এবং উইলকারী ব্যবহার করিয়াছে এইরূপ শব্দের সঠিক প্রয়োগ সহায়তা করিতে পারে৷ এইরূপ প্রত্যেকটি ঘটনার অবগতি সম্পর্কে তদন্ত করিবে৷
উদাহরণ
(অ) ক- উইলের মাধ্যমে তাঁহার জ্যেষ্ঠ সন্তানকে অথবা তাহার কনিষ্ঠ নাতী/নাতনীকে অথকা তাঁহার চাচাতো বোন মেরীকে দান করেন৷ উইলের বর্ণনা কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উহা নিষ্পত্তিকল্পে আদালত তদন্ত করিতে পারিবে৷
(আ) ক, উইলের মাধ্যমে খ কে ''ব্লাক একর'' নামে আমার ভূ-সম্পত্তি দান করেন৷ উইলের বিষয়বস্তু কি উহা নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে অর্থাত্ উইলকারী কোন ভূ-সম্পত্তিকে ব্লাক একর বলেন উহা নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ করা আবশ্যক হইবে৷
(ই) ক, খ কে উইলের মাধ্যমে ''গ-এর নিকট হইতে আমি ক্রয়কৃত সম্পত্তি'' দান করেন৷ কোন সম্পত্তি খ-এর নিকট হইতে গ ক্রয় করিয়াছেন উহা নির্ণয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাইবে৷
ধারা-৭৬৷ উদ্দেশ্যের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা বা ভ্রান্ত বর্ণনা৷- (১) যেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা বা উত্তরদায়গ্রহীতার শ্রেণীকে বর্ণনা করার জন্য উইলে ব্যবহৃত শব্দাবলীর অর্থ কি এইরূপ বুঝানো হয়, সেক্ষেত্রে নামের বর্ণনায় বিদ্যমান কোন ভুল উত্তরদায় কার্যকর হইতে বিরত থাকিবে না৷
(২) উত্তরদায়গ্রহীতার নামে ভুল তাহাকে বর্ণনার দ্বারা এবং উত্তরদায়গ্রহীতার বর্ণনায় ভুল নামের দ্বারা সংশোধন করা যাইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক-একটি উত্তর দায় ''আমার ভাই জনের দ্বিতীয় পুত্র থমাসকে'' উইল করিয়া দিলেন৷ উইলকারীর একটিমাত্র ভাই ছিল জন নামে যাহার থমাস নামে কোন সন্তান নেই৷ কিন্তু উইলিয়াম নামে দ্বিতীয় পুত্র আছে৷ উইলিয়াম উক্ত উত্তরদায় পাইবে৷
(আ) ক, ''আমার ভাই জনের দ্বিতীয় পুত্র থমাস'' কে উত্তরদায় উইল করিয়া দেন৷ উইলকারী জন নামে একটিমাত্র ভাই আছে, যাহার প্রথম সন্তানের নাম থমাস এবং দ্বিতীয় পুত্রের নাম উইলিয়াম৷ থমাস উত্তরদায় পাইবে৷
(ই) উইলকারী তাঁহার সম্পত্তি ''গ-এর বৈধ সন্তান ক, এবং খ কে'' উইল করিয়া দিলেন৷ গ-এর কোন বৈধ সন্তান নেই, তবে ক ও খ নামে দুইটি অবৈধ সন্তান আছে৷ অবৈধ হইলে দানটি ক ও খ-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
(ঈ) উইলকারী তাহার অবশিষ্ট ভূ-সম্পত্তি ''আমার ৭ সন্তানের মধ্যে ভাগ হইবে'' এই মর্মে উইল করেন এবং নাম উল্লেখ করার সময় কেবলমাত্র ৬ জনের নাম উল্লেখ করেন৷ এই বিচ্যুতি ৭ম সন্তানকে অন্যান্যদের সহিত তাহার অংশ নিতে প্রতিহত করিবে না৷
(উ) উইলকারীর ৬ জন নাতি-নাতনী বর্তমান থাকাকালে ''আমরা ৬ নাতি-নাতনীকে'' উইল করিয়াছেন এবং তাদের খ্রীস্টীয় নামে উল্লেখের সময় একজনকে একেবারেই বাদ দিয়া আরেকজনের নাম দুইবার উল্লেখ করেন৷ যাহার নাম উল্লেখ করা হয় নাই তিনি অন্যান্যাদের সহিত অংশ পাইবেন৷
(ঊ) উইলকারী ''ক-এর তিন সন্তানের প্রত্যেককে ১০০০ টাকা'' উইল করিয়া দেন৷ উইলের তারিখে ক-এর ৪ সন্তান আছে৷ উইলকারীর মৃত্যুর পূর্বে থাকিলে ৪ সন্তানের প্রত্যেকে ১০০০ টাকা পাইবে৷
আলোচনা
উইলে নামে বা বর্ণনায় কোন ভুল থাকলে পরে সেটা সংশোধন করা যাবে৷ তার জন্য উত্তরদায় অকার্যকর হবে না (Murari Lal Vs. Kundar Lal, 31 Au. 330).
ধারা-৭৭৷ কখন শব্দাবলী সরবরাহ করা যাইবে৷- যেক্ষেত্রে অর্থের পূর্ণ অভিব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কোন শব্দ বাদ পড়ে যায়, যেক্ষেত্রে প্রসঙ্গ দ্বারা উহা সরবরাহ করা যাইবে৷
উদাহরণ
উইলকারী তাহার কন্যা ক-কে ৫০০ টাকা এবং কন্যা খ-কে ৫০০ টাকা উইল করিয়া যান৷ ক, ৫০০ টাকার দানটি গ্রহণ করিবে৷
ধারা-৭৮৷ বিষয় বর্ণনার ভ্রান্ত বিবরণের বাতিল৷- যে বিষয়টি উইলকারী ধার্য করিতে চাহেন যদি ঐ বিষয়টি উইলে প্রদত্ত বিবরণ হইতে পর্যাপ্তভাবে চিহ্নিত করা যায়, কিন্তু বর্ণনার কিছু অংশ প্রযোজ্য না হয়, তাহা হইলে বর্ণনার উক্ত অংশ ভ্রান্ত হিসাবে বাতিল হইবে এবং দানটি বলবত্ হইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ কে ''ঠ এ অবস্থিত এবং ব-এর দখলে থাকা আমার জলাভূমি'' উইলমূলে দান করেন৷ উইলকারীর ঠ-এর জলাভূমি আছে কিন্তু ব-এর দখলে কোন জলাভূমি নেই৷ ''ব-এর দখলে'' শব্দগুলো ভ্রান্ত হিসাবে বাদ যাইবে এবং ঠ-এ অবস্থিত জলাভূমি উইলমূলে হস্তান্তরিত হইবে৷
(আ) উইলকারী ''রামপুরের আমার জামিনদারী'' ক-কে উইলমূলে দান করেন৷ রামপুরে তাহার একটা ভূ-সম্পত্তি ছিল, কিন্তু সেটা তালুক, জামিনদারী নয়৷ উইলমূলে তালুকটি হস্তান্তরিত হইবে৷
ধারা-৭৯৷ বর্ণনার কোন অংশ ভ্রান্ত হিসাবে বাতিল হইবে না৷- উইলকারী যে বিষয় উইলমূলে দান করিতে চাহেন ঐ বিষয়ের বর্ণনামূলক হিসাবে কোন উইলে যদি কতিপয় অবস্থার উল্লেখ থাকে, এবং উক্ত অবস্থা বিদ্যমান তাহার এইরূপ সম্পত্তি থাকে, তাহা হইলে দানটি উক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং বর্ণনার কোন অংশ ভ্রান্ত হিসাবে বাতিল করা আইনসঙ্গত হইবে না৷ কারণ উইলকারীর অন্য সম্পত্তি ছিল যাহাতে বর্ণনার ঐরূপ অংশ প্রযোজ্য হয় না৷
ব্যাখ্যা- কোন বিষয় এই ধারার অর্থানুসারে পড়ে কিনা তাহা বিচারে ৭৮ ধারার অধীনে বাতিল হইবে৷ এইরূপ শব্দাবলী উইল হইতে বাদ দেওয়া হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ-কে ''ঠ-এ অবস্থিত এবং ব-এর দখলে থাকা আমার জলাভূমি'' খ কে উইলমূলে দান করে৷ উইলকারীর ঠ-এ জলাভূমি ছিল যাহার কিছু অংশে দখলে ব ছিল, কিছু অংশের দখলে ব ছিল না৷ দানটি ব-এর দখলে থাকা এবং ঠ-এ অবস্থিত জলাভূমির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকিবে৷
(আ) ক, খ কে ''ঠ-এ অবস্থিত এবং ব-এর দখলে থাকা আমার ১০০০ বিঘার জলাভূমি'' উইলমূলে হস্তান্তর করেন৷ উইলকারীর ঠ-এ জলাভূমি ছিল, যাহার কিছু অংশের দখল ছিল ব-এর এবং কিছু অংশ ব-এর দখলে ছিলনা৷ পরিমাপটি দুইটা জলাভূমির যেকোনটার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে অপ্রযোজ্য হইবে৷ পরিমাপটা উইল হইতে বাদ যাইবে বলিয়া গণ্য হইবে এবং ব-এর দখলে থাকা ঠ-এ অবস্থিত জলাভূমিই শুধুমাত্র উইলমূলে হস্তান্তরিত হইবে৷
ধারা-৮০৷ মূল দ্ব্যর্থতার ক্ষেত্রে বাহ্যিক সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে৷- যেক্ষেত্রে উইলের শব্দাবলী দ্ব্যর্থহীন নয়, কিন্তু বাহ্যিক সাক্ষে দেখা যায় যে, ঐগুলো প্রয়োগযোগ্য এবং উহার একটা উইলকারী ঐরূপ ইচ্ছা করিয়াছিল, সেক্ষেত্রে বাহ্যিক সাক্ষ্য ঐ শব্দগুলোর কোনগুলো সম্পর্কে ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয়েছিল সে সম্পর্কে বিবেচনায় আনা যাইবে৷
উদাহরণ
(অ) একজন লোকের মেরী নামে ২ জন চাচাতো/খালাতো বোন আছে৷ তিনি ''আমার চাচাতো/খালাতো বোন মেরী'' কে কিছু অর্থ উইলমূলে দান করেন৷ দেখা যায় যে, দুইজন ব্যক্তির প্রত্যেকে উইলে বর্ণনা দিচ্ছেন৷ অতএব, উক্ত বর্ণনা দুইটি দরখাস্তের বিষয় হয় যাদের একটি উইলকারী ইচ্ছা করেছিল৷ দরখাস্ত দুইটির কোনটি সম্পর্কে উইলকারী ইচ্ছা করেছিল যে সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে৷
(আ) ক-উইলের মাধ্যমে খ-কে ''সুলতানপুর খুরদ'' নামে আমায় ভূ-সম্পত্তি দান করেন৷ এর থেকে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, সুলতানপুর খুরদ নামে তার দুইটি ভূ-সম্পত্তি ছিল৷ ক কোন ভূ-সম্পত্তি উইলমূলে দান করিতে চাহিয়াছিলেন যে সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে৷
আলোচনা
সম্পূর্ণ উইল থেকেই উইলকারীর ইচ্ছা অনুমান করা যায়৷ তা সেটা ঘটনাগত প্রশ্ন, আইনগত প্রশ্ন নয়৷ তবে উইলে দ্ব্যর্থতা থাকলে অন্তর্নিহিত সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না৷
ধারা-৮১৷ মূল দ্ব্যর্থতা বা ত্রুটির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সাক্ষ্য অগ্রহণযোগ্য হইবে৷- যেক্ষেত্রে উইলে দ্ব্যর্থহীনতা বা ত্রুটি থাকে, সেক্ষেত্রে উইলকারীর ইচ্ছা সম্পর্কে কোন স্বাভাবিক সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না৷
উদাহরণ
(অ) একজন লোকের ক্যারোলিন নামে একজন চাচী/খালা এবং মেরী নামে একজন চাচাতো/খালাতো বোন আছে; কিন্তু মেরী নামে কোন চাচী/খালা নেই৷ তিনি উইলমূলে ''আমার চাচী/খালা ক্যারোলীনকে'' ১০০০ টাকা এবং ''আমার চাচাতো বোন/খালাতো বোন মেরীকে'' ১০০০ টাকা দান করেন এবং পরবর্তীতে ''আমার পূর্বোল্লিখিত চাচী/খালা মেরীকে'' ১০০০ টাকা দান করেন৷ উইলে প্রদত্ত বর্ণনা প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোন ব্যক্তি নাই; এবং ''আমার পূর্বোক্ত চাচী/খালা বলতে কাকে বুঝানো হয় সে সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না৷ ৮৯ ধারার অধীনে অনিশ্চতার কারণে উইলমূলে দানটি অবৈধ৷
(আ) উত্তরদায়গ্রহীতার নামের স্থান খালি স্থান রেখে ক-১০০০ টাকা উইলমূলে দান করেন৷ উইলকারী ঐ ফাঁকা জায়গায় কার নাম বসাতে চেয়েছিলেন সে সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না৷
(ই) ক, খ কে ............... টাকা বা ......... তাহার ভূ-সম্পত্তি উইলমূলে দান করেন৷ কি পরিমান অর্থ বা কোন ভূ-সম্পত্তি উইলকারী উল্লেখ করিতে চাহিয়াছিলেন সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না৷
ধারা-৮২৷ সমস্ত দফা হইতে সংগৃহিতব্য দফার অর্থ৷- উইলে কোন দফার অর্থ সম্পূর্ণ দলিল হইতে সংগ্রহ করিতে হইবে এবং একে অন্যের বরাতে উহার সকল অংশ ব্যাখ্যা করিতে হইবে৷
উদাহরণ
(অ) উইলকারী খ-কে ক-এর মৃত্যুতে একটা সুনির্দিষ্ট তহবিল বা সম্পত্তি দেন এবং পরবর্তী দফার মাধ্যমে তাহার সমুদয় সম্পত্তি ক-কে দেন৷ কতিপয় দফা একত্র করিলে তার ফল এইরূপ হইবে যে, সুনির্দিষ্ট তহবিল বা সম্পত্তি ক-এর জীবদ্দশায় ক-এর উপরে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ-এর উপর ন্যস্ত হইবে৷ খ-এর বরাবরে উইলমূলে দান হইতে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, উইলকারী শব্দগুলো সংকুচিত অর্থে ব্যবহার করিয়াছিলেন যাহাতে তিনি কোন সম্পত্তি বা তহবিল ক-কে দিবেন বর্ণনা করা হইয়াছে৷
(আ) উইলকারী তাঁহার সমুদয় ভু-সম্পত্তি খ-কে উইলমূলে ভাগ করে দেন যাহার একটা অংশকে বলা হয় ব্ল্যাক একর'' এবং তাঁহার উইলের অন্য অংশে খ-কে ব্ল্যাক একর দেন৷ পরবর্তী দানটি প্রথম দানের ব্যতিক্রম হিসাবে এমনভাবে পড়িতে হইবে যাহাতে ''আমি ব্ল্যাক একর খ-কে এবং আমার ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ ক-কে দিলাম'' এইরূপ বুঝা যায়৷
ধারা ৮৩৷ কখন শব্দাবলী সংকুচিত অর্থে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ব্যাপক অর্থে বুঝিতে হইবে৷- সাধারণ শব্দাবলী সংকুচিত অর্থে বুঝিতে হইবে, যেক্ষেত্রে উইল হইতে এইরূপ সংগ্রহ করা যায় যে, উইলকারী উক্ত শব্দাবলী সংকুচিত অর্থেই ব্যবহার করিতে চাহিয়াছিলেন এবং স্বাভাবিক অর্থের চেয়ে শব্দাবলীকে ব্যাপক অর্থে বুঝিতে হইবে যেক্ষেত্রে উইলের অন্যান্য শব্দাবলী হইতে এমন সংগ্রহ করা যাইবে যে, উইলকারী উহা ঐরূপ ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করিতে চাহিয়া ছিলেন৷
উদাহরণ
(অ) একজন উইলকারী ক-কে ''খ-এর দখলে আমার ফার্ম এবং গ কে ''ছ-এ অবস্থিত আমার সকল জলা জমি'' দেন৷ খ-এর দখলে থাকা ফার্মের একটা অংশ ঠ-এ অবস্থিত জলাভূমি এবং ঠ-এ উইলকারীর অন্যান্য জলাভূমিও ছিল৷ ''ঠ-এ অবিস্থত আমার সকল জলাভূমি'' এই সাধারণ শব্দগুলো ক-এর বরাবরে দান দ্বারা সংকুচিত ক ঠ-এ অবস্থিত ফার্মের অংশসহ খ-এর দখলে থাকা সমুদয় ফার্ম গ্রহণ করেন৷
(আ) উইলকারী (জাহাজে অবস্থানরত একজন নাবিক) তাঁহার মাকে তাঁহার সোনার আংটি, এবং পোষাকের বোতাম এবং বক্ষদেশ এবং তাঁহার বন্ধুকে (তাঁহার জাহাজ সঙ্গী) একটা লাল বাক্স, একটা ক্লাস্প লাইফ (Clasp Knife) এবং পূর্বে উইলমূলে দান করা হয়নি এমন সকল জিনিস৷ এই উইলমূলে দান দ্বারা বাড়িতে উইলকারীর অংশ ক-এর বরাবরে হস্তান্তরিত হইবে না৷
(ই) ক-উইলমূলে খ-কে তাঁহার গৃহের সকল আসবারপত্র, প্লেট, লিনেন, চায়না, বই, ছবি এবং অন্যান্য প্রকার সকল পণ্য দান করেন এবং পরে খ-কে তাঁহার সম্পত্তির একটা নির্দিষ্ট অংশ দান করেন৷ প্রথম উইলমূলে দান করা খ উইলকারীর একই প্রকৃতির দ্রব্যসামগ্রী পাইবার অধিকার হইবেন৷
ধারা-৮৪৷দুইটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যার কোনটি অগ্রাধিকার পাইবে৷- যেক্ষেত্রে একটা দফার দুইটি অর্থ গ্রহণযোগ্য যাহার একটির প্রভাব/ফল থাকে এবং অন্যটির কিছুই থাকে না, সেক্ষেত্রে প্রথমটি অগ্রাধিকার পাইবে৷
ধারা-৮৫৷ যুক্তিসংগতভাবে ব্যাখ্যা করা হইলে কোন অংশ বাতিল হইবে না৷- যুক্তি সংগত ব্যাখ্যা আরোপ সম্ভব হইলে একটা উইলের কোন অংশ অর্থহীন হিসাবে বাতিল হইবে না৷
ধারা-৮৬৷ উইলের বিভিন্ন অংশে দ্বিত্ব শব্দের ব্যাখ্যা৷- একই উইলের বিভিন্ন অংশে একই শব্দের ব্যবহার ঘটিলে, বিপক্ষ কিছু প্রমাণিত না হইলে, উহা সর্বত্র একই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে মর্মে- ধরিয়া নিতে হইবে৷
ধারা-৮৭৷ যতদূর সম্ভব উইলকারীর ইচ্ছা কার্যকর করিতে হইবে৷- উইলকারীর ইচ্ছা বাতিল করা যাইবে না কারণ উহা পূর্ণভাবে কার্যকর করা যাইবে না৷ কিন্তু যতদূর সম্ভব কার্যকর করিতে হইবে৷
উদাহরণ
উইলকারী মৃত্যু শয্যায় উইলমূলে তাঁহার সকল সম্পত্তি গ, ঘ কে দান করেন এবং তাঁহার মৃত্যুর পরে নির্দিষ্ট একটা হাসপাতালকে উহা দান করেন৷ উইলকারীর ইচ্ছা পূর্ণভাবে কার্যকর হবে না কারণ ১১৮ ধারার অধীন হাসপাতাল বরাবরে দানটি অবৈধ, কিন্তু উহা গ, ঘ-এর বরাবরে কার্যকর হইবে৷
ধারা-৮৮৷ সর্বশেষ দুইটি অসামঞ্জস্য দফা বলবত্ থাকিবে৷ - যেক্ষেত্রে দুইটি দফা বা উইলের দান পরস্পর অসামঞ্জস্য হওয়ার কারণে তাহারা পরস্পর একত্রে অবস্থান করিতে পারে না, সেক্ষেত্রে সর্বশেষটি বলবত্ থাকিবে৷
উদাহরণ
(অ) উইলকারী উইলের প্রথম দফার মাধ্যমে ক-কে রংপুরের সম্পত্তি এবং সর্বশেষ দফার মাধ্যমে উহা খ-কে দান করেন৷ সম্পত্তিটি খ পাইবে৷
(আ) যদি একজন ব্যক্তি উইলের শুরুতেই তাঁহার বাড়ী ক-কে এবং উইলের শেষে নির্দেশ দেন যে বাড়ীটি বিক্রয় করিয়া লভ্যাংশ খ-এর কল্যাণার্থে বিনিয়োগ করিতে হইবে৷ এক
-
উদাহরণ
(অ) উইলমূলে একটা দান করা হয়-
ক এবং তাহার সন্তানদেরকে,
ক এবং তাহার বর্তমান স্ত্রীর সন্তানদেরকে,
ক এবং তাহার উত্তরাধিকারীদেরকে,
ক এবং তাহার শরীরের উত্তরাধিকারীদেরকে,
ক এবং তাহার শরীরের পুরুষ উত্তরাধিকারীদেরকে,
ক এবং তাহার শরীরের মহিলা উত্তরাধিকারীদেরকে,
ক এবং তাহার সন্তানকে,
ক এবং তাহার পরিবারকে,
ক এবং তাহার বংশধরদেরকে,
ক এবং তাহার প্রতিনিধিদেরকে,
ক এবং তাহার ব্যক্তিগত প্রতিনিধিদেরকে,
ক এবং তাহার নির্বাহক এবং প্রশাসকদেরকে৷
উক্তক্ষেত্রে প্রত্যেকটিতে সম্পত্তিতে উইলকারীর সমুদয় স্বার্থ ক গ্রহণ করে৷
(আ) ক এবং তাহার ভাইকে উইলমূলে দান করা হয়৷ ক এবং তাহার ভাই যৌথভাবে উত্তরদায়ে অধিকারী৷
(ই) সারা জীবনের জন্য ক কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে তাঁহার সন্তানকে উইলমূলে দান করা হয়৷ ক-এর মৃত্যুতে ক-এর সন্তানের বর্ণনাদানকারী সকল ব্যক্তিগণের প্রত্যেকে সমান অংশ সম্পত্তি পাইবে৷
ধারা-৯৮৷ শুধুমাত্র সাধারণ বর্ণনাধীন ব্যক্তি-শ্রেণীকে উইলমূলে দান৷- যেক্ষেত্রে শুধুমাত্র সাধারণ বর্ণনাধীন ব্যক্তিশ্রেণীকে উইলমূলে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে বর্ণনার শব্দাবলী তাহাদের সাধারণ অর্থে প্রযোজ্য হয় না, এইরূপ কোন ব্যক্তি উত্তরদায় গ্রহণ করিবে না৷
ধারা-৯৯৷ শব্দের ব্যাখ্যা৷- একটি উইলে-
(ক) ''ছেলেমেয়ে'' শব্দটি যে ব্যক্তির ''ছেলেমেয়ে'' সম্পর্কে বলা হয় প্রথম ধাপে ঐ ব্যক্তির কেবলমাত্র সরাসরি বংশধরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;
(খ) ''নাতি-নাতনী'' শব্দটি যে ব্যক্তির নাতি-নাতনী সম্পর্কে বলা হয় দ্বিতীয় ধাপে ঐ ব্যক্তির কেবলমাত্র সরাসরি বংশধরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;
(গ) ''ভাইপো'' এবং ''ভাইঝি'' শব্দ দুইটি কেবলমাত্র ভাই বা বোনের ছেলে-মেয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;
(ঘ) ''চাচাতো/খালাতো বোন'' বা প্রথম চাচাতো/ ''খালাতো বোন'' বা ''কাজিন জার্মান'' যে ব্যক্তির ''চাচাতো/ খালাতো বোন বা প্রথম চাচাতো/খালাতো বোন বা কাজিন জার্মান সম্পর্কে বলা হয় ঐ ব্যক্তির পিতা বা মাতার ভাই বোনের সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;
(ঙ) একবার দূরীভূত ''প্রথম খালাতো/চাচাতো বোন'' শব্দাবলী যে ব্যক্তির প্রথম চাচাতো/খালাতো বোন সম্পর্কে বলা হয়, ঐ ব্যক্তির পিতামাতারা কাজিন-জার্মানদের ক্ষেত্রে বা কাজিন জার্মানদের সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;
(চ) ''দ্বিতীয় চাচাতো/খালাতো বোন'' শব্দাবলী যে ব্যক্তির ছেলেমেয়ে সম্পর্কে বলা হয় ঐ ব্যক্তির দাদা বা দাদীর ভাই বা বোনের নাতি-নাতনীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;
(ছ) ''সন্তান'' এবং ''বংশধর'' শব্দাবলী যে ব্যক্তির সন্তান বা বংশধর সম্পর্কে বলা হয় ঐ ব্যক্তির কেবলমাত্র সরাসরি সকল বংশধরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য;
(জ) রক্ত সম্পর্কীয় প্রকাশক শব্দাবলী আপন এবং সত্সম্পর্কের ক্ষেত্রে একইভাবে প্রযোজ্য হয়৷
সম্পর্ক প্রকাশকারী সকল শব্দাবলী মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যে পরবর্তীতে জন্মগ্রহণ করে৷
ধারা-১০০৷ সম্পর্ক প্রকাশকারী শব্দাবলী কেবলমাত্র বৈধ সম্পর্ককে নির্দেশ করে বা উক্ত সম্পর্ক না থাকিলে খ্যাত বৈধ নির্দেশ করে৷- উইলে বিপরীত মর্মে কোন ইঙ্গিতের অবর্তমানে ''সন্তান'' শব্দটি বা ''ছেলে'' শব্দটি বা ''কন্যা'' শব্দটি অথবা সম্পর্ক প্রকাশকারী অন্য কোন শব্দে কেবলমাত্র বৈধ সম্পর্ক নির্দেশ করে এমনভাবে বুঝিতে হইবে কিংবা যেক্ষেত্রে উক্ত বৈধ সম্পর্ক নেই, সেক্ষেত্রে উইলের তারিখে উক্তরূপ সম্পর্কে খ্যাতি অর্জন করিয়াছে৷
উদাহরণ
(ক) ক-এর খ, গ এবং ঘ নামে তিন সন্তান আছে৷ খ ও গ বৈধ কিন্তু ঘ অবৈধ সন্তান৷ ক তাহার সন্তানদের মধ্যে সমান অংশে ভাগ করে দেওয়ার জন্য সম্পত্তি রাখিয়া যান৷ সম্পত্তি ঘ বাদে খ ও গ-এর মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হইবে৷
(আ) ক-এর একটা অবৈধ ভাইঝি আছে যে তাহার ভাইজি হওয়ার খ্যাতি অর্জন করিয়াছে এবং ক-এর অন্যকোন বৈধ ভাইঝি নাই৷ ক তাহাকে অর্থ দান করিয়াছেন৷ অবৈধ ভাইঝি উত্তরদায়ে অধিকারী৷
(ই) ক, উইলে তাহার সন্তানদের উল্লেখ করে এবং অবৈধ সন্তান খ এর নাম উল্লেখ করে৷ ''আমার উক্ত সন্তানদের বরাবরে'' উত্তরদায় করে৷ বৈধ সন্তানের সাথে খ উত্তরদায়ে অংশ পাইবে৷
(ঈ) ক ''খ-এর সন্তানদেরকে'' উত্তরদায় রাখিয়া যায়৷ খ মারা যায় কিন্তু অবৈধ সন্তান ছাড়া আর কাউকে রাখিয়া যায় নাই৷ উইলের তারিখে যাহারা খ-এর সন্তান হওয়ার খ্যাতি অর্জন করে তাহারাই দানের বিষয়বস্তু হইবে৷
(উ) ক, খ-এর সন্তানদের বরাবরে উত্তরদায় দান করেন৷ খ-এর কখনো কোন বৈধ সন্তান ছিল না৷ গ এবং ঘ উইলের তারিখে খ-এর সন্তানের মর্যাদা অর্জন করে৷ উইলের তারিখের পরে এবং উইলকারীর মৃত্যুর পূর্বে ঙ এবং চ জন্মগ্রহণ করিয়া খ-এর সন্তানের মর্যাদা অর্জন করেন৷ কেবলমাত্র গ এবং ঘ দানের বস্তু হইবে৷
(ঊ) ক, স্ত্রী নয় এমন একজন মহিলার দ্বারা তাহার জাত সন্তানের বরাবরে দান করেন৷ খ উইলের তারিখে উক্ত মহিলার দ্বারা ক-এর সন্তানের মর্যাদা অর্জন করে৷ খ উত্তরদায় পায়৷
(ঋ) ক, কখনো তাহার স্ত্রী হইবে না এমন একজন মহিলার দ্বারা তাঁহার জাত সন্তানের অনুকূলে উইলমূলে দান করেন৷ উত্তরদায়টি অবৈধ৷
(এ) ক-এর বিবাহিত নয় কিন্তু ততকর্তৃক গর্ভবতী এমন একজন মহিলার সন্তানের অনুকূলে উত্তরদায় উইলমূলে দান করেন৷ উত্তরদায়টি অবৈধ৷
ধারা-১০১৷ যেক্ষেত্রে একই ব্যক্তির বরাবরে দুইটি দান করা হয় সেক্ষেত্রে ব্যাখ্যার নিয়ম৷-যেক্ষেত্রে একিট উইল দ্বারা একই ব্যক্তির বরাবরে দুইটি দান করা হয় এবং উইলকারী প্রথমটির পরিবর্তে বা প্রথমটি ছাড়াও দ্বিতীয়টি করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়; যদি তিনি কি ইচ্ছা পোষণ করিয়াছিলেন সে সম্পর্কে উইলে প্রমাণ করার কিছু না থাকে, সেক্ষেত্রে উইলের ব্যাখ্যায় নিম্নিলিখিত বিধিসমূহ কার্যকরী হইবেঃ-
(ক) যদি একই নির্দিষ্ট জিনিস একই উইলে কিংবা উইলে এবং আবার কডিসিলে একই উত্তরদায় গ্রহীতার বরাবরে দুইবার উইলমূলে দান করা হয়, তাহা হইলে তিনি কেবলমাত্র ঐ নির্দিষ্ট জিনিস গ্রহণের অধিকার হইবেন৷
(খ) যেক্ষেত্রে এক এবং একই উইল বা এক এবং একই কডিসিল কোন কিছুর একই পরিমাণ একই ব্যক্তির বরাবরে দুই স্থানে উইলমূলে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে তিনি শুধুমাত্র উক্ত একটা উত্তরদায়ের অধিকারী হইবেন৷
(গ) যেক্ষেত্রে অসম পরিমাণের দুইটি উত্তরদায় একই উইলে বা একই কডিসিলে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা উভয়টিতে অধিকারী হইবেন৷
(ঘ) যেক্ষেত্রে সমান বা অসমান পরিমাণ দুইটি উত্তরদায় একটা উইল দ্বারা এবং অন্যটা কডিসিল দ্বারা একই উত্তরদায়গ্রহীতাকে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায় গ্রহীতা উভয় উত্তরদায়ের অধিকারী হইবেন৷
ব্যাখ্যা- এই ধারায় (ক) থেকে (ঘ) দফা পর্যন্ত উইল শব্দটি কডিসিলকে অন্তর্ভূক্ত করে না৷
উদাহরণ
(অ) ক-এর ভারত ইস্পেরিয়াল ব্যাংকে দশটি শেয়ার আছে৷ তিনি ''আমি খ কে ইস্পেরিয়াল ব্যাঙকে আমার দশটি শেয়ার উইলমূলে দান করিলাম'' শব্দাবলীর সাহায্যে উইল করেন৷ অন্যান্য দানের পরে ''এবং আমি ইস্পেরিয়াল ব্যাংকে আমার দশটি শেয়ার খ কে দান করিলাম''- এই শব্দাবলী দিয়ে উইলটি শেষ করেন৷ খ সাধারণভাবে ইস্পেরিয়াল ব্যাংকে ক-এর দশটি শেয়ার পাইবে৷
(আ) ক-এর খ দ্বারা প্রদত্ত একটি ডায়মন্ডের আংটি আছে যাহা তিনি খ কে উইলমূলে হস্তান্তর করেন৷ পরবর্তীতে ক তাহার উইলের কডিসিল করেন এবং তাহার অন্যান্য উত্তরদায় দেওয়ার পরে আংটি তিনি গ কে দান করেন৷ আংটি ছাড়া অন্য কিছু দাবী করিতে পারিবেন না৷
(ই) ক উইল দ্বারা খ কে ৫০০০ টাকা দান করেন এবং পরবর্তীতে একই উইলে একই শব্দাবলী পুনর্ব্যক্ত করেন৷ খ শুধুমাত্র ৫০০০ টাকার উত্তরদায়টি পাইবেন৷
(ঈ) ক উইলমূলে খ কে ৫০০০ টাকা দান করেন এবং পরবর্তীতে একই উইলে খ কে ৬০০০ টাকা দান করেন৷ খ ১১০০০ টাকা পাইবে৷
(উ) ক উইলমূলে খ-কে ৫০০০ টাকা এবং উইলের কডিসিল মূলে ৫০০০ টাকা দান করেন৷ খ ১০,০০০ টাকা পাইবেন৷
(ঊ) ক তাঁহার উইলের একটা কডিসিল দ্বারা খ-কে ৫০০০ টাকা এবং অন্য কডিসিল দ্বারা গ-কে ৬০০০ টাকা দান করেন৷ খ-১১,০০০ টাকা পাইবেন৷
(ঋ) ক উইল দ্বারা খ-কে ৫০০০ টাকা দান করেন, কারণ খ আমার নার্স'' এবং উইলের অন্য অংশে তাকে ''৫০০ টাকা দান করেন, কারণ তিনি আমার সন্তানের সাথে ইংল্যান্ড গিয়াছিলেন'' খ ১০০০ টাকা পাইবেন৷
(এ) ক উইল দ্বারা খ-কে ৫০০০ টাকা এবং উইলের অন্য অংশে ভাতা হিসাবে ৪০০ টাকা দান করেন৷ খ উভয় উত্তরদায় পাইবেন৷
(ঐ) ক উইল দ্বারা খ-কে ৫০০০ টাকা এবং যদি সে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করে তাহা হইলে ৫০০০ টাকা দান করেন৷ খ সম্পূর্ণভাবে ৫০০০ টাকা পাইবেন এবং শর্তসাপেক্ষে অপর ৫০০০ টাকা পাইবেন৷
ধারা-১০২৷ অবশিষ্ট উত্তর দায় গ্রহীতার গঠন৷ - উইলকারীর ইচ্ছা প্রকাশকারী কোন শব্দাবলী দ্বারা অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতা গঠন করা যাইবে, যাহাতে আখ্যায়িত ব্যক্তি তাহার সম্পত্তির অতিরিক্ত বা অবশিষ্ট অংশ গ্রহণ করিবে৷
উদাহরণ
(অ) ক উইল সংক্রান্ত কয়েকটি কাগজপত্রের সমন্বয়ে গঠিত কাগজপত্রে উইল করে যান৷ কাগজপত্রের একটিতে নিম্নলিখিত কথাগুলো লেখা ছিলঃ
আমি মনে করি, আমার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার যাবতীয় ব্যয় প্রভৃতি নির্বাহ করার পর যা কিছু থাকবে তার সবটুকু বর্তমানে স্কুলে অধ্যয়নরত খ পাবে, যা পরবর্তীতে খ যে পেশায় নিয়োজিত হবে ঐ পেশার জন্য উপযোগী হ্ওয়ার জন্য ব্যয় হবে৷'' এখানে ''খ'' অবশিষ্ট উত্তরদায় গ্রহীতা বলে পরিগণিত হবে৷
(আ) ক উইল করে যান, উইলটির শেষে নিম্নোক্ত কথাটি রয়েছে-''আমি বিশ্বাস করি যে, আমার দেনা পরিশোধ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ আমার ব্যাংকারের হাতে থাকবে এবং খ তদ্বারা আমার দেনা পরিশোধ করবে বলে আমি আশা করি৷ এখানে ''খ'' অবশিষ্ট উত্তর দায় গ্রহীতা বলে বণ্য হবে৷
(ই) ক স্টক ও ফান্ড বাদে তার সমূদয় সম্পত্তি খ কে উইল করে দেন; স্টক ও ফান্ড তিনি গ কে উইল করে দেন৷ ''খ'' অবশিষ্ট উত্তরদায় গ্রহীতা বলে গণ্য হবে৷
ধারা-১০৩৷ কোন সম্পত্তিতে উত্তরদায়গ্রহীতা অধিকারী হইবেন৷-অবশিষ্ট দানের অধীনে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে উত্তরদায়গ্রহীতা তাহার সকল সম্পত্তি পাইবেন, যে সম্পত্তি সম্পর্কে অন্যকোন উইলমূলক বিলি করেন নাই যাহা বলবত্ সক্ষম৷
উদাহরণ
ক- উইলমূলে কয়েকটি উত্তরদায় হস্তান্তর করেন যাহার মধ্যে ১১৮ ধারায় একটি বাতিল এবং অন্যটি উত্তরদায়গ্রহীতার মৃত্যুজনিত কারণে তামাদি হয়ে যায়৷ তিনি তাঁহার সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ খ কে উইলমূলে দান করেন৷ উইল সম্পাদনের পরে ক একটি জামিনদারী! ক্রয় করেন, যাহা মৃত্যুর সময়ে তাঁহার দখলে থাকে৷ খ দুইটি উত্তরদায়ের এবং অবশিষ্টাংশ হিসাবে জামিনদারটির অধিকারী হন৷
ধারা-১০৪৷ সাধারণ শর্তে উত্তরদায় ন্যস্ত হবার সময়৷- পরিশোধের সময় উল্লেখ না করিয়া যদি সাধারণ অর্থে একটা উত্তরদায় দেওয়া হয়, তাহা হইলে উইলকারীর মৃত্যুর দিন হইতে উত্তরদায়টিতে উত্তরদায়গ্রহীতার ন্যাস্ত স্বার্থ থাকে, এবং যদি তিনি উহা গ্রহণ না করিয়া মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে উহা তাহার প্রতিনিধির বরাবরে চলিয়া যাইবে৷
ধারা-১০৫৷ কোন ক্ষেত্রে উত্তর দায় তামাদি হয়ে যায়৷- (১) উত্তরদায়গ্রহীতা যদি উইলকারীর পূর্বেই মারা যায়, তাহা হইলে উত্তরদায়টি কার্যকর হইতে পারিবে না, কিন্তু তামাদি হইয়া যাইবে এবং উইলকারীর সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ গঠন করিবে যদি না উইল দ্বারা এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, উইলকারী উত্তরদায়টি অন্য কারো বরাবরে চালিয়া যাইবে এইরূপ ইচ্ছা করিয়া থাকেন৷
(২) উত্তরদায় গ্রহণে উত্তরদায়গ্রহীতার প্রতিনিধিকে অধিকার দেওয়ার জন্য প্রমাণ করিতে হইবে যে, উইলকারী তাঁহার পূর্বে মারা গিয়াছেন৷
উদাহরণ
(অ) উইলকারী খ ক ''খ আমার কাছে ৫০০ টাকা পাইবে'' উইলমূলে দান করেন৷ খ উইলকারীর পূর্বেই মারা যায়৷ উত্তরদায়টি তামাদি হইয়া যাইবে৷
(আ) ক এবং তাহার সন্তানের বরাবরে উইলমূলে দান করা হয়৷ ক উইলকারীর পূর্বেই মারা যায় কিংবা উইল সম্পাদনের সময়ে মৃত্যুবরণ করেন৷ ক এবং তাঁহার বরাবরে উত্তরদায়টি তামাদি হইয়া যায়৷
(ই) ক কে এবং উইলকারীর পূর্বে মৃত্যুর ক্ষেত্রে খ কে উত্তরদায় দেওয়া হয়৷ উইলকারীর পূর্বে ক মারা যান৷ উত্তরদায়টি খ-এর বরাবরে চলিয়া যায়৷
(ঈ) সারাজীবনের জন্য ক কে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উইল দ্বারা দান করা হয় এবং তাঁহার মৃত্যুর পূর্বে খ কে৷ ক, উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়; খ বেঁচে থাকে৷ খ এর বরাবরে দানটি কার্যকর হয়৷
(উ) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ১৮ বত্সর পূর্ণ হইলে ক কে এবং ১৮ বত্সর পূর্ণ হবার পূর্বে মারা গেলে খ কে দান করা হয়৷ ক ১৮ বত্সর পূর্ণ করেন এবং উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যান৷ ক-এর বরাবরে উত্তরদায়টি তামাটি হয়, এবং খ-এরটি কার্যকর হয় না৷
(ঊ) একই জাহাজ দুর্ঘটনায় উইলকারী এবং উত্তরদায়গ্রহীতা মারা যান; কিন্দু যে প্রথমে মারা যান সে সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য নাই৷ উত্তরদায়টি তামাদি হয়ে যায়৷
ধারা-১০৬৷ উইলকারীর পূর্বে দু'জন যৌথ উত্তরদায়গ্রহীতা একজন মারা গেলে উত্তরদায় তামাদি হয় না৷- যদি যৌথভাবে দুইজন ব্যক্তিকে উত্তরদায় দেওয়া হয় এবং তাহাদের একজন উইলকারীর পূর্বে মারা যান, তাহা হইলে অন্যজন সমুদয় উত্তরদায়টি পাইবে৷
উদাহরণ
সাধারণভাবে ক এবং খ কে উত্তরদায় দেওয়া হয়৷ উইলকারীর পূর্বে ''ক'' মারা যান৷ ''খ'' উত্তরদায়টি পায়৷
ধারা-১০৭৷ ভিন্ন অংশ দেবার ক্ষেত্রে উইলকারীর ইচ্ছা সম্বলিত শব্দের ফল৷- যদি উত্তরদায়গ্রহীতাকে একটি উত্তরদায় এমন শব্দের ব্যবহার করিয়া দেওয়া হয় যাহার ফলে এইরূপ বুঝা যায় যে উইলকারী উত্তরদায়টির ভিন্ন ভিন্ন অংশ তাহাদেরকে দিতে চাহিয়াছিলেন, তাহা হইলে উইলকারীর পূর্বে কোন উত্তরদায়গ্রহীতা মারা গেলে উত্তরদায়টির যত খানি অংশ তাহার জন্য দেওয়ার ইচ্ছা করা হইয়াছিল, ততখানি অংশ উইলকারীর সম্পত্তির অবশিষ্টাংশের মধ্যে পড়িবে৷
উদাহরণ
ক, খ এবং গ-এর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করিয়া দিয়া কিছু অর্থ দা
-
ভাগ-৬
উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকার
অধ্যায়-সাত
বাতিল দান সম্পর্কিত
ধারা-১১২৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব নাই এমন ব্যক্তির বরাবরে বিশেষ বর্ণনা দ্বারা দান৷- যেক্ষেত্রে বিশেষ বর্ণনা দ্বারা কোন ব্যক্তির বরাবরে দান করা হয় এবং উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে কোন অস্তিত্ব থাকে না, যিনি বর্ণনাটির উত্তর দিতে সক্ষম, সেক্ষেত্রে দানটি বাতিল হইবে৷
ব্যতিক্রম- যদি নির্দিষ্ট ব্যক্তির জ্ঞাতির বিশেষ ধাপে দণ্ডায়মান বর্ণিত বর্গের শ্রেণী বরাবরে সম্পত্তি দান করা হয়, কিন্তু উহার পূর্ববর্তী কোন দান বা অন্য কোন কারণে উইলকারীর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকে তাহা হইলে সম্পত্তি ঐ ব্যক্তির কাছে যাইবে অথবা তিনি মৃত হইলে তাহার প্রতিনিধির কাছে যাইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র খ কে ১০০০ টাকা দান করেন৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় খ এর অস্তিত্ব ছিল না৷ দানটি বাতিল হইবে৷
(আ) ক, খ কে এবং খ এর মৃত্যুর পর গ এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ১০০০ টাকা দান করে৷ উইলকারী মৃত্যুর সময় গ এর কোন পুত্র ছিল না৷ পরবর্তীতে খ এর জীবদ্দশায় গ এর পুত্র সন্তান হয়৷ খ এর মৃত্যুর পর উত্তরদায়টি গ এর পুত্র পাইবে৷
(ই) ক ১০০০/= টাকা সারাজীবনের জন্য খ-কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে গ-এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে উইলমূলে দান করে৷ ক-এর ঘ নামে এক পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে৷ প্রথমে ঘ মারা যায়, পরে খ দান পত্রটি ঘ-এর প্রতিনিধিগণ পাইবে৷
(ঈ) ক তাহার গ্রীন একরের ভূমি খ কে এবং ঘ এর মৃত্যুর পর গ এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে দান করে৷ ঘ এর মৃত্যু পর্যন্ত গ এর কোন পুত্র সন্তান ছিল না৷ গ এর জ্যেষ্ঠ পুত্রের বরাবরে দানটি বাতিল হইবে৷
(উ) ক, গ এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ১০০০ টাকা দান করেন, যাহা খ এর মৃত্যুর পরে তাহাকে পরিশোধ করিতে হইবে৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় গ এর কোন পুত্র সন্তান ছিল না কিন্তু, পরবর্তীতে জন্মগ্রহণ করে এবং ঘ এর মৃত্যুর সময় জীবিত থাকে৷ গ এর পুত্র ১০০০ টাকা পাইবে৷
ধারা-১১৩৷ পূর্বদান সাপেক্ষে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্বহীন ব্যক্তির বরাবরে দান৷- যেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব নেই এমন কোন ব্যক্তির বরাবরে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তী দানটি বাতিল হইবে যদি না উহা উইলকৃত বস্তুতে বিদ্যমান উইলকারীর অবশিষ্ট সমুদয় স্বার্থ থাকে৷
উদাহরণ
(অ) সম্পত্তি ক কে, ক এর মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে এবং তাহার মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে দান করা হয়৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় ক এর কোন সন্তান নাই৷ ক এর জ্যেষ্ঠ পুত্রের বরাবরে দানটি অস্তিত্বহীন ব্যক্তির বরাবরে দান হওয়ায় দানটি বাতিল হইবে৷
(আ) একটি তহবিল সারা জীবনের জন্য ক-কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে তার কন্যাদেরকে উইলমূলে দান করা হয়৷ 'ক' জীবিত থাকাকালীন উইলকারী মারা যায়৷ ক-এর কন্যান সন্তান থাকিলেও তাদের কেউ কেউ উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে জন্ম গ্রহণ করেনি৷ ক-এর কন্যাদের বরাবরে প্রদত্ত দান পত্রটিতে উইলকারী উইলকৃত তহবিলে অন্তর্ভূক্ত সমস্ত স্বার্থ থাকবে৷ ক-এর কন্যাদের বরাবরে প্রদত্ত দানপত্রটি বে-আইনী৷
(ই) কিছু তহবিল ক কে এবং ক এর মৃত্যুর পরে তাহার কন্যাগণকে এই মর্মে দান করা হয় যে, যদি কন্যাদের কারো ১৮ বছরের নীচে বিয়ে হয় তাহা হইলে তাহার অংশ তাহার মৃত্যুর পরে তাহার ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভাগ হইয়া যাইবে৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় ক এর কোন কন্যা সন্তান ছিল না, কিন্তু উইলকারীর মৃত্যুর পরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে৷ দানটি বাতিল হইবে৷
(ঈ) ক সারাজীবনের জন্য খ-কে কিছু অ উইলমূলে দান করে এবং এই মর্মে নির্দেশ দান করে যে, খ-এর মৃত্যু হইলে উক্ত অর্থ তাহার কন্যা সন্তানগণের উপর এমনভাবে স্থির হইবে যাহাতে প্রত্যেক কন্যার অংশ সারা জীবেনর জন্য তাহার হয় এবং তাহার মৃত্যুর পরে তাহার ছেলে মেয়েদের মধ্যে বণ্টিত হয়৷ উইলকারীর মৃত্যুকালে খ-এর জীবিত কোন কন্যা থাকে না৷ এক্ষেত্রে, খ-এর কন্যাদের বরাবরে প্রদত্ত একমাত্র দানপত্রটি উক্ত অর্থ স্থির হওয়ায় নির্দেশের মধ্যে নিহিত, এবং এই নির্দেশ এখনো জন্মগ্রহণ করেনি এমন ব্যক্তিগণের উক্ত তহবিলে নিহিত জীবন স্বত্বের বরাবরে দান পত্রের ন্যায় হইবে৷ খ-এর কন্যাদের উপর তহবিল স্থির হওয়ার নির্দেশ বে-আইনী৷
ধারা-১১৪৷ অবিরাম হস্তান্তর বিরোধী নিয়ম৷- কোন সম্পত্তি এমনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না, যাহা হস্তান্তরের তারিখে জীবিত এক বা একাধিক ব্যক্তির জীবনকাল এবং এইরূপ জীবনকালের অব্যবহিত পর হইতে অপর কোন ব্যক্তির নাবালক অবস্থা অবিবাহিত হওয়ার পরে বলবত্ হইবে৷ জীবিত ব্যক্তির বা ব্যক্তিগণের জীবনকাল সমাপ্ত হওয়ার সময় উক্ত নাবালকের অস্তিত্ব থাকিতে হইবে এবং নাবালক সাবালক হওয়ার সাথে সাথে সৃষ্ট স্বার্থ তাহার উপর বর্তাইবে৷
উদাহরণ
(অ) একটি তহবিল সারাজীবনের জন্য ক কে, এবং ক-এর মৃত্যুর পরে সারাজীবনের জন্য খ কে; এবং খ এর মৃত্যুর পরে প্রথম ২৫ বত্সর পূর্ণ হওয়া খ-এর ছেলের বরাবরে উইল মূলে দান করা হইল৷ উইলকারীর মৃত্যুর পর ক ও খ জীবিত থাকে৷ এখন খ এর যে পুত্র প্রথম ২৫ বত্সর পূর্ণ করিবেন তিনি হইবেন উইলকারীর মৃত্যুর পরে প্রথম জন্মলাভকারী পুত্র; ক ও খ-এর মৃত্যুর পরে ১৮ বত্সরের অধিক অতিক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত এইরূপ পুত্র ২৫ বত্সর পূর্ণ নাও করিতে পারেন; এবং ক ও খ-এর জীবনকাল এবং খ-এর পুত্রদের নাবালকত্ব শেষ হওয়ার পরে উক্ত তহবিল ন্যস্ত হওয়া বিলম্বিত হইতে পারিবে৷ খ-এর মৃত্যুর পরে উইলমূলে দানটি বেআইনী হইবে৷
(আ) একটি তহবিল সরাজীবনের জন্য ক কে, এবং ক-এর মৃত্যুর পরে সারাজীবনের জন্য খ কে; এবং খ এর মৃত্যুর পরে প্রথম ২৫ বত্সর পূর্ণ হওয়া খ-এর ছেলের বরাবরে উইল মূলে দান করা হইল৷ ঘ এক বা একাধিক ছেলে সন্তান রাখিয়া উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যান৷ এইক্ষেত্রে খ-এর সন্তানগণ উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে জীবিত থাকা ব্যক্তিগণ এবং যখন তাহাদের মধ্যে যেকোন ১ জন, ২৫ বত্সর পূর্ণ করেন তখন তাহার নিজের জীবদ্দশার মধ্যে পড়েন৷ উইলমূলে দানটি বৈধ হইবে৷
(ই) একটি তহবিল সারাজীবনের জন্য ক কে, এবং ক-এর মৃত্যুর পরে সারাজীবনের জন্য খ-এর বরাবরে উইলমূলে দান করা হয়৷ উইলে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, খ-এর মৃত্যুর পরে তহবিলটি খ-এর ঐ রূপ সন্তানদের মধ্যে বিভাজ্য হবে যারা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করবেন, তবে খ-এর কোন সন্তানের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে তহবিলটি গ-এর বরাবরে হস্তান্তরিত হবে৷ এখানে খ-এর যিনি উইলকারী মৃত্যুর পরেও জীবিত থাকেন, মৃতু্যর পর হতে ১৮ বছর অতিক্রান্ত হলে তহবিলটি বিভাজ্য হওয়ার সময় হবে৷ উইলমূলে সমস্ত দানপত্র বৈধ৷
(ঈ) একটি তহবিল উইলকারীর কন্যাদের কল্যানার্থে ট্রাস্টিদের বরাবরে উইলমূলে হস্তান্তর করা হলো এবং নির্দেশ দেওয়া হলো যে, যদি তাদের কোন একজন নাবালিকা থাকা অবস্থায় বিবাহ করলে তহবিলে তার অংশটি এমনভাবে স্থিরকৃত হবে যাতে মৃত্যুর পরে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া তার সন্তানের উপর বর্তায়৷ উইলকারীর মৃত্যুকালে নির্দেশটি প্রযোজ্য হয় এমন কোন কন্য সন্তানের অস্তিত্ব অবশ্যই থাকতে হবে এবং তহবিলের কোন অংশ যা নির্দেশ মোতাবেক স্থিরকৃত হবে, কন্যাদের মৃত্যুর পর থেকে ১৮ বছর পরে ন্যস্ত হতে পারবে না৷ সমস্ত শর্তগুলোই বৈধ৷
ধারা-১১৫৷ ১১৩ ও ১১৪ ধারার বিধানের অধীন শ্রেণীর বরাবরে দান৷- যদি কোন শ্রেণীর ব্যক্তির বরাবরে উইলমূলে দান করা হয়, যাহাদের কারো সম্পর্কে ১১৩ বা ১১৪ ধারার বিধানাবলীর কারণে উক্ত দান অকার্যকর হইয়া থাকে, তাহা হইলে শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তিগণ সম্পর্কে এবং সমুদয় শ্রেণী সম্পর্কে নয় উক্ত দান বাতিল হইবে৷
উদাহরণ
(অ) একটা তহবিল সারাজীবনের জন্য ক-কে এবং ক এর মৃত্যুর পরে ২৫ বত্সর বয়স হইবে এমন তাহার সন্তানকে উইলমূলে দান করা হয়৷ ক উইলকারীর পরে জীবিত থাকে এবং উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে তাহার সন্তানও থাকে৷ দানের জন্য অনুমোদিত সীমার মধ্যে ক-এর জীবিত প্রতিটি সন্তান ১৫ বছর বয়স্ক হইবে৷ কিন্তু উইলকারীর মৃত্যুর পরে ক-এর সন্তান থাকিতে পারে যাহারা ২৫ বছর বয়স্ক হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না ক-এর মৃত্যুর পরে ১৮ বছর অতিক্রান্ত হয়৷ উইলকারীর মৃত্যুর পরে জীবিত ক-এর সন্তানের বরাবরে এবং ক-এর মৃত্যুর পরে যাহার ১৮ বছর বয়স হয় নাই, তাহাদের বরাবরে দানটি অকার্যকর হইবে৷ কিন্তু অন্যান্য সন্তানদের সম্পর্কে কার্যকর হয়৷
(আ) কিছু তহবিল ক-কে এবং ক-এর মৃত্যুর পরে খ, গ, ঘ এবং ক-এর অন্য সকল সন্তানকে দান করা হয়, যাহারা ২৫ বছর বয়স্ক হবে৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে ক-এর খ, গ, ঘ সন্তানগণ জীবিত থাকে৷ সকল দিক থেকে বিষয়টি (১) নং উদাহরণ বর্ণিত বিষয়ের অনুরূপ হইবে৷ যদিও খ, গ এবং ঘ-এর বরাবরে দানটি কোন শ্রেণীর বরাবরে দান হিসাবে গণ্য করিতে প্রতিহত করিবে না, উহা সম্পূর্ণভাবে বাতিল না৷ উহা ক-এর মৃত্যুর পরে ১৮ বত্ সরের মধ্যে ২৫ বছর বয়স অর্জনকারী খ, গ বা ঘ এর ক্ষেত্রে কার্যকর হইবে৷
ধারা-১১৬৷ পূর্বদানের ব্যথতার কারণে দানের কার্যকারিতা৷- যেক্ষেত্রে ১১৩ এবং ১১৪ ধারায় বর্ণিত বিধির কারণে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তির শ্রেণীর বরাবরে উইলমূলে দানটি বাতিল হয়, সেক্ষেত্রে একই উইলে উল্লিখিত এবং উক্ত পূর্বদানের পরে বা ব্যর্থতায় কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছাকৃত কোন দানও বাতিল হইবে৷
উদাহরণ
(অ) কিছু তহবিল ক-কে এবং ক-এর মৃত্যুর পরে ২৫ বত্সর অর্জনকারী তাহার ছেলেদেরকে উইলমূলে দান করা হয়, এবং উক্ত সন্তানের মৃত্যুর পরে খ-কে৷ খ-এর বরাবরে দানটি ১১৪ ধারার অধীনে বাতিল হইবে কারণ উহা ক-এর সন্তানগণের বয়স ২৫ বছর হওয়ার পরে কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা ব্যক্ত করা হইয়াছিল৷ খ কে প্রদত্ত দানটিও বাতিল হইবে৷
(আ) কিছু তহবিল ক-কে এবং ক-এর মৃত্যুর পরে তাঁহার পুত্রদের মধ্যে সর্বপ্রথম ২৫ বত্সর বয়স হইবে তাহার বরাবরে এবং কোন পুত্র ২৫ বছর বয়স অর্জন না করিলে খ-এর বরাবরে দান করা হয়৷ উইলকারী ক এবং খ এর পূর্বে মারা যায়৷ খ-এর বরাবরে দানটি বাতিল হইবে কারণ উহা ক-এর পুত্রদের মধ্যে সর্বপ্রথম ২৫ বছর পূর্ণ করিতে ব্যর্থতার কারণে খ-এর বরাবরে দান করা হয়৷
ধারা-১১৭৷ পুঞ্জীভুত করার নির্দেশের ফল৷- (১) যেক্ষেত্রে কোন উইলের শর্তাবলীতে এইরূপ নির্দেশ থাকে যে, কোন সম্পত্তি হইতে উদ্ভূত আয় সম্পূর্ণভাবে কিংবা আংশিকভাবে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে বত্সরেরও বেশি মেয়াদে জমা হইবে, সেক্ষেত্রে অতঃপর যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত উক্ত নির্দেশ যে সময় পর্যন্ত পুঞ্জীভূত করিবার নির্দেশ দেওয়া হয় ঐ সময়ের যতখানি অতিরিক্ত ততখানি বাতিল হইবে, এবং উক্ত ১৮ বত্সর সময় অন্তে সম্পত্তি এবং উহার আয় যে সময় পর্যন্ত পুঞ্জীভূত করার নির্দেশ দেওয়া হয় ঐ সময় অবসানে বিলি হইবে৷
(২) এই ধারা নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে পুঞ্জীভূত করিবার কোন নির্দেশ প্রভাবিত করিবে না-
(অ) উইলকারী কিংবা উইলের স্বার্থ গ্রহণকারী কোন ব্যক্তির দেনা পরিশোধ, বা
(আ) উইলকারী কিংবা উইলের অধীনে স্বার্থ গ্রহণকারী কোন ব্যক্তির সন্তানদের কিংবা পূর্ববর্তী সন্তানের জন্য অংশের বিধান, বা
(ই) উইলকৃত সম্পত্তির হেফাজত বা রক্ষণাবেক্ষণ, এবং উক্ত নির্দেশ সেই মোতাবেক দেওয়া যাইবে৷
ধারা-১১৮৷ ধর্মীয় বা দাতব্য ব্যবহারের জন্য দান৷ - ভাইপো, বা ভাইঝি বা অন্য কোন নিকট আত্মীয় আছে এইরূপ কোন ব্যক্তি তাঁহার মৃত্যুর অন্যূন ১২ বত্সর পূর্বে, উইলদ্বারা সম্পাদিত এবং জীবিত ব্যক্তিগণের উইলের নিরাপত্তা হেফাজতের আইন দ্বারা নির্ধারিত কোন স্থানে উক্ত উইল সম্পাদনের তারিখ হইতে ৬ মাসের মধ্যে জমাকৃত ব্যতীত ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে কোন সম্পত্তি উইলমূলে দান করিতে পারিবেন না৷
উদাহরণ
ক-এর একজন ভাইপো আছে৷ ক-প্রয়োজন মত সম্পাদিত এবং জমাকৃত হয় নাই উইল দ্বারা দান করেন-
দরিদ্র জনগণের জন্য;
অসুস্থ সৈন্যদের দেখাশুনার জন্য;
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা বা উহার ব্যয়ের জন্য;
এতিমদের শিক্ষার জন্য;
পণ্ডিতদের সহায়তার জন্য;
স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য;
সেতু তৈরী এবং সংস্কারের জন্য;
রাস্তা তৈরীর জন্য;
চার্চ সংস্কারের জন্য;
ধর্মীয় ব্যক্তিদের কল্যাণের জন্য;
পাবলিক গার্ডেন প্রতিষ্ঠার জন্য
উক্ত সমস্ত দান বাতিল হইবে৷
-
অধ্যায় - আট
উত্তরদায়ের ন্যস্ততা সম্পর্কে
ধারা-১১৯৷ উত্তরদায়ের ন্যস্ততার তারিখ যখন পরিশোধ বা দখল স্থগিত করা হয়৷- যেক্ষেত্রে দানের শর্তাবলী দ্বারা উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকৃত বস্তুটির তাত্ক্ষণিক দখলের অধিকারী না হন, সেক্ষেত্রে উপযুক্ত সময়ে উহা গ্রহণের অধিকার, যদিনা উইল দ্বারা ভিন্ন ইচ্ছা ব্যক্ত হয়, উইলকারীর মৃত্যুতে উত্তরদায় গ্রহীতার উপর ন্যস্ত হইবে, এবং উত্তরদায়গ্রহীতার প্রতিনিধির বরাবরে চলিয়া যাইবে৷ যদি তিনি উক্ত সময়ের পূর্বে মারা যান এবং উক্ত ক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যু হইতে উত্তরদায়টি ন্যস্ত হইয়া থাকে৷
ব্যাখ্যা৷- কোন ব্যক্তির বরাবরে উত্তরদায় তাহার উপর স্বার্থে ন্যস্ত হইবে না এমন ইচ্ছা শুধুমাত্র একটি বিধান হইতে অনুমান করা যাইবে না যদদ্বারা উইলকৃত বস্তুটির পরিশোধ বা দখল স্থগিত করা হয় বা যদদ্বারা উইলকৃত তহবিল হইতে আয় পুঞ্জীভূত হইবে বলিয়া নির্দেশ দেওয়া হয় যতক্ষণ না পরিশোধের সময় হয় কিংবা এইরূপ কোন দফা হইতে যে, যদি বিশেষ কোন ঘটনা ঘটে, তাহা হইলে উত্তরদায়টি অন্যকোন ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ কে ১০০ টাকা দান করে যাহা গ-এর মৃত্যুতে প্রদেয় হইবে৷ ক- এর মৃত্যুতে উত্তরদায়টি খ-এর উপর ন্যস্ত হয়, এবং যদি সে গ-এর পূর্বে মারা যায়, তাহা হইলে তাহার প্রতিনিধি উত্তরদায়টি পাইবে৷
(আ) ক, খ কে ১০০ টাকা দান করে, যাহা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হইলে প্রদেয় হইবে৷ ক-এর মৃত্যুতে উহা খ-এর বরাবরে ন্যস্ত হয়৷
(ই) একটা ভূ-সম্পত্তি ক-কে আজীবনের জন্য দান করা হয় এবং তাহার মৃত্যুর পর 'খ' যদি জীবিত থাকে তবে সে পাইবে এই বলা থাকে, কিন্তু যদি 'খ' জীবিত না থাকেন তবে 'গ' পাইবে৷ উইলকারীর জীবিত অবস্থায় ক এবং 'খ' বাচিয়া থাকে৷ এক্ষেত্রে খ এবং গ ভূ-সম্পত্তিতে শর্ত সাপেক্ষ স্বার্থ পাইবে যদি না ঘটনাটি ঘটে৷
(ঈ) খ-এর বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ক কে তহবিল দান করা হয় এবং তারপর খ-কে৷ উইলকারীর মৃত্যু হইতে খ-এর বরাবরে উত্তরদায়টি ন্যস্ত হয়৷
(উ) ক, খ কে ট্রাস্টমূলে তাঁহার সমুদয় সম্পত্তি উইলমূলে দান করে এবং তারপর গ কে দেয়৷ ক-এর মৃত্যুতে গ-এর বরাবরে দানটি তাহার উপর ন্যস্ত হইবে৷
ধারা-১২০৷ ন্যস্ততার তারিখ যখন নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনায় উত্তরদায় শর্তসাপেক্ষে৷- (১) কোন নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনার ক্ষেত্রে উইলকৃত উত্তরদায় উক্ত ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত ন্যস্ত হইবে না৷
(২) কোন নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনার ক্ষেত্রে উইলকৃত উত্তরদায় উক্ত ঘটনা ঘটা অসম্ভব না হওয়া পর্যন্ত ন্যস্ত হইবে না৷
(৩) যে কোন একটা ক্ষেত্রে শর্তটি পূরণ না হইলে উত্তরদায়গ্রহীতার স্বাথর্কে শর্তাধীন বলা হয়৷
ব্যতিক্রম- যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির বরাবরে বিশেষ বয়স অর্জন পর্যন্ত দান করা হয় এবং তিনি উক্ত বয়সে পৌঁছানোর পূর্বে উইলটি তহবিল হইতে উদ্বৃত্ত আয় তাহাকে দিয়া দেয় অথবা তাহার কল্যাণার্থে যতখানি প্রযোজন আয় ততখানি প্রয়োজন হইবে এইরূপ নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে তহবিলের দানটি শর্তাধীন নয়৷
উদাহরণ
(১) ঘ এর বরাবরে উত্তরদায় দান করা হয় যদি ক, খ এবং ঘ সকলে ১৮ বছরের নীচে মারা যায়৷ উত্তরদায়টিতে ঘ এর শর্তসাপেক্ষে স্বার্থ আছে যতক্ষণ না ক, খ এবং গ সকলে ১৮ বছরের নীচে মারা যায় অথবা তাহাদের সকলে উক্ত বয়স অর্জন করে৷
(২) কিছু অর্থ খ কে দান করা হয় যদি সে ১৮ বছর বয়স্ক হয় অথবা যখন তাহার বয়স ১৮ বছর হইবে৷ ক এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষে হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত সে উক্ত বয়স অর্জন দ্বারা শর্তটি পূর্ণ হয়৷
(৩) একটা ভূ-সম্পত্তি ক-কে তাহার মৃত্যুর পর খ-কে দান করা হয় যদি খ তখন জীবিত থাকে, কিন্তু খ জীবিত না থাকিলে গ-কে৷ উইলকারী ক, খ এবং গ এর পূর্বে মারা যায়৷ খ এবং গ প্রত্যেকে ভূ-সম্পত্তিতে শর্তসাপেক্ষ স্বার্থ পায় যদি না ঘটনাটি ঘটে৷
(৪) একটি ভূ-সম্পত্তি 'ক'-এর বরাবরে আজীবনের জন্য দান উইল করা হইল৷ ক-এর জীবদ্দশায় 'খ' মারা যায় এবং 'খ'-এর মৃত্যুর পর 'গ' উহাতে কায়েজী স্বার্থ-লাভ করে৷
(৫) 'ক' এর বরাবরে এই মর্মে উইল করা হয় যে, তাহার বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন সে (মহিলা) 'খ'-এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে এবং উক্ত মহিলাটি যদি ইহার কোনটাই না করেন, তবে উহা 'গ' পাইবে৷ এক্ষেত্রে উভয়ে শর্তসাপেক্ষ স্বার্থ অর্জন করিবে৷
(৬) একটি ভূ-সম্পত্তি ক কে দান করা হয় যতক্ষণ না সে বিবাহ করিবে এবং উক্ত ঘটনার পরে খ কে দান করা হয়৷ দানে খ এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষ যতক্ষণ না ক এর বিবাহ দ্বারা শর্তটি পূর্ণ হয়৷
(৭) ভূ-সম্পত্তি ক কে দান করা হয় যতক্ষণ না সে ঋণগ্রহীতার প্রতিকারের জন্য কোন আইনের সুবিধা পাইবে এবং উক্ত ঘটনার পরে খ এর বরাবরে দান করা হয়৷ দানটিতে খ এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষ যদি না ক উক্ত আইনের সুবিধা গ্রহণ করে৷
(৮) ভূ-সম্পত্তি ক কে দান করা হয় যদি সে খ কে ৫০০ টাকা দেয়৷ দানটিতে ক এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষ যতক্ষণ সে খ কে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে৷
(৯) ক, খ কে তাহার সুলতানপুরের খামারটি দেয় যদি খ গ কে সুলতানপুর বুজা ক এর খামারটি গ কে দেয়৷ দায়টিতে খ এর শর্ত সাপেক্ষ যতক্ষণ না সে পরবর্তী খামারটি গ, কে দিয়া থাকে৷
(১০) ক কে একটি তহবিল দান করা হয় যদি উইলকারীর মৃত্যুর পরে ৫ বছরের মধ্যে খ, গ কে বিবাহ করে৷ উত্তরদায়টিতে ক এর স্বার্থ শর্তসাপেক্ষ যতক্ষণ না গ কে খ এর বিবাহ ব্যতীত ৫ বছর অবসান দ্বারা অথবা উক্ত সময়ের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটা দ্বারা যাহা উক্ত শর্ত পূরণ অসম্ভব করিয়া দেয়, শর্তটি পূরণ হয়৷
(১১) একটি তহবিল ক কে দান করা হয় যদি খ উইল দ্বারা তাহার জন্য কোন বিধান না করে৷ খ এর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত উত্তরদায়টি শর্ত সাপেক্ষ৷
(১২) ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া মাত্র ক, খ কে ৫০০ টাকা দান কের এবং নির্দিষ্ট দেয় যে সুদ অথবা উহার কোন অংশ উক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাহার কল্যাণার্থে ব্যয় হইবে৷ উত্তরদায়টি ন্যস্ত৷
(১৩) ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া মাত্র ক, খ কে ৫০০ টাকা দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে উক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু অর্থ তাহার ভরণ পোষণের জন্য ব্যয় করা হবে৷ উত্তর দায়টি শর্তসাপেক্ষ৷
ধারা-১২১৷ বিশেষ বয়স অর্জন করিবে এইরূপ শ্রেণীর সদস্যগণের বরাবরে দানে বিদ্যমান স্বার্থের ন্যস্ততা৷- যেক্ষেত্রে বিশেষ বয়স অর্জন করিবে শুধুমাত্র এইরূপ শ্রণীর সদস্যগণের বরাবরে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি উক্ত বয়স অর্জন করে নাই তিনি উত্তরদায়টিতে স্বার্থের অধিকারী হইবে না৷
উদাহরণ
একটি তহবিল ১৮ বছর বয়স হইবে ক এর এইরূপ সন্তান এর বরাবরে এমন নির্দেশসহ দান করা হয় যে, যদি ক এর কোন সন্তান ১৮ বছরের নীচে জয় তাহা হইলে যে অংশের সে অধিকারী হইবে ঐ অংশের আয় তাহার ভরণ-পোষণ এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হইবে৷ ১৮ বছরের নীচে ক এর কোন সন্তানের দানটিতে ন্যস্ত অধিকার থাকিবে না
-
অধ্যায় নয়
অ'নারাস দান সম্পর্ক
ধারা-১২২৷ অ'নারাস দান৷- যেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতার উপর কোন দান বাধ্যবাধকতা আরোপ করে, সেক্ষেত্রে তিনি উহা পূর্ণভাবে গ্রহণ না করিলে উহা দ্বারা কিছুই গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷
উদাহরণ
ক এর চ নামক জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে এবং ছ নামক অন্য একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে শেয়ার আছে৷ ক, খ কে উক্ত জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সমস্ত শেয়ার দান করে৷ খ, ছ কোম্পানির শেয়ার নিতে অস্বীকার করে৷ সে চ কোম্পানির শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে৷
ধারা-১২৩৷ একই ব্যক্তিকে দু'টি পৃথক এবং স্বাধীন দানের একটি গ্রহণ করা যাইবে এবং অন্যটি প্রত্যাখান করা যাইবে৷- যেক্ষেত্রে একটি উইল এ একই ব্যক্তির বরাবরে দু'টি পৃথক এবং স্বাধীন দান থাকে, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতার যে কোন একটি গ্রহণের এবং অন্যটি অস্বীকার করিবার স্বাধীনতা থাকিবে, যদিও পূর্বটি লাভজনক এবং পরেরটি অ'নারাস৷
উদাহরণ
ক এর কয়েক বত্ সর মেয়াদের একটি বাড়ীর ইজারা আছে যাহার খাজনা তিনি এবং তাহার প্রতিনিধি উক্ত মেয়াদে প্রদান করিতে বাধ্য এবং বাড়ীটি যে খাজনায় ভাড়া দেওয়া যাইবে উহা তাহার অধিক৷ খ ইজারাটি গ্রহণ করিতে অস্বীকার করে৷ এইরূপ অস্বীকার দ্বারা সে অর্থ বাজেয়াপ্ত করিবে না৷
-
অধ্যায় -দশ
শর্তাধীন দান সম্পর্কে
ধারা-১২৪৷ নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা ঘটার কোন সময় উল্লেখ না থাকিলে সেক্ষেত্রে শতর্সাপেক্ষ দান৷- যেক্ষেত্রে উত্তরদায় দান করা হয় যদি নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটে এবং উইল-এ উক্ত ঘটনা ঘটার জন্য কোন সময় উল্লেখ না থাকে, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি কার্যকর হইবে না যদি না উইলকৃত তহবিল দেয় বা বণ্টনযোগ্য মেয়াদের উক্ত ঘটনা ঘটে৷
উদাহরণ
(অ) একটি উত্তর দায় ক-কে এবং তাহার মৃত্যুতে খ কে দান করা হয়৷ ক যদি জীবিত থাকে তাহা হইলে খ এর বরাবরে উত্তরদায়টি কার্যকর হইবে৷
(আ) একটি উত্তরদায় ক-কে এবং নিঃসন্তান অবস্থায় তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে খ কে দান করা হয়৷ যদি ক উইলকারীর পরে মারা যায় অথবা সন্তান রাখিয়া তাহার জীবদ্দশায় মারা যায় তাহা হইলে খ এর বরাবরে উত্তরদায়টি কার্যকর হইবে না৷
(ই) যখন এবং যদি ১৮ বছর বয়স্ক হয় তাহা হইলে একটি উত্তরদায় ক কে এবং তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে খ-কে দান করা হয়৷ ক ১৮ বছর বয়স অর্জন করে৷ খ এর বরাবরে উত্তরদায়টি কার্যকর হইবে না৷
(ঈ) একটি উত্তরদায় ক-কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ-কে এবং নিঃসন্তান অবস্থায় খ এর মৃত্যুর ক্ষেত্রে গ কে দান করা হয়৷ ''নিঃসন্তান অবস্থায় খ এর মৃত্যুর ক্ষেত্রে'' শব্দগুলি ''ক এর জীবদ্দশায় যদি খ সন্তানহীন অবস্থায় মারা যায়'' অর্থমতে, বুঝিতে হইবে৷
(উ) সারা জীবনের জন্য ক-এর বরাবরে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ-এর বরাবরে এবং 'খ'-এর মৃত্যু হইলে 'গ'-এর বরাবরে একটি উত্তরদায় উইল করে দেয়া হয়৷ ''খ''-এর মৃত্যু হইলে'' শব্দাবলী ক-এর জীবদ্দশায় 'খ' মারা গেলে''- এমন অর্থে বিবেচনা করিতে হইবে৷
ধারা-১২৫৷ নির্দিষ্ট নয় এইরূপ কোন মেয়াদে জীবিত কতিপয় ব্যক্তি বরাবরে দান৷- যেক্ষেত্রে কোন মেয়াদে জীবিত থাকিবে এইরূপ ব্যক্তির বরাবরে কোন দান করা হয় কিন্তু সঠিক সময় উল্লেখ করা না হয়, সেক্ষেত্রে উইল দ্বারা বিপরীত মর্মে ইচ্ছা প্রতীয়মান না হইলে উত্তরদায়টি পরিশোধ বা বণ্টনের সময় জীবিত ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইবে৷
উদাহরণ
(অ) সম্পত্তি সমানভাবে ক এবং খ এর মধ্যে অথবা তাদের উত্তরজীবীগণের মধ্যে দান করা হয়৷ ক এবং খ উভয়ই যদি উইলকারীর উত্তরজীবী থাকে তাহা হইলে উত্তরদায়টি তাহাদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হইবে৷ যদি ক উইলকারীর পূর্বে মারা যায় এবং খ জীবিত থাকে তাহলে উহা খ এর বরাবরে যাইবে৷
(আ) সম্পত্তি ক কে এবং ক এর মৃত্যুর পরে খ এবং গ কে অথবা তাহাদের উত্তরজীবীকে দান করা হয়৷ ক এর জীবদ্দশায় খ মারা যায়, গ, ক এর উত্তরজীবী থাকে৷ ক এর মৃত্যুতে উত্তরদায়টি গ এর কাছে যায়৷
(ই) সম্পত্তি ক কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ এবং গ কে অথবা তাদের উত্তরজীবীকে এই নির্দেশ দিয়া দান করা হয় যে, যদি খ উইলকারীর উত্তরজীবী না হয় তাহলে তাহার সন্তানগণ তাহার স্থানে অবস্থান করিবে৷ গ উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়, খ উইলকারীর উত্তরজীবী থাকে কিন্তু ক এর জীবদ্দশায় মারা যায়৷ উত্তরদায়টি খ এর প্রতিনিধির নিকটে যায়৷
(ঈ) সম্পত্তি ক কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে খ এবং গ কে এই নির্দেশ দিয়া দান করা হয় যে, যদি তাহাদের যে কোন একজন ক এর জীবদ্দশায় মারা যায় তাহা হইলে সমুদয় সম্পত্তি উত্তরজীবীর নিকট চলিয়া যাইবে৷ খ, ক এর জীবদ্দশায় মারা যায় পরবর্তী ক, গ এর জীবদ্দশায় মারা যায়, উত্তরদায়টি গ এর প্রতিনিধির নিকটে চলিয়া যায়৷
-
অধ্যায়-এগার
শর্তসাপেক্ষ দান সম্পর্কে
ধারা-১২৬৷ অসম্ভব শর্তে দান৷- অসম্ভব শর্তে কোন দান বাতিল হয়৷
উদাহরণ
(ক) ভূ-সম্পত্তি ক-কে এই শর্তে দান করা হয় যে, এক ঘন্টায় ১০০ মাইল হাঁটিবে৷ দানটি বাতিল হয়৷
(আ) ক, খ কে এই শর্তে ৫০০ টাকা দান করে যে খ, ক এর কন্যাকে বিবাহ করিবে৷ উইল এর তারিখে ক-এর কন্যা মৃত ছিল দানটি বাতিল হইবে৷
ধারা-১২৭৷ বেআইনী বা অনৈতিক স্বার্থ দান৷- কোন শর্তে দান, যাহা পূরণ করা আইন বা নৈতিকতা বিরোধী হইবে, বাতিল হইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ কে এই শর্তে ৫০০ টাকা দান করে যে, সে গ কে খুন করিবে৷ দানটি বাতিল হইবে৷
(আ) ক তাহার ভাইঝিকে ৫০০ টাকা দান করে যদি সে তাহার স্বামীকে ত্যাগ করে৷ দানটি বাতিল হইবে৷
ধারা-১২৮৷ উত্তরদায় ন্যস্ততার পূর্ববর্তী শর্ত পূরণ৷- যেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকৃত বস্তুতে ন্যস্ত স্বার্থ গ্রহণ করিবার পূর্বে কোন উইল পূরণ করিতে হইবে এমন কোন শর্ত আরোপ করে, সেক্ষেত্রে শর্তটি পালন করা হইলে উহা পূরণ করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক কে এই শর্তে উত্তরদায় দান করা যায় যে, সে খ, গ, ঘ এবং ঙ এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে৷ ক, খ এর লিখিত সম্মতিতে বিবাহ করে, গ বিবাহের সময় উপস্থিত থাকে৷ খ বিবাহের পূর্বে ক কে একটি উপহার পাঠায়৷ ঙ, ক কে ব্যক্তিগতভাবে তাহার ইচ্ছার কথা জানায় এবং কোন আপত্তি করে নাই৷ ক শর্তটি পূর্ণ করিয়াছেন৷
(আ) একটি উত্তরদায় ক-কে এই শর্তে দান করা হয় যে, খ, গ এবং ঘ-এর সম্মতিতে বিবাহ করে৷ 'ক' শর্তটি পূরণ করিয়াছে৷
(ই) একটি উত্তর দায় ক কে এই শর্তে দান করা হয় যে, সে খ, গ এবং ঘ এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে৷ ক, খ এবং গ এর জীবদ্দশায় শুধুমাত্র খ এবং গ এর সম্মতিতে বিবাহ করে৷ ক শর্তটি পূরণ করে নাই৷
(ঈ) একটি উত্তরদায় ক কে এই শর্তে দান করা হয় যে, সে খ, গ এবং ঘ এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে৷ ক নিঃশর্তভাবে ঙ এর সহিত তাহার বিবাহে খ, গ এবং ঘ এর সম্মতি লাভ করে৷ পরবর্তীতে খ, গ এবং ঘ খামখেয়ালীভাবে তাহাদের সম্মতি প্রত্যাহার করে৷ ক, ঙ কে বিবাহ করে৷ ক শর্তটি পূরণ করিয়াছে৷
(উ) একটি উত্তরদায় ক-কে এই শর্তে দান করা হয় যে, খ, গ এবং ঘ এর সম্মতিতে বিবাহ করিবে৷ ক তাহাদের সম্মতি ছাড়া বিবাহ করে কিন্তু বিবাহের পরে তাহাদের সম্মতি লাভ করে৷ ক শর্তটি পূরণ করে নাই৷
(ঊ) ক তাহার উইল করে যাহা দ্বারা সে খ কে কিছু অর্থ দান করে যদি খ, ক এর নির্বাহকদের সম্মতিতে বিবাহ করে৷ খ, ক এর জীবদ্দশায় বিবাহ করে এবং ক পরবর্র্তীতে বিবাহে তাহার সম্মতি ব্যক্ত করে৷ ক মারা যায়৷ খ এর বরাবরে দানটি কার্যকর হইবে৷
(ঋ) একটি উত্তরদায় ক কে দান করা হয় যদি সে উইল-এ কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট দলিল সম্পাদন করে৷ যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে ক দলিলটি সম্পাদন করে৷ কিন্তু উইলে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে করে না৷ শর্তটি পূরণ করে নাই এবং তাই উত্তরদায়টি গ্রহণ করিবার অধিকারী নয়৷
ধারা-১২৯৷ ক এর বরাবরে দান এবং খ এর বরাবরে পূর্ব দানের ব্যর্থতা৷- যেক্ষেত একজন ব্যক্তির বরাবরে দান করা হয় এবং অন্যজন ব্যক্তির বরাবরে ঐ একই জিনিস দান করা হয়, যদি পূর্ববর্তী দানটি ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী দানটির ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দানটি কার্যকর হইবে যদিও উক্ত ব্যর্থতা উইলকারীর কল্পিত পদ্ধতিতে ঘটে নাই৷
উদাহরণ
(অ) ক তাহার সন্তানদেরকে কিছু অর্থ এবং ১৮ বছরের নীচে তাহারা সকলে মারা গেলে উক্ত অর্থ খ কে দান করে৷ ক কোন সন্তান না রাখিয়া মারা যায়৷ খ এর বরাবরে দানটি কার্যকরী হইবে৷
(আ) ক, খ কে এই শর্তে কিছু অর্থ দান করে যে, সে ক এর মৃত্যুর তিন মাসের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট দলিল সম্পাদন করিবে৷ এবং যদি সে গ এর বরাবরে উহা করিতে অবহেলা করে৷ খ উইলকারীর জীবদ্দশায় মারা যায়৷ গ এর বরাবরে দানটি কার্যকরী হইবে৷
ধারা-১৩০৷ যখন প্রথম দানের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দান কার্যকর হয় না৷- যেক্ষেত্রে উইল-এ এইরূপ ইচ্ছা থাকে যে বিশেষ অবস্থায় কেবলমাত্র প্রথম দানের ব্যর্থতার ঘটনায় দ্বিতীয় দানটি কার্যকর হইবে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় দানটি কার্যকর হইবে না যদি না প্রথম দানটি উক্ত বিশেষভাবে ব্যর্থ হয়৷
উদাহরণ
ক তাহার স্ত্রীকে উইলমূলে দান করে কিন্তু যদি সে (স্ত্রী) তাহার জীবদ্দশায় মারা যায় সেক্ষেত্রে তাহার স্ত্রীর বরাবরে দানকৃত বস্তুটি খ-কে দান করে৷ ক এবং তাহার স্ত্রী একত্রে মারা যায় কিন্তু স্ত্রী তাহার পূর্বে মারা গিয়াছে এইরূপ প্রমাণ করা অসম্ভব হয়, খ-এর বরাবরে দানটি কার্যকর হইবে না৷
ধারা-১৩১৷ নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা ঘটা বা না ঘটার ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে দান৷- (১) কোন ব্যক্তির বরাবরে এই শর্তে দান করা যাইবে যে, নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা ঘটার ক্ষেত্রে উইলকৃত বস্তুটি অন্যকোন ব্যক্তির কাছে যাইবে অথবা এই শর্তে যে, নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনাটি না ঘটিলে উইলকৃত বস্তুটি অন্য ব্যক্তির কাছে যাইবে৷
(২) প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সর্বশেষ দানটি ১২০, ১২১, ১২২, ১২৩, ১২৪, ১২৫, ১২৬, ১২৭, ১২৯ এবং ১৩০ ধারায় বর্ণিত বিধি সাপেক্ষে হইবে৷
উদাহরণ
(অ) কিছু অর্থ ''ক'' কে দান করা হয় যাহা তাহার বয়স ১৮ বছর হইলে তাহার বরাবরে প্রদেয় হইবে এবং উক্ত বয়সের পূর্বেই যদি সে মারা যায় তাহা হইলে ''খ'' পাইবে৷ ''ক'' উত্তরদায়টিতে ন্যস্ত স্বার্থ গ্রহণ করে এবং ১৮ বছরের নীচে মারা গেলে উহা ''খ'' পায়৷
(আ) ''ক'' এর বরাবরে ভূ-সম্পত্তি এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি ক উইলকারীর উইল করার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাহা হইলে ভূ-সম্পত্তিটি খ এর কাছে চলিয়া যাইবে৷ ''ক'' উক্ত প্রশ্ন তোলায় ভূ-সম্পত্তিটি ''খ'' এর কাছে চলিয়া যাইবে৷
(ই) কিছু অর্থ ''ক'' ''খ''-কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে ''খ'' কে দান করা হয়, কিন্তু যদি ''খ'' তখন পুত্র সন্তান রাখিয়া মারা যায় তাহা হইলে উক্ত সন্তান ''খ'' এর স্থলে অবস্থান করিবে৷ যদি ''ক'' ''খ'' এর জীবদ্দশায় পুত্র রাখিয়া মারা যায় তাহা হইলে সে উত্তরদায়টিতে ন্যস্ত স্বার্থ গ্রহণ করে৷
(ঈ) কিছু অর্থ ''ক'' এবং ''খ'' কে এবং ''গ'' এর জীবদ্দশায় উহাদের যে কোন একজন মারা গেলে গ এর মৃত্যুর সময়ে উত্তরজীবীর বরাবরে দান করা হয়৷ ''ক'' এবং ''খ'' ''গ'' এর পূর্বে মারা যায়৷ দানটি কার্যকর হইবে না কিন্তু ''ক'' এর প্রতিনিধি অর্থের অর্ধেক এবং ''খ'' এর প্রতিনিধি অপর অর্ধেক পায়৷
(উ) ''ক'' ''খ'' কে তহবিলের স্বার্থ দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে তাহার মৃত্যুতে উক্ত তহবিল তাহার তিন সন্তানের মধ্যে অথবা তাহার মৃত্যুর সময় জীবিতদের মধ্যে সমান ভাবে বণ্টিত হইবে৷ ''খ'' এর সকল সন্তান তাহার জীবদ্দশায় মারা যায়৷ দানটি কার্যকর হইবে না কিন্তু সন্তানদের স্বার্থ তাহাদের প্রতিনিধির বরাবরে চলিয়া যায়৷
ধারা-১৩২৷ শর্ত অবশ্যই চূড়ান্তভাবে পূরণ করিতে হইবে৷ ১৩১ ধারায় বর্ণিত কোন দান কার্যকর হইবে না, যদি না শর্তটি চূড়ান্তভাবে পূরণ করা হয়৷
উদাহরণ
(অ) একটি উত্তরদায় ''ক'' কে এইশর্তে দান করা হয় যে, যদি সে ''খ'', ''গ'' এবং ''ঘ'' এর সম্মতি ছাড়া বিবাহ করে তাহা হইলে উহা ঙ এর বরাবরে চলিয়া যাইবে৷ ঘ মরা যায়৷ ''খ'' এবং ''গ'' এর সম্মতি ছাড়া বিবাহ করিলেও ''ঙ'' এর বরাবরে দানটি কর্যকর হয় না৷
(আ) একটি উত্তরদায় ক এর বরাবরে এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি সে খ এর সম্মতি ব্যতীত বিবাহ করে তাহা হইলে উহা গ এর বরাবরে চলিয়া যাইবে৷ ক খ এর সম্মতিতে বিবাহ করে কিন্তু পরবর্তীতে বিপত্নীক হইয়া যায় এবং খ এর সম্মতি ছাড়া পুনরায় বিবাহ করে৷ গ এর বরাবরে দানটি কার্যকর হয় না৷
(ই) একটি উত্তরদায় ক কে দান করা হয় যাহা তাহার বয়স ১৮ বছর হইলে অথবা সে বিবাহ করিলে প্রদেয় হইবে এবং এই শর্তে যে, যদি ''ক'' ১৮ বছরের নীচে মারা যায় অথবা খ এর সম্মতি ছাড়া বিবাহ করে তাহা হইলে উহা ''গ'' এর বরাবরে চলিয়া যাইবে৷ ''গ'' এর বরাবরে দানটি কার্যকর হয়৷
ধারা-১৩৩৷ দ্বিতীয় দানের অবৈধতার দ্বারা মূল দানটি ক্ষতিগ্রস্ত হইবে না৷- যদি সর্বশেষ দানটি বৈধ না হয় তাহা হইলে তদ্বারা মূল দানটি ক্ষতিগ্রস্ত হইবে না৷
উদাহরণ
(অ) কোন ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে যদি সে কোন নির্দিষ্ট দিনে এক ঘন্টায় ১০০ মাইল না হাঁটে তাহা হাইলে ভূ-সম্পত্তিটি ''খ'' পাইবে৷ শর্তটি বাতিল হওয়ায় ''ক'' তাহার ভূ-সম্পত্তি এমনভাবে লাভ করে যেন উইল এ কোন শর্তই উল্লেখ করা হয় না৷
(আ) কোন ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এবং যদি সে তাহার স্বামীকে ত্যাগ না করে তাহা হইলে ''ঘ'' কে দান করা হয়৷ ''ক'' কে দান করা হয়৷ ''ক'' তাহার জীবদ্দশায় ভূ-সম্পত্তিটি এমনভাবে পাইবে যেন উইল এ কোন শর্তই উল্লেখ করা হয় না৷
(ই) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এবং যদি সে বিবাহ করে তাহা হইলে ''খ'' এর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে দান করা হয়৷ উইলকারীর মৃত্যুর সময় ''খ'' এর কোন সন্তান ছিল না৷ ১০৫ ধারার অধীনে দানটি বাতিল হওয়ায় ''ক'' তাহার জীবদ্দশায় ভূ-সম্পত্তিটির অধিকারী হইবে৷
ধারা-১৩৪৷ এই শর্তে দান করা হয় যে, নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা ঘটিলে বা না ঘটিলে উহার কার্যকারিতা থাকিবে না৷- একটি দান এই শর্তে করা যাইবে যে, যদি নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটে অথবা যদি নির্দিষ্ট অনিশ্চিত ঘটনা না ঘটে তাহা হইলে উহা কার্যকর হইবে না৷
উদাহরণ
(অ) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি সে কোন নির্দিষ্ট গাছ কাটে তাহা হইলে দানটির কোন কার্যকারিতা থাকিবে না, ''ক'' গাছটি কাটে৷ সে ভূ-সম্পত্তিতে তাহার জীবন স্বত্ব হারায়৷
(আ) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি সে উইল এ উল্লেখিত নির্বাহকের সম্মতি ব্যতীত ২৫ বছরের নীচে বিবাহ করে তাহা হইলে উহা তাহার অধিকারভূক্ত হইবে না৷ ''ক'' তদরূপ করায় সে ভূ-সম্পত্তিটি হারায়৷
(ই) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে, যদি সে উইলকারীর মৃত্যুর পরে তিন বছরের মধ্যে ইংল্যান্ড না যায় তাহা হইলে ভূ-সম্পত্তিতে তাহার স্বার্থ থাকিবে না৷ ''ক'' উহা না করায় তাহার স্বার্থের অবলুপ্তি ঘটে৷
(ঈ) একটি ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে যদি সে নান হয় তাহা হইলে সে উহা কোন স্বার্থ পাইবে না৷ ''ক'' নান হওয়ায় তাহার স্বার্থ হারায়৷
(উ) একটি তহবিল ''ক'' কে জীবন স্বত্বে দান করে এবং ''ক'' এর মৃত্যুর পরে ''খ'' কে এই শর্তে দান করা হয় যে যদি ''খ'' নান হয় তাহা হইলে তাহার বরাবরে দানটির কোন কার্যকারিতা থাকিবে না৷ ''খ'' ''ক'' এর জীবদ্দশায় নান হওয়ায় সে তহবিলে বিদ্যমান স্বার্থ হারায়৷
ধারা-১৩৫৷ উক্তরূপ শর্ত ১২০ ধারায় অধীনে অবৈধ হইবে না৷- একটি দানের কার্যকারিতা থাকিবে না এইরূপ শর্ত যাহাতে বৈধ হইতে পারে, ইহা আবশ্যক যে উক্ত শর্ত প্রযোজ্য এইরূপ ঘটনা এমন একটি ঘটনা হইবে যাহা ১২০ ধারায় বর্ণিত দানের শর্ত বৈধভাবে গঠন করিবে৷
ধারা-১৩৬৷ কোন সময় নির্দিষ্ট নাই উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক এইরূপ কোন ঘটনা অসম্ভব করা কিংবা অনির্দিষ্টভাবে স্থগিত করার ফলাফল এবং যাহার বিষয়বস্তু সম্পাদন না করায় হস্তান্তরের ফল৷- যেক্ষেত্রে এই শর্ত দান করা হয় যে, উত্তরদায়গ্রহীতা কোন নির্দিষ্ট কার্য না করিলে দানটির বিষয়বস্তু অন্য ব্যক্তির নিকট চলিয়া যাইবে অথবা দানটির কার্যকারিতা থাকিবে না৷ কিন্তু কার্যটি সম্পাদনের জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করা হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের ফলে যদি কার্য সম্পন্ন হওয়া অসম্ভব হয় কিংবা অনির্দিষ্টভাবে স্থগিত থাকে, উত্তরদায়টি এমনভাবে যাইবে যেন উত্তরদায়গ্রহীতা উক্ত কার্য সম্পন্ন না করিয়া মারা গিয়াছে৷
উদাহরণ
(অ) ক-কে এই শর্তে উইল করে দেয়া হয় যে, সে সেনাবাহিনীতে যোগদান না করিলে উত্তরদায়টি খ-এর উপর ন্যস্ত হইবে৷ ক পবিত্র আদেশ নেওয়ার কারণে তাহার পক্ষে শর্তপূরণ করা অসম্ভব হইয়া পড়ে৷ উত্তর দায়টি খ পাইবে৷
(আ) ক-কে এই শর্তে উইল করিয়া দেওয়া হইল যে, ক, খ-এর কন্যাকে বিবাহ না করিলে উহার কোন কার্যকরতা থাকিবে না৷ ক, অন্য আরেক জনকে বিবাহ করার কারণে শর্ত পূরণ করিতে ব্যর্থ হইল৷ উত্তরদায়টির কোন কার্যকরতা থাকিবে না৷
ধারা-১৩৭৷ পূর্ববর্তী বা পরবর্তী শর্তের নির্দীষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পাদন৷ প্রতারণার ক্ষেত্রে আরও সময়৷- যেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক উত্তরদায়টি ভোগের পূর্বে শর্ত হিসাবে পূরণ করিতে হইবে অথবা দানের বিষয়বস্তু পূরণ করিতে হইবে অথবা দানের বিষয়বস্তু পূরণ না করা শর্তের ক্ষেত্রে উহা অন্য কোন ব্যক্তির কাছে চলিয়া যায় অথবা কার্যকারিতা হারায় উইলে এইরূপ কোন কার্যের উল্লেখ থাকে সেক্ষেত্রে কার্যটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে৷
-
অধ্যায়-বার
ভোগের প্রয়োগ বিষয়ে নির্দেশসহ দান সম্পর্কে
ধারা-১৩৮৷ যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির বরাবরে চূড়ান্তভাবে অথবা তাহার কল্যাণার্থে তহবিল দান করা হয়৷- কিন্তু এই মর্মে নির্দেশ থাকে যে উহা বিশেষভাবে ব্যবহৃত বা ভোগ করিতে হইবে সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতা এমনভাবে তহবিল গ্রহণে অধিকারী হইবে যেন উইলে উক্ত কোন নির্দেশ ছিল না৷
উদাহরণ
ক এর জন্য বাসস্থান ক্রয়ে অথবা ক এর জন্য এ্যানিউটির ক্রয়ের অথবা তাহাকে কোন ব্যবসায় বসানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু অর্থ দান করা হয়৷ ক অর্থের উত্তরদায়টি গ্রহণ করার জন্য পছন্দ করে৷ সে উক্তরূপ করিবার অধিকারী৷
ধারা-১৩৯৷ চূড়ান্ত দানের ভোগের পদ্ধতি সংকুচিত হইবে উত্তরদায়গ্রহীতার নির্দিষ্ট কল্যাণ নিশ্চিত করণার্থে এইরূপ নির্দেশ৷- যেক্ষেত্রে উইলকারী চূড়ান্তভাবে কোন তহবিল এমনভাবে দান করে যাহার ফলে উহা তাহার ভূ-সম্পত্তি হইতে বিচ্ছিন্ন হয় কিন্তু নির্দেশ দেয় যে উহার ভোগের ভরণ উত্তরদায়গ্রহীতার কল্যাণে নিশ্চিত করণার্থে তত্কর্তৃক সংকুচিত হইবে, সেক্ষেত্রে উক্ত কল্যাণ উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য পাওয়া না গেলে তহবিল এমনভাবে তাহার দখলভুক্ত হইবে যেন উইলে উক্তরূপ কোন নির্দেশ ছিল না৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' তাহার সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ তাহার কন্যাগণের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হইবে এমনভাবে দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে, তাহাদের অংশ জীবনব্যাপী স্থিরকৃত এবং তাহাদের মৃত্যুর পর তাহাদের সন্তানের বরাবরে প্রদত্ত হইবে৷ সকল কল্যাণ অবিবাহিত অবস্থায় মারা যায়৷ প্রত্যেক কন্যার প্রতিনিধিগণ অবশিষ্ট অংশের ভাগ পাইবে৷
(আ) ''ক'' তাহার কন্যার জন্য কিছু অর্থ তুলতে তাহার ট্রাস্টিদের নির্দেশ দেয় এবং পরে সে এরূপ নির্দেশ দেয় যে তাহারা তহবিল বিনিয়োগ করিবে এবং উহা হইতে আয় তাহার জীবদ্দশায় তাহাকে প্রদান করিবে এবং তাহার মৃত্যুর পর প্রধান অংশ তাহার সন্তানদের মধ্যে ভাগ করিয়া দিবে৷ কন্যা কোন সন্তান না রাখিয়া মারা গেল৷ তাহার প্রতিনিধি তহবিলের অধিকারী হইবে৷
ধারা-১৪০৷ কতিপয় উদ্দেশ্যে তহবিলের দান যাহার কিছু অংশ পূরণ করা যায় না৷- যেক্ষেত্রে উইলকারী কোন তহবিল চূড়ান্তভাবে তাহার ভূ-সম্পত্তি হইতে বিচ্ছিন্ন হইবে এমনভাবে দান করে না কিন্তু কতিপয় উদ্দেশ্যে উহা দিয়া থাকে এবং উক্ত উদ্দেশ্যের অংশ পূরণ করা যায় না, সেক্ষেত্রে উক্ত তহবিল অথবা উইলের মাধ্যমে উহার যতখানি অংশ নিশেষিত হইয়াছে ততখানি উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অংশ থাকে৷
উদাহরণ
(অ) কোন বিশেষভাবে ট্রাস্টিগণ কিছু অর্থ বিনিয়োগ করিবে এবং উহার স্বার্থ ''ক'' এর সন্তানকে প্রদান করিবে এবং তাহার মৃত্যুতে প্রধান অংশ তাহার সন্তানদের মধ্যে ভাগ হইবে৷ পুত্র কোন সন্তান না রাখিয়া মারা যায়৷ সন্তানের মৃত্যুর পর তহবিল উইলকারীর ভূ-সম্পত্তিভুক্ত হইবে৷
(আ) ''ক'' তাহার কন্যাগণের মধ্যে সমান ভাগে বণ্টিত হইবে এই মর্মে এবং এই নির্দেশ দেয়া তাহার ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্ট দান করে যে কেবলমাত্র তাহাদের জীবদ্দশায় তাহাদের স্বার্থ থাকিবে এবং তাহাদের মৃত্যুর পরে তহবিল তাহাদের সন্তানগণ পাইবে৷ কন্যাদের কোন সন্তান নাই৷ তহবিল উইলকারীর ভূ-সম্পত্তি ভূক্ত হইবে৷
অধ্যায় -তের
নির্বাহকের বরাবরে দান সম্পর্কে
ধারা-১৪১৷ উত্তরদায়গ্রহীতা নির্বাহক হিসাবে কার্য করিবার ইচ্ছা ব্যক্ত না করিলে তিনি নির্বাহক হিসাবে নাম দিতে পারিবেন না৷- যদি কোন উত্তরদায় উইলের নির্বাহক হিসাবে নাম দিতে চায় এমন কোন ব্যক্তির বরাবরে দান করা হয়, তাহা হইলে তিনি উইল প্রমাণ করিতে না পারিলে কিংবা অন্য কোনভাবে নির্বাহক হিসাবে কাজ করিবার ইচ্ছা ব্যক্ত না করিলে, তিনি উত্তরদায়টি গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷
উদাহরণ
নির্বাহক হিসাবে নাম দিয়াছেন এমন ব্যক্তি ''ক'' কে একটি উত্তরদায় দান করা হয়৷ ক উইলের নির্দেশ মোতাবেক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আদেশ দেন এবং উইল প্রমাণ না করিয়া উইলকারীর কিছু দিন পরে মারা যায়৷ ''ক'' নির্বাহক হিসাবে কাজ করিবার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়াছিল৷
-
অধ্যায় - চৌদ্দ
সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় সম্পর্কে
ধারা-১৪২৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের সংজ্ঞা৷- যেক্ষেত্রে এ উইলকারী কোন ব্যক্তিকে তাহার সম্পত্তির সুনির্দিষ্ট অংশ দান করেন, যাহা তাহার অন্য সম্পত্তির সকল অংশ হইতে পৃথক, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টিকে সুনির্দিষ্ট বলা হয়৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' ''খ'' কে দান করে-
''গ'' কর্তৃক আমাকে প্রদত্ত ডায়ামন্ডের আংটি''
''আমার সোনার হার''
''উলের নির্দিষ্ট একটি গাঁট''
''কাপড়ের নির্দিষ্ট একটি অংশ''
''কলকাতাস্থ আমার এম স্ট্রীটের বসতবাড়িতে আমার মৃত্যুকালে আমার যা কিছু গৃহস্থলী দ্রব্য থাকবে তার সমূদয় অংশ''
''সিন্দুকে রক্ষিত ১০০০ টাকা''
''খ আমার কাছে যে দেনা পাইবে''
''কলিকাতা আমার বাসাবাড়িতে দখলভুক্ত আমার সব বিল, বন্ড এবং সিকিউরিটি''
''কলিকাতার বাড়িতে আমার সকল আসবাবপত্র''
হুগলীর ওয়াই নদীতে বর্তমানে অবস্থানরত জাহাজে থাকা আমার সমস্ত পন্য৷
গ-এর হাতে থাকা ২০০০ টাকা৷
ঘ-এর মুচলেকা আমার প্রাপ্য অর্থ
''রামপুর ফ্যাক্টরিতে আমার রোহন''
''রামপুর ফ্যাক্টরিতে আমার রেহেনের টাকার অর্ধেক''
''গ-এর নিকট হইতে প্রাপ্য ১০০০ টাকা৷''
৪% হারে লোনে ১০,০০০ টাকার আমার সরকারী অংগীকার পত্র৷
দেউলিয়া হওয়া ঘ ও কোম্পানীর নিকট থেক আমাকে প্রদেয় সমস্ত অর্থ আমার মৃত্যুর পরে নির্বাহক গ্রহণ করবেন তার সমূদয় অংশ৷
আমার মৃত্যুর সময়ে আমার ভাড়ার পরে থাকার আমার সমস্ত মদ৷
আমার ঘোড়াগুলোর মধ্য থেকে খ কর্তৃক বাছাইকৃত ঘোড়া৷
ইমপেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় আমার সমস্ত শেয়ার৷
আমার মৃত্যুর ইমপেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার যে সমস্ত শেয়ার আমার দখলে থাকবে৷
আমার আছে তার সমূদয় অর্থ৷
আমার মৃত্যুকালে আমার অধিকারভূক্ত সকল সরকারী সিকিউরিটিজ;
(আ) ১০,০০০ টাকা মূল্যের ক-এর দখলভূক্ত সরকারী অংগীকার পত্রগুলো ক ''খ''-এর কল্যানার্থে বিক্রয় করার জন্য ট্রাস্টমূলে তার নির্বাহকদের বরাবরে দান করেন৷ উত্তর দায়টি নির্দিষ্ট৷
(ই) ক-এর বেনারস ও অন্যান্য স্থানে সম্পত্তি মধ্য থেকে তিনি বেনারসের সব সম্পত্তি খ-এর বরাবরে উইলমূলে দান করে দেন৷ উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট৷
(ঈ) ক খ কে উইলমূলে দান করেন-
(১) কলকাতাস্থ তার বাড়িটি;
(২) তার রামপুরের জামিনদারী;
(৩) তার রামনগরের তালুক;
(৪) শালক্যের তার ইন্ডিগো ফ্যাক্টরীর ইজারা;
(৫) তার জামিনদারীর খাজনার মধ্য হতে বার্ষিক ৫০০ টাকা ভাতা;
(৬) ক তার এক্সের জামিনদারীটি বিক্রি করার এবং উহার লভ্যাংশ খ-এর কল্যানে বিনিয়োগ করার নির্দেশ দেন৷
দানগুলোর প্রত্যেকটি সুনির্দিষ্ট৷
(উ) ক উইলমূলে তার ওয়াই এর জামিনদারীটি ১,০০০ টাকা বার্সিক ভাতাসহ জীবদ্দশায় গ-এর বরাবরে চার্জযুক্ত করেন, এবং চার্জটি সাপেক্ষে তিনি জামিনদারীটি ঘ-এর বরাবরে উইলমূলে দান করেন৷ প্রত্যেকটি দান সুনির্দিষ্ট৷
(ঊ) ক উইলমূলে অর্থ দান করেন-
(১) খ-এর জন্য কলকাতায় একটি বাড়ি ক্রয়ের জন্য;
(২) খ-এর জন্য ফরিদপুর জেলায় একটি সম্পত্তি কেনার জন্য;
(৩) খ-এর জন্য ডায়মন্ডের একটি আংটি ক্রয়ের জন্য;
(৪) খ-এর জন্য একটি ঘোড়া ক্রয়ের জন্য;
(৫) খ-এর জন্য ইমপেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে শেয়ার বিনিয়োগ করার জন্য;
(৬) খ-এর জন্য সরকারী সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার জন্য;
ক, খ কে উইলমূলে দান করেন-
(৭) ডায়মন্ডের একটি আংটি;
(৮) একটি ঘোড়া;
(৯) ১০,০০০ টাকার মূল্যের সরকারী সিকিউরিটিজ;
(১০) ৫০০ টাকার বার্ষিক ভাতা;
(১১) প্রত্যেককে প্রদেয় ২,০০০ টাকা;
(১২) ৪% হারে সরকারী সিকিউরিটিজ থেকে প্রাপ্য ৫,০০০ টাকা৷
দানগুলো সুনির্দিষ্ট নয়৷
(ঋ) ক-এর ইংল্যান্ড ও ভারতে থাকা সম্পত্তি আছে৷ তিনি খ-এর বরাবরে উইলমূলে একটি উত্তরদায় দান করেন, এবং নির্দেশ দেন যে, তার ভারতে থাকা সম্পত্তি থেকে উত্তর দায়টি পরিশোধ করতে হবে৷ তিনি গ-এর বরাবরেও একটি উত্তরদায় দেন, এবং দেন যে, ইংল্যান্ডে থাকা সম্পত্তি থেকে উত্তরদায়টি পরিশোধ করতে হবে৷
উত্তরদায়গুলোর কোনটিই সুনির্দিষ্ট নয়৷
ধারা-১৪৩৷ নির্দিষ্ট অর্থের দান যেখানে ন্যস্ত স্টকস্ প্রভৃতি বর্ণনা করা হয়৷- যেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অর্থদান করা হয়, যেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট নয় শুধুমাত্র এই কারণে যে, উত্তরদায়টি ন্যস্ত হয় এমন স্টক, বন্ড বা সিকিউরিটি উইলে বর্ণনা করা হইয়া থাকে৷
উদাহরণ
''ক'' ''ঘ'' কে দান করেন-
''আমার ফান্ডের সম্পত্তির ১০,০০০ টাকা''
''ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানীতে বিনিয়োগকৃত শেয়ার সম্পত্তির ১০,০০০ টাকা''
''রামপুর ফ্যাক্টরীর বর্তমানে রেহেনমূলে সিকিউরড্ ১০,০০০ টাকা৷''
এই সকল উত্তরদায়ের কোনটি সুনির্দিষ্ট নয়৷
ধারা-১৪৪৷ স্টক দান যেক্ষেত্রে উইলের তারিখে একই প্রকার স্টকের সমান বা বেশি পরিমাণ ছিল৷- যেক্ষেত্রে সাধারণ শর্তে যেকোন প্রকার স্টকের নির্দিষ্ট পরিমাণ দান করা হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি নির্দিষ্ট নয় শুধুমাত্র এই কারণে যে, উইলের সময়ে উইলকারী, উইলকৃত পরিমাণের সমান বা উহার চাইতে বেশি পরিমাণ সুনির্দিষ্ট স্টকের অধিকারী ছিলেন৷
উদাহরণ
''ক'' ৫% হারে ''খ'' কে সরকারী সিকিউরিটির ৫০০০ টাকা দান করেন৷ উইলের তারিখে ৫০০০ টাকার জন্য সরকারী সিকিউরিটির ৫% ''ক'' এর ছিল৷ উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট নয়৷
ধারা-১৪৫৷ নির্দিষ্টভাবে উইলকারীর সম্পত্তির অংশবিশেষ বিলি না হওয়া পর্যন্ত দেয়হীন অর্থের দান৷- অর্থ উত্তরদায় শুধুমাত্র এই কারণে সুনির্দিষ্ট নয় যে, উইলে উহার পরিশোধ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, যদি না উইলকারীর সম্পত্তির কিছু অংশ কোন নির্দিষ্ট আকারে হ্রাস করা হয় বা নির্দিষ্ট স্থানে প্রেরণ করা হয়৷
উদাহরণ
ক, খ-কে ১০,০০০ টাকা দান করেন এবং নির্দেশ থাকে যে, ক-এর ভারতের সম্পত্তি ইংল্যান্ডে আদায় মাত্র এই উত্তরদায় পরিশোধ করিতে হইবে৷ উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট নয়৷
ধারা-১৪৬৷ কখন নির্দিষ্ট দ্রব্য সুনির্দিষ্টভাবে উইল করা হয় নাই বলিয়া বিবেচিত হইবে৷- যেক্ষেত্রে পূর্বে উইল করা হয় নাই এই সম্পত্তির কিছু আইটেমসহ উইলকারীর সম্পত্তির অবশিষ্টাংশের দান থাকে, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দ্রব্য নির্দিষ্টভাবে উইল করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে না৷
ধারা-১৪৭৷ পরপর কয়েকজন ব্যক্তির বরাবরে সুনির্দিষ্ট দানের দখল৷- যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে সম্পত্তি সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয়, সেক্ষেত্রে উহা যে আকারে উইলকারী রাখিয়া গিয়াছিলেন ঐ আকারে রাখিতে হইবে যদিও উহা এমন প্রকৃতির হয় যে, অনবরত উহার মূল্য হ্রাস পাইতেছে৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' কয়েক বত্ সর মেয়াদের জন্য একটি বাড়ী ইজারা নেয়, তাহার মৃত্যুর সময়ে যাহার ১৫ ভাগ অবসান হয় নাই৷ ''ক'' উক্ত বাড়ীটি জীবনভর ''খ'' কে এবং ''খ''-এর মৃত্যুর পরে ''গ'' কে দান করেন৷ ''খ'', ''ক''-এর রেখে যাওয়া উক্ত সম্পত্তি ভোগ করে ''খ'' ১৫ বত্ সর যাবত্ বেঁচে থাকিলে দানের মাধ্যমে ''গ'' কিছুই পান না৷
(আ) ''ক'', ''খ''-এর জীবদ্দশায় একটি এ্যানুউটি থাকে, যাহা সে ''গ'' কে এবং ''গ''-এর মৃত্যুর পর ''ঘ'' কে দান করে৷ ''গ'' উক্ত এ্যানুউটি ভোগ করবে, যদিও ''খ'', ''ঘ''-এর পূর্বে মারা গেলে ''ঘ''-দানের অধীনে কিছুই পান না৷
ধারা-১৪৮৷ পরপর দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে উইলকৃত সম্পত্তির উপস্বত্বের বিক্রয় এবং বিনিয়োগ৷- যেক্ষেত্রে পরপর দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে দানের অন্তর্ভূক্ত সম্পত্তি সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয় নাই, সেক্ষেত্রে বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশের অবর্তমানে, উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করা যাইবে এবং বিক্রয়ের উপস্বত্ব সুপ্রীম কোর্ট দ্বারা কোন সাধারণ বিধির মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা নির্দেশিত জামানতে বিনিয়োগ করিতে হইবে, এবং উক্তভাবে গঠিত তহবিল উইলের শর্ত মোতাবেক ক্রমিক উত্তরদায়গ্রহীতার দ্বারা ভোগ করিতে হইবে৷
উদাহরণ
''ক''-এর কয়েক বত্ সর মেয়াদের একটা ইজারা আছে৷ সে তাহার সকল সম্পত্তি ''খ'' কে এবং ''খ''-এর মৃত্যুর পরে ''গ'' কে দান করে৷ ইজারাটি অবশ্যই বিক্রয় করিয়া উহার উপস্বত্ব এই ধারায় উল্লেখিতভাবে বিনিয়োগ করিতে হইবে এবং তহবিল হইতে উদ্ভূত আয় ''খ'' কে দিতে হইবে৷ ''খ''-এর মৃত্যুতে তহবিলের মূলধন ''গ'' কে প্রদান করিতে হইবে৷
ধারা-১৪৯৷ যেক্ষেত্রে উত্তরদায় পরিশোধে সম্পত্তির ঘাটতি থাকে, সেক্ষেত্রে সাধারণ উত্তরদায়ের সহিত সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় কমবে না৷- যদি উত্তরদায় পরিশোধে সম্পত্তির ঘাটতি থাকে, তাহা হইলে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় সাধারণ উত্তরদায়ে হ্রাস পাইবে না৷
-
অধ্যায়-পনের
নির্দেশাত্মক উত্তরদায় সম্পর্ক
ধারা-১৫০৷ নির্দেশাত্মক উত্তরদায়ের সংজ্ঞা৷- যেক্ষেত্রে উইলকারী নির্দিষ্ট অর্থ বা কোন প্রকার নির্দিষ্ট পণ্যের পরিমাণ দান করে এবং কোন বিশেষ প্রকার তহবিল বা স্টক এমনভাবে উল্লেখ করে যাহা একই জিনিস গঠন করে এবং যাহা হইতে প্রাথমিক তহবিল বা স্টক পরিশোধ করিতে হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টিকে নির্দেশাত্মক বলা হয়৷
ব্যাখ্যা - সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় এবং নির্দেশাত্মক উত্তর দায়ের মধ্যে পার্থক্য এই যে-
যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পত্তি উত্তরদায়গ্রহীতাকে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট;
যেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট সম্পত্তি হইতে পরিশোধিত হইবে বলিয়া নির্দেশ দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে উহা নির্দেশাত্মক৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' ''খ'' কে ১০০০ টাকা দান করে যাহা ''চ'' হইতে তাহার নিকট দেয় দেনা হইতে পরিশোধ করিতে হয়৷ ''খ'' এর বরাবরে উত্তরদায়টি সুনির্দিষ্ট এবং ''গ'' এরটি নির্দেশাত্মক৷
(আ) ''ক'' ''খ'' কে দান করে-
''আমার গ্রীন একর মাঠে উত্পন্ন ফসলের ১০ বাসেল''৷
''আমার রামপুরের কারখানায় উত্ পাদিত ৮০ টি সিন্দুক৷''
''সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্র হইতে ৫% হারে ১০,০০০ টাকা৷''
''আমার তহবিলকৃত সম্পত্তি হইতে ৫০০ টাকার বার্ষিক ভাতা৷''
''গ'' কর্তৃক আমার নিকট প্রাপ্য ২০০০ টাকা হইতে ১০০০ টাকা৷
(ই) ক, খ কে দান করে-
আমার রামনগরের ভূ-সম্পত্তি হইতে ১০,০০০ টাকা অথবা তাহার রামনগরের ভূ-সম্পত্তির উপর চার্জ সুষ্টি করে৷
কোন নির্দিষ্ট ব্যবসায়ে মূলধনকৃত আমার শেয়ারের ১০,০০০ টাকা৷
এই দানগুলির প্রত্যেকটি নির্দেশাত্মক৷
ধারা-১৫১৷ পরিশোধের আদেশ যখন তহবিল সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের বিষয় হইতে প্রদান করিতে হইবে বলিয়া উত্তরদায়ে নির্দেশ থাকে৷- যেক্ষেত্রে তহবিলের একটি অংশ সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয় এবং ঐ তহবিল হইতে উত্তরদায় পরিশোধিত হইবে নির্দেশ থাকে, সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উইলকৃত অংশটি প্রথমে উত্তরদায়গ্রহীতাকে প্রদান করিতে হইবে এবং তহবিলের অবশিষ্ট অংশ হইতে নির্দেশাত্মক উত্তরদায় এবং যতখানি অবশিষ্ট অংশ ঘাটতি হইবে ততখানি উইলকারীর সাধারণ সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷
উদাহরণ
ক, খ কে ১,০০০ টাকা দান করে যাহা চ এর নিকট হইতে তাহার নিকট দেনার অংশ৷ সে গ-কেও ১,০০০ টাকা দান করে যাহা চ এর নিকট হইতে ক এর নিকট দেনা কেবলমাত্র ১,৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা ঘ এর দখলে এবং ৫০০ টাকা গ-কে দিতে হয়৷ উইলকারীর সাধারণ সম্পত্তি হইতে গ-৫০০ টাকা পাইবে৷
-
অধ্যায়- ষোল
উত্তরদায় প্রত্যাহার সম্পর্কে
ধারা-১৫২৷ প্রত্যাহারের ব্যাখ্যা৷- সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত কোন কিছু যদি উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে তাহার দখলে না থাকে অথবা ভিন্ন প্রকার সম্পত্তিতে পরিণত করা হয় তাহা হইলে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়৷ অর্থাত্ উইলের কার্যকারিতা থেকে বিষয়বস্তু প্রত্যাহার করার করাণে উহা কার্যকর হয় না৷
উদাহরণ
(অ) ১৪২ ধারার প্রথম ৫টি উদাহরণ৷
ক তাহার জীবদ্দশায়-
''আংটিটি ক্রয় করে বা দিয়া দেয়৷''
''চেইনটি পেয়ালায় পরিণত করে৷''
''উল কাপড় পরিণত করে৷''
''কাপড় পোষাকে পরিণত করে৷''
অন্য একটি বাড়ী নেয় যাহাতে সে সকল দ্রব্য অপসারণ করে৷
এই উত্তর দায়গুলি প্রত্যেকটি প্রত্যাহার করা হয়৷
(আ) ক খ কে দান করে-
''সিন্দুকের ১,০০০ টাকা''৷
''আমার আস্তাবলের সমস্ত ঘোড়া''৷
ক এর মৃত্যুতে সিন্দুকে কোন অর্থ পাওয়া যায় নাই এবং আস্তাবলেও কোন ঘোড়া পাওয়া যায় নাই৷
উত্তরদায়গুলি প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷ (৩) ক, খ কে কিছু পণ্যের গাঁইট দান করে-
ক তাহার সহিত সমুদ্রযাত্রায় পণ্যগুলি গ্রহণ করে৷ জাহাজ এবং পণ্য সমুদ্রে নিখোঁজ হয় এবং ক ডুবে যায়৷ উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷
ধারা-১৫৩৷ নির্দেশাত্মক উত্তরদায়ের অ-প্রত্যাহার৷- কোন নির্দেশাত্মক উত্তরদায় এই কারণে প্রত্যাহার করা যায় না যে, উইলের মাধ্যমে যে সম্পক্তিতে উহা চার্জ করা হয় ঐ সম্পত্তি উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব থাকে না অথবা ভিন্ন প্রকার সম্পত্তিতে রূপান্তরিত করা হয়, কিন্তু এইরূপ ক্ষেত্রে উহা উইলকারীর সাধারণ সম্পত্তি হইতে পরিশোধিত হইবে৷
ধারা-১৫৪৷ তৃতীয় পক্ষের নিকট হইতে কোন কিছু গ্রহণ করার জন্য অধিকারের সুনির্দিষ্ট দানে প্রত্যাহার৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উইলকৃত বস্তুটি তৃতীয় পক্ষের নিকট হইতে কিছু মূল্যে গ্রহণ করার অধিকার হয় এবং উইলকারী নিজে উহা গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে দানটি প্রত্যাহার করা হয়৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ কে দান করে-
''দেনা, যা গ আমার নিকট পায়''৷
''২,০০০ টাকা, যা গ এর নিকট আমার আছে''৷
''চ এর বন্ডে আমার নিকট প্রদেয় অর্থ''৷
''রহিমপুর কারখানায় আমার বন্ধক''৷
এই সমস্ত দেনার ক এর জীবদ্দশায় নিঃশেষিত হয় কিছু তাহার সম্মতিতে এবং কিছু তাহার সম্মতি ব্যতীত উত্তরদায়গুলি প্রত্যাহার করা হয়েছে৷
(আ) ক, খ কে তাহার জীবনবীমা পলিসির কিছু স্বার্থ দান করে৷ ক তাহার জীবদ্দশায় পলিসির পরিমাণ গ্রহণ করে৷ উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে৷
ধারা-১৫৫৷ সুনির্দিষ্টভাবে উইলকৃত সমুদয় বস্তুর অংশ বিশেষ উইলকারীর গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যাহার৷- সুনির্দিষ্টভাবে উইলকৃত সমুদয় বস্তুর অংশবিশেষ উইলকারী কর্তৃক গৃহীত হইলে উহা যতখানি গৃহীত হইয়াছে ততখানি উত্তরদায়ের প্রত্যাহার হিসাবে কার্যকর হইবে৷
উদাহরণ
ক, খ কে ''গ দ্বারা আমার নিকট প্রাপ্য দেনা'' দান করে৷ দেনার পরিমাণ ১০,০০০ টাকা৷ গ, ক কে ৫,০০০ টাকা দান করে৷ উত্তরদায়টি ক এর ৫,০০০ টাকা গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷
ধারা-১৫৬৷ সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হইয়াছে এইরূপ সমুদয় তহবিলের অংশ উইলকারীর গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যাহার৷- যদি কোন সমুদয় তহবিল বা স্টকের অংশ সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয় তাহা হইলে উক্ত তহবিল বা স্টকের অংশ উইলকারী কর্তৃক গ্রহণের মাধ্যমে যতখানি গ্রহণ করা হইয়াছে ততখানি প্রত্যাহার হিসাবে কার্যকর হইবে এবং তহবিল বা স্টকে অবশিষ্ট অংশ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের অব্যাহতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
উদাহরণ
ক, খ কে চ এর নিকট হইতে তাহার নিকট দেয় ১০,০০০ টাকার অর্ধেক দান করে৷ ক তাহার জীবদ্দশায় ৬,০০০ টাকা গ্রহণ করে৷ বাকী ৪০০০ টাকা সুনির্দিষ্ট দানের অধীনে তাহার মৃত্যুর সময়ে খ এর দখলে যায়৷
ধারা-১৫৭৷ পরিশোধের আদেশ যেক্ষেত্রে একজন উত্তরদায়গ্রহীতাকে তহবিলের অংশ সুনির্দিষ্টভাবে দান করা হয় এবং অন্য একজনকে একই তহবিলের উপর উত্তরদায় চার্জ করা হয় এবং উইলকারী উক্ত তহবিলের অংশবিশেষ গ্রহণ করায় অবশিষ্ট অংশ উভয় উত্তরদায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত৷- যেক্ষেত্রে তহবিলের একটি অংশ সুনির্দিষ্টভাবে কোন একজন উত্তরদায়গ্রহীতাকে দান করা হয় এবং একই তহবিলের উপর চার্জকৃত উত্তরদায় অন্য একজন উত্তরদায় গ্রহীতাকে দান করা হয় তখন উইলকারী উক্ত তহবিলের অংশবিশেষ গ্রহণ করিলে এবং তহবিলের অবশিষ্ট অংশ সুনির্দিষ্ট এবং নির্দেশাত্মক উভয় উত্তরদায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত হইলে সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়টি প্রথমে পরিশোধে প্রযুক্ত হইবে এবং নির্দেশাত্মক উত্তরদায়ের বাকী অংশ উইলকারীর সাধারণ সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷
উদাহরণ
ক ''ল'' এর কাছ থেকে প্রাপ্য তার ২,০০০ টাকার মধ্য থেকে ১,০০০ টাকা খ কে এবং ১,০০০ টাকা গ কে উইলমূলে দান করে৷ পরবর্তীতে ক উক্ত দেনার ৫০০ টাকা গ্রহণ করে এবং কেবলমাত্র ''ল'' এর কাছে প্রাপ্য ১,৫০০ টাকা রেখে মারা যান৷ এই ১,৫০০ টাকার মধ্য থেকে ১,০০০ টাকা পাবে খ আর ৫০০ টাকা পাবে গ৷ গ উইলকারীর সাধারণ সম্পদ থেকেও ৫০০ টাকা পাবে৷
ধারা-১৫৮৷ প্রত্যাহার যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট উইলকৃত স্টকের উইলকারীর মৃত্যুর সময় অস্তিত্ব থাকে না৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব থাকে না, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়৷
উদাহরণ
ইস্ট ইন্ডিয়া স্টকে আমার ১০০০ টাকার মূল স্টক ৪% হারে ১০,০০০ টাকার সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্র৷ ক স্টক এবং পত্রগুলি বিক্রয় করে৷ উত্তরদায়গুলি প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷
ধারা-১৫৯৷ প্রত্যাহার যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক কেবলমাত্র উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে আংশিকভাবে অস্তিত্ব থাকে৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক কেবলমাত্র উইলকৃত মৃত্যুর সময়ে অস্তিত্ব থাকে, সেক্ষেত্রে স্টকের যতখানি অস্তিত্বহীন হইয়াছে উত্তরদায়টি ততখানি প্রত্যাহার করা হয়৷
উদাহরণ
''ক'' ''খ'' কে ৫.৫% হারে সরকারী দেনার ১০,০০০ টাকা দান করে৷ ''ক'' তর্কিত লোনের ১০,০০০ টাকার অর্ধেক বিক্রয় করে৷ উত্তরদায়টির অর্ধেক প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷
ধারা-১৬০৷ অপসারণের কারণে বিশেষ স্থানের সহিত সম্পর্কিত বর্ণিত পণ্যের সুনির্দিষ্ট দানের অ-প্রত্যাহার৷- নির্দিষ্ট স্থানের সহিত সম্পর্কিত কোন বর্ণনাধীন পণ্যের সুনির্দিষ্ট দান এই কারণে প্রত্যাহার করা হয় নাই যে, উক্ত পণ্য কোন সাময়িক কারণে বা প্রতারণার মাধ্যমে বা উইলকারীর অবগতি বা অনুমতি ব্যতীত উক্ত স্থান হইতে প্রত্যাহার করা হইয়াছে৷
উদাহরণ
(অ) ক খ কে ''আমার মৃত্যুর সময়ে আমার কলকাতার বসতবাড়ীতে থাকা সমস্ত গৃহস্থালী পণ্য দান করে৷'' পণ্যগুলি আগুন থেকে রক্ষার জন্য বাড়ী থেকে সরানো হয়৷ পণ্যগুলি ফিরিয়ে আনার আগে ''ক'' মারা যায়৷
(আ) ''ক'' ''খ'' কে আমার মৃত্যুর সময়ে আমার কলকাতার বসতবাড়িতে থাকা সমস্ত, গৃহস্থালী পণ্য দান করে এবং এর অনুপস্থিতিতে সমস্ত পণ্য বাড়ী থেকে সরানো হয়৷ পণ্যগুলি অপসারণের অনুমোদন না দিয়া ক মারা যায়৷
উত্তরদায় দুটির কোনটিই প্রত্যাহার করা হয় না৷
ধারা-১৬১৷ কখন উইলকৃত বস্তুর অপসারণ প্রত্যাহার হয় না৷- যে স্থানে উইলকৃত বস্তুটি অবস্থিত হইবে বলা হয় ঐ স্থান হইতে উহার অপসারণ প্রত্যাহার হয় না সেখানে উইলকারী দান করা বুঝাইতে চাহিয়াছিল এইরূপ সম্পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে স্থানটি উল্লেখ করা হয়৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' ''খ'' কে ঢাকায় আমার বসতবাড়ীতে আমার দখলে থাকা সকল বিল, বন্ড এবং অন্যান্য জামানত দান করে৷ ''ক'' এর মৃত্যুর সময়ে এই সমস্ত দ্রব্যগুলি তাহার বাড়ী হইতে অপসারণ করা হয়৷
(আ) ''ক'' ''খ'' কে ঢাকায় তাহার বাড়ীর সকল আসবাবপত্র দান করে৷ ঢাকায় ''ক'' এর একটি এবং চালনায় অন্য আরেকটি বাড়ী আছে৷ সেখানে সে পর্যায়ক্রমে বাস করে এবং তাহার একসেট আসবাবপত্র থাকায় উক্ত আসবাবপত্র সে প্রত্যেকটি বাড়ীতে তাহার সহিত লইয়া যায়৷ তাহার মৃত্যুর সময়ে আসবাবপত্র তাহার চালনার বাড়ীতে থাকে৷
(ই) ''ক'' ''খ'' কে পদ্মা নদীতে থাকতে জাহাজে তাহার সকল দ্রব্য দান করে৷ ''ক'' এর নির্দেশে দ্রব্যগুলি একটি গুদামঘরে নেওয়া হয় সেখানে দ্রব্যগুলি ''ক'' এর মৃত্যুর সময়ে থাকে৷
এই উত্তরদায়গুলি কোনটিই প্রত্যাহার করা হয় না৷
ধারা-১৬২৷ যখন তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হইতে উইলকারী কর্তৃক গৃহীতব্য দানকৃত বস্তুটি মূল্যবান এবং উইলকারী নিজে বা তাহার প্রতিনিধি উহা গ্রহণ করে৷- যেক্ষেত্রে দানকৃত বস্তুটি তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হইতে মূল্যবান কিছু গ্রহণ করার অধিকার হয় না৷ উইলকারী নিজে বা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হইতে গৃহীত অর্থ বা অন্য দ্রব্য ছাড়া যেক্ষেত্রে দানকৃত বস্তুটি তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হইতে মূল্যবান কিছু গ্রহণ করার অধিকার হয়না৷ সেক্ষেত্রে উইলকারী কর্তৃক উক্ত অর্থ বা পণ্য গৃহীত হইলে উহা প্রত্যাহার হইবে না; যদি তিনি উহা তাহার সাধারণ সম্পত্তির সহিত মিশান তাহা হইলে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়৷
উদাহরণ
''গ'' এর কাছ থেকে দাবী মোতাবেক যাহা কিছু অর্থ পাওয়া যাইবে ক উহা ''খ'' কে দান করে৷ ''ক'' ''গ'' এর নিকট হইতে তাহার সমুদয় দাবী গ্রহণ করে এবং তাহার সাধারণ সম্পত্তি হইতে উহা পৃথক করিয়া রাখে৷ উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় নাই৷
ধারা-১৬৩৷ উইলের তারিখ এবং উইলের মৃত্যুর মধ্যে সুনির্দিষ্ট দানের বিষয়ের আইন এর কার্য দ্বারা পরিবর্তন৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত কোন বস্তু উইলের তারিখ এবং উইলের মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে পরিবর্তিত হয় এবং উক্ত পরিবর্তন আইনের কার্য দ্বারা অথবা দানকৃত বস্তুটি অধীন এইরূপ কোন আইনগত দলিলের বিধানাবলীর কার্যকরতাকালে ঘটে, সে ক্ষেত্রে উক্ত পরিবর্তনের কারণে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় না৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' ''খ'' কে ৫.৫% হারে সরকারী ঋণের সকল অর্থ দান করে৷ ৫.৫% হারে সিকিউরিটি লোন ''ক'' এর জীবদ্দশার ৫% স্টকে রূপান্তরিত হয়৷
(আ) ''ক'' ''খ'' কে ''ক'' এর জন্য ট্রাস্টিদের নামে কনসোলে বিনিয়োগকৃত ২,০০০ টাকা দান করে৷ ট্রাস্টিদের দ্বারা ঐ ২,০০০ টাকা ''ক'' এর নিজের নামে হস্তান্তর করা হয়৷
(ই) ক সরকারী অংগীকার পত্রের ১০,০০০ টাকা খ কে উইলমূলে দান করেন এবং উইলমূলে তার বিবাহ বন্দোবস্তের অধীনে উক্ত অর্থ বিলি ব্যবস্থা করার অধিকার তার আছে৷ পরবর্তীতে ক-এর জীবদ্দশায় বন্দোবস্তে উল্লেখিত কর্তৃত্ব বলে তহবিলটিকে কনসলে রূপান্তর করা হয়৷
এই সমস্ত উত্তরদায়ের কোনটি প্রত্যাহার করা হয় নাই৷
ধারা-১৬৪৷ উইলকারীর অবগতি ব্যতীত বিষয়ের পরিবর্তন৷- যেক্ষেত্রে উইলের তারিখ এবং উইলকারীর মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে দানকৃত বস্তুটি পরিবর্ধিত হয় এবং উক্ত পরিবর্তন উইলকারীর অবগতি বা অনুমোদন ব্যতীত ঘটে, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় না৷
উদাহরণ
''ক'' ''খ'' কে ''আমার ৩% হারের সকল কনসল দান করে৷'' উক্ত কনসল ''ক''-এর অবগতি ছাড়াই তাহার প্রতিনিধি বিক্রয় করে এবং লভ্যাংশ ইস্ট ইন্ডিয়া স্টকে জমা দেয়৷ এই উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয়নি৷
ধারা-১৬৫৷ সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক এই শর্তে তৃতীয় ব্যক্তিকে ধার দেওয়া হয় যে উহা পুনঃস্থাপন করিতে হইবে৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক এই শর্তে তৃতীয় পক্ষকে ধার দেওয়া হয় যে উহা পুনঃস্থাপন করিতে হইবে এবং উহা সেই মোতাবেক পুনঃস্থাপন করা হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় না৷
ধারা-১৬৬৷ সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক বিক্রির কিন্তু পুনঃস্থাপিত এবং উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে তাহার দখলভুক্ত৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত স্টক বিক্রয় করা হয় এবং ঐ একই সমপরিমাণ স্টক পরবর্তীতে ক্রয় করা হয় এবং উইলকারী মৃত্যুর সময় তাহার দখলভুক্ত থাকে, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি প্রত্যাহার করা হয় না৷
-
অধ্যায়-সতের
উইলমূলে দানের বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে দায়সমূহ পরিশোধ প্রসঙ্গে
ধারা-১৬৭৷ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ হইতে উত্তর দায় গ্রহীতাকে অব্যাহতি দানে নির্বাহকের কোন দায় দায়িত্ব থাকিবে না৷- যেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে সুনির্দিষ্টভাবে দানকৃত সম্পত্তি উইলকারীর নিজের কিংবা তাহার অধীনে দাবীকারী অন্যকোন ব্যক্তি দ্বারা সৃষ্ট কোন বন্ধক, পূর্বস্বত্ব বা দায়ের বিষয়, তখন, উইল দ্বারা ভিন্নরূপ ইচ্ছা প্রতীয়মান না হইলে সেক্ষেত্রে উত্তরদায় গ্রহীতা যদি তিনি দানটি গ্রহণ করেন, উক্ত সম্পত্তি ঐ বন্ধক বা দায় সাপেক্ষে গ্রহণ করিবেন এবং (তাহার নিজের এবং উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির মধ্যের ন্যায়) উক্ত বন্ধক বা দায়ের ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য থাকিবেন৷
(২) সাধারণভাবে উইলকারীর দেনা পরিশোধের জন্য উইলে উল্লিখিত কোন নির্দেশ হইতে ভিন্ন কোন অভিপ্রায় অনুমান করা যাইবে না৷
ব্যাখ্যা৷-ভূমি রাজস্ব আকারে কিংবা খাজনা আকারে সাময়িক পরিশোধ এই ধারা দ্বারা বর্ণিত দায় হয় না৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'', ''খ'' কে গ দ্বারা তাহাকে প্রদত্ত ডায়মন্ডের আংটি দান করেন৷ ক- এর মৃত্যুর সময়ে আংটি খ-এর নিকট বন্ধক থাকে যাহার নিকট বন্ধক রাখে৷ ক-এর নির্বাহকদের দায়িত্ব হচ্ছে, যদি উইলকারীর সম্পত্তির অবস্থা তদ্রুপ হয়, আংটিটি পুনরুদ্ধারে ''খ'' কে সাহায্য করা৷
(আ) ''ক'', ''খ''-কে একটি জামিনদারী দান করে যাহা ক-এর মৃত্যুর সময়ে ১০,০০০ টাকার রেহেন সাপেক্ষ থাকে, এবং আসল সহ সুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১,০০০ টাকা৷ খ-কে দানটি গ্রহণ করিতে হইলে চার্জসহ গ্রহণ করিতে হইবে এবং সে উক্ত ১১,০০০ টাকা প্রদানে বাধ্য থাকিবে৷
ধারা-১৬৮৷ দানকৃত বস্তুতে উইলকারীর স্বত্ব পূরণ তাহার ভূ-সম্পত্তির খরচে করিতে হইবে৷- যেক্ষেত্রে দানকৃত বস্তুতে উইলকারীর স্বত্ব পূরণে কিছু করার দরকার হয়, সেক্ষেত্রে উহা উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির খরচে করিতে হয়৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' নির্দিষ্ট মূল্যে একখণ্ড জমি ক্রয়ের জন্য চুক্তি বদ্ধ হয়; সে খ-কে দান করে এবং ক্রয় মূল্য পরিশোধের পূর্বে মারা যায়৷ ক্রয়মূল্য ক এর সম্পত্ত হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷
(আ) ''ক'' নির্দিষ্ট মূল্যে একখণ্ড জমি ক্রয়ের চুক্তিবদ্ধ হয়, যাহার অর্ধেক পরিশোধ করা হয় এবং বাকী অর্ধেক ভূমির বন্ধক দ্বারা সিকিউরড থাকে৷ পরে ক উহা খ-কে দান করে এবং ক্রয়মূল্য পরিশোধের পূর্বে মারা যায়৷ ক্রয়মূল্যের অর্ধাংশ ক এর সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-১৬৯৷ ভূমি রাজস্ব বা খাজনা সাময়িকভাবে প্রদেয় উত্তরাদায়গ্রহীতার এইরূপ স্থাবর ভূমির অব্যাহতি৷- যেক্ষেত্রে ভূমি রাজস্ব বা খাজনা নিয়তকালীন পরিশোধ করিতে হয় এইরূপ স্থাবর ভূমিতে/সম্পত্তিতে বিদ্যমান কোন স্বার্থ হস্তান্তর করিতে হয়, সেক্ষেত্রে উইলকারীর ভূ-সম্পত্তি এবং উত্তরদায়গ্রহীতার মধ্যের ন্যায়) প্রদানে বাধ্য থাকিবে৷
উদাহরণ
''ক'' ''খ'' কে একটি বাড়ী দান করে, যাহার জন্য বার্ষিক ৩৬৫ টাকা খাজনা দিতে হয়৷ ''ক'' স্বাভাবিক সময়ে তাহার খাজনা প্রদান করে এবং ২৫ দিন পরে মারা যায়৷ খাজনা সম্পর্কে ''ক''-এর ভূ-সম্পত্তি হইতে ২৫ টাকা দিতে হইবে৷
ধারা-১৭০ জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে উত্তরদায়গ্রহীতার সুনির্দিষ্ট স্টকের অব্যাহতি৷- উইলে কোন নির্দেশনা থাকিলে যেক্ষেত্রে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর কোন স্টক হস্তান্তর করা হয়, সেক্ষেত্রে, উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে স্টক সম্পর্কে তাহার নিকট কোন ফল বা অন্য কোন পাওনা দেয় থাকিলে, উক্ত ফল বা দেনরার ভাব ভূ-সম্পত্তি হইতে বহন করিতে হইবে; উইলকারীর মৃত্যুর পরে উক্ত স্টক বিষয়ে কোন ফল বা অন্য কোন পাওনা থাকিলে উহা উত্তরাদয়গ্রহীতার দ্বারা বাহিত হইবে, যদি তিনি দানটি গ্রহণ করেন৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' ''খ'' কে রেলওয়ে কোম্পানীতে তাহার শেয়ার দান করে৷ ''ক''-এর মৃত্যুর সময়ে প্রত্যেকটি কলের ক্ষেত্রে তাহার নিকট ১০০ টাকা পাওনা ছিল এবং প্রত্যেকটি শেয়ারের ক্ষেত্রে ৫ টাকা পাওনা ছিল৷ উহা ''ক''-এর ভূ-সম্পত্তি হইতে বহন করিতে হইবে৷
(আ) ''ক'' অভিষ্ট জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে ৫০টি শেয়ার গ্রহণ করিতে সম্মতি হয় এবং প্রত্যেকটি শেয়ারের জন্য ১০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করিবে মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয়, এবং উক্ত টাকা শেয়ারে তাহার স্বত্ব পূরণ হওয়ার পূর্বে পরিশোধ করিতে হইবে৷ ''ক'' শেয়ারগুলি ''খ'' কে প্রদান করে৷ ক-এর স্বত্ব পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিশোধ তাহার ভূ-সম্পত্তি হইতে করিতে হইবে৷
(ই) ক, খ কে রেলওয়ে কোম্পানীর শেয়ার দান করে এবং খ উহা গ্রহণ করে৷ ক-এর মৃত্যুর পরে শেয়ার সম্পর্কে একটা কল করা হয়৷ খ-কে কল প্রদান করিতে হইবে৷
(ঈ) ক, খ কে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে তাহার শেয়ার দান করে এবং খ উহা গ্রহণ করেন৷ পরবর্তীতে কোম্পানীটি অবসারিত হয় এবং প্রত্যেক শেয়ার হোল্ডারকে কন্ট্রিবিউশনের জন্য ডাকা হয়৷ উত্তরদায়গ্রহীতাকে উক্ত কন্ট্রিবিউশনের পরিমাণ বহন করিতে হইবে৷
(উ) ক রেলওয়ে কোম্পানীর ১০টি শেয়ারের মালিক৷ ক জীবিত থাকাকালে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রতি শেয়ারে ৫০ টাকার একটি কল দেয়া হয়, যাহা তিন কিস্তিতে প্রদেয়৷ ক তাহার শেয়ার খ-কে উইলমূলে দান করে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ করার ধার্য তারিখের মধ্যে এবং প্রথম কিস্তি পরিশোধ না করিয়া মারা যায়৷ ক-এর ভূ-সম্পত্তি হইতে প্রথম কিস্তি পরিশোধ করিতে হইবে, এবং খ, উত্তরদায়টি গ্রহণ করিলে, তাকে অবশিষ্ট কিস্তি পরিশোধ করিতে হইবে৷
-
অধ্যায়-১৮
সাধারণ শর্তে বর্ণিত বিষয়ের দান সম্পর্কে
ধারা-১৭১৷ সাধারণ শর্তে বর্ণিত বিষয়ের দান৷- যদি সাধারণ শর্তে কথায় বর্ণিত কিছু দান করা হয়, তাহা হইলে নির্বাহক বর্ণনাটির উত্তরদানের জন্য যুক্তিসংগতভাবে যাহা কিছু বিবেচিত হইবে তাহা উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য অবশ্যই ক্রয় করিবেন৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ কে একজোড়া বাহক ঘোড়া বা একটি আংটি দান করেন৷ সম্পত্তি অবস্থা ভাল হইলে নির্বাহক অবশ্যই উত্তরদায়গ্রহীতাকে উক্ত পণ্য সরবরাহ করিবেন৷
(আ) ক, খ কে ''আমার বাহক ঘোড়া'' দান করেন৷ তাহার মৃত্যুর সময়ে কোন বাহক ঘোড়া ছিল না৷ উত্তরদায়টি ব্যর্থ হইবে৷
-
অধ্যায়- ঊনিশ
তহবিলের আয়ের স্বার্থের দান সম্পর্কে
ধারা-১৭২৷ তহবিলের স্বার্থ বা আয়ের দান৷- যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির বরাবরে তহবিলের স্বার্থ বা আয় এবং দানের ভোগ সীমিত মেয়াদের হইবে বলিয়া উইলে অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত থাকে, সেক্ষেত্রে আসল এবং সুদ/স্বার্থ উত্তরদায়গ্রহীতার দখলভুক্ত হইবে৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ-কে ৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের স্বার্থ দান করে৷ উক্ত সিকিউরিটিকে প্রভাবিত করার মত উইলে অন্য কোন ক্লজ থাকে না৷ খ, ক এর ৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের অধিকারী হয়৷
(আ) ক, খ কে ৫.৫% হারে সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের স্বার্থ এবং তাহার মৃত্যুর পরে উহা গ-কে দান করে৷ ''ক'' তাহার জীবদ্দশায় উক্ত নোটের স্বার্থ লাভ করিবে এবং খ এর মৃত্যুর পরে উহার অধিকারী হইবে ''গ''৷
(ই) ক, খ কে তাহার ভূমির খাজনা দান করে৷ ''খ'' উক্ত ভূমি লাভ করিবে৷
-
অধ্যায় - বিশ
বার্ষিক ভাতার দান সম্পর্কে
ধারা-১৭৩৷ উইল দ্বারা ভিন্নরূপ অভিপ্রায় প্রতীয়মান না হইলে তত্ কর্তৃক সৃষ্ট বার্সিক ভাতা শুধুমাত্র জীবনভর প্রদেয় হইবে৷- যেক্ষেত্রে উইলমূলে কোন বার্ষিক ভাতা সৃষ্টি করা হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণভাবে উক্ত বার্ষিক ভাতা সম্পত্তি হইতে প্রদত্ত হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকা কিংবা উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ে কোন নির্দিষ্ট অর্থ বিনিয়োগে দান করা সত্ত্বেও উইল দ্বারা বিপরীত অভিপ্রায় প্রতীয়মান না হইলে উত্তরদায়গ্রহীতা শুধুমাত্র তাহার জীবনের জন্য উক্ত বার্ষিক ভাতা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ কে বার্ষিক ৫০০ টাকা দান করে৷ ''খ'' তাহার জীবদ্দশায় প্রতি বছরে ৫০০ টাকা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷
(আ) ''ক'' মাসিক হারে খ-কে ৫০০ টাকা দান করে৷ ''খ'' তাহার জীবদ্দশায় প্রতিমাসে ৫০০ টাকা গ্রহণ করিবার অধিকারী হয়৷
(ই) ক, খ কে ৫০০ টাকার বার্ষিক ভাতা এবং খ এর মৃত্যুর পর উহা গ কে দান করে৷ খ তাহার জীবদ্দশায় ৫০০ টাকা ভাতা পাইবে৷ গ, খ এর উত্তরজীবী হইলে সে-এর মৃত্যু থেকে তাহার মৃত্যু পর্যন্ত ৫০০ টাকা বার্ষিক ভাতা পায়৷
ধারা-১৭৪৷ যেক্ষেত্রে সাধারণভাবে সম্পত্তি লভ্যাংশ কিংবা সম্পত্তি হইতে বার্ষিক ভাতা প্রদত্ত হইবে বলিয়া উইলে নির্দেশ থাকে অথবা বার্ষিক ভাতা ক্রয়ে উইলকৃত অর্থ বিনিয়োগকৃত হইবে সেক্ষেত্রে ন্যস্ততার সময়কাল৷- যেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুতে কোন ব্যক্তির জন্য [শিরোনাম টু লিথ], সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি উত্তরদায়গ্রহীতার উপর স্বার্থসহ ন্যস্ত হয় এবং তিনি তাহার জন্য বার্ষিক ভাতা ক্রয়ের অথবা উক্ত উদ্দেশ্যে উইল দ্বারা বণ্টিত অর্থ গ্রহণের অধিকারী হয়৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' তাহার উইলে ''খ'' এর জন্য ১,০০০ টাকা বার্ষিক ভাতা তাহার সম্পত্তি হইতে ক্রয় করিতে হইবে বলিয়া নির্বাহকদের নির্দেশ দেন৷ ''খ'' তাহার জন্য ১,০০০ টাকার বার্ষিক ভাতা ক্রয় করিতে অথবা উক্ত বার্ষিক ভাতা ক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত হইবে এমন পরিমাণ অর্থ গ্রহণের অধিকারী হয়৷
(আ) ক, খ কে একটি তহবিল দান করে এবং নির্দেশ দেয় যে, খ এর মৃত্যুর পরে উক্ত তহবিল ''গ'' এর জন্য বার্ষিক ভাতা ক্রয়ে খাটাইতে হবে৷ খ এবং গ উইলকারীর উত্তরজীবী৷ গ, খ এর জীবদ্দশায় মারা যায়৷ খ এর মৃত্যুর পরে উক্ত তহবিল গ এর প্রতিনিধির দখলভুক্ত হয়৷
ধারা-১৭৫৷ বার্ষিক ভাতা হ্রাসকরণ৷- যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতা দান করা হয় কিন্তু উইলকারীর সম্পত্তি উইল দ্বারা প্রদত্ত সকল উত্তরদায় পরিশোধের পর্যাপ্ত না হয়, সেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতাটি উইল দ্বারা প্রদত্ত অন্যান্য আর্থিক উত্তর দায়ের ন্যায় একই অনুপাতে হ্রাস পাইবে৷
ধারা-১৭৬৷ যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতার দান এবং অবশিষ্ট দান থাকে, সেক্ষেত্রে সমুদয় বার্ষিক ভাতা প্রথমে মিটাইতে হয়৷- যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতার দান এবং অবশিষ্ট দান থাকে, সেক্ষেত্রে অবশিষ্টের কোন অংশ অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতাকে পরিশোধ করিবার পূর্বে সমুদয় বার্ষিক ভাতা মিটাইতে হয় এবং প্রয়োজন হইলে উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অংশ উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য হইবে৷
-
অধ্যায়-একুশ
পাওনাদার এবং অংশীদারের উত্তরদায় সম্পর্কে
ধারা-১৭৭৷ অংশীদার আপাতদৃষ্টিতে উত্তরদায় এবং দেনা লাভের অধিকারী হয়৷ - যেক্ষেত্রে একজন দেনাদার তাহার পাওনাদারের বরাবরে কোন উত্তরদায় দান করে এবং উইল হইতে এইরূপ প্রতীয়মান হয় না যে, উত্তরদায়টি দেনা মিটানোর অর্থে ব্যবহার করা হইয়াছে, সেক্ষেত্রে পাওনাদার উক্ত উত্তরদায় এবং দেনা লাভের অধিকারী হইবে৷
ধারা-১৭৮৷ শিশু আপাতদৃষ্টিতে উত্তরদায় এবং অংশলাভের অধিকারী হইবে৷- যেক্ষেত্রে কোন পিতা চুক্তিমূলে শিশুকে অংশ প্রদানে বাধ্য কিন্তু, উক্তরূপ করিতে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত শিশুকে উত্তরদায় দান করে এবং উইল দ্বারা এইরূপ ইঙ্গিত দেয় না যে উত্তরদায়টি উক্ত অংশ মিটানোর অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সন্তান উত্তরদায় এবং অংশগ্রহণ করার অধিকারী হইবে৷
উদাহরণ
ক, খ এর সাথে বিবাহ চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং শর্ত আরোপ করে যে, সে উক্ত ইপ্সিত বিবাহের প্রত্যেক কন্যাকে তাহার বিবাহে ২০,০০০ টাকা প্রদান করিবে৷ এই শর্ত ভাঙ্গিয়া ''ক'' প্রত্যেক বিবাহিত কন্যাকে ২০,০০০ টাকা দান করে৷ উত্তরদায় গ্রহীতাগণ তাহাদের অংশ ছাড়াও এই দানের অধিকারী হইবে৷
ধারা-১৭৯৷ উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য পরবর্তী বিধান দ্বারা কোন প্রত্যাহার হইবে না৷- উত্তরদায়গ্রহীতার জন্য বন্দোবস্ত বা ভিন্নরূপ কোন পরবর্তী বিধানের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে কোন দান প্রত্যাহার করা যাইবে না৷
উদাহরণ
(অ) ক, তাহার পুত্র খ কে ২০,০০০ টাকা দান করেন৷ তিনি পরবর্তীতে খ কে ২০,০০০ টাকা প্রদান করেন৷ তদদ্বারা উত্তরদায়টি প্রত্যাহৃত হয় না৷
(আ) ক তাহার এতিম ভাইঝি খ কে, যাহাকে তিনি তাহার শৈশব হইতে লালন পালন করিয়াছেন, ৪০,০০০ টাকা দান করেন৷ পরবর্তীতে খ-এর বিবাহ উপলক্ষ্যে তিনি তাহাকে ৩০,০০০ টাকা দেন৷ উত্তরদায়টি তদদ্বারা বিলুপ্ত হয় না৷
অধ্যায়-বাইশ
নির্বাচন সম্পর্কে
ধারা-১৮০৷ যে অবস্থায় নির্বাচন হইবে৷- যে কোন ব্যক্তি উইলমূলে এমন কিছু বিলি করিতে চান, যাহার বিলিব্যবস্থা করিবার অধিকার তাহার নাই, সেক্ষেত্রে জিনিসটি যে ব্যক্তির দখলভুক্ত হয় তিনি উক্ত বিলিব্যবস্থা নিশ্চিত করিবেন না উহাতে অসম্মত দিবেন তাহা নির্বাচন করিবেন, এবং পরবর্তীটির ক্ষেত্রে/ দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে তাহাকে উইলমূলে প্রদত্ত লাভ ত্যাগ করিতে হইবে৷
আলোচনা
বাছাইয়ের শর্তাবলীঃ-
(১) উইলকারী উইলের মাধ্যমে তার নিজস্ব কিছু অন্যকে দিয়া থাকে;
(২) উইলকারী উইলের মাধ্যমে আগন্তুককে যে সম্পত্তি দিতে চায় তা, উত্তরদায় গ্রহীতার দখলভুক্ত হতে হবে৷
(৩) নীতিটি কেবলমাত্র উইলের অধীনে দাবী এবং dehor দাবীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে৷
ধারা-১৮১৷ মালিক কর্তৃক ব্যক্ত স্বার্থে হস্তান্তর৷- ১৮০ ধারায় বিধৃত অবস্থায় ত্যক্ত কোন স্বার্থ এমনভাবে উত্তরদায়গ্রহীতার নিকট হস্তান্তিরত হইবে যেন উহা তাহার অনুকূলে উইলমূলে বিলিব্যবস্থা করা হয় নাই উইলদ্বারা তাহাকে প্রদত্ত হইবে বলিয়া অভিষ্ট দানের পরিমাণ বা মূল্যের চার্জ নিরাশ উইলগ্রহীতাকে দান করা সাপেক্ষে এবং সত্ত্বেও৷
ধারা-১৮২৷ উইলকারীর মালিকানা সম্পর্কে তাহার বিশ্বাস অপ্রাসাঙ্গিক৷- ১৮০ এবং ১৮১ ধারার বিধানাবলী, উইলকারী তাহার উইল দ্বারা যাহা বিলিব্যবস্থা করিতে চাহেন তাহা তাহার নিজের বলিয়া বিশ্বাস করুক বা না করুক, প্রযোজ্য হইবে৷
উদাহরণ
(অ) সুলতানপুরের ফার্মিটি গ-এর ছিল৷ ক উহা উইলমূলে খ-কে দান করেন এবং গ-কে ১,০০০ টাকার একটি উত্তরদায় দেন৷ গ তাহার ৮০০ টাকা মূল্যের সুলতানপুরের খামারটি রাখার নির্বাচন করেন৷ গ-১০০০ টাকার উত্তরদায়টি বাতিল করিয়া দেন, যাহা হইতে ৮০০ টাকা খ-এর নিকট চলিয়া যায় এবং অবশিষ্ট ২০০ টাকা অবশিষ্ট দানের মধ্যে পড়ে অথবা ক্ষেত্রমতে, উইলহীন উত্তরাধিকারের বিধি মোতাবেক বর্তায়৷
(আ) ক, খ কে একটি ভূ-সম্পত্তি দান করেন যদি খ-এর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা (যিনি বিবাহিত এবং তাহার সন্তান আছে) তাহার মৃত্যুর সময়ে কোন জীবিত সন্তান না থাকে৷ ক, গ-কে একটি হীরাও দান করেন, যাহা খ-এর দখলভুক্ত৷ খ কে হীরাটি ত্যাগ করিবার অথবা ভূ-সম্পত্তিটি হারাবার নির্বাচন করিতে হইবে৷
(ই) ক, খ কে ১০০০ টাকা এবং গ কে একটি ভূ-সম্পত্তি দান করে, যাহা কোন বন্দোবস্তাধীনে ঘ-এর দখলভূক্ত হইবে যদি তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা (যিনি বিবাহিত এবং সন্তানের অধিকারী) তাহার মৃত্যুর সময়ে কোন জীবিত সন্তান রাখিয়া না যান৷ খ-কে অবশ্যই ভূ-সম্পত্তিটি পরিত্যাগ করিবার অথবা উত্তরদায়টি ঘোরানোর নির্বাচন করিতে হইবে৷
(ঈ) ১৮ বত্সর বয়স্ক একজন ব্যক্তি ''ক'' বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে নির্বাসিত কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডে রিয়েল প্রপার্টির মালিক, আইন অনুযায়ী গ যাহার উত্তরাধিকারী৷ ক, গ কে একটা উত্তরদায় দান করে এবং খ কে ''আমার যেখানেই যাহাই থাকুক সকল সম্পত্তি'' দান করে এবং ২১ বত্সরের নীচে মারা যায়৷ ইংল্যান্ডের রিয়েল প্রপার্টি উইলমূলে হস্তান্তরিত হয় না৷ গ ইংল্যান্ডের রিয়েল প্রপার্টির দাবী ত্যাগ না করিয়াই তাহার উত্তরদায়ের দাবী করিতে পারিবে৷
ধারা-১৮৩৷ মানুষের কল্যাণার্থে দান কিভাবে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গণ্য৷- একজন ব্যক্তির কল্যাণার্থে দান, নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, তাহার নিজের বরাবরে দানের ন্যায় একই জিনিস হয়৷
উদাহরণ
সুলতানপুর খুরডের খামারটি খ এর সম্পত্তি; ক উহা গ কে দান করে এবং তাহার নিজের নির্বাহকদের সুলতানপুর বুজুর্গ নামে আরেকটি ফার্মটি এই নির্দেশ দিয়া দান করে যে, উহা বিক্রিত হইবে এবং উহার লভ্যাংশ খ-এর দেনা পরিশোধে ব্যয় করিতে হইবে৷ খ উইলের শর্ত মানিয়া চলিবে কিনা কিংবা উহার বিপরীতে সুলতানপুর খুরড়ের খামারটি রাখিবে কিনা তাহা নির্বাচন করিবে৷
ধারা-১৮৪৷ পরোক্ষভাবে লাভ বঞ্চিত৷- উইলের অধীন সরাসরি কোন লাভ গ্রহণ করিতেছে না কিন্তু পরোক্ষভাবে উহার অধীন লাভ হইতে বঞ্চিত হইতেছে এইরূপ ব্যক্তি নির্বাচন করিতে পারে না৷
উদাহরণ
সুলতানপুরের ভূমি গ এর নামে এবং তাহার মৃত্যুর পরে তাহার একমাত্র সন্তান খ এর নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়৷ ক উক্ত ভূমি খ-কে এবং ১০০০ টাকা গ-কে দান করে৷ গ উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায় এবং কোন নির্বাচনও করে না৷ খ, গ এর সম্পত্তির দেখাশুনার ভার নেয় এবং তত্ত্বাধায়ক হিসাবে উইলের অধীনে গ এর পক্ষে ভূ-সম্পত্তি গ্রহণ করার নির্বাচন করে৷ খ উক্ত ক্ষমতায় ১,০০০ টাকার উত্তরদায় গ্রহণ করে এবং সুলতানপুর ভূমির খাজনা গ কে দেয়৷ তাহার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যে সে উইলের বিপরীতে সুলতানপুরের ভূমি দখলে রাখে৷
ধারা-১৮৫৷ উইলের অধীন বিশেষ যোগ্যতায় গ্রহণকারী ব্যক্তি অন্য বৈশিষ্ট্যে বিপরীতভাবে গ্রহণ করার নির্বাচন করিতে পারে৷ যে ব্যক্তি তাহার বিশেষ যোগ্যতায় উইলে অধীনে কোন লাভ গ্রহণ করে ঐ ব্যক্তি অন্য কোন চরিত্রে উইলের বিপরীতে গ্রহণ করার নির্বাচন করিতে পারিবে৷
উদাহরণ
সুলতানপুরের ভূ-সম্পত্তি ''ক'' কে এবং তাহার মৃত্যুর পরে ''খ''-কে ২,০০০ টাকা এবং ''গ'' কে ১,০০০ টাকা, যে ''খ'' এর একমাত্র সন্তান, দিয়া যায়৷ ''গ'' ''খ'' এর সম্পত্তির ভার নেয় এবং প্রশাসক গিসাবে উইলের বিপরীতে উক্ত ভূ-সম্পত্তি রাখার এবং ২,০০০ টাকার উত্তর দায় পরিত্যাগ করার নির্বাচন করে৷ ''গ'' ইহা করিতে পারিবে এবং উইলের অধীন ১,০০০ টাকার উত্তরদায় দাবী করিতে পারিবে৷
ধারা-১৮৬৷ সর্বশেষ ৬টি ধারার বিধানাবলীর ব্যতিক্রম৷- ১৮০ ধারা থেকে ১৮৫ ধারা পর্যন্ত যাহা কিছু বলা হোক না কেন যেক্ষেত্রে কোন বিশেষ দান উত্তরদায়গ্রহীতার অধিকারভুক্ত কোন কিছুর পরিবর্তে, যাহা উইল দ্বারা বিলিব্যবস্থা করা হয়, হইবে বলিয়া উইলে প্রকাশ করা হয় তখন উত্তরদায়গ্রহীতা উক্ত বস্তু দাবী করিলে সে অবশ্য বিশেষ উপহারটি পরিত্যাগ করিবে কিন্তু উইল তাহাকে প্রদত্ত অন্য কোন সুবিধা সে পরিত্যাগ করিতে বাধ্য নয়৷
উদাহরণ
''ক'' এর বিবাহ বন্দোবস্তাধীন তাহার স্ত্রী, যদি তিনি ক এর উত্তরজীবি হন, তাহার জীবদ্দশায় সুলতানপুরের ভূ-সম্পত্তি ভোগের অধিকারী৷ ক উইলমূলে উক্ত সম্পত্তির স্বার্থের পরিবর্তে তাহার স্ত্রীকে তাহার জীবদ্দশায় ২০০ টাকা বার্ষিক ভাতা দান করে এবং ভূ-সম্পত্তিটি তাহার পুত্রকে দান করে৷ তিনি তাহার স্ত্রীকে ১,০০০ টাকার একটি উত্তরদায়ও প্রদান করেন৷ স্ত্রী বন্দোবস্তাধীন যাহা কিছু পান তাহা নেওয়ার নির্বাচন করেন৷ তিনি বার্ষিক ভাতা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য থাকিবে কিন্তু, ১০০০ টাকার উত্তর দায়টি নয়৷
ধারা-১৮৭৷ কখন উইল দ্বারা প্রদত্ত লাভ গ্রহণ উইলের অধীন উক্ত লাভ নেওয়ার নির্বাচন হইবে৷- উইল দ্বারা প্রদত্ত লাভ গ্রহণ উইলের অধীন নেওয়ার জন্য উত্তরদায়গ্রহীতা কর্তৃক নির্বাচন গঠন করে যদি তাহার নির্বাচন করার অধিকার এবং নির্বাচন করিতে একজন যুক্তিসংগত ব্যক্তির রায়কে যে সমস্ত বিষয়ে প্রভাবিত করে উক্ত বিষয় সম্পর্কে অবগতি থাকে অথবা তিনি উক্ত বিষয়ের তদন্তের অধিকার পরিত্যাগ করে৷
উদাহরণ
(অ) ক সুলতানপুর খুর্দ্ নামে একটি ভূ-সম্পত্তির মালিক এবং তাহার সুলতানপুর বুজুর্গ নামে অন্য একটি ভূ-সম্পত্তিতে জীবনস্বত্ব আছে, যাহাতে তাহার মৃত্যুর পর তাহার সন্তান ''খ'' পূর্ণভাবে অধিকারী হইবে৷ ''ক'' উইলমূলে সুলতানপুর খুরদের ভূ-সম্পত্তি ''খ'' কে এবং সুলতানপুর বুজুর্গে সম্পত্তি ''গ'' কে দান করে৷ ''খ'' সুলতানপুর বুজুর্গের ভূ-সম্পত্তিতে তাহার নিজস্ব অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে উহা ''গ'' এর দখলে নেওয়ার অনুমতি দেয় এবং সুলতানপুর খুরদের ভূ-সম্পত্তির দখলে প্রবেশ করে৷ ''খ'' ''গ'' কে প্রদত্ত সুলতানপুর বুজুর্গের দান করে নাই৷
(আ) ''ক'' এর জ্যেষ্ঠপুত্র খ সুলতানপুর নামে একটি ভূ-সম্পত্তির দখল দেয়৷ ''ক'' ''গ'' কে সুলতানপুর এবং ''ক'' এর সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ ''খ'' কে দান করে৷ ''খ'' এর নির্বাহক দ্বারা জ্ঞাত হয় যে, অবশিষ্ট অংশের পরিমাণ ৫,০০০ টাকা হইবে এবং সে ''গ'' কে সুলতানপুরের দখল নেওয়ার অনুমতি দেয়৷ সে পরবর্তীতে জানিতে পারে যে উক্ত অবশিষ্ট অংশের পরিমাণ ৫০০ টাকার বেশী হয় না৷ ''খ'' এর বরাবরে সুলতানপুর ভূ-সম্পত্তির দান নিশ্চিত করে নাই৷
ধারা-১৮৮৷ কোন অবস্থায় অবগতি বা স্বত্ব ত্যাগ অনুমান করিতে বা ধরিয়া নিতে হয়৷- বিপরীত মর্মে সাক্ষ্য না থাকিলে অসম্মতি প্রকাশ করার কোন কার্য সম্পাদন ব্যতিরেকে উত্তরদায়গ্রহীতা যদি উইল দ্বারা তাহাকে প্রদত্ত লাভ দুই বছর ভোগ করিয়া থাকে তাহা হইলে তদন্ত সম্পর্কে জ্ঞান বা দাবী ত্যাগ অনুমান করিয়া লইতে হইবে৷
(২) উত্তরদায়গ্রহীতার কোন কার্যের ফলে যদি দানের বিষয়বস্তু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে যেন উক্তরূপ কার্যটি সম্পাদন করা হয় নাই এইরূপ একই অবস্থায় স্থাপন করিতে অসম্ভব হইয়া পড়ে তাহা হইলে উক্ত কাযর্য হইতে তদন্তের অবগতি বা দাবী ত্যাগ অনুমান করা যাইবে৷
উদাহরণ
''গ'' অধিকারী এইরূপ কোন ভূ-সম্পত্তি ক, খ কে এবং একটি কয়লা খনি গ কে দান করে৷ গ খনির দখল নিয়া উহা নিঃশেষ করিয়া ফেলে৷ ফলে সে খ এর বরাবরে ভূ-সম্পত্তির দানটি নিশ্চিত করিয়াছে৷
ধারা-১৮৯৷ কখন উইলকারীর প্রতিনিধি উত্তরদায়গ্রহীতাকে বাছাই করার আহবান করিতে পারিবে৷- যদি উইলকারীর মৃত্যুর পর হইতে এক বছরের মধ্যে উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকারীর প্রতিনিধিকে উইলটি নিশ্চিত করার বা উহাতে সম্মতি না দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত না করে তাহা হইলে প্রতিনিধি উক্ত সময় অবসানান্তে তাহাকে বাছাই করিতে তলব করিবে এবং যদি সে উক্ত তলব গ্রহণ করিবার পরে যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে উহা পালন না করে তাহা হইলে সে উইলটি নিশ্চিত করিতে বাছাই করিয়াছে বিবেচিত হইবে৷
ধারা-১৯০৷ অক্ষমতার ক্ষেত্রে বাছাই স্থগিতকরণ৷ অক্ষমতার ক্ষেত্রে অক্ষমতার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা কোন যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাছাই না করা পর্যন্ত বাছাই স্থগিত থাকিবে৷
-
ধ্যায়- তেইশ
মৃত্যু অনুমানে দান সম্পর্কে
ধারা-১৯১৷ মৃত্যু কল্পনায় (অনুমান) কৃত দানের মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তি৷- (১) একজন ব্যক্তি মৃত্যু কল্পনায় দানের মাধ্যমে কোন অস্থাবর সম্পত্তি, যাহা সে উইল দ্বারা বিলির ব্যবস্থা করিতে পারিত, বিলি ব্যবস্থা করিতে পারবি৷
(২) ঐক্ষেত্রে মৃত্যু কল্পনায়/ভাবনায় কোন দান করা হয়, যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি, যিনি অসুস্থ এবং তাহার অসুস্থতার কারণে শীঘ্র মৃত্যুর আশা করেন, কোন স্থাবর সম্পত্তির দখল দান হিসাবে রাখার জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে অর্পণ করে সেক্ষেত্রে দাতা উক্ত অসুস্থতার কারণে মারা যাইবে৷
(৩) উক্ত দানদাতা কর্তৃক পুন প্রবর্তন করা যাইবে এবং যে সময়ে তিনি দানটি করিয়াছিলেন উক্ত সময়ে যদি আরোগ্য লাভ করে অথবা যাহার বরাবরে দান করা হইয়াছে তিনি তাহার উত্তরজীবী হন তাহা হইলে দানটি কার্যকারী হইবে না৷
উদাহরণ
(অ) ''ক'' অসুস্থ হইয়া এবং মৃত্যু ভাবনায় ''খ'' কে তদকর্তৃক রাখিয়া দিবার জন্য নিম্নলিখিত বস্তু অর্পণ করেঃ-
একটি ঘড়ি,
ক-কে গ দ্বারা প্রদত্ত একটি বন্ড,
একটি ব্যাংক নোট,
সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্র,
বিনিময় বিল,
কয়েকটি রেহেল দলিল৷
ক উক্ত দ্রব্যগুলো প্রত্যার্পণ কালে অসুস্থতায় মারা যায়৷
''খ'' নিম্নলিখিত দ্রব্যের অধিকারী হয়৷
ঘড়িটি,
গ এর বন্ডের দেনা,
ব্যাংক নোট,
সহকারী প্রতিজ্ঞাপত্র,
বিনিময় বিল,
রেহেন দিললের অর্থ
(আ) ক অসুস্থ হইয়া এবং মৃত্যু ভাবনায় খ কে একটি ট্র্যাংকের চাবি, ক এর দখলভুক্ত দ্রব্য জমা আছে এইরূপ একটি গুদামের চাবি অর্পণ করে তাহাকে ট্র্যাংকের ভিকরকার দ্রব্য অথবা জমাকৃত দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ দেবার ইচ্ছায় এবং ক-এর মৃত্যুতে উহা নিকট রাখিয়া দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে৷ ক মারা যায়৷ খ ট্র্যাংক এবং ট্র্যাংকের মধ্যকার দ্রব্য অথবা ক এর গুদামের অধিকারী হয়৷
(ই) ক অসুস্থ হইয়া মৃত্যু ভাবনায় কিছু দ্রব্য আলাদা আলাদা পার্সেলে রেখে দেয় এবং পার্সেলগুলোর উপর যথাক্রমে খ এবং গ এর নামের চিহ্ন দেয়৷ ক এর জীবদ্দশায় পার্সেলগুলি অর্পণ করা হয় নাই৷ ক মারা যায়৷ খ এবং গ পার্সেলের অধিকারী হয় না৷
-
ভাগ-৭
মৃতের সম্পত্তির সংরক্ষণ
ধারা-১৯২৷ মৃতের সম্পত্তির উত্তরাধিকারে অধিকার দাবীকারী ব্যক্তি বেআইনী দখলের বিরুদ্ধে প্রতিকারের জন্য দরখাস্ত করিতে পারিবে৷- (১) যদি কোন ব্যক্তি স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি রাখিয়া মারা যান তাহা হইলে উহাতে বা উহার কোন অংশে উত্তরাধিকার সূত্রে অধিকার দাবীকারী কোন ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির কোন অংশ অবস্থিত এইরূপ জেলার জেলা জজের নিকট কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রকৃত দখল নেওয়ার পর অথবা যখন দখল নেওয়ার বল প্রয়োগ পদ্ধতি আশংকা করা হয়, প্রতিকারের জন্য আবেদন করিতে পারিবে৷
(২) কোন প্রতিনিধি আত্মীয় বা নিকট বন্ধু বা কোর্ট অভ ওয়ার্ড পূর্বোক্ত কোন সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারসূত্রে অধিকারী এইরূপ কোন নাবালক, অযোগ্য অথবা অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য প্রতিকারের জন্য আবেদন করিতে পারিবে৷
আলোচনা
পরিচালনামূলক মামলাঃ
বৃহত্ অর্থে পরিচালনা মৃত ব্যক্তির সম্পদের সংগ্রহ, উইলকারীর উইলের অধীনে অধিকারী ব্যক্তিকে দেনা পরিশোধ এবং অবশিষ্টাংশের বণ্টন অন্তর্ভূক্ত করে৷
ধারা-১৯৩৷ জজের দ্বারা তদন্ত৷- যে জেলা জজের নিকট আবেদন করা হয় ঐ জেলা জজ প্রথমত দরখাস্তকারীকে শপথপূর্বক জেরা করিবেন এবং দখলরত অথবা জোরপূর্বক দখল গ্রহণকারী ব্যক্তির কোন আইনগত শর্ত নাই এবং দরখাস্তকারী অথবা যাহার পক্ষে তিনি দরখাস্ত করেন তিনি প্রকৃতপক্ষে অধিকারী এবং মামলার স্বাভাবিক প্রতিকার দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা আছে এবং প্রকৃত অর্থে দরখাস্তটি করা হয় এইরূপ বিশ্বাস করিবার পযাপ্ত কারণ আছে কিনা তদসস্পর্কে তিনি যেমন প্রয়োজনীয় মনে করিবেন তেমন আরো তদন্ত করিতে পারিবেন৷
ধারা-১৯৪৷ কার্যপদ্ধিত৷- যদি জেলা জজ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, পূর্বোক্তভাবে এবং অন্য কোনভাবে নয় বিশ্বাস করিবার পর্যাপ্ত কারণ আছে তাহা হইলে তিনি অভিযুক্ত পক্ষকে সমন দিবেন এবং খালি করার নোটিশ দিবেন এবং যুক্তসংগত সময় অবসানের পর সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে দখল অধিকার নিষ্পত্তি করিবেন (অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতির ন্যায় মামলা সাপেক্ষে) এবং সেই মোতাবেক দখল অর্পণ করিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, জজের একজন অফিসার নিয়োগ করিবার ক্ষমতা থাকিবে যিনি দ্রব্যাদির তালিকা গ্রহণ করিবেন এবং দরখাস্তের ভিত্তি অনতিবিলম্বে উহা সিল করিবেন অথবা অন্য কোনভাবে নিশ্চিত করিবেন, তিনি অভিযুক্ত পক্ষকে সমন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্ন করিয়া থাকুন বা না থাকুন৷
ধারা-১৯৫৷ কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন অবস্থায় কিউরেটর নিয়োগ৷- যদি পূর্বোক্তভাবে উক্তরূপ তদন্তের পর আরো প্রতীয়মান হয় যে সংক্ষিপ্ত কার্যপদ্ধতি নিষ্পন্ন হইবার পূর্বে সম্পত্তি আত্মসাতের আশংকা বা অপচয় হওয়ার ঝূঁকি আছে এবং দখলভুক্ত পক্ষের নিকট হইতে সিকিউরিটি লাভের বিলম্ব অথবা উহার অপর্যাপ্ততা দখলহীন পক্ষকে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির সম্মুখীন করিবে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি আইনগত মালিক হওয়া সত্ত্বে জেলা জজ এক বা একাধিক কিউরেট নিয়োগ করিতে পারিবেন, যাহারা তাহার বা তাহাদের নিয়োগের শর্ত মোতাবেক কর্তৃত্বপরায়ণ হইবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ভূমির ক্ষেত্রে জজ কালেকটরকে অথবা কালেকটরের অধীনস্থ কোন কর্মকর্তাকে কিউরেটরের ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবেনঃ
আরো শর্ত থাকে যে, কোন সম্পত্তি সম্পর্কে কিউরেটরের প্রত্যেকটি নিয়োগ যথোপযুক্তভাবে প্রকাশ করিতে হইবে৷
ধারা-১৯৬৷ কিউরেটরের উপর অর্পণযোগ্য ক্ষমতা৷ - জেলা জজ সাধারণভাবে সম্পত্তির দখল গ্রহণ করার অথবা দখলভুক্ত পক্ষ কর্তৃক মুচলেকা না দেওয়া পর্যন্ত অথবা সম্পত্তির তালিকা না করা পর্যন্ত অথবা দখলভুক্ত পক্ষ দ্বারা সম্পত্তি আত্মাসাত্ বা অপচয় হইতে রক্ষার জন্য কিউরেটরকে সম্পত্তি দখলদান করার ক্ষমতা দিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, জজের বিবেচনায় দখলভুক্ত পক্ষকে মুচলেকা দেওয়া বা না দেওয়ার ভিত্তিতে উক্ত দখল অব্যাহত রাখার অনুমতি দিবেন এবং অব্যাহতভাবে দখল রাখা তালিকা ইঙ্গিত দেওয়া অথবা দলিল বা অন্যকোন দ্রব্যাদি নিশ্চিত করণার্থে তিনি যেমন আদেশ দিবেন তেমন আদেশ সাপেক্ষ হইবে৷
ধারা-১৯৭৷ কিউরেটর কর্তৃক কতিপয় ক্ষমতা প্রয়োগ নিষিদ্ধ৷- (১) যেক্ষেত্রে ১০নং ভাগের অধীন সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা হয়, অথবা প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিসট্রেশন মঞ্জুর করা হয়, সেক্ষেত্রে এই ভাগের অধীন নিয়োজিত কিউরেটর আইনসঙ্গতভাবে সার্টিফিকেট ধারক, নির্বাহক বা প্রশাসকের অধিকার কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন না৷
(২) কিউরেটরকে দেনা, প্রভৃতি পরিশোধ: যে সকল ব্যক্তি আদালত কর্তৃক অনুমোদিত কিউরেটরের গ্রহণের জন্য দেনা বা খাজনা পরিশোধ করিয়াছে, তাহাদেরকে অব্যাহতি দিতে হইবে এবং কিউরেটর ক্ষেত্রমতে সার্টিফিকেট, প্রোবেট, বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাভকারী ব্যক্তিকে উহা পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন৷
ধারা-১৯৮৷ কিউরেটরকে জামানত দিতে হইবে৷- (১) জেলা জজ কিউরেটরের নিকট হইতে তাহার ট্রাস্টের বিশ্বস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য এবং অতঃপর বর্ণিত সন্তোষজনক হিসাব প্রদানের জন্য জামানত গ্রহণ করিবেন এবং তাহাকে সম্পত্তি হইতে জেলা জজ যেমন যুক্তিসঙ্গত মনে করিবেন তেমন বেতন গ্রহণের ক্ষমতা দান করিবেন যাহা কোনভাবেই অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে এবং স্থাবর সম্পত্তির বার্ষিক লাভের উপর ৫% এর অধিক হইবে না৷
(২) কিউরেটর কর্তৃক সকল অতিরিক্ত অর্থ আদালতে প্রদান করিতে হইবে এবং সংক্ষিপ্ত কার্যপদ্ধতি বিচারের প্রেক্ষিতে উহাতে উধিকারী ব্যক্তির কল্যানার্থে উক্ত অর্থ জন নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করিতে হইবে৷
(৩) যুক্তিসংগত সকল ডিসপাচে কিউরেটরের নিকট হইতে জামানত নিতে হইবে এবং সম্ভব হইলে যে সকল ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ব্যক্তিকে কিউরেটর নিয়োগ করিতে হইবে ঐ সকল ক্ষেত্রে সাধারণভাবে উত্তরদানের জন্য জামানত গ্রহণ করিতে হইবে কিন্তু জামানত গ্রহণে বিলম্ব হইলে তাহা কিউরেটরকে অনতিবিলম্বে তাহার দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা দিতে জজকে নিবারণ করিবে না৷
ধারা-১৯৯৷ কালেক্টরের নিকট হইতে রিপোর্ট যেক্ষেত্রে ভূ-সম্পত্তি রাজস্ব প্রদানকারী ভূমি অন্তর্ভূক্ত করে৷- (১) যেক্ষেত্রে মৃতের ভূ-সম্পত্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে সরকারকে রাজস্ব প্রদানকারী ভূমি-লইয়া গঠিত হয়, সেক্ষেত্রে দখলরত পক্ষকে সমন দেওয়া কিউরেটর নিয়োগ অথবা উক্ত নিয়োগে ব্যক্তিকে মণোনয়ন দেওয়া সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জেলা জজ কালেক্টরের নিকট হইতে প্রতিবেদন দাবি করিবেন এবং উহার ফলে কালেক্টর উক্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেই উক্ত রিপোর্ট ব্যতিরেকে অগ্রসর হইতে পারিবেন৷
(২) জজ উক্তরূপ কোন রিপোর্ট অনুযায়ী কার্য করিতে বাধ্য থাকিবেন না কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যতীত অন্য কোনভাবে কার্য করিবার ক্ষেত্রে তিনি অনতিবিলম্বে উক্তরূপ করিবার কারণ সম্বলিত একটি বিবৃতি দাখিল করিবেন, যদি হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কারণের সহিত অসন্তুষ্ট হন তাহা হইলে উহা কালেক্টরের রিপোর্ট অনুযায়ী অগ্রসর হইবার জন্য জজকে নির্দেশ দিবেন৷
ধারা-২০০৷ মামলা দায়ের এবং আত্মরক্ষা৷- কিউরেটর মামলা দায়ের অথবা আত্মরক্ষা সম্পর্কিত জেলা জজের সকল আদেশ সাপেক্ষ হইবেন এবং সকল মামলা ভূ-সম্পত্তির পক্ষে কিউরেটরের নামে দাখিল করা যাইবে অথবা আত্মপক্ষ সমর্থন যাইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, দেনা অথবা খাজনা আদায়ের জন্য কিউরেটরের নিয়োগের আদেশে সুস্পষ্ট কর্তৃত্বের আবশ্যক হইবে কিন্তু, উক্তরূপ প্রকাশ্য কর্তৃত্ব উক্ত কর্তৃত্ব বলে গৃহীত সকল অর্থ হিসাব দানে কিউরেটরকে সক্ষম করিব৷
ধারা-২০১৷ কিউরেটর দ্বারা তত্ত্বাবধান অবস্থায় দৃশ্যতঃ মালিককে ভাতা৷- কিউরেটরের অধীনে সম্পত্তির তত্ত্বাবধান থাকাকালে উক্ত সম্পত্তিতে পক্ষসমূহের বিদ্যমান আপাত যুক্তগ্রাহ্য অধিকার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের অবস্থা সম্পর্কে জেলা জজ যেমন প্রয়োজনীয় মনে করিবেন সংক্ষিপ্ত তদন্তের ভিত্তিতে তাহাদেরকে তেমন ভাতা প্রদান করিতে পারিবেন, এবং তিনি তাহার বিবেচনায় সংক্ষিপ্ত কার্যধারার ভিত্তিতে উহাতে অধিকারী নয় এইরূপ পক্ষের ক্ষেত্রে সুদসহ পুনঃ পরিশোধের জন্য জামানত নিতে পারিবেন৷
ধারা-২০২৷ কিউরেটরকে হিসাব দাখিল করিতে হইবে৷- কিউরেটর বস্তুনিষ্ঠভাবে মাসিক হিসাব দাখিল করিবেন এবং তিন মাসের প্রত্যেক সময়কাল অবসানে, যদি তাহার প্রশাসন তত সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এবং সম্পত্তির দখল ত্যাগের প্রেক্ষিতে, জেলা জজের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান তাহার প্রশাসনের বিস্তারিত হিসাব দাখিল করিবেন৷
ধারা-২০৩৷ হিসাব পরিদর্শন এবং উহার নকল রাখিবার সংশ্লিষ্ট পক্ষের অধিকার৷- (১) কিউরেটরের হিসাব সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে এবং উক্তরূপ সংশ্লিষ্ট কোন পক্ষ কিউরেটর কর্তৃক সকল রশিদ এবং পরিশোধের একটি নকল হিসাব রাখিবার জন্য পৃথক কোন ব্যক্তিকে নিয়োগের ক্ষমতা থাকিবে৷
(২) যদি দেখা যায় যে, কিউরেটরের হিসাব বাকী থাকে অথবা ভুল বা অসম্পূর্ণ অথবা কিউরেটর জেলা জজের দ্বারা আদিষ্ট সময়ে উহা দাখিল না করেন তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ প্রত্যেক ব্যর্থতার জন্য অনধিক ১,০০০ টাকা দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ধারা-২০৪৷ একই সম্পক্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিউরেটর নিযোগ বাঁধা৷- যদি কোন জেলা জজ মৃত ব্যক্তির সমুদয় সম্পত্তির বিষয়ে একজন কিউরেটর নিয়োগ করেন তাহা হইলে উক্তরূপ নিয়োগ অন্য কোন জেলা জজকে অন্য কোন কিউরেটর নিয়োগ হইতে বাঁধা দিবেন কিন্তু সম্পত্তির কোন অংশ বিষয়ে একজন কিউরেটর নিয়োগ উক্ত সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ বা অন্য কোন অংশ বিষয়ে আরেকজন কিউরেটরের নিয়োগকে বাঁধা দিবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন জজ কোন জজের নিকট এই ভাগের অধীন পূর্বে দায়েরকৃত কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারার বিষয় সম্পর্কিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে একজন কিউরেটর নিয়োগ করিতে পারিবেন না অথবা কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারা গ্রহণ করিবেন নাঃ
আরও শর্ত থাকে যে, কোন ভূ-সম্পত্তির কতিপয় অংশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জজের দ্বারা যদি দুই বা ততোধিক কিউরেটর নিয়োগ করা হয়, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ সমুদয় সম্পত্তির একজন কিউরেটর নিয়োগের জন্য যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমন আদেশ দিতে পারিবে৷
ধারা-২০৫৷ কিউরেটরের জন্য আবেদনের সময়সীমা৷- জেলা জজের নিকট এই ভাগের অধীন কোন দরখাস্ত যে স্বত্বাধিকারীর সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে দাবী করা হয় ঐ স্বত্বাধিকারীর মৃত্যুর ৬ মাসের মধ্যে করিতে হইবে৷
ধারা-২০৬৷ মৃত ব্যক্তির দ্বারা আইনগত নির্দেশের সরকারী বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে এই ভাগ বলবত্ করণের বাধা৷- এই ভাগে বিধৃত কোন কিছুই নাবালক অবস্থায় বা অন্য কোনভাবে কোন সম্পত্তির মৃত স্বত্বাধিকারীর মৃত্যুর পরে তাহার সম্পত্তির দখলের জন্য তত্কর্তৃক প্রদত্ত কোন আইনগত নির্দেশ বা বন্দোবস্ত সম্পর্কিত কোন সরকারী কার্যের লংঘনের অনুমতি দান করে বলিয়া বিবেচিত হইবে না, এবং উক্তরূপ প্রতিটি ক্ষেত্রে যখনই মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির উপর এক্তিয়ার সম্পন্ন জজ উক্তরূপ নির্দেশের অস্তিত্ব বিষয়ে সন্তুষ্ট হন, তখনই তিনি উহা কার্যকর করিবেন৷
ধারা-২০৭৷ নাবালকের ক্ষেত্রে কোর্ট অব ওয়ার্ডকে উহার এক্তিয়ারভুক্ত সম্পত্তির কিউরেটর নিয়োগ করিতে হইবে৷- এইভাগে বিবৃত কোন কিছুই কোন সম্পত্তির কোর্ট অব ওয়ার্ডের দখলে কোন বিশৃঙ্খলার অনুমতি দিবে বলিয়া বিবেচিত হইবে না, এবং নাবালক বা অন্যকোন অযোগ্য ব্যক্তি, যাহার সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডের বিষয়াধীন, এই ভাগের অধীনকৃত দরখাস্তের পক্ষ হইলে জেলা জজ, যদি তিনি দখলভুক্ত পক্ষকে সমন দেওয়ার এবং একজন কিউরেটর নিয়োগ করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, পূর্বোক্ত জামানত গ্রহণ ব্যতিরেকে কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন অবস্থায় কিউরেটরের সহিত কোর্ট অব ওয়ার্ড নিয়োগ করিবেন এবং সংক্ষিপ্ত কার্যধারার ভিত্তিতে যদি নাবালক বা অন্যকোন অযোগ্য ব্যক্তি সম্পত্তির দখলের অধিকারী বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহাকে কোর্ট অব ওয়ার্ডকে দখল অর্পণ করিতে হইবে৷
ধারা-২০৮৷ মামলা করার অধিকার হেফাজত৷- এই ধারায় বিবৃত কোন কিছুই ঐ পক্ষের দ্বারা মামলা দায়েরের কোন বাধা হইবে না৷ যে পক্ষের আবেদন দখলভুক্ত পক্ষের সমনজারীর পূর্বে বা পরে প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে কিংবা এই ভাগের অধীন দখল হইতে বিচ্ছেদ হইয়াছে৷
ধারা-২০৯৷ সংক্ষিপ্ত কার্যধারার সিদ্ধান্তের ফল৷- এই ভাগের অধীন কোন সংক্ষিপ্ত কার্যধারায় জেলা জজের সিদ্ধান্ত প্রকৃত দখলের বন্দোবস্তের চাইতে অন্য কোন ফল থাকিবে না, কিন্তু এই উদ্দেশ্যের জন্য ইহা চূড়ান্ত হইবে এবং কোন আপীল বা রিভিউয়ের সাপেক্ষ হইবে না৷
ধারা-২১০৷ সরকারী কিউরেটর নিয়োগ৷- সরকার কোন জেলা বা জেলাসমূহের জন্য কিউরেটর নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং এক্তিয়ার সম্পন্ন জেলা জজ যেক্ষেত্রে এই ভাগের অধীন কিউরেটরের নিয়োগ দান তাহার বিবেচনাপ্রসূত সে সকল ক্ষেত্রে উক্ত কিউরেটরদেরকে মনোনীত করিবেন৷
-
ভাগ-৮
উত্তরাধিকারে মৃতের সম্পত্তির প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্ব
ধারা-২১১৷ নির্বাহক এবং ব্যবস্থাপকের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্য৷- (১) ক্ষেত্রমতে মৃত ব্যক্তির নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক সকল উদ্দেশ্যে তাহার আইনগত প্রতিনিধি, এবং মৃতের সকল সম্পত্তি তাহার উপরে ন্যস্ত হইবে৷
(২) যখন মৃত ব্যক্তি একজন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তি, এই ভাগে বর্ণিত মৃতের কোন সম্পত্তি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের উপরে ন্যস্ত হইবে, যাহা উত্তরজীবী নীতি মোতাবেক অন্যকোন ভাবে অন্যকোন ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইত৷
ধারা-২১২৷ অকৃত উইলকারীর সম্পত্তিতে অধিকার৷- (১) উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছে এইরূপ কোন ব্যক্তির সম্পত্তির কোন অংশ কোন অধিকার উপযুক্ত এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঞ্জুর না করা হইলে, কোন আদালতে প্রতিষ্ঠিত করা যাইবে না৷
(২) এই ধারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা বাংলাদেশী খৃস্টানের উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
ধারা-২১৩৷ নির্বাহক বা উত্তরদায়গ্রহীতা হিসাবে অধিকার কখন প্রতিষ্ঠিত হইবে৷- (১) কোন ন্যায়ের আদালতে নির্বাহক কিংবা উত্তরদায়গ্রহীতার হিসাবে কোন অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাইবে না, যদি না বাংলাদেশে এক্তিয়ার সম্পন্ন কোন আদালত যে উইলের অধীনে উক্ত অধিকার দাবী করা হয়, বা উইলসহ কিংবা সংযুক্ত উইলের স্বীকৃত প্রতিলিপির প্রতিলিপিসহ লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঞ্জুর করিয়া থাকে৷
(২) এই ধারা মুসলিম কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, এবং কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যেক্ষেত্রে উক্ত উইল ৫৭ ধারায় (ক) এবং (খ) দফায় বিভক্ত শ্রেণীভুক্ত উইল৷
Case Law
Section 213- The decision reported in 1987 BLD 244 that the executrix of the Will of the deceased appellant is entitled to prosecute the appeal as substituted appellant in place of the deceased appellant before she obtains probate of the Will cannot be agreed with. (Subhra Nandi Majumder Vs. Amar Prasad Bhattacharjee and others, 49 DLR 227).
ধারা-২১৪৷ মৃত ব্যক্তির দেনাদারের নিকট হইতে আদালতের মাধ্যমে দেনা আদায়ে পূর্ববর্তী শর্ত হিসাবে প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্বের প্রমাণ৷- (১) কোন আদালত-
(ক) মৃত ব্যক্তির দেনাদারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষে উত্তরাধিকার সূত্রে দাবীকারী কোন ব্যক্তিকে তাহার দেনা পরিশোধের জন্য ডিক্রি দিতে পারিবে না, বা
(খ) উক্তরূপ অধিকারের দাবীদার কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত দেনাদারের বিরুদ্ধে ডিক্রি কার্যকর করিবার বা তাহার দেনা পরিশোধের জন্য আদেশ দিবার জন্য অগ্রসর হইবে না৷ উক্ত দাবীকারী ব্যক্তির নিম্নলিখিত বিষয়গুলি দাখিল ব্যতিরেকে-
(অ) মৃত্যের ভু-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার জন্য তাহাকে প্রদত্ত প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন; বা
(আ) ৩১ ধারা কিংবা Administrator General's Act, 1913-এর অধীন প্রদত্ত সার্টিফিকেট এবং তথায় উল্লেখিত দেনা, বা
(ই) ১০নং ভাগের অধীন প্রদত্ত উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট এবং যেখানে বিধৃত দেনা, বা
(২) উপ-ধারা (১)-এ বিকৃত ''দেনা'' শব্দটি কৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভূমি সম্পর্কে প্রদেয় খাজনা, রাজস্ব বা লভ্যাংশ ব্যতীত অন্য কোন দেনা অন্তর্ভূক্ত করে৷
ধারা-২১৫৷ সার্টিফিকেটে পরবর্তী প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের ফল৷- (১) কোন ভূ-সম্পত্তি বিষয়ে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা পত্রের মঞ্জুর ১০নং ভাগের অধীন পূর্বে প্রদত্ত কোন সার্টিফিকেটকে বাতিল বলিয়া বিবেচিত হ্ইবে৷
(২) যখন কোন দেনা বা জামানত সম্পর্কে কোন সার্টিফিকেটের ধারক কর্তৃক প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের প্রদানের সময় কোন মামলা বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকে, তখন যে ব্যক্তির বরাবরে উহা প্রদান করা হয় ঐ ব্যক্তি, মামলা বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে কোন সার্টিফিকেট রহিত করা হয় (Superseded), যেক্ষেত্রে এইরূপ রহিতকরণ না করিয়া উক্ত সার্টিফিকেট ধারককে প্রদত্ত সকল অর্থ প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর অধীন সকল দাবীর বিপরীতে বহাল থাকিবে৷
ধারা-২১৬৷ প্রবেট ব্যবস্থাপনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত মামলা করা, প্রভৃতির জন্য শুধুমাত্র উহা প্রদান৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপত্রের প্রদানের পরে উহা যে ব্যক্তির বরাবরে প্রদত্ত ঐ ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ উক্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র প্রত্যাহার বা তলব না করা পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসাবে কোন মামলা দায়ের অথবা ভিন্ন কোন ভাবে কার্য করিবার ক্ষমতা থাকিবে না৷
আলোচনা
প্রবেট বা পরিচালনাদেশ মঞ্জুর করা হলে যাকে মঞ্জুর করা হয়েছে ঐ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি প্রতিনিধিত্বমূলক মামলা করতে পারবে না৷
-
ভাগ-৮
উত্তরাধিকারে মৃতের সম্পত্তির প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্ব
ধারা-২১১৷ নির্বাহক এবং ব্যবস্থাপকের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্য৷- (১) ক্ষেত্রমতে মৃত ব্যক্তির নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক সকল উদ্দেশ্যে তাহার আইনগত প্রতিনিধি, এবং মৃতের সকল সম্পত্তি তাহার উপরে ন্যস্ত হইবে৷
(২) যখন মৃত ব্যক্তি একজন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তি, এই ভাগে বর্ণিত মৃতের কোন সম্পত্তি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের উপরে ন্যস্ত হইবে, যাহা উত্তরজীবী নীতি মোতাবেক অন্যকোন ভাবে অন্যকোন ব্যক্তির বরাবরে চলিয়া যাইত৷
ধারা-২১২৷ অকৃত উইলকারীর সম্পত্তিতে অধিকার৷- (১) উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছে এইরূপ কোন ব্যক্তির সম্পত্তির কোন অংশ কোন অধিকার উপযুক্ত এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঞ্জুর না করা হইলে, কোন আদালতে প্রতিষ্ঠিত করা যাইবে না৷
(২) এই ধারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা বাংলাদেশী খৃস্টানের উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
ধারা-২১৩৷ নির্বাহক বা উত্তরদায়গ্রহীতা হিসাবে অধিকার কখন প্রতিষ্ঠিত হইবে৷- (১) কোন ন্যায়ের আদালতে নির্বাহক কিংবা উত্তরদায়গ্রহীতার হিসাবে কোন অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাইবে না, যদি না বাংলাদেশে এক্তিয়ার সম্পন্ন কোন আদালত যে উইলের অধীনে উক্ত অধিকার দাবী করা হয়, বা উইলসহ কিংবা সংযুক্ত উইলের স্বীকৃত প্রতিলিপির প্রতিলিপিসহ লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঞ্জুর করিয়া থাকে৷
(২) এই ধারা মুসলিম কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, এবং কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন কর্তৃক কৃত উইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যেক্ষেত্রে উক্ত উইল ৫৭ ধারায় (ক) এবং (খ) দফায় বিভক্ত শ্রেণীভুক্ত উইল৷
Case Law
Section 213- The decision reported in 1987 BLD 244 that the executrix of the Will of the deceased appellant is entitled to prosecute the appeal as substituted appellant in place of the deceased appellant before she obtains probate of the Will cannot be agreed with. (Subhra Nandi Majumder Vs. Amar Prasad Bhattacharjee and others, 49 DLR 227).
ধারা-২১৪৷ মৃত ব্যক্তির দেনাদারের নিকট হইতে আদালতের মাধ্যমে দেনা আদায়ে পূর্ববর্তী শর্ত হিসাবে প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্বের প্রমাণ৷- (১) কোন আদালত-
(ক) মৃত ব্যক্তির দেনাদারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষে উত্তরাধিকার সূত্রে দাবীকারী কোন ব্যক্তিকে তাহার দেনা পরিশোধের জন্য ডিক্রি দিতে পারিবে না, বা
(খ) উক্তরূপ অধিকারের দাবীদার কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত দেনাদারের বিরুদ্ধে ডিক্রি কার্যকর করিবার বা তাহার দেনা পরিশোধের জন্য আদেশ দিবার জন্য অগ্রসর হইবে না৷ উক্ত দাবীকারী ব্যক্তির নিম্নলিখিত বিষয়গুলি দাখিল ব্যতিরেকে-
(অ) মৃত্যের ভু-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার জন্য তাহাকে প্রদত্ত প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন; বা
(আ) ৩১ ধারা কিংবা Administrator General's Act, 1913-এর অধীন প্রদত্ত সার্টিফিকেট এবং তথায় উল্লেখিত দেনা, বা
(ই) ১০নং ভাগের অধীন প্রদত্ত উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট এবং যেখানে বিধৃত দেনা, বা
(২) উপ-ধারা (১)-এ বিকৃত ''দেনা'' শব্দটি কৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভূমি সম্পর্কে প্রদেয় খাজনা, রাজস্ব বা লভ্যাংশ ব্যতীত অন্য কোন দেনা অন্তর্ভূক্ত করে৷
ধারা-২১৫৷ সার্টিফিকেটে পরবর্তী প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের ফল৷- (১) কোন ভূ-সম্পত্তি বিষয়ে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা পত্রের মঞ্জুর ১০নং ভাগের অধীন পূর্বে প্রদত্ত কোন সার্টিফিকেটকে বাতিল বলিয়া বিবেচিত হ্ইবে৷
(২) যখন কোন দেনা বা জামানত সম্পর্কে কোন সার্টিফিকেটের ধারক কর্তৃক প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের প্রদানের সময় কোন মামলা বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকে, তখন যে ব্যক্তির বরাবরে উহা প্রদান করা হয় ঐ ব্যক্তি, মামলা বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীনে কোন সার্টিফিকেট রহিত করা হয় (Superseded), যেক্ষেত্রে এইরূপ রহিতকরণ না করিয়া উক্ত সার্টিফিকেট ধারককে প্রদত্ত সকল অর্থ প্রবেট বা লেটার অব এ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর অধীন সকল দাবীর বিপরীতে বহাল থাকিবে৷
ধারা-২১৬৷ প্রবেট ব্যবস্থাপনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত মামলা করা, প্রভৃতির জন্য শুধুমাত্র উহা প্রদান৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপত্রের প্রদানের পরে উহা যে ব্যক্তির বরাবরে প্রদত্ত ঐ ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ উক্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র প্রত্যাহার বা তলব না করা পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসাবে কোন মামলা দায়ের অথবা ভিন্ন কোন ভাবে কার্য করিবার ক্ষমতা থাকিবে না৷
আলোচনা
প্রবেট বা পরিচালনাদেশ মঞ্জুর করা হলে যাকে মঞ্জুর করা হয়েছে ঐ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি প্রতিনিধিত্বমূলক মামলা করতে পারবে না৷
-
ভাগ-৯
প্রবেট, ব্যবস্থাপনাপত্র এবং মৃতের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা
ধারা-২১৭৷ এই ভাগের প্রয়োগ৷- এই আইন অথবা সাময়িকভাবে বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত সংযুক্ত উইলসহ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্রের সকল মঞ্জুর এবং উইলবিহীন অবস্থায় উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রমত এই ভাগের বিধানাবলী অনুযায়ী প্রদত্ত অথবা পালিত হ্ইবে৷
অধ্যায়-এক
প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান সম্পর্কে
ধারা-২১৮৷ মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন অথবা অব্যাহতি প্রাপ্ত হইলে কাহাকে ব্যবস্থাপনা প্রদত্ত হইবে৷- (১) যদি মৃত ব্যক্তি উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায় এবং তিনি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন অথবা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হন, তাহা হইলে তাহার সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব যে কোন ব্যক্তিকে প্রদান করা যাইবে যিনি উক্ত মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টনের জন্য প্রযোজ্য বিধি মোতাবেক উক্ত মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির সমুদয় বা অংশবিশেষের অধিকারী হইবে৷
(২) যখন কতিপয় উক্তরূপ ব্যক্তি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য আবেদন করেন তখন আদালত তাহার বিবেচনায় তাহাদের একজনকে অথবা একাধিক জনকে উক্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রদান করিবে৷
(৩) যখন উক্তরূপ কোন ব্যক্তি আবেদন না করেন তখন উক্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মৃত ব্যক্তির পাওনাদারকে প্রদান করা যাইবে৷
আলোচনা
মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন হলে এবং উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেলে তার সম্পত্তির পরিচালনা যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে অধিকারী হইতেন ঐ ব্যক্তি পরিচালনা করিত পারিবেন৷
ধারা-২১৯৷ যে ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ অথবা অব্যাহতি প্রাপ্ত না হন৷- যদি মৃত ব্যক্তি উইলবিহীন অবস্থায় মারা যান এবং তিনি ২১৮ ধারায় উল্লেখিত শ্রেণীর কোন একটিতে অন্তর্ভূক্ত না হন তবে বিবাহ অথবা রক্ত সম্পর্কীয় সূত্রে যাহারা তাহার সহিত সম্পর্কিত তাহারা তাহার সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাপত্র লাভের অধিকারী হইবে এবং উক্ত সম্পত্তি অতঃপর বর্নিত বিধি মোতাবেক পরিচালিত হইবে৷ যথা-
(ক) যদি মৃত ব্যক্তি বিধবা স্ত্রী রাখিয়া যায় তাহা হইলে কোন ব্যক্তিগত অযোগ্যতা কিংবা তাহার মৃতের সম্পত্তিতে কোন স্বার্থ নাই৷ এই কারণে আদালত তাহাকে বাদ না দিলে উক্ত বিধবা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব লাভ করিবেন৷
উদাহরণ
(অ) বিধবা পাগল অথবা ব্যভিচারিতা করেন অথবা তাহার স্বামীর সম্পত্তিতে তাহার বন্দোবস্ত দ্বারা সকল স্বার্থ বারিত হয়৷ ইহা ব্যবস্থাপনা হইতে তাহাকে বহির্ভূত করার কারণ৷
(আ) স্বামীর মৃত্যুর পরে বিধবা পুনরায় বিবাহ করে৷ ইহা তাহাকে বহির্ভূত করার কোন ভাল কারণ নয়৷
(খ) বিচারক যদি উপযুক্ত মনে করেন তাহা হইলে তিনি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে বিধবার সহিত সংশ্লিষ্ট করিতে পারিবেন তিনি যদি কোন বিধবা না থাকিলে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি হইতেন৷
(গ) যদি কোন বিধবা না থাকে অথবা আদালত যদি বিধবাকে বহির্ভূত করিবার কারণ খুঁজিয়া পায় তাহা হইলে আদালত অকৃত উইলকারীর সম্পত্তির বণ্টনের বিধি মোতাবেক সম্পত্তিতে লাভজনকভাবে অধিকারী হইতেন এইরূপ ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, মৃত ব্যক্তির মাতা উক্তরূপে অধিকারী ব্যক্তির শ্রেণীর কোন একজন হন তাহা হইলে একমাত্র তিনিই ব্যবস্থাপনার অধিকারী হইবে৷
(ঘ) যাহারা মৃত ব্যক্তির জ্ঞাতির সমমাত্রায় অবস্থান করে তাহারা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমানভাবে অধিকারী হইবে৷
(ঙ) স্ত্রীর উত্তরজীবীর স্বামীর ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিধবার যেমন অধিকার থাকে স্বামীও তাহার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একই অধিকার থাকিবে৷
(চ) যখন বিবাহ বা রক্ত সম্পর্কীয় সূত্রে মৃতের সহিত সম্পর্কিত কোন ব্যক্তি না থাকে যিনি ব্যবস্থাপনাপত্রের অধিকারী হন এবং কার্য করিতে ইচ্ছুক তখন পাওনাদারকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া যাইবে৷
(ছ) যেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি বাংলাদেশের সম্পত্তি রাখিয়া যায়, সেক্ষেত্রে যে দেশে স্থায়ী নিবাস ছিল উইল অবস্থায় এবং উইলবিহীন অবস্থায় উত্তরাধিকারীর ক্ষেত্রে ঐ দেশের আইন বাংলাদেশের আইনের সাথে পার্থক্য হওয়া সত্ত্বেও পূর্বোক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে হইবে৷
ধারা-২২০৷ ব্যবস্থাপনাপত্রের ফল৷- ব্যবস্থাপনাপত্র ব্যবস্থাপককে অকৃত উইলকারীর সকল অধিকার এমনভাবে দান করে যেন উক্ত ব্যবস্থাপনা তাহার মৃত্যুর পরেই দেওয়া হইয়াছে৷
ধারা-২২১৷ ব্যবস্থাপনা পত্রের দ্বারা কার্য বৈধ হইবে না৷- অকৃত উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির হ্রাস বা ক্ষতি করে ব্যবস্থাপকের এইরূপ তাত্ ক্ষণিক কোন কার্য ব্যবস্থাপনাপত্রের দ্বারা বৈধ হয় না৷
ধারা-২২২৷ কেবলমাত্র নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহককে প্রবেট দিতে হইবে৷- (১) কেবলমাত্র উইল দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহককে প্রবেট প্রদান করিতে হইবে৷
(২) নিয়োগ প্রকাশিত অথবা প্রয়োজনীয় ইঙ্গিতপূর্ণ হইতে পারিবে৷
উদাহরণ
(অ) ক এইরূপ ইচ্ছা করে যে খ ইচ্ছুক না হইলে গ হইবে তাহার নির্বাহক৷ ঘ-কে ইঙ্গিতের মাধ্যমে নির্বাহক নিয়োগ করা হয়৷
(আ) ক, খ-কে একটি উত্তরদায় এবং পুত্রবধূ গ কে কয়েকটি উত্তরদায় দান করে এবং এইরূপ বলে যে ''গ যদি জীবিত না থাকে তাহা হইলে আমি খ কে আমার সমুদয় একমাত্র নির্বাহী নিয়োগ করিবে৷'' ''গ'' ইঙ্গিতের মাধ্যমে নির্বাহক নিয়োজিত হয়৷
(ই) ক কয়েকজন ব্যক্তিকে তাহার উইল এবং কডিসিল এর নির্বাহক এবং তাহার ভ্রাতুষ্পুত্রকে অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতা নিয়োগ করে এবং অন্য একটি কডিসিলে এইরূপ কথা থাকে যে, ''বিভিন্ন তারিখে স্বাক্ষরিত আমার উইল এবং কডিসিলের বিরুদ্ধে আমার সকল আইনগত চাহিদা পূরণে আমি আমার ভ্রাতুষ্পুত্রকে আমার অবশিষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতা নিয়োগ করি৷'' ভ্রাষ্পুত্র ইঙ্গিতের মাধ্যমে নির্বাহক নিয়োগপ্রাপ্য৷
ধারা-২২৩৷ যে সকল ব্যক্তিকে প্রবেট দেওয়া যায় না৷- নাবালক বিকৃত মস্তিক এইরূপ কোন ব্যক্তিকে কিংবা কোন ব্যক্তির সংগঠনকে যদি না উক্ত সংগঠন এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করে এইরূপ কোন দল না হয়, প্রবেট দেওয়া যাইবে না৷
ধারা-২২৪৷ যুগপত্ ভাবে অথবা বিভিন্ন সময়ে কতিপয় নির্বাহককে প্রবেট দান৷- কতিপয় নির্বাহককে নিয়োগ করা হইলে তাহাদের সকলকে যুগপত্ ভাবে বা বিভিন্ন সময়ে প্রবেট দেওয়া যাইবে৷
উদাহরণ
ক প্রকাশ্য নিয়োগের দ্বারা খ এর উইলের একজন নির্বাহক এবং গ ইঙ্গিতের মাধ্যমে উহার একজন নির্বাহক৷ একই সময়ে ক এবং গ কে অথবা প্রথমে ক এবং পরে গ কে অথবা প্রথমে গ এবং পরে ক কে প্রবেট দেওয়া যাইবে৷
ধারা-২২৫৷ প্রবেট প্রদানের পর আবিষ্কৃত পৃথক কডিসিলের প্রবেট৷- (১) যদি প্রবেট প্রদানের পর কোন কডিসিল আবিষ্কৃত হয় তাহা হাইলে উক্ত কডিসিলে একটি পৃথক প্রবেট নির্বাহককে দেওয়া যাইবে যদি উহা কোন ভাবে উইলের মাধ্যমে নির্বাহক নিয়োগ প্রকাশ না করে৷
(২) যদি কডিসিলের মাধ্যমে পৃথক নির্বাহক নিয়োগ করা হয় তাহা হইলে উইলের প্রবেট প্রত্যাহার করিতে হইবে এবং একত্রে উক্ত উইল এবং প্রবেটের ক্ষেত্রে নতুন প্রবেট দিতে হইবে৷
ধারা-২২৬৷ জীবিত নির্বাহককে সংযুক্ত উপস্থাপন৷- কতিপয় নির্বাহককে প্রবেট মঞ্জুর করা হইলে এবং উহাদের কোন একজন মারা গেলে উইলকারীর সমুদয় উপস্থাপন উত্তরজীবী নির্বাহক বা নির্বাহকগণের সহিত যুক্ত হয়৷
ধারা-২২৭৷ প্রবেটের প্রভাব৷- মঞ্জুরিকৃত উইলের প্রবেট উইলকারীর মৃত্যু হইতে উইল প্রতিষ্ঠিত করে এবং নির্বাহকের সকল সরাসরি কার্যের বৈধতা দান করে৷
ধারা-২২৮৷ বিদেশে প্রমাণিত উইলে প্রামান্য অনুলিপির সংযুক্ত অনুলিপিসহ ব্যবস্থাপনা৷- যখন কোন উইল বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে অথবা বাহিরে উপযুক্ত ইখতেয়ার সম্পন্ন কোন আদালতে প্রমাণিত হয় এবং জমা দেওয়া হয় এবং উইলে একটি উপযুক্ত প্রামাণ্য অনুলিপি দাখিল করা হয় তখন ব্যবস্থাপনাপত্র উক্ত সংযুক্ত অনুলিপির সাথে মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২২৯৷ নির্বাহক নির্বাহীকতা পরিত্যাগ না করিলে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর৷- নির্বাহক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যখন তাহার নির্বাহীকতা পরিত্যাগ না করেন তখন নির্বাহককে তাহার নির্বাহীকতা গ্রহণ বা পরিত্যাগ করিবার আহবান করিয়া সাইটেশন ইস্যু না করা পর্যন্ত অন্য কোন ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, যখন কতিপয় নির্বাহকের মধ্য হইতে এক বা ততোধিক নির্বাহক উইল প্রমাণ করেন তখন আদালত, যে সকল নির্বাহক উইল প্রমাণ করিয়াছে তাহাদের উত্তরজীবির মৃত্যুর ক্ষেত্রে, যাহারা প্রমাণ করেন নাই তাহাদের উল্লেখ ব্যতিরেকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে৷
ধারা-২৩০৷ নির্বাহীকতা পরিত্যাগের ফরম এবং ফল৷- নির্বাহীকতার ত্যাগ বিচারকের উপস্থিতিতে মৌখিকভাবে অথবা পরিত্যাগকারী ব্যক্তির স্বাক্ষরিত লেখার মাধ্যমে সম্পন্ন হইতে পারিবে এবং সম্পন্ন হইলে উহা উইলের প্রবেটের জন্য তাহাকে নির্বাহক হিসাবে নিয়োগ করিবার আবেদন করা হইতে নিবারণ করিবে৷
ধারা-২৩১৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাহক পরিত্যাগ কিংবা গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হইলে কার্য পদ্ধতি৷- যদি নির্বাহক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন নির্বাহিকতা পরিত্যাগ করিতে কিংবা গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে উইলটি প্রমাণ করা যাইবে এবং সংযুক্ত উইলের অনুলিপি সহযোগে ব্যবস্থাপনাপত্র ঐ ব্যক্তির বরাবরে মঞ্জুর করা যাইবে যিনি উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার অধিকারী হইতেন৷
ধারা-২৩২৷ সার্বজনীন অথবা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতাকে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর৷- যখন-
(ক) মৃত ব্যক্তি উইল করিয়াছে কিন্তু কোন নির্বাহক নিয়োগ করেন নাই, বা
(খ) মৃত ব্যক্তি এমন একজনকে নির্বাহক নিয়োগ করিয়াছে যিনি আইনগতভাবে কার্য করিতে অক্ষম বা প্রত্যাখান করে কিংবা উইলকারীর পূর্বে মৃত্যুবরণ করিয়াছে অথবা উইল প্রমাণ করিবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করিয়াছে, বা
(গ) উইল প্রমাণ করিয়া নির্বাহক মৃত্যুবরণ করেন কিন্তু তত্পূর্বে তিনি মৃত ব্যক্তির সকল ভূ-সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা করিয়াছেন৷
তখন উইল প্রমাণ করিবার জন্য একজন সার্বজনীন বা অবশিষ্ট উত্তরদায় গ্রহীতাকে স্বীকার করা যাইবে এবং সংযুক্ত উইল সহযোগে সমুদয় সম্পত্তির অথবা যতখানি ব্যবস্থাহীন ততখানি তাহাকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২৩৩৷ মৃত ব্যক্তির অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার প্রতিনিধি ব্যবস্থাপনায় অধিকার৷- লাভজনক স্বার্থ আছে এইরূপ কোন অবশিষ্টভোগী উত্তরদায় গ্রহীতা যখন উইলকারীর উত্তরজীবী হন কিন্তু ভু-সম্পত্তি পূর্ণভাবে ব্যবস্থাপিত হইবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন তখন উক্ত অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার অধিকারের ন্যায় তাহার প্রতিনিধি ব্যবস্থাপনায় একই অধিকার থাকে৷
ধারা-২৩৪৷ যেক্ষেত্রে কোন নির্বাহক কিংবা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা কিংবা উক্ত উত্তরদায়গ্রহীতার প্রতিনিধি নাই, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর৷- যখন অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার কোন প্রতিনিধি কিংবা কোন নির্বাহক এবং কোন অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা না থাকে অথবা তিনি কার্য করিতে অস্বীকার করেন বা অক্ষম হন অথবা তাহাকে না পাওয়া যায় তখন মৃত ব্যক্তি উইলবিহীন অবস্থায় মারা গেলে তাহার ভূ-সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার অধিকারী হইত এইরূপ ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে অথবা লাভজনক স্বার্থ সম্পন্ন অন্য কোন উত্তরদায়গ্রহীতাকে অথবা পাওনাদারকে উইল প্রমাণ করার জন্য গ্রহণ করা যাইবে এবং তাহাকে বা তাহাদেরকে তদানুসারে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২৩৫৷ সার্বজনীন বা অবশিষ্টভোগী ব্যতীত উত্তরদায়গ্রহীতাকে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর করিবার পূর্বে উল্লেখ৷ - ব্যবস্থাপনাপত্র গ্রহণ করিবার কিংবা প্রত্যাখান করিবার জন্য পরবর্তী আত্মীয় আহবান করিয়া অতঃপর উল্লেখিত পদ্ধতিতে উল্লেখ ইস্যু এবং প্রকাশ না করা পর্যন্ত সার্বজনীন বা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা ব্যতীত অন্য কোন উত্তরদায়গ্রহীতাকে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে না৷
ধারা-২৩৬৷ যাহাকে ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর করা যাইবে না৷- নাবালক বিকৃত মস্তিষ্ক এইরূপ কোন ব্যক্তিকে কিংবা কোন ব্যক্তির সংগঠনকে যদি না উক্ত সংগঠন এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করে এইরূপ কোন দান না হয়, ব্যবস্থাপত্র দেওয়া যাইবে না৷
-
অধ্যায়-দুই
সীমিত মঞ্জুর সম্পর্কে-যে মেয়াদে মঞ্জুর সীমিত
ধারা-২৩৭৷ অনুলিপির প্রবেট অথবা হারানো উইলের খসড়া৷- উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে যখন উইল হারাইয়া যায় অথবা ভুলক্রমে স্থাপিত হয় কিংবা ভুলক্রমে বা দুর্ঘটনাক্রমে ধ্বংস হইয়া যায় এবং উহা উইলকারীর কোন কার্য দ্বারা না হয়, এবং উইলের অনুলিপি বা খসড়া সংরক্ষিত থাকে তখন মূল বা যথাপোযুক্তিভাবে প্রামাণ্য অনুলিপি দাখিল না করা পর্যন্ত উক্ত অনুলিপি বা খসড়ার প্রবেট মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২৩৮৷ হারানো বা ধ্বংস হওয়া উইলের বিষয়বস্তুর প্রবেট৷- যখন উইল হারাইয়া যায় বা ধ্বংস হয় এবং কোন অনুলিপি তৈরী করা না হয় কিংবা খসড়া সংরক্ষিত না থাকে তখন সাক্ষ্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হইলে উইলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রবেট মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২৩৯৷ অনুলিপির প্রবেট যখন মূল অংশ বিদ্যমান৷- যখন উইল বাংলাদেশের বাহিরে বসবাসকারী কোন ব্যক্তির দখলে থাকে, যিনি উহা অর্পণ করিতে অস্বীকার করেন অথবা অবহেলা করেন কিন্তু অনুলিপি নির্বাহকের বরাবরে প্রেরিত হয় এবং মূল অংশের জন্য অপেক্ষা করা ব্যতিরেকে প্রবেট মঞ্জুর করা উচিত ভূ-সম্পত্তির স্বার্থে এইরূপ প্রয়োজনীয় হয় তখন উক্ত প্রেরিত অনুলিপি সম্পর্কে প্রবেট মঞ্জুর করা যাইবে যতক্ষণ না উইল বা উহার প্রামাণ্য দলিল দাখিল করা হয়৷
ধারা-২৪০৷ উইল দাখিল না করা পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা৷- যেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির কোন উইল আসন্ন নয় কিন্তু উইল বিদ্যমান আছে এইরূপ বিশ্বাস করিবার কোন কারণ না থাকে, সেক্ষে উইল বা উহার প্রামাণ্য দাখিল না করা পর্যন্ত ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২৪১৷ নির্বাহকের অনুপস্থিতিতে এ্যাটর্নীকে সংযুক্ত উইল ব্যবস্থাপনা প্রদান৷- যখন কোন নির্বাহক বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে এবং কার্য করিতে ইচ্ছুক এইরূপ কোন নির্বাহক বাংলাদেশে না থাকে তখন সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মালিকের ব্যবহার এবং কল্যাণার্থে অনুপস্থিত নির্বাহকের এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধিকে মঞ্জুর করা যাইবে যতক্ষণ না তিনি তাহাকে প্রদত্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র লাভ করেন৷
ধারা-২৪২৷ যে অনুপস্থিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকিলে ব্যবস্থাপনা করিতে পারিতেন সেই অনুপস্থিত ব্যক্তির অ্যাটর্নীকে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনা প্রদান৷- উপস্থিত থাকিলে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইত এইরূপ কোন ব্যক্তি যখন বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে তখন ২৪১ ধারায় উল্লেখিত সীমিত মেয়াদে তাহার এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধিকে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২৪৩৷ উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে অনুপস্থিত ব্যক্তির এ্যাটর্নীকে প্রদত্ত ব্যবস্থাপনা উক্ত এ্যাটর্নী উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা করা অধিকারী৷- উইলবিহীন অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা করার অধিকারী কোন ব্যক্তি যখন বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে এবং সমভাবে অধিকারী কোন ব্যক্তি যখন বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকে এবং সমভাবে অধিকারী কোন ব্যক্তি কার্য করিতে অনিচ্ছুক হন তখন ২৪১ ধারায় উল্লেখিত মেয়াদে অনুপস্থিত ব্যক্তির এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধিকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২৪৪৷ একমাত্র নির্বাহক অথবা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার নাবালকত্ব কালে ব্যবস্থাপনা৷- যখন একমাত্র অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা নাবালক হন তখন উক্ত নাবালক সাবালক না হওয়া পর্যন্ত আদালত যেমন উপযুক্ত মনে করে উক্ত নাবালকের আইনগত অভিভাবককে অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে এবং নাবালক সাবালক হইলে উইলের প্রবেট তাহাকে প্রদান করিতে হইবে৷
ধারা-২৪৫৷ কতিপয় নির্বাহক বা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতার নাবালকত্ব কালের ব্যবস্থাপনা৷- যখন দুই বা ততোধিক নাবালক নির্বাহক থাকে এবং কোন নির্বাহক নাবালক সাবালক প্রাপ্ত হয় নাই অথবা দুই বা ততোধিক অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা থাকে এবং কোন অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতা সাবালক হয় নাই তখন তাহাদের কোন একজন সাবালকত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত মঞ্জুর সীমাবদ্ধ থাকিবে৷
ধারা-২৪৬৷ পাগল বা নাবালকের ব্যবহার এবং কল্যাণার্থে ব্যবস্থাপনা৷- যদি একমাত্র নির্বাহক অথবা একমাত্র সার্বজনীন বা অবশিষ্টভোগী উত্তরদায় গ্রহীতা অথবা মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে অকৃত উইলকারীগণের ভূ-সম্পত্তিসমূহের বন্টনার্থে প্রযোজ্য বিধি মোতাবেক অকৃত উইলকারীর ভূ-সম্পত্তিতে একমাত্র অধিকারী হইবে এইরূপ কোন ব্যক্তি নাবালক বা পাগল হয় তাহা হইলে ক্ষেত্রমত উক্ত নাবালক না হওয়া পযর্ন্ত অথবা উক্ত পাগল সুস্থ মস্তিক না হওয়া পর্যন্ত তাহার ব্যবহার এবং কল্যাণার্থে তাহার ভূ-সম্পত্তির তত্ত্বাবধানের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিয়োজিত ব্যক্তির বরাবরে অথবা উক্ত কোন ব্যক্তি না থাকিলে আদালত যেমন উপযুক্ত মনে করে তেমন কোন ব্যক্তির বরাবরে ক্ষেত্রমত সংযুক্ত উইলসহ বা উইল ব্যতীত ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে হইবে৷
ধারা-২৪৭৷ মামলা চলাকালীন ব্যবস্থাপনা৷- মৃত ব্যক্তির উইলের বৈধতা সম্পর্কে কিংবা কোন প্রবেট বা কোন ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর লাভ বা প্রত্যাহার বিষয়ে কোন মামলা চলাকালে আদালত উক্ত মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির জন্য একজন ব্যবস্থাপক নিয়োগ করিতে পারিবে, যিনি উক্ত ভূ-সম্পত্তি বণ্টনের অধিকার ব্যতীত একজন সাধারণ ব্যবস্থাপকের সকল অধিকার এবং ক্ষমতার অধিকারী হইবেন এবং উক্ত প্রত্যেক ব্যবস্থাপক আদালতের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকিবেন এবং উক্ত প্রত্যেক ব্যবস্থাপক আদালতের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকিবেন এবং আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করিবেন৷
-
বিশেষ উদ্দেশ্যে মঞ্জুর
ধারা-২৪৮৷ উইলে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে প্রবেট সীমাবদ্ধ থাকিবে৷- উইলে উল্লেখিত কোন সীমাবদ্ধ উদ্দেশ্যে যদি নির্বাহক নিয়োগ করা হয় তাহা হইলে উল্লেখিত কোন সীমাবদ্ধ থাকিবে এবং যদি তিনি তাহার পক্ষে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করিবার জন্য কোন এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধি নিয়োগ করেন তাহা হইলে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র সেই মোতাবেক সীমাবদ্ধ থাকিবে৷
ধারা-২৪৯৷ সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনা বিশেষ উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে৷- যদি নিয়োগকৃত কোন নির্বাহক তাহার পক্ষে উইল প্রমাণের জন্য সাধারণভাবে একজন এ্যাটর্নী বা প্রতিনিধিকে কর্তৃত্ব দিয়া থাকেন এবং উক্ত কর্তৃত্ব বিশেষ উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ হয় তাহা হইলে সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র সেই মোতাবেক সীমাবদ্ধ থাকিবে৷
ধারা-২৫০৷ কোন ব্যক্তির লাভজনক স্বার্থ আছে এইরূপ কোন সম্পত্তিতে ব্যবস্থাপনা সীমাবদ্ধ থাকিবে৷- যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি এইরূপ সম্পত্তি রাখিয়া মারা যায় তিনি যাহার একমাত্র অথবা উত্তরজীবী ট্রাস্টি কিংবা যাহাতে তাহার নিজস্ব কোন স্বার্থ নাই এবং কোন সাধারণ প্রতিনিধি রাখিয়া না যান অথবা কার্য করিতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক এইরূপ কোন ব্যক্তি থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তিতে ব্যবস্থাপত্র বেনিফিশিয়ারী অথবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে মঞ্জুর করা যাইবে৷
ধারা-২৫১৷ মামলায় সীমিত ব্যবস্থাপনা৷- যখন মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধিকে নিষ্পন্নাধীন মামলায় পক্ষ করিবার আবশ্যক হয় এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপনায় অধিকারী ব্যক্তি কার্য করিতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক হন, তাহা উক্ত মামলায় এক পক্ষের মনোনীত ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা পত্র প্রদান করা যাইবে উহা উক্ত মামলায় কিংবা অন্য কোন কারণে বা মামলায় যাহা পক্ষসমূহের মধ্যে একই বা অন্য কোন আদালতে শুরু হইতে পারিবে, মৃত ব্যক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করিবার উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে, এবং উক্ত কারণে বা মামলায় প্রধান আলোচ্য বিষয়সমূহ থাকিবে, এবং যতক্ষণ পর্যন্ত উহাতে কোন ডিক্রি দেওয়া এবং উহা পূর্ণ কার্যকর করা হয়৷
ধারা-২৫২৷ ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় পক্ষ হওয়ার উদ্দেশ্যে সীমিত ব্যবস্থাপনা৷- যদি কোন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা পত্রের তারিখ হইতে ১২ মাস সময় অবসানে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মামলায় একটি পক্ষ হওয়া এবং করিবার উদ্দেশ্যে এবং মামলায় প্রদত্ত ডিক্রি কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে, আদালত যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমন কোন ব্যক্তিকে সীমিত আকারে ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে পারিবে৷
ধারা-২৫৩৷ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে ব্যবস্থাপনা সীমিত থাকিবে৷- কোন ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মান হইলে ঐ ক্ষেত্রে যে আদালতের এক্তিয়ারে কোন সম্পত্তি অবস্থিত ঐ আদালত মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এবং আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে তাহার ভূ-সম্পত্তিতে দেয় দেনা মুক্তকরনার্থে যাহাকে উপযুক্ত মনে করিবে তাহাকে সীমিত ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে পারিবে৷
ধারা-২৫৪৷ সাধারণ অবস্থায় ব্যবস্থাপনায় অধিকারী হইত এইরূপ ব্যতীত অন্যকোন ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপক হিসাবে নিয়োগ দান৷- (১) যখন কোন ব্যক্তি উইলবিহীন অবস্থায় মারা যায় অথবা এমন কোন উইল রাখিয়া যান যাহাতে কার্য করিবার জন্য ইচ্ছুক এবং উপযুক্ত কোন নির্বাহক থাকে না কিংবা যেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ে নির্বাহক বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করেন এবং আদালতের নিকট ভূ-সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ ব্যবস্থাপনা করিতে কোন ব্যক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন বা সুবিধাজনক এইরূপ প্রতীয়মান হয়, সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সাধারণ অবস্থায় ব্যবস্থাপনার অধিকারী হইতে পারিতেন ঐ ব্যক্তি ব্যতিরেকে আদালত তাহার বিবেচনায় রক্ষা সম্পর্কে, স্বার্থের পরিমাণ, ভূ-সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং উহা যথাযথভাবে ব্যবস্থাপিত হইবে এইরূপ সম্ভাব্যতা বিবেচনাপূর্বক যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমন কোন ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপক নিয়োগ করিতে পারিবে৷
(২) উক্ত প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাপত্র আদালত যেমন উপযুক্ত মনে করিবে তেমনভাবে সীমিত থাকিতে পারে আবার নাও পারে৷
ব্যতিক্রমসহ মঞ্জুর
ধারা-২৫৫৷ ব্যতিক্রম সাপেক্ষে সংযুক্ত উইলসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা৷- যখনই ঘটনার প্রকৃতি ব্যতিক্রমধর্মী হয়, তখন উক্ত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে উইলের প্রবেট বা সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে হইবে৷
ধারা- ২৫৬৷ ব্যতিক্রমসহ ব্যবস্থাপনা৷- যখন ঘটনার প্রকৃতি ব্যতিক্রমধর্মী হয়, তখন উক্ত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে হ্ইবে৷
অবশিষ্ট মঞ্জুর
ধারা-২৫৭৷ অবশিষ্টের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা৷- যখন প্রবেটের ব্যতিক্রমসহ মঞ্জুর বা সংযুক্ত উইলসহ বা ব্যতীত ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করা হয়, তখন মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার অধিকারী ব্যক্তি উক্ত মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
ব্যবস্থাপনাহীন বিষয় মঞ্জুর
ধারা-২৫৮৷ ব্যবস্থাপনাহীন বিষয় মঞ্জুর৷ প্রবেট দেওয়া হইয়া এইরূপ ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করেন উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অংশবিশেষ রাখিয়া, তাহলে উক্ত ভূ-সম্পত্তির ঐ অংশের ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে একজন নতুন প্রতিনিধি নিয়োগ করা যাইবে৷
ধারা-২৫৯৷ ব্যবস্থাপনাহী বিষয়ের মঞ্জুর সম্পর্কে বিধি৷ পূর্ণভাবে ব্যবস্থাপিত নয় এমন ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের ক্ষেত্রে মূল মঞ্জুরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি আদালত প্রয়োগ করিবে এবং মূল মঞ্জুর প্রদান করা যাইত কেবলমাত্র এইরূপ ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিবে৷
ধারা-২৬০৷ সীমিত মঞ্জুর অতিক্রান্ত এবং ভূ-সম্পত্তির কিছু অংশ এখনো ব্যবস্থাপনাহীন সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা৷- যখন সময় অবসান কিংবা সীমিত ঘটনা বা শর্ত ঘটার কারণে সীমিত মঞ্জুর অতিক্রান্ত হয় এবং মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির কিছু অংশ এখনো ব্যবস্থাপনাহীন থাকে, তখন মূল মঞ্জুর করা যাইত কেবলমাত্র ঐ সকল ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে হইবে৷
-
অধ্যায়- তিন
মঞ্জুর পরিবর্তন এবং প্রত্যাহার
ধারা-২৬১৷ কোন ভুল আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করা যাইবে৷- নাম এবং বর্ণনায় কিংবা মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এবং স্থান উল্লেখে বিদ্যমান ভুল, বা সীমিত মঞ্জুরে আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করা যাইবে এবং তদানুসারে ব্যবস্থাপনাপত্র বা প্রবেট মঞ্জুর পরিবর্তন এবং সংশোধন করা যাইবে৷
ধারা-২৬২৷ ব্যবস্থাপনা মঞ্জুরের পরে সংযুক্ত উইলসহ আবিষ্কৃত কডিসিলের ক্ষেত্রে পদ্ধতি৷- যদি সংযুক্ত উইলসহ ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের পরে কোন কডিসিল আবিষ্কৃত হয়, তাহা হইলে যথোপযুক্ত প্রমাণ এবং সনাক্তকরণের প্রেক্ষিতে উহা মঞ্জুরের সহিত যুক্ত করা যাইবে এবং তদানুসারে উক্ত মঞ্জুর পরিবর্তন এবং সংশোধন করা যাইবে৷
ধারা-২৬৩৷ সঠিক কারণবশতঃ প্রত্যাহার বা বাতিল৷- উপযুক্ত কারণে মঞ্জুরীকৃত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র প্রত্যাহার বা বাতিল করা যাইবে৷
ব্যাখ্যা- নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ বিদ্যমান বলিয়া বিবেচিত হইবে-
(ক) মঞ্জুর লাভের কার্যধারা মূলতঃ ত্রুটিপূর্ণ; বা
(খ) মিথ্যা বিবৃতি বা ঘটনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছু আদালতে গোপন করিবার মাধ্যমে মঞ্জুরী লাভ করা হইয়াছে; বা
(গ) মঞ্জুরীর সঠিকতার জন্য আইনের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অসত্য অভিযোগের মাধ্যমে মঞ্জুরী লাভ করা হইয়াছিল, যদিও উক্ত অভিযোগ অজ্ঞানবশতঃ কিংবা অসতর্কতাবশতঃ করা হইয়াছিল; বা
(ঘ) অবস্থার কারণে উক্ত মঞ্জুর অপ্রয়োজনীয় এবং কার্যকরহীন হইয়া গিয়াছে; বা
(ঙ) যে ব্যক্তির বরাবরে মঞ্জুরি করা হইয়াছিল উক্ত ব্যক্তি এই ভাগের ৭নং অধ্যায়ের বিধানাবলী মোতাবেক স্বেচ্ছায় এবং যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে কোন তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করেন নাই কিংবা উক্ত অধ্যায়ের অধীন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অসত্য তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করিয়াছেন৷
উদাহরণ
(অ) যে আদালতের মাধ্যমে মঞ্জুর করা হইয়াছিল ঐ আদালতের কোন এক্তিয়ার ছিল না৷
(আ) যে পক্ষসমূহকে উল্লেখ করা উচিত ছিল তাহাদের উল্লেখ না করিয়া মঞ্জুর করা হইয়াছিল৷
(ই) প্রাপ্ত উইলের প্রবেট জাল করা হইয়াছিল অথবা প্রত্যাহার করা হইয়াছিল,
(ঈ) ক, খ- এর বিধবা স্ত্রী হিসাবে তাহার ভূ-সম্পত্তিতে ব্যবস্থাপনাপত্র লাভ করে কিন্তু খ এর সাথে তাহার কখনও বিবাহ হয়নি মর্মে জানাজানি হইয়া যায়৷
(উ) ক, খ এর ভূ-সম্পত্তিতে যেন খ উইলবিহীন অবস্থায় মারা গিয়াছে এইরূপ ভাবে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে কিন্তু উহার একটি উইল আবিষ্কৃত হয়৷
(ঋ) প্রবেট মঞ্জুর করার পরে এমন একটি কডিসিল আবিস্কৃত হয়েছে যা উইলের অধীন নির্বাহকের নিয়োগ প্রত্যাহার করে বা সংযুক্ত করে৷
(এ) যে ব্যক্তিকে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র দেওয়া হয় পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি বিকারগ্রস্ত হইয়া যায়৷
-
অধ্যায় - চার
প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারের প্রথা সম্পর্কিত
ধারা-২৬৪৷ প্রবেট প্রভৃতি মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারে জেলা জজের এখতিয়ার৷- (১) জেলা জজ তাহার জেলার মধ্যে প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর এবং প্রত্যাহারের সকল ক্ষেত্রে এখতিয়ার থাকে৷
(২) ৫৭ ধারা প্রযোজ্য হওয়ার ক্ষেত্র ব্যতীত মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে সেক্ষেত্রে কোন আদালত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার উক্ত আদালতকে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তদ্রূপ করিবার ক্ষমতা দান করে।
ধারা-২৬৫৷ বিরোধহীন ক্ষেত্র কারবারে জেলা জজের প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষমতা৷- (১) সুপ্রিম কোর্ট তত্কর্তৃক নির্ধারিত স্থানীয় সীমার মধ্যে জেলা জজের পক্ষে কার্য করিবার জন্য যেমন উপযুক্ত মনে করে কোন জেলার মধ্যে বিরোধহীন ক্ষেত্রে প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র প্রদান করিতে প্রতিনিধি হিসাবে তেমন সংখ্যক বিচার বিভাগ ও কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷
(২) উক্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ জেলা প্রতিনিধি নামে অভিহিত হইবে৷
ধারা-২৬৬৷ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনা মঞ্জুর সম্পর্কে জেলা জজের ক্ষমতা৷- প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র এবং তত্ সংক্রান্ত সকল বিষয়াদি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে জেলা জজের আদালতে নিষ্পন্নাধীন কোন দেওয়ানি মামলা বা কার্যধারার ক্ষেত্রে তাহার উপর আইন বলে যেইরূপ ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে সেইরূপ ক্ষমতা কর্তৃত্ব তাহার থাকিবে৷
ধারা-২৬৭৷ উইল সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি দাখিলে জেলা জজ কোন ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারিবে৷- (১) জেলা জজ উইল সংক্রান্ত বা উইল সংক্রান্ত বলিয়া বিবেচিত কোন ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোন পেপার বা লেখা আদালতে দাখিল বা আনার জন্য ঐ ব্যক্তিকে আদেশ করিতে পারিবে৷
(২) যদি প্রমাণ করা না যায় যে, উক্ত কোন পেপার বা লেখা উক্ত ব্যক্তির দখল বা নিয়ন্ত্রণে আছে কিন্তু, উক্ত পেপার বা লেখা সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে আদালতে হাজির হইবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
(৩) উক্ত ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের সত্য জবাব দিতে হইবে এবং আদালত আদেশ করিলে উক্ত পেপার বা লেখা দাখিল করিতে হইবে এবং তিনি কোন মামলার পক্ষ হইলে উক্ত প্রশ্নের জবাব না দিলে বা আদালতে হাজির না হইলে বা উক্ত পেপার লেখা না নিলে দণ্ডবিধির অধীনে যেরূপ শাস্তি ভোগ করিতেন সেরূপ শাস্তি পাইবে৷
(৪) কার্যধারা ব্যয় বিচারকের বিবেচনাপ্রসূত হইবে৷
ধারা-২৬৮৷ প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের কার্যধারা৷- প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের কার্যক্রম অতঃপর অন্য কোনভাবে বর্ণিত ব্যতীত অবস্থার প্রেক্ষিতে যতদূর সম্ভব ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷
ধারা-২৬৯৷ কখন এবং কিভাবে সম্পত্তি সংরক্ষণে জেলা জজ হস্তক্ষেপ করিবে৷- (১) মৃত ব্যক্তির উইলের প্রবেট মঞ্জুর না করা পর্যন্ত অথবা তাহার ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপক নিয়োগ না করা পর্যন্ত যে জেলা জজের এখতিয়ারে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির কোন অংশ অবস্থিত ঐ জেলা জজ উক্ত সম্পত্তির স্বার্থ দাবীকারী কোন ব্যক্তির উদ্যোগে উহা সংরক্ষণের জন্য হস্তক্ষেপ করার অধিকারী হইবে এবং যেক্ষেত্রে সম্পত্তি কোন ক্ষতি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় বলিয়া জজ মনে করেন, সেই সকল ক্ষেত্রে এবং তিনি উপযুক্ত মনে করিলে তদুদ্দেশ্যে উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ এবং দখলে রাখার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷
(২) মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে কিংবা উইলবিহীন অবস্থায় বাংলাদেশী খ্রীস্টানের সম্পত্তির কোন অংশের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না৷
ধারা-২৭০৷ জেলা জজ কখন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে৷- জেলা জজ তাহার আদালতের সীলমোহর কোন মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তির ক্ষেত্রে উইলের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবে যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তির দরখাস্তের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে উইলকারী বা ক্ষেত্রমত অকৃত উইলকারী তাহার মৃত্যুর সময় উক্ত জজের এখতিয়ারের মধ্যে বসবাসের স্থান বা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন৷
ধারা-২৭১৷ মৃত ব্যক্তির নির্দিষ্ট কোন আবাসস্থল না থাকিলে জেলা জজের নিকটকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তি৷- যখন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ে যে জেলায় তাহার নির্দিষ্ট কোন আবাস স্থল ছিলনা, ঐ জেলা জজের নিকট দরখাস্ত করা হয় তখন উক্ত দরখাস্ত জজ তাহার স্ববিবেচনায় প্রত্যাখান করিবে, যদি তাহার রায়ে উক্ত দরখাস্ত আরো সঠিক বা সুবিধাজনকভাবে অন্য কোন জেলায় নিষ্পত্তি করা যায় কিংবা যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি ব্যবস্থাপনাপত্র সংক্রান্ত সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে বা তাহার এখতিয়ারের মধ্যে সম্পত্তিতে সীমিতভাবে উহা মঞ্জুর করিবেন৷
ধারা-২৭২৷ প্রতিনিধি প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করিতে পারিবেন৷- কোন জেলা প্রতিনিধির নিকট দরখাস্তের ভিত্তিতে যে বিষয়ে কোন বিবাদ নাই ঐ বিষয়ে তত্কর্তৃক প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা যাইবে যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে সত্যায়িত পিটিশনের মাধ্যমে এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, ক্ষেত্রমত উইলকারী অথবা অকৃত উইলকারী উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে তাহার মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
ধারা-২৭৩৷ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের চূড়ান্ততা৷- স্থাবর বা অস্থাবর সকল সম্পত্তি বা ভূ-সম্পত্তিতে বা মৃত ব্যক্তির উপর প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের কার্যকরতা থাকিবে এবং মৃত ব্যক্তির সকল দেনাদারের বিরুদ্ধে প্রতিনিধিত্বমূলক স্বত্ব সম্পর্কে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার দখলভুক্ত সম্পত্তি সকল ধারক ব্যক্তিগণ এবং দেনা পরিশোধপূর্বক সকল দেনাদারকে এবং যে ব্যক্তিকে উক্ত প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা হইয়াছে ঐ ব্যক্তিকে উক্ত সম্পত্তি অর্পনকারী সকল ব্যক্তিগণকে পূর্ণ অব্যাহতি দান করিব:
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে, বা
(খ) জেলা জজের মাধ্যমে, যেখানে মৃত ব্যক্তি তাহার মৃত্যুর সময়ে উক্ত জজের এখতিয়ারের মধ্যে তাহার নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল এবং জজ এই মর্মে প্রত্যায়ন করেন যে, বাংলাদেশের সীমানার বাইরের সম্পত্তি এবং ভূ-সম্পত্তির মূল্যায়নে ১০,০০০ টাকার অধিক হয় না৷
মঞ্জুরীকৃত প্রবেট এবং ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুরের মাধ্যমে অন্যভাবে নির্দেশিত না থাকিলে সমগ্র বাংলাদেশে একইভাবে কার্যকর হইবে৷
ধারা-২৭৪৷ ২৭৩ ধারার অনুবিধি অধীনে মঞ্জুরীকৃত সার্টিফিকেট হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ৷- (১) যেক্ষেত্রে ২৭৩ ধারার অনুবিধিতে উল্লেখিত দলসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজের দ্বারা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছে সেই ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজ উক্ত মঞ্জুর সম্পর্কে একটি সার্টিফিকেট নিম্নলিখিত আদালতে পাঠাইয়া দিবেন৷ যথা-
(ক) যখন মঞ্জুর হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে হয় তখন প্রত্যেকটি জেলা আদালতে;
(খ) জেলা জজের দ্বারা মঞ্জুরীকৃত হইলে হাইকোর্ট বিভাগে৷
(২) উপধারায় (১) উল্লেখিত প্রতিটি সার্টিফিকেট চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত পদ্ধতিতে করিতে হইবে এবং উক্ত সার্টিফিকেট হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে ফাইল করিতে হইবে৷
ধারা-২৭৫৷ উপযুক্তভাবে কৃত এবং সত্যায়িত হইলে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার দরখাস্তে চূড়ান্ততা৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা দরখাস্ত, যদি অতঃপর বর্ণিত পদ্ধিততে করা হয় এবং সত্যায়িত করা হয় প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা মঞ্জুরের ক্ষমতাদানের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ কোন মঞ্জুর শুধুমাত্র এই কারণে অভিশংসিত হইবে না যে, উইলকারী বা অকৃত উইলকারী তাহার মৃত্যুর সময়ে জেলার মধ্যে নির্দিষ্ট কোন আবাস স্থল বা সম্পত্তি ছিল না যদি না আদালতে প্রতারণার মাধ্যমে মঞ্জুর প্রত্যাহার করার কার্যধারার মাধ্যমে লাভ করা হয়৷
ধারা- ২৭৬৷ প্রবেটের জন্য পিটিশন৷- (১) সংযুক্ত উইল সহযোগ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের দরখাস্ত যে আদালতে দরখাস্ত করা হয় ঐ আদালতের কার্যধারায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত স্পষ্টভাবে লিখিত ভাষায় পিটিশনের মাধ্যমে উইলসহ করিতে হইবে কিংবা ২৩৭, ২৩৮ এবং ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্রে ঐ দরখাস্তের বিষয়বস্তুর একটি অনুলিপি খসড়া বা বিবৃতি সহযোগ নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবৃত করিতে হইবে-
(ক) উইলকারীর মৃত্যুর সময়;
(খ) সংযুক্ত লেখা যে তাহার সর্বশেষ উইল তাহা;
(গ) পিটিশনারের কাছে আসতে পারে এইরূপ সম্ভাব্য সম্পত্তির পরিমাণ;
এবং
(ঙ) দরখাস্তটি প্রবেট সংক্রান্ত হইলে পিটিশনার যে উইলে উল্লেখিত নির্বাহক৷
(২) উক্ত বিবরণাদি ছাড়াও পিটিশনে আরও উল্লেখ থাকিবে-
(ক) যখন দরখাস্তটি জেলা জজের নিকট করা হয়, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে জজের এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল বা কিছু সম্পত্তি ছিল, এবং
(খ) দরখাস্তটি জেলা প্রতিনিধির নিকট করা হইলে, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
Case Law
Section 276- In our country an application for probate or letters of administration is governed by the old law i.e. the Limitation Act, 1908 and there is no bar of limitation in applying for the grant of probate or letters of administration or revocation thereof. [Mokta Hossain Vs. Budhi Bala Dashi. 48 DLR 2021.
Section 276-In a suit for probate or letters of administration all that the Court is to see is that if the will in question is a genuine one and then the Court is required to see if the testator had disposing mind at the time of execution of the Will. [Moktar Hossain Vs. Budhi Bala Dashi, 48 DLR 2021.
ধারা-২৭৭৷ কোন্ ক্ষেত্রে পিটিশনের সাথে উইলের অনুবাদ সংযুক্ত করিতে হইবে৷ কোর্ট অনুবাদক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা অনুবাদের প্রত্যায়ন৷- যেক্ষেত্রে আদালতের কার্যধারায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় উইল, খসড়ার অনুলিপি লেখা হয় ঐ ক্ষেত্রে আদালত, যদি ভাষাটি এমন হয় যে উহার জন্য একজন অনুবাদক নিয়োগ করিতে হয় কিংবা যদি উইল অনুলিপি বা খসড়া অন্য ভাষায় হয়, উহা অনুবাদ করিবারযোগ্য কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবে এবং অনুবাদটি উক্ত ব্যক্তির দ্বারা নিম্নলিখিতভাবে প্রত্যায়িত হইবে৷ যথা-
''আমি (ক, খ) এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি মূল অংশের ভাষা এবং চরিত্র পড়িয়াছি এবং নিখুঁতভাবে বুঝিয়াছি এবং উপরোক্ত অনুবাদ সত্য এবং সঠিক''৷
ধারা-২৭৮৷ ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য পিটিশন৷- (১) ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য দরখাস্ত পূর্বোক্তভাবে স্পষ্টভাবে লিখিত পিটিশনের মাধ্যমে করিতে হইবে এবং দরখাস্তে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ থাকিবে৷
(ক) মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এবং স্থান;
(খ) মৃত ব্যক্তির পরিবার এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন এবং তাহাদের নিজ নিজ বাসস্থান;
(গ) পিটিশনের যে অধিকার দাবী করে;
(ঘ) পিটিশনারের কাছে আসতে পারে এইরূপ সম্পত্তির পরিমান;
(ঙ) যখন দরখাস্তটি জেলা জজের নিকট করা হয়, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির যে জজের এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল বা কিছু সম্পত্তি ছিল;
(চ) দরখাস্তটি জেলা প্রতিনিধির নিকট করা হইলে, মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির উক্ত প্রতিনিধির এখতিয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট আবাসস্থল ছিল৷
ধারা-১৭৯৷ কতিপয় ক্ষেত্রে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার জন্য পিটিশন প্রভৃতিতে বিবৃতি সংযোজন৷- (১) ২৭৩ ধারার অনুবিধিতে উল্লেখিত, কোন আদালতে সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া কোন ভূ-সম্পত্তির উইলের প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য দরখাস্তকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার পিটিশনে যথাক্রমে ২৭৬ ও ২৭৮ ধারায় বিষয়াদি ছাড়াও এইরূপ বিবৃতি করিবে যে, তাহার বিশ্বাস মতে সর্বশেষ পূর্বোক্তভাবে উক্ত কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া ঐ উইলের প্রবেট বা ঐ ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাপত্রের জন্য অন্য কোন আদালতে দরখাস্ত করা হয় নাই কিংবা উক্তরূপ কোন দরখাস্ত করা হইলে যে আদালতে উহা করা হইয়াছে যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ উহা করিয়াছে এবং উহাতে কার্যধারাসমূহ (যদি থাকে)৷
(২) ২৭৩ ধারার অনুবিধির অধীনে যে আদালতে দরখাস্ত করা হয় ঐ আদালত উপযুক্ত মনে করিলে দরখাস্তটি বাতিল করিতে হইবে৷
ধারা-২৮০৷ প্রবেট, প্রভৃতির জন্য পিটিশন স্বাক্ষরিত এবং সত্যায়িত হইবে৷- প্রবেট বা ব্যবস্থাপনার জন্য পিটিশন সকল ক্ষেত্রে পিটিশনার এবং তাহার আইনজীবী, যদি থাকে, কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং পিটিশনার কর্তৃক নিম্নলিখিতভাবে সত্যায়িত হইবে৷ যথা-
''আমি (ক, খ), উপরোক্ত পিটিশনের এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, পিটিশনে যাহা কিছু বলা হইয়াছে তাহা আমার তথ্য এবং বিশ্বাস মতে সত্য৷''
ধারা-২৮১৷ উইলের একজন সাক্ষীর দ্বারা প্রবেটের জন্য পিটিশনের সত্যায়ন৷- যেক্ষেত্রে দরখাস্তটি প্রবেটের জন্য করা হয়, সেক্ষেত্রে পিটিশনটি নিম্নলিখিতভাবে বা মর্মে কমপক্ষে উইলের একজন সাক্ষীর দ্বারা সত্যায়িত হইবে৷
যথা-
''আমি (গ, ঘ), উপরোক্ত পিটিশনে উল্লেখিত সর্বশেষ উইলের একজন সাক্ষী এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি উক্ত উইলকারীকে উইলে তাহার স্বাক্ষর (বা চিহ্ন) উপস্থিত থাকিয়া সংযুক্ত করিতে দেখিয়াছি (বা উক্ত উইলকারী উপরোক্ত পিটিশনে সংযুক্ত লেখা আমার উপস্থিতিতে তাহার সর্বশেষ উইল বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন৷)
ধারা-২৮২৷ পিটিশন বা ঘোষণায় মিথ্যা বর্ননার শাস্তি৷- এতদ্বারা সত্যায়িত করিতে হইবে মর্মে আবশ্যক কোন পিটিশন বা ঘোষণায় যদি এইরূপ কোন বর্ণনা থাকে যাহা প্রত্যায়নকারী ব্যক্তি মিথ্যা বলিয়া জানে অথবা বিশ্বাস করে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি ১৮৬০ সালের বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৯৩ ধারার অধীনে অপরাধ করিয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
ধারা-২৮৩৷ জেলা জজের ক্ষমতা৷- (১) সকল ক্ষেত্রে জেলা জজ বা জেলা প্রতিনিধি উপযুক্ত মনে করিলে-
(ক) শপথপূর্বক ব্যক্তিগতভাবে পিটিশনারকে জেরা করিতে পারিবে;
(খ) উইলের উপযুক্ত কার্যকর সম্পর্কে বা ক্ষেত্রমত ব্যবস্থাপনাপত্রে পি
-
অধ্যায়- পাঁচ
নিজেদের ভুলের নির্বাহকগণ সম্পর্কে
ধারা-৩০৩৷ নিজের ভুলের নির্বাহক৷- যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করেন, কিংবা নির্বাহকের পদ ভুল অন্য কোন কার্য করেন, এবং কোন বৈধ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক না থাকে, ঐ ব্যক্তি তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক নিজেকে করিতে পারিবেন৷
ব্যতিক্রম৷- (১) সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কিংবা সত্ কারের ব্যবস্থার জন্য বা পরিবার অথবা সম্পত্তির তাত্ ক্ষণিক প্রয়োজনের উদ্দেশ্যে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ একজন নির্বাহককে তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক করিবে না৷
(২) অন্যের নিকট হইতে গৃহীত মৃতের পণ্য লেনদেনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিজের ভুলের নির্বাহক করে না৷
উদাহরণ
(অ) ক মৃত ব্যক্তির কিছু পণ্য ব্যবহার করে বা দিয়া দেয় বা বিক্রি করে অথবা তাহার নিজের ঋণ বা উত্তর দায় পূরণার্থে উহা গ্রহণ করে অথবা মৃতের দেনায় পরিশোধ গ্রহণ করে৷ ক তাহার নিজে ভুলের একজন নির্বাহক৷
(আ) ক মৃত ব্যক্তির দেনা সংগ্রহ ও তাহার পণ্য বিক্রয় করিবার জন্য মৃত ব্যক্তির জীবদ্দশায় প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হয় এবং তাহার মৃত্যু সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরে উক্তরূপ কার্য করা অব্যাহত রাখে৷ এখানে ক মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরে তত্কর্তৃক সম্পাদিত কার্য সম্পর্কে তাহার নিজের ভুলের একজন নির্বাহক৷
(ই) ক মৃত ব্যক্তির নির্বাহক না হয়েও তাহার নির্বাহক হিসাবে মামলা দায়ের করে৷ ক তাহার নিজের ভুলের একজন নির্বাহক৷
ধারা-৩০৪৷ নিজের ভুল বিষয়ে নির্বাহকের দায়৷- যখন একজন ব্যক্তি তাহার নিজের ভুলের নির্বাহক হওয়া বিষয়ে কার্য করেন, তখন তিনি বৈধ নির্বাহক বা প্রশাসক বা মৃতের কোন পাওনা দায় বা উত্তরদায়গ্রহীতার নিকট জবাবদিহি হইবেন, ঐ পরিমাণ সম্পত্তির ক্ষেত্রে যে সম্পত্তি বৈধ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের নিকট পরিশোধিত পরিমাণ হইতে দেওয়ার পর তাহার নিকটে আসে৷
অধ্যায় -ছয়
নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা
ধারা-৩০৫৷ মৃত ব্যক্তির বিদ্যমান মামলার কারণ এবং মৃত্যুতে দেয় দেনা বিষয়ে৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের মৃত ব্যক্তির বিদ্যমান সকল মামলার কারণ বিষয়ে এবং দেনা আদায়ের ক্ষমতা বিষয়ে মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকিলে তাহার যে ক্ষমতা থাকিত, ঐ ক্ষমতা থাকিবে৷
ধারা-৩০৬৷ মৃত ব্যক্তি এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলার অধিকার এবং দাবী৷- মৃত্যুর সময়ে কোন ব্যক্তি তা তাহার নির্বাহক এবং ব্যবস্থাপকের পক্ষে বা বিপক্ষে বিদ্যমান সকল অধিকার ১৮৬০ সালের দণ্ডিবিধিতে অর্জিত মানহানি বা আঘাত কিংবা মৃত হয় না এইরূপ ক্ষতি এবং পক্ষের মৃত্যুর পরে দাবীকৃত প্রতিকার পাওয়া যায় না এইরূপ ব্যতীত, বিদ্যমান থাকিবে৷
উদাহরণ
(ক) কোন কর্মকর্তার দোষ বা অবহেলার কারণে রেললাইনে সংঘর্ষ ঘটে এবং একজন বাদী বারাত্মকভাবে আহত হয়, কিন্তু মৃত্যু হয় না৷ কোন মামলা দায়ের না করিয়া তিনি পরে মারা যান৷ মামলার কারণ বিদ্যমান থাকে না৷
(আ) 'ক' বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন৷ 'ক' মারা গেল৷ মামলা করিবার কারণ তাহার প্রতিনিধির বরাবরে থাকে না৷
ধারা-৩০৭৷ সম্পত্তি বিলিব্যবস্থা করার জন্য নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- (১) উপধারা (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ১২১-ধারার অধীনে তাহার উপর ন্যস্ত মৃতের সম্পত্তি তিনি যেমন বিবেচনা করেন তেমন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে বিলিব্যবস্থা করিবার ক্ষমতা থাকে৷
উদাহরণ
(অ) মৃত ব্যক্তি তাহার সম্পত্তির অংশ উইলমূলে দান করেন৷ নির্বাহক উক্ত দানের সম্মতি না দিয়া সম্পত্তি বিক্রয় করে৷ বিষয়টি বৈধ৷
(আ) নির্বাহক তাহার বিবেচনার প্রয়োগ বলে মৃতের স্থাবর সম্পত্তির অংশবিশেষ বন্ধক দেন৷ বন্ধকটি বৈধ৷
(২) যদি মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত হন তাহা হইলে উপধারা (১) বলে অর্পিত সাধারণ ক্ষমতা নিম্নিলিখত বাধানিষেধ শর্তসাপেক্ষ হইবে৷ যথা-
(অ) নির্বাহকের উপর ন্যস্ত অস্থাবর সম্পত্তি বিলিব্যবস্থা করার ক্ষমতা তাহাকে নিয়োগকারী উইলের মাধ্যমে আরোপিত বাধানিষেধ সাপেক্ষ হয় যদি না উক্ত বাধা নিষেধ সত্ত্বেও প্রবেট তাহাকে এবং প্রবেট মঞ্জুরীকৃত আদালত তাহাকে লিখিত আদেশ বলে আদেশে বর্ণিত অনুমিত পদ্ধতিতে স্থাবর সম্পত্তি বিলি করিবার ক্ষমতা দান করে৷
(আ) একজন ব্যবস্থাপক ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরীপত্র দানকারী আদালতের পূর্বানুমতি ব্যতীত-
(ক) ২১১ ধারার অধীনে সাময়িকভাবে তাহার উপর ন্যস্ত কোন অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক চার্জ করতে বা বিক্রয়মূলে হস্তান্তর, দান, বিনিময় বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করিতে পারিবেন না বা
(খ) ৫ বছরের অধিক মেয়াদে উক্ত কোন সম্পত্ত ইজারা দিতে পারিবেন না৷
(ই) ক্ষেত্রমতে দফা (অ) বা (আ) এর লঙ্ঘন করিয়া নির্বাহক ব্যবস্থাপক সম্পত্তির বিলি ব্যবস্থা করিলে উক্ত সম্পত্তিতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির কাছে উহা বাতিলযোগ্য হইবে৷
(৩) এইরূপ ক্ষেত্রে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর করিবার পূর্বে ক্ষেত্রমতে উপধারা (অ) এর এবং (১) ধারার (২) উপধারার (অ) এবং (ই) উপধারার একটি কপি উহাতে পৃষ্ঠাংকন করিয়া দিতে হইবে৷
(৪) প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র (৩) উপধারা বা সংযুক্তি না করা বা গাঁথিয়া না দেবার কারণে অবৈধ হইবে না কিংবা উক্ত পৃষ্ঠাংকন বা সংযুক্তির অনুপস্থিতি এই ধারার বিধানাবলী ব্যতীত অন্য কোনভাবে কার্যকর করিতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপককে ক্ষমতা দান করিবেন৷
ধারা-৩০৮৷ ব্যবস্থাপনার সাধারণ ক্ষমতা৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক তত্কর্তৃক আইনসংগতভাবে খরচ করার ক্ষমতা ছাড়াও উহা লঙ্ঘন না করিয়া খরচ করিতে পারিবেন৷ -
(ক) তত্কর্তৃক ব্যবস্থাকৃত কোন ভূ-সম্পত্তির উপযুক্ত তত্ত্বাবধান বা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্ষেত্রে এবং
(খ) হাইকোর্ট বিভাগে অনুমোদনক্রমে উক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত এবং উপযুক্ত যেমন হইবে তেমন ধর্মীয় দাতব্য এবং অন্যান্য বিষয়ে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে৷
ধারা-৩০৯৷ কমিশন বা প্রতিনিধিত্ব চার্জ৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ১৯১৩ সালের Administrator General's Act এর অধীনে বা দ্বারা মহাব্যবস্থাপক এর ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট হারের চাইতে অধিক হারে কোন কমিশন বা প্রতিনিধত্ব চার্জ গ্রহণ বা দখলে রাখার অধিকারী হইবে না৷
ধারা-৩১০৷ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক কর্তৃক মৃতের সম্পত্তি ক্রয়৷- যদি কোন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে মৃতের সম্পত্তির কোন অংশ ক্রয় করে তাহা হইলে বিক্রয়টি বিক্রিত সম্পত্তিতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট বাতিলযোগ্য হইবে৷
ধারা-৩১১৷ কতিপয় নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা একজনের দ্বারা প্রয়োগযোগ্য৷- যখন কয়েকজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক থাকেন তখন বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে তাহাদের সকলের ক্ষমতা তাহাদের মধ্যে একজনের দ্বারা প্রয়োগ করা যাইবে যিনি উইল প্রমাণ করিয়াছে কিংবা ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করিয়াছে৷
উদাহরণ
(অ) কয়েকজন নির্বাহকের একজনের মৃত ব্যক্তির নিকট প্রাপ্য দেনা মুক্তকরণের অধিকার আছে৷
(আ) একজনের ইজারা সমর্পণের ক্ষমতা আছে৷
(ই) একজনের মৃতের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, বিক্রয়ের ক্ষমতা আছে৷
(ঈ) একজনের উত্তরদায়ে সম্মতি দেওয়ার ক্ষমতা আছে৷
(উ) একজনের মৃতের প্রতি প্রদেয় প্রতিজ্ঞাপত্র পৃষ্ঠাংকন করার ক্ষমতা আছে৷
(ঊ) উইলের মাধ্যমে ক, খ, গ এবং ঘ কে নির্বাহক নিয়োগ করা হয় এবং নির্দেশ দেওয়া হয় যে দুই জনের নিয়া কোরাম হইবে৷ একজন নির্বাহক কোন কার্য করিতে পারিবেন না৷
ধারা-৩১২৷ কতিপয় নির্বাহক বা প্রশাসকের কোন একজনের মৃত্যুতে বিদ্যমান ক্ষমতা৷- উইল বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরী বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে কতিপয় নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের এক বা ততোধিকের মৃত্যুতে উক্ত পদের সকল ক্ষমতা উত্তরজীবীগণ বা উত্তরজীবর উপর ন্যস্ত হইবে৷
ধারা-৩১৩৷ ব্যবস্থাপকের অব্যবস্থাপিত বিষয়ের ক্ষমতা৷- অব্যবস্থাপিত বিষয়ের ব্যবস্থাপকের উক্ত বিষয় সম্পর্কে মূল নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতার ন্যায় ক্ষমতা থাকিবে৷
ধারা-৩১৪৷ নাবালকত্ব কালে ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- নাবালকত্ব কালে একজন ব্যবস্থাপকের একজন সাধারণ ব্যবস্থাপকের সকল ক্ষমতা থাকিবে৷
ধারা-৩১৫৷ বিবাহিত নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা৷- যখন কোন বিবাহিত মহিলাকে প্রবেট ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর দেওয়া হয় তখন তাহার একজন সাধারন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সকল ক্ষমতা থাকিবে৷
-
অধ্যায়-সাত
নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের কর্তব্য সম্পর্কে
ধারা-৩১৬৷ মৃতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পর্কে৷- মৃতের প্রয়োজনীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয় অনুষ্ঠানের সম্পাদনের জন্য তাহার অবস্থা উপযোগীভাবে মৃত ব্যক্তি উক্ত উদ্দেশ্যে পর্যাপ্ত সম্পত্তি রাখিয়া গেলে তহবিল দেওয়া নির্বাহকের কর্তব্য৷
ধারা-৩১৭৷ তালিকা এবং হিসাব্৷- (১) একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুরের তারিখ হইতে ৬ মাসের মধ্যে অথবা আদালতের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐ আদালতের দখলভুক্ত সকল সম্পত্তির পূর্ণ এবং প্রকৃত হিসাব এবং সকল পাওনা এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক অধিকারী হন কোন ব্যক্তির দ্বারা এরূপ সকল দেনা সম্বলিত একটি তালিকা প্রদর্শন করিবেন এবং একইভাবে মঞ্জুরের তারিখ হইতে এক বছরের মধ্যে অথবা উক্ত আদালতের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাহার কাছে আসন্ন সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তি প্রয়োগ বা বিলিব্যবস্থার পদ্ধিত সম্বলিত ভূ-সম্পত্তির একটি হিসাব প্রদর্শন করিবে৷
(২) এই ধারার অধীনে কোন ফরমে তালিকা বা হিসাব প্রদর্শিত হইবে সুপ্রীম কোর্ট তাহা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
(৩) যদি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধারার অধীনে আদালতের দ্বারা নির্দেশিত তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন না করেন তাহা হইলে তিনি ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১৭৬ ধারার অধীন অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
(৪) এই ধারার অধীনে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তালিকা বা হিসাব প্রদর্শন করা হইলে উহা উক্ত বিধির ১৯৩ ধারার অধীনে অপরাধ বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
ধারা-৩১৮৷ কতিপয় ক্ষেত্রে তালিকা বাংলাদেশের কোন অংশের সম্পত্তির অন্তর্ভূক্ত করিবে৷- যেক্ষেত্রে সমগ্র বাংলাদেশের কার্যকর হওয়ার অভিপ্রায়ে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর করা হয় ঐ সকল ক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক বাংলাদেশে অবস্থিত মৃত ব্যক্তির সকল স্থাবর বা অস্থাবর সকল সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করিবে এবং উক্ত সম্পত্তির মূল্য আলাদা আলাদাভাবে উক্ত তালিকায় উল্লেখ করিতে হইবে এবং সম্পত্তি বাংলাদেশে যেখানেই থাকুক না কেন প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের অনুরূপ দিকসহ সম্পত্তির পরিমাণ বা মূল্য ধার্যযোগ্য হইবে৷
ধারা-৩১৯৷ মৃতের সম্পত্তি এবং দেনা সম্পর্কে৷- যুক্তিসঙ্গত শ্রমে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক মৃতের সম্পত্তি এবং তাহার মৃত্যুর সময়ে তাহার নিকট প্রাপ্য দেনা সংগ্রহ করিবেন৷
ধারা-৩২০৷ সমস্ত দেনার পূর্বে খরচ প্রদান করিতে হইবে৷- মৃত ব্যক্তির মান এবং গুণ অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে আন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যয় এবং মৃত্যুশয্যার চার্জ চিকিত্সা সেবার জন্য ফিসহ এবং তাহার মৃত্যুর একমাস পূর্বে বোর্ড এবং লজিং সকল দেনার পূর্বে পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-৩২১৷ উক্ত খরচের পরে অন্যান্য খরচ পরিশোধ করিতে হইবে৷- সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় কোন বিচার বিভাগীয় কার্যধারার জন্য বা বিষয়ের খরচসহ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র লাভের খরচ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া খরচ এবং মৃত্যু শয্যার চার্জের পরে পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-৩২২৷ কতিপয় সেবার জন্য মুজুরী পরে পরিশোধ করিতে হইবে এবং তারপর অন্যান্য দেনা৷- কোন শ্রমিক আর্টিজান বা ঘরোয়া চাকরের দ্বারা মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে ৩ মাসের মধ্যে তাহার জন্য সেবার ক্ষেত্রে দেয় মুজুরী পরে পরিশোধ করিতে হইবে এবং তাহার পর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মৃত ব্যক্তির অন্যান্য দেনা পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-৩২৩৷ পূর্বোক্ত ব্যতীত সকল দেনা সমান হারে পরিশোধ করিতে হইবে৷- পূর্বে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত কোন পাওনাদারের অন্য কোন পাওনাদারের উপর অগ্রাধিকারের অধিকার থাকিবে না; কিন্তু নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক তাহার নিজস্ব দেনাসহ যতদূর পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বর্ধিত হইত ততদূর পর্যন্ত তাহার জানার মধ্যে উক্ত সকল দেনা সমান হারে পরিশোধ করিবেন৷
ধারা-৩২৪৷ দেনা পরিশোধে স্থাবর সম্পত্তির প্রয়োগ যেক্ষেত্রে স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশ নয়৷- (১) যদি মৃত ব্যক্তির স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশে না থাকে, তাহলে তাহার দেনা পরিশোধের জন্য অস্থাবর সম্পত্তি ব্যবহার করিবার বিষয়টি বাংলাদেশের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷
(২) (১) উপধারা বলে দেনার অংশবিশেষের পরিশোধ গ্রহণকারী কোন পাওনাদার মৃতের অস্থাবর সম্পত্তির 'উপস্বত্বে' কোন ভাগের অধিকারী হইবেন না, যদি না তিনি অন্যান্য পাওনাদারের কল্যাণার্থে উক্ত পরিশোধ হিসাবে আনেন৷
(৩) এই ধারা মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে প্রযোজ্য হইবে না৷
উদাহরণ
ক এমন কোন দেশে তাহার স্থায়ী নিবাস আছে যেখানে সীল মোহরাংকিত দলিলপত্র সীল মোহরাংকিত সিস নয় দলিলপত্রের উপর প্রাধান্য লাভ করে ৫,০০০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি এবং ১০,০০০ টাকা মূল্যে অস্থাবর সম্পত্তি এবং ১০,০০০ টাকার দেনা এবং একই পরিমাণ সীল মোহরহীন দলিলে দেনা রাখিয়া মারা যান৷ পাওয়ানাদারগণ স্থাবর সম্পত্তির লাভ হইতে তাহাদের দেনার অর্ধাংশ গ্রহণ করেন৷ অস্থাবর সম্পত্তির লভ্যাংশ মোহরাংকিত দলিলের দেনা পরিশোধে ব্যয় হইবে যতক্ষণ না উক্ত দেনার অর্ধাংশ পরিশোধ করা হয়৷ এই উইল ৫,০০০ টাকা রাখিয়া যায় যাহা দেনাদারের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করিয়া দিতে হয়৷
ধারা-৩২৫৷ উত্তরদায়ের পূর্বে দেনা পরিশোধ করিতে হইবে৷- প্রত্যেক প্রকার দেনা কোন উত্তরদায়ের পূর্বে অবশ্যই পরিশোধ করিতে হইব৷
ধারা-৩২৬৷ অব্যাহতি ছাড়া নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উত্তরদায় পরিশোধে বাধ্য নয়৷- যদি মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি কোন স্বত্বাধীন দায়-দায়িত্ব সাপেক্ষ হয় তাহা হইলে দায়-দায়িত্ব মেটানোর পর্যাপ্ত অব্যাহতি ব্যতীত নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক কোন উত্তরদায় পরিশোধে বাধ্য নয়৷
ধারা-৩২৭৷ সাধারণ উত্তরদায়ের হ্রাস৷- দেনা পরিশোধের পরে যদি সম্পত্তি, প্রয়োজনীয় খরচ এবং সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়সমূহ পূর্ণভাবে সকল সাধারণ উত্তরদায় পরিশোধ পর্যাপ্ত না হয় তাহা হইলে পরবর্তী অংশ সমান অনুপাতে কমাতে হবে হ্রাসপ্রাপ্ত হইবে এবং উইলে বিপরীত মর্মে কোন নির্দেশ না থাকিলে নির্বাহক একজনকে অগ্রাধিকার দিয়া অন্য উত্তরদায়গ্রহীতাকে পরিশোধ করিতে কিংবা নিজে কোন উত্তর দায়ের অর্থ দখলে রাখিতে অথবা কোন ব্যক্তিকে পরিশোধ করিতে পারিবেন না তিনি যে ব্যক্তির ট্রাষ্টি৷
ধারা-৩২৮৷ সম্পত্তি দেনা পরিশোধে পর্যাপ্ত হইলে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের হ্রাসহীনতা৷- যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় থাকে এবং সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্টকৃত বস্তু কোন হ্রাস ছাড়াই উত্তরদায়গ্রহীতাকে অর্পণ করিতে হইবে৷
ধারা-৩২৯৷ নির্দেশার্থক উত্তরদায়ের অধীনে অধিকার যখন সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত৷- যেক্ষেত্রে নির্দেশার্থক উত্তরদায় থাকে এবং সম্পত্তি দেনা এবং প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধে পর্যাপ্ত সেক্ষেত্রে উত্তরদায়গ্রহীতার ঐ তহবিল হইতে তাহার উত্তরদায় পরিশোধের অগ্রাধিকারভিত্তিক দাবী থাকে সে তহবিল হইতে উক্ত তহবিল নিঃশেষিত না হওয়া পর্যন্ত উত্তরদায়টি পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে এবং তহবিল নিঃশেষিত হওয়ার পরে যদি উত্তরদায়ের অংশবিশেষ তখনও পরিশোধিত না থাকে তাহা হইলে তিনি সাধারণ সম্পত্তির বিরুদ্ধে অবশিষ্টের জন্য পদাধিকারের অধিকারী হইবেন৷
ধারা-৩৩০৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের আনুপাতিক হ্রাস৷- যদি সম্পত্তি দেনা এবং সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় পরিশোধে পর্যাপ্ত না হয় তাহা হইলে পরবর্তিটি হইতে উহাদের নিজেদের পরিমাণ আণুপাতিক হারে কমাইতে হইবে৷
উদাহরণ
ক, খ কে ৫০০ টাকা মূল্যের একটি ডায়মন্ড রিং এবং ১,০০০ টাকার মূল্যের একটি ঘোড়া দান করে৷ উইলকারীর সকল বিষয় বিক্রয় করার প্রয়োজন হয় এবং দেনা পরিশোধের পর তাহার সম্পত্তির মূল্য হয় ১,০০০ টাকা৷ এই অর্থ হইতে খ কে ৩৩৩.৩৩ টাকা এবং গ কে ৬৬৬.৬৭ টাকা পরিশোধ করিতে হয়৷
ধারা-৩৩১৷ কমানোর উদ্দেশ্যে উত্তরদায়কে সাধারণ হিসাবে গণ্য করিতে হইবে৷- কমানোর উদ্দেশ্যে আজীবন উত্তরদায় ভাতা প্রদানে উইল দ্বারা বণ্টিত অর্থ এবং ভাতার মূল্য যখন উক্ত ভাতা প্রদানে কোন অর্থ বণ্টন না করা হয় সাধারণ উত্তরদায় হিসাবে গণ্য করিতে হইবে৷
-
অধ্যায় -আট
নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দ্বারা উত্তরদায়ে সম্পত্তি
ধারা-৩৩২৷ উত্তরদায় গ্রহীতার স্বত্বপূর্ণ করিতে প্রয়োজনীয় সম্মতি৷- উত্তরদায়ে উত্তরদায় গ্রহীতার স্বত্ব পূর্ণ করিতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি প্রয়োজন৷
উদাহরণ
(অ) ক উইলের দ্বারা খ কে সোনালী ব্যাংকে জমারত সরকারী কাগজ দান করে৷ ব্যাংকের সিকিউরিটি অর্পণে কোন ক্ষমতা নাই কিংবা নির্বাহকের সম্মতি ব্যতীত খ এর উহাদের দখল নেয়ার অধিকার নেই৷
(আ) ক উইল দ্বারা খ এর প্রজা সত্ত্বে ঢাকায় তাহার বাড়ী গ কে দান করে৷ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি ব্যতীত গ উহার খাজনা গ্রহণ করিবেন না৷
ধারা-৩৩৩৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ে নির্বাহকের সম্মতির ফল৷- (১) সুনির্দিষ্ট দানে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি উহাতে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক হিসাবে তাহার স্বার্থ বঞ্চিত এবং উত্তরদায়গ্রহীতার দানের বিষয় হস্তান্তরে পর্যাপ্ত হইবে, যদি সম্পত্তির প্রকৃতি বা অবস্থা এইরূপ হয় যে, উহা বিষয়ভাবে হস্তান্তর করিতে হইবে৷
(২) এই সম্মতি মৌখিক এবং নির্বাহক ব্যবস্থাপকের আচরণ হইতে প্রকাশ্য বা আপ্রকাশ্য হইতে পারিবে৷
উদাহরণ
(অ) একটা ঘোড়া দান করা হয়৷ নির্বাহক উহা হস্তান্তর করিতে উত্তরদায় গ্রহীতাকে অনুরোধ করেন কিংবা তৃতীয় পক্ষ নির্বাহকের নিকট হইতে ঘোড়াটি ক্রয় করার প্রস্তাব দেন, এবং তিনি উত্তরদায় গ্রহীতার নিকট আবেদন করিবার নির্দেশ দেন৷ উত্তর দায়টিতে সম্মতি অব্যক্ত৷
(আ) তহবিলের সুদ উত্তরদায়গ্রহীতার নাবালকত্বকালে তাহার ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয় হইবে বলিয়া নির্দেশ দেওয়া হয়৷ নির্বাহক উহা প্রয়োগ করিতে আরম্ভ করেন৷ সমুদয় দানে ইহা সম্মতি৷
(ই) প্রথমে ক এবং খ কে তহবিল দান করা হয়৷ নির্বাহক তহবিলের সুদ ক কে পরিশোধ করেন৷ ইহা ক-কে দানের প্রতি অব্যক্ত সম্মতি৷
(ঈ) উইলকারীর সকল দেনা পরিশোধের পরে কিন্তু সুনির্দিষ্ট উত্তরদায় মেটানোর পূর্বে নির্বাহকগণ মারা যান৷ উত্তরদায়সমূহে সম্মতি অনুমান করা যাইবে৷
(উ) সুনির্দিষ্ট পণ্য দান করা হইয়াছে এইরূপ ব্যক্তি উহার দখল গ্রহণ করেন এবং নির্বাহকের কোন আপত্তি ব্যতিরেকে উহা দখলে রাখেন৷
ধারা-৩৩৪৷ শর্তসাপেক্ষ সম্মতি৷- উত্তরদায়ে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি শর্তসাপেক্ষ হইতে পারিবে এবং শর্তটি যদি এমন হয় যে, তাহা বলবত্ করিবার অধিকার তাহার আছে এবং উহা সম্পাদন করা না হয়, তাহা হইলে সেখানে কোন সম্মতি নাই৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ, কে সুলতানপুরের ভূমি দান করেন যাহা উইল এবং ক-এর মৃত্যুর তারিখে ১০,০০০ টাকা রেহেনাধীন ছিল৷ নির্বাহক দানটিতে এই শর্তে সম্মতি দান করেন যে, খ উইলকারীর মৃত্যুতে রেহেনে দেয় পরিমাণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করিবেন৷ পরিশোধ করা হয় নাই৷ কোন সম্মতি নাই৷
(আ) দানে উইলকারী এই শর্তে সম্মতি দান করেন যে, উত্তরদায়গ্রহীতা তাকে কিছু অর্থ প্রদান করিবেন৷ অর্থ পরিশোধ করা হয় নাই৷ সম্মতি বৈধ৷
ধারা-৩৩৫৷ নিজস্ব উত্তরদায়ে নির্বাহকের সম্মতি৷- (১) যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক একজন উত্তরদায়গ্রহীতা, তখন তাহার উত্তরদায়ে তাহার সম্মতি দান করার সময়ে একইভাবে যেমন প্রয়োজন তেমন উহাতে তাহার স্বত্ব পূর্ণ করিতে প্রয়োজন হয়, এবং একইভাবে তাহার সম্মতি প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য হইতে পারিবে৷
(২) সম্মতি অব্যক্ত হইবে যদি সম্মতি ব্যবস্থাপনায় তাহার পদ্ধতিতে তিনি এমন কোন কার্য করেন যাহা উত্তরদায়গ্রহীতা হিসাবে তাহার চরিত্রে বরাতযোগ্য এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের চরিত্রে বরাতযোগ্য নয়৷
উদাহরণ
একজন নির্বাহক তাহাকে দানকৃত বাড়ির খাজনা কিংবা সরকারী সিকিউরিজের সুদ গ্রহণ করেন এবং উহা নিজের ব্যবহারে প্রয়োগ করেন৷ ইহা সম্মতি৷
ধারা-৩৩৬৷ নির্বাহকের সম্মতির ফল৷- উত্তরদায়ে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতি উইলকারীর মৃত্যু হইতে উহাতে কার্যকর হইবে৷
উদাহরণ
(অ) একজন উত্তরদায়গ্রহীতা নির্বাহকের দ্বারা সম্মতি লাভের পূর্বে তাহার বাড়ী বিক্রয় করেন৷ উত্তরদায় গ্রহীতা পরবর্তীতে ক্রেতার কল্যাণে উহাতে সম্মতি দান করে এবং উত্তরদায় শর্ত পূরণ করে৷
(আ) ক, খ কে তাহার মৃত্যু হইতে সুদ সহ ১,০০০ টাকা দান করেন৷ ক এর মৃত্যু হইতে এব বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহক তাহার উত্তরদানে সম্মতি দেন নাই৷ ক এর মৃত্যু হইতে খ সুদের অধিকারী হন৷
ধারা-৩৩৭৷ কখন নির্বাহককে উত্তরদায় অর্পণ করিতে হয়৷- একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উইলকারীর মৃত্যু হইতে এক বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন উত্তরদায় পরিশোধ বা অর্পণে বাধ্য থাকিবেন না৷
উদাহরণ
ক উইলের দ্বারা তাহার মৃত্যুর পরে ছয় মাসের মধ্যে উত্তরদায় পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ দেন এক বছর অতিবাহিত না হইলে নির্বাহক উহা পরিশোধ করিতে বাধ্য নন৷
-
অধ্যায় -নয়
ভাতা পরিশোধ এবং বণ্টন সম্পর্কে
ধারা-৩৩৮৷ উইলের দ্বারা সময় নির্ধারিত না থাকিলে ভাতার আরম্ভ৷- যেক্ষেত্রে উইলের দ্বারা ভাড়া দেওয়া হয় এবং উহা আরম্ভের তারিখ উল্লেখ না করা হয়, সেক্ষেত্রে উহা উইলকারীর মৃত্যু হইতে শুরু হইবে এবং প্রথম পরিশোধ উক্ত ঘটনার পরবর্তী এক বছর অতিবাহিত হইলে করিতে হইবে৷
ধারা-৩৩৯৷ কখন ষান্মাসিক বা মাসিক হারে ভাতা প্রদান করিতে হইবে৷-যেক্ষেত্রে ষান্মাসিক বা মাসিক ভাবে ভাতা পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে সেক্ষেত্রে প্রথম এক চতুর্থাংশ বা উইলকারীর মৃত্যুর পরে প্রথম মাস সমাপ্তির পরে প্রথম পরিশোধ দেয় হইবে এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উপযুক্ত মনে করিলে যখন প্রাপ্য হইবে তখন পরিশোধ করিতে হইবে কিন্তু, বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উহা পরিশোধে বাধ্য থাকিবে না৷
ধারা-৩৪০৷ অনুক্রমিক পরিশোধের তারিখ যখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অথবা নির্দিষ্ট দিনে প্রথম পরিশোধে নির্দেশ থাকেঃ পরিশোধের পূর্বে ভাতা গ্রহণকারীর মৃত্যু৷- (১) যেক্ষেত্রে উইলকারী মৃত্যু হইতে এক মাস কিংবা এক মাস সময়ের কোন অংশের মধ্যে কিংবা কোন নির্দিষ্ট দিনে ভাতা প্রথম পরিশোধ করিতে হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে, সেক্ষেত্রে যে তারিখে প্রথম পরিশোধ করিত হইবে বলিয়া নির্দেশ থাকে ঐ তারিখ অনুক্রমিক পরিশোধ করিতে হইবে৷
(২) যদি পরিশোধের সময় মধ্যে বিরোধিতা গ্রহণকারী মারা যান তাহা হইলে ভাতার বণ্টিত ভাগ তাহার প্রতিনিধিকে পরিশোধ করিতে হইবে
-
অধ্যায়-দশ
উত্তরদায়ের জন্য প্রদত্ত তহবিলে বিনিয়োগ
ধারা-৩৪১৷ দানকৃত অর্থের বিনিয়োগ যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নয় এইরূপ উত্তরদায়গ্রহীতা আজীবনের জন্য প্রদত্ত৷ -যেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নয় এইরূপ উত্তরদায়গ্রহীতা আজীবনের জন্য দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বছরান্তে দানকৃত অর্থ সুপ্রীমকোর্ট সাধারণ বিধি দ্বারা যেমন ক্ষমতা দান করবেন বা নির্দেশ দিবেন তেমনভাবে বিনিয়োগ করিতে হইবে এবং উদ্ভূত লভ্যাংশ উত্তরদায়গ্রহীতাকে পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-৩৪২৷ সাধারণ উত্তরদায়ের বিনিয়োগ ভবিষ্যতে পরিশোধ করিতে হইবে মধ্যবর্তী সুদের বিলিব্যবস্থা৷- (১) যেক্ষেত্রে একটি সাধারণ উত্তরদায় ভবিষ্যত্ সময়ে পরিশোধিতব্য বলিয়া দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ৩৪১ ধারায় উল্লিখিত প্রকারের সিকিউরিটিতে উহা মিটানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বিনিয়োগ করিতে হইবে৷
(২) মধ্যবর্তী সুদ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তি অবশিষ্টাংশ গঠন করিবে৷
ধারা-৩৪৩৷ কোন তহবিল ভাতার সহিত চার্জকৃত কিংবা বণ্টিত না হইলে পদ্ধতি৷-যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাগ দেওয়া হয় এবং উহা পূরণে উহার পরিশোধের সহিত বা উইলের দ্বারা বণ্টিত না হয়, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ সরকারী ভাতা ক্রয় করিতে হইবে কিংবা যদি উক্ত কোন বার্ষিক ভাতা পাওয়া না যায়, তাহা হইলে ৩৪১ ধারায় উল্লিখিত প্রকারে সিকিউরিটিজে বার্ষিক ভাতা মিটাতে পর্যাপ্ত অর্থ উক্ত উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করিতে হইবে৷
ধারা-৩৪৪৷ অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতাকে শর্তসাপেক্ষ দান হস্তান্তর৷-যেক্ষেত্রে দান শর্তসাপেক্ষ হয়, সেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উত্তরদায়ের পরিমাণ বিনিয়োগ করিতে বাধ্য নয়, কিন্তু উত্তরদায় দেয় হইলে উত্তরদায় পরিশোধের জন্য তত্ কর্তৃক পর্যাপ্ত দেওয়ার ভিত্তিতে অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতাকে ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্ট সমুদয় অংশ হস্তান্তর করিতে পারিবেন৷
ধারা-৩৪৫৷ বিশেষ সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের নির্দেশ ব্যতীত আজীবনের জন্য দানকৃত অবশিষ্টাংশের বিনিয়োগ৷- (১) যেক্ষেত্রে উইলকারী কোন নির্দেশ ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে আজীবনের জন্য তাহার ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ দান করেন, সেক্ষেত্রে ৩৪১ ধারায় উল্লেখিত প্রকারের সিকিউরিটিজে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে যতখানি বিনিয়োগ করা হয় নাই ততখানি অর্থে পরিণত করা যাইবে এবং উক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাইবে৷
(২) মৃত ব্যক্তি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে নার
ধারা-৩৪৬৷ সুনির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করিবার নির্দেশসহ দানকৃত অবশিষ্টাংশের বিনিয়োগ৷- যেক্ষেত্রে উইলকারী কোন ব্যক্তিকে সারাজীবনের জন্য তাহার ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ দান করেন এবং নির্দেশ দেন যে, উহা নির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করিতে হইবে, সেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে ভূ-সম্পত্তির যতখানি অংশ সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়নি ততখানি অর্থে পরিণত হইবে এবং উক্ত সিকিউরিটিকে বিনিয়োগ করিতে হইবে৷
ধারা-৩৪৭৷ রূপান্তর এবং বিনিয়োগের সময় ক্রয় পদ্ধতি৷- ৩৪৫ এবং ৩৪৬ ধারায় বর্ণিত উক্ত রূপান্তর ক্রয় বিনিয়োগ নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক যে সময় উপযুক্ত মনে করেন ঐ সময়ে এবং পদ্ধতিতে করিতে হইবে এবং উক্ত রূপান্তর এবং বিনিয়োগ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত যে ব্যক্তি উক্ত তহবিলের আয়ে সাময়িকভাবে অধিকারী হইতেন ঐ ব্যক্তি বিনিয়োগ করা হয় নাই এইরূপ তহবিলের অংশবিশেষের বাজার মূল্যের উপর বার্ষিক ৪% হারে সুদ পাইবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বিনিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে সুদের হার বার্ষিক ৬% হইবে যখন উইলকারী হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, বা জৈন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হন৷
ধারা-৩৪৮৷ নাবালক তাত্ ক্ষণিক পরিশোধ বা দানের দখলের অধিকারী হইলে পদ্ধতি, এবং তাহার পক্ষে ব্যক্তিকে পরিশোধের কোন নির্দেশ না থাকিলে৷- (১) যেক্ষেত্রে দানের শর্ত দ্বারা, উত্তরদায়গ্রহীতা দানকৃত পরিশোধ বা অর্থ বা দানের সরাসরি দখলের অধিকারী, কিন্তু তিনি নাবালক এবং তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে পরিশোধ করিবার জন্য উইলে কোন নির্দেশ নাই, সেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উহা জেলা আদালতে পরিশোধ কিংবা অর্পণ করিবেন, যাহার জেলা প্রতিনিধি দ্বারা প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র উত্তরদায়গ্রহীতাকে মঞ্জুর করা হইয়াছিল যদি উত্তরদায়গ্রহীতা একজন ওয়ার্ড অব কোর্ট না হয়৷
(২) যদি উত্তরদায় গ্রহীতা কোর্ট অব ওয়ার্ড হন, তাহা হইলে উত্তরদায়টি তাহার কোর্ট অব ওয়ার্ডের হিসাবে পরিশোধ করিতে হইবে৷
(৩) জেলা আদালতে কিংবা কোর্ট অব ওয়ার্ডে উক্ত পরিশোধ উক্তভাবে পরিশোধিত অর্থের পর্যাপ্ত অব্যাহতি হইবে৷
(৪) এই ধারার অধীনে পরিশোধিত অর্থ সরকারী সিকিউরিটিজ ক্রয়ে বিনিয়োগ করিতে হইবে, যাহা সুদসহ উহাতে অধিকারী ব্যক্তিকে পরিশোধ করিতে হইবে অথবা ভিন্নভাবে তাহার কল্যাণে ব্যয় হইবে অথবা আদালত বা জজ যেমন নির্দেশ দেন তেমন হইবে৷
-
অধ্যায়-এগার
উত্তরদায়ের লাভ এবং সুদ
ধারা-৩৪৯৷ সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের লাভে উত্তরদায়গ্রহীতার স্বত্ব৷- উইলকারীর মৃত্যু হইতে সুনির্দিষ্ট উত্তরদায়ের উত্তরদায় গ্রহীতা উহার পরিমাণ লাভের অধিকারী হইবেন৷
ব্যতিক্রমঃ- শর্তসাপেক্ষ সুনির্দিষ্ট দান, উইলকারীর মৃত্যু এবং উত্তরদায় ন্যস্ততার মধ্যবর্তী সময়ে উত্তরদায়ের লাভ অন্তর্ভূক্ত করে না৷ উহার স্পষ্ট লাভ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ গঠন করে৷
উদাহরণ
(অ) ক, খ কে তাহার ভেড়ার পাল দান করেন৷ ক-এর মৃত্যু এবং তাহার নির্বাহকরা ভেড়া অর্পণের মধ্যে কিছু ভেড়ী শাবক জন্ম দেয়৷ উল এবং বাচ্চা খ এর সম্পত্তি৷
(আ) ক, খ কে সরকারী সিকিউরিটিজ দান করে, কিন্তু গ-এর মৃত্যু পর্যন্ত উহার অর্পণ স্থগিত রাখে৷ ক এবং গ এর মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে দেয় সুদ খ পাইবে এবং তিনি নাবালক না হইলে উহা তাহাকেই প্রদান করিতে হইবে৷
(ই) উইলকারী তাহার সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্রের ৪% হারের সকল কিছু ক-কে দান করেন যখন তাহার বয়স ১৮ বত্সর হইবে৷ ক যদি ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে উদ্ভূত সুদ অবশিষ্টাংশ গঠন করিবে৷
ধারা-৩৫০৷ অবশিষ্ট তহবিলের লাভে অবশিষ্টভোগী উত্তরদায় গ্রহীতার গড়৷- একটি সাধারণ অবশিষ্ট দানের অধীনে উত্তরদায়গ্রহীতা উইলকারীর মৃত্যু হইতে অবশিষ্ট তহবিলের লাভের অধিকারী হন৷
ব্যতিক্রম- একটি সাধারণ শর্তসাপেক্ষ অবশিষ্ট দান উইলকারীর মৃত্যু এবং উত্তরদায় ন্যস্ত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে দানকৃত তহবিলের উপর উদ্ভূত আয় অন্তর্ভূক্ত করিবে না৷ উক্ত আয় বিলিব্যবস্থাহীন হয়৷
উদাহরণ
(অ) উইলকারী নাবলক ক কে যখন সে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করিবে, তাহার সম্পত্তি দান করেন৷ উইলকারী মৃত্যু হইতে আয় ক পাইবে৷
(আ) ক এর বয়স যখন ১৮ বছর হইবে শর্তে তখন ক কে উইলকারী তাহার সম্পত্তি দান করে, ক ১৮ বছর বয়স হইলে অবশিষ্ট অংশ পাইবে৷ উইলকারীর মৃত্যু হইতে উদ্ভূত আয় বিলিব্যবস্থাহীন হয়৷
ধারা-৩৫১৷ যখন সাধারণ উত্তরদায়ের পরিশোধের জন্য কোন সময় নির্দিষ্ট নয়৷- যেক্ষেত্রে সাধারণ উত্তরদায় পরিশোধের কোন নির্দিষ্ট সময় নাই, সেক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ একবছর অতিক্রান্ত হইলে সুদ সৃষ্টি হইবে৷
ব্যতিক্রম- (১) যেক্ষেত্রে দানকৃত উত্তরদায় দেনা পরিশোধে পর্যাপ্ত সেইক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে সুদের সৃষ্টি হয়৷
(২) যেক্ষেত্রে উইলকারী উত্তরদায় গ্রহীতার পিতা বা অধিক দূরবর্তী পূর্বপুরুষ ছিলেন, অথবা উত্তরদায়গ্রহীতার পিতার স্থানে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন, সেক্ষেত্রে উত্তরদায়টি উইলকারীর মৃত্যুর পর হতে সুদ বহন করবে৷
(৩) যেক্ষেত্রে নাবালককে তাহার ভরণ-পোষণের জন্য অর্থ দান করা হয়, সেই ক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে সুদ প্রদেয় হইবে৷
ধারা-৩৫২৷ নির্দিষ্ট সময়ের ক্ষেত্রে সুদ৷- যেক্ষেত্রে সাধারণ উত্তরদায় পরিশোধের সময় নির্দিষ্ট থাকে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত নির্ধারিত সময় হইতে সুদ শুরু হয়৷ উক্ত সময় পর্যন্ত সুদ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ গঠন করে৷
ব্যতিক্রম- যেক্ষেত্রে উইলকারী উত্তরদায়গ্রহীতার কোন দূরবর্তী পূর্বপুরুষ অথবা নিজেকে উত্তরদায় গ্রহীতার পিতামাতার স্থলে নিজেকে বসান, সেইক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে উত্তরদায়ের সুদ হইবে৷ যদি না ভরণ-পোষণের জন্য উইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অর্থ দেওয়া হয় অথবা যদি না উইলে বিপরীত মর্মে নির্দেশ থাকে৷
ধারা-৩৫৩৷ সুদের হার৷ উইলকারী, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন বা অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তি হইলে, সেই ক্ষেত্রে বার্ষিক সুদের হার ৬% হইবে৷ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে বার্ষিক ৪% সুদ হইবে৷
ধারা- ৩৫৪৷ উইলকারীর মৃত্যুর পর প্রথম বছরের মধ্যে বার্ষিক ভাতার উপর কোন সুদ হইবে না৷- উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে প্রথম বছরের মধ্যে বার্ষিক ভাতার উপর কোন সুদ হইবে না, যদিও উক্ত বত্ সর অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে বার্ষিক ভাতার প্রথম পরিশোধের জন্য উইলের দ্বারা সময় নির্দিষ্ট করা হয়৷
ধারা-৩৫৫৷ বার্ষিক ভাতা হ্রাসে বিনিয়োগে তাহার উপর সুদ৷ - যেক্ষেত্রে বার্ষিক ভাতা আয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অর্থ বিনিয়োগ হইত বলিয়া নির্দেশ থাকে, সেইক্ষেত্রে উইলকারীর মৃত্যুর তারিখ হইতে সুদ প্রদেয় হয়৷
-
অধ্যায়-১২
উত্তর দায় হ্রাস
ধারা-৩৫৬৷ আদালতের আদেশ প্রদত্ত উত্তরদায় ফেরত্ দান৷-যখন একজন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক আদালতের আদেশে উত্তরদায় পরিশোধ করেন তখন তিনি সকল উত্তরদায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে উহা ফেরতদানে উত্তরদায়গ্রহীতাকে আহবান করিতে পারিবেন৷
ধারা-৩৫৭৷ স্বেচ্ছামূলকভাবে পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন ফেরতদান হইবে না৷ - যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক স্বেচ্ছামূলকভাবে উত্তরদায় পরিশোধ করেন তখন তিনি সকল উত্তরদায় পরিশোধে অপর্যাপ্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে উহা ফেরতদান উত্তরদায় গ্রহীতাকে আহবান করিতে পারিবেন না৷
ধারা-৩৫৮৷ ১৩৭ ধারার অধীনে অধিক সময় প্রদানের মধ্যে শর্তপূরণ হইলে দেয় উত্তরদায় ফেরতদান৷- যখন শর্তপূরণ ব্যতিরেকে শর্তপূরণের জন্য উইলদ্বারা নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়, এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উহার ফলে প্রতারণা ব্যতীত, সম্পত্তি বণ্টন করেন; উক্ত ক্ষেত্রে শর্ত পূরণের ১৩৭ ধারার অধীনে অতিরিক্ত সময় প্রদান করা হইলে এবং শর্তটি তদনুসারে পূরণ করা হইলে উত্তরদায়টি নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের নিকট হইতে দাবী করা যাইবে না কিন্তু যাহাদেরকে তিনি উহা পরিশোধ করিয়াছেন তাহারা উহা ফেরতদানে বাধ্য থাকিবেন৷
ধারা-৩৫৯৷ কখন প্রত্যেক উত্তরদায়গ্রহীতা আনুপাতিকভাবে ফেরতদানে বাধ্য৷- যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক উত্তরদানের সম্পত্তি পরিশোধ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি যে দেনার সম্পর্কে তাহার কোন নোটিশ ছিল না ঐ দেনা পরিশোধ করেন, তখন তিনি প্রত্যেক উত্তরদায়গ্রহীতাকে আনুপাতিক হারে ফেরতদানের আহবান করিতে পারিবেন৷
ধারা- ৩৬০৷ সম্পত্তি বণ্টন৷ - যেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক সুপ্রীম কোর্টের দ্বারা সাধারণ বিধিবলে নির্ধারিত নোটিশ দেন কিংবা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির বিরুদ্ধে দাবী জানাইয়া তাহার নিকট হাইকোর্ট বিভাগ পাওনাদারের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা মামলায় যেমন পারতেন তেমন কোন নোটিশ না দেন, তাহা হইলে তিনি নোটিশে দাবী প্রেরণের জন্য উল্লিখিত সময়ের অবসানে সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ বণ্টনের অধিকারী হইবেন এবং তিনি উক্ত বণ্টনের সময়ে তাহার অজ্ঞাত দাবীর জন্য উক্তভাবে বণ্টিত সম্পত্তির জন্য দায়বদ্ধ থাকিবেন নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এখানে বিধৃত কোন কিছুই কোন পাওনাদার বা দাবীদারকে যে ব্যক্তিগণ উহা গ্রহণ করিতে পারিতেন ঐ ব্যক্তিগণের নিকট সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ অনুসরণ করা ক্ষুণ্ণ করিবে না৷
ধারা-৩৬১৷ পাওনাদার ফেরতদানে উত্তরদায়গ্রহীতাকে আহবান করিতে পারিবেন৷- নিজের দেনা গ্রহণ করেন নাই এমন পাওনাদার উত্তরদায় পরিশোধ গ্রহন করিয়াছেন এমন উত্তরদায়গ্রহীতাকে ফেরতদানের আহবান জানতে পারিবেন, মৃত্যুর সময়ে উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির সম্পদ দেনা এবং উত্তরদায় উভয়ই পরিশোধে পর্যাপ্ত থাকুক বা না থাকুক এবং নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দ্বারা উত্তর দায়ের পরিশোধ স্বেচ্ছামূলক হোক বা না হোক৷
ধারা-৩৬২৷ ৩৬১ ধারার অধীনে ফেরতদানে সন্তুষ্ট বা বাধ্য না হইয়া যখন উত্তরদায়গ্রহীতা অন্যজন্যকে পূর্ণভাবে পরিশোধিত ফেরতদানে বাধ্য করিতে পারিবেন না৷- যদি উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে সকল সম্পদ উত্তরদায় পরিশোধে পর্যাপ্ত থাকে তাহা হইলে উত্তরদায় গ্রহণ করেন নাই, এমন উত্তরদায়গ্রহীতা বা যিনি ৩৬১ ধারার, অধীনে ফেরতদানে বাধ্য হইয়াছেন, তিনি পূর্ণ পরিশোধ গ্রহণ করিয়াছে এমন কাউকে ফেরতদানে বাধ্য করিতে পারিবেন না, মামলাসহ বা মামলা ব্যতীত উত্তরদায় পরিশোধ করা হোক বা না হোক যদিও নির্বাহকের অপচয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে সম্পদের ঘাটতি দেখা যায়৷
ধারা- ৩৬৩৷ কখন অসুন্তুষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতা দেউলিয়া হওয়া নির্বাহকের বিরুদ্ধে প্রথমে অগ্রসর হইবেন৷- যদি উইলকারীর মৃত্যুর সময়ে সকল উত্তরদায় পরিশোধে সম্পদ পর্যাপ্ত না থাকা তাহা হইলে উত্তরদায়ের পরিশোধ গ্রহণ করেন নাই এমন উত্তরদায়গ্রহীতা নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে যদি তিনি দেউলিয়া হন প্রথমেই অগ্রসর হইবেন কিন্তু নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক দেউলিয়া না হইলে অসুন্তুষ্ট উত্তরদায় গ্রহীতা প্রত্যেক সন্তুষ্ট উত্তরদায়গ্রহীতাকে আনুপাতিক হারে ফেরতদানে বাধ্য করিতে পারিবেন৷
ধারা- ৩৬৪৷ একজন উত্তরদায়গ্রহীতা অন্যজনকে ফেরতদানের সীমা৷- একজন উত্তরদায়গ্রহীতা অন্যজনকে ফেরতদান সুন্তুষ্ট উত্তরদায় যতখানি কম হওয়া উচিত ততখানি অর্থের অধিক হইবেন যদি সম্পত্তি উপযুক্তভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয়৷
উদাহরণ
ক, খ কে ২৪০ টাকা গ কে ৪৮০ টাকা এবং ঘ কে ৭২০ টাকা দান করে৷ সম্পদের মূল্য ১২০০ টাকা এবং উপযুক্তভাবে ব্যবস্থাপনা করা হইলে খ কে ২০০ টাকা গ কে ৪০০ টাকা এবং ঘ কে ৬০০ টাকা দেওয়া যাইবে৷ গ এবং ঘ, খ এর জন্য কিছু না রাখিয়া পূর্ণভাবে তাদের উত্তরদায় পরিশোধ করেন৷ খ ৮০ টাকা ফেরতদানে গ কে এবং ১২০ টাকা ফেরতদানে ঘ কে বাধ্য করিতে পারিবেন৷
ধারা-৩৬৫৷ ফেরতদান সুদ ব্যতীত হইবে৷ - সকল ক্ষেত্রে ফেরতদান সুদ ব্যতীত হইবে৷
ধারা- ৩৬৬৷ অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়ীগ্রহীতাকে স্বাভাবিক পরিশোধের পরে অবশিষ্ট অংশ৷- দেনা এবং উত্তরদায় পরিশোধের পরে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি উদ্বৃত্ত বা অবশিষ্ট অংশ অবশিষ্টভোগী উত্তরদায়গ্রহীতাকে যখন কাউকে উইলের দ্বারা নিয়োগ করা হয় পরিশোধ করিতে হইবে৷
ধারা-৩৬৭৷ স্থায়ী নিবাসের দেশে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের নিকট বণ্টনের জন্য পাকিস্তান হইতে সম্পদের হস্তান্তর৷- যেক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী আবাস নাই এইরূপ কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ এবং মৃত্যুর সময়ে স্থায়ী নিবাস ছিল এইরূপ কোন দেশে সম্পদ রাখিয়া মারা যান এবং সম্পদ সম্পর্কে বাংলাদেশে প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্রের মঞ্জুর থাকে এবং স্থায়ী নিবাসের দেশেও থাকে সেক্ষেত্রে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক ৩৬০ ধারা উল্লেখিত নোটিশ প্রদানের পরে এবং নোটিশের উল্লেখিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরে তাহার অবগতির মধ্যে বৈধ দাবী অব্যাহতি দেওয়ার পরে বাংলাদেশের বাইরে বসকারী ব্যক্তগণকে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির উদ্বৃত্ত বা অবশিষ্ট অংশ নিজে বণ্টনের পরিবর্তে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের সম্মতিতে উক্ত ব্যক্তিগণকে বণ্টনের জন্য দিতে পারিবেন৷
-
অধ্যায়- তের
ধ্বংসের জন্য নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দায়দায়িত্ব
ধারা-৩৬৮৷ ধ্বংসের নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের দায়-দায়িত্ব৷- যখন নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক মৃতের সম্পত্তির অপ্রয়োগ করেন কিংবা উহা বিনষ্ট বা ক্ষতি করেন তখন তিনি উক্ত বিনষ্ট বা ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য থাকিবেন৷
উদাহরণ
(অ) নির্বাহক অপ্রতিষ্ঠিত দাবী ভূ-সম্পত্তি হইতে পরিশোধ করেন৷ তিনি ক্ষতি পূরণ দিবেন৷
(আ) মৃত ব্যক্তির নোটিশ দ্বারা নবায়নযোগ্য একটি ইজারা ছিল যাহা নির্বাহক দিতে অবহেলা করেন৷ নির্বাহক উহার ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য৷
(ই) মৃত ব্যক্তির একটি লীজ ছিল যাহার মূল্য খাজনার চাইতে কম, কিন্তু বিশেষ সময়ে নোটিশ মূল্যে যাহা সমাপ্ত করা যায়৷ নির্বাহক নোটিশ দিতে অবহেলা করেন৷ তিনি ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য৷
ধারা-৩৬৯৷ সম্পত্তির কোন অংশ লাভে নির্বাহক বা ব্যবস্থাপকের অবহেলার দায়-দায়িত্ব৷- যখন নির্বাহক কিংবা ব্যবস্থাপক মৃতের সম্পত্তির কোন অংশ লাভে অবহেলা করিয়া ভূ-সম্পত্তির ক্ষতি করেন, তখন তিনি উক্ত ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য থাকিবেন৷
উদাহরণ
(অ) নির্বাহক মৃতের নিকট পাওনা একটি দেনা সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দেন৷ নির্বাহক ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকিবেন৷
(আ) নির্বাহক, দেনার জন্য দেনাদার দাবীটি তামাদি দোষে দুষ্ট ওজর করা সত্ত্বেও মামলা করিতে অবহেলা করেন এবং দেনাটি উহার ফলে ভূ-সম্পত্তিতে হারাইয়া যায়৷ নির্বাহক ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য৷
-
ভাগ-১০
উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট
ধারা-৩৭০৷ এই ভাগের অধিনে সার্টিফেকেট মঞ্জুরে বাধা-নিষেধ৷- (১) একটি উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট (এই ভাগে অতঃপর সার্টিফিকেট হিসাবে উল্লেখিত) ২১২ বা ২১৩ ধারার অধীনে ব্যবস্থাপনাপত্র বা প্রবেট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হইতে হইবে এইরূপ কোনো দেনা বা জামানতে কোন অধিকার সম্পর্কে এই ভাগের অধীনে মঞ্জুর করা যাইবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় বিধৃত কোন কিছুই মৃত বাংলাদেশী খৃষ্টানের বিষয় বা উহার অংশবিশেষে অধিকার দাবীকারী কোন ব্যক্তিকে সার্টিফির্কেট মঞ্জুরে নিবারণ করিবে না, এই কারণে যে, এই আইনের অধীনে ব্যবস্থাপনাপত্রের মাধ্যমে কোন দেনা বা জামানত বিষয়ে কোন অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাইবে৷
(২) এই ভাগের উদ্দেশ্যকল্পে ''জামানত'' অর্থ-
(ক) কোনো প্রতিজ্ঞাপত্র, ডিবেঞ্চার, স্টক বা সরকারের অন্য কোন সিকিউরিটি;
(গ) কোনো কোম্পানী বা অন্য কোন বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে কোনো স্টক, ডিবেঞ্চার বা শেয়ার;
(ঘ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা বা পক্ষে অর্থের জন্য ইস্যুকৃত কোন ডিবেঞ্চার, বা অন্য কোন সিকিউরিটি;
(ঙ) এই ভাগের উদ্দেশ্যে সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিকিউরিটি বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে এইরূপ অন্যকোন সিকিউরিটি৷
ধারা-৩৭১৷ সার্টিফিকেট মঞ্জুরে এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালত৷-মৃত ব্যক্তি তাহার মৃত্যুর সময়ে সাধারণভাবে যে জেলা জজের এক্তিয়ারে বসবাস করেন ঐ জেলা জজ কিংবা ঐ সময় তাহার কোনো স্থায়ী নিবাস না থাকিলে যে জেলা জজের এক্তিয়ারে মৃত সম্পত্তির কোনো অংশ পাওয়া যায় ঐ জেলা জজ এই ভাগের অধীনে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে পারিবেন৷
ধারা-৩৭২৷ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন৷- (১) ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধিতে বর্ণিত পদ্ধতিতে দরখাস্তকারীর দ্বারা বা পক্ষে স্বাক্ষরিত এবং প্রত্যায়িত পিটিশনের মাধ্যমে উক্ত সার্টিফিকেটের দরখাস্ত করিতে হইবে৷ দরখাস্তের জন্য বাদীর দ্বারা বা পক্ষে আরজী স্বাক্ষরিত এবং প্রত্যায়িত হইবে এবং উহাতে নিম্নলিখিত বিবরণাদির উল্লেখ থাকিবে, যথাঃ-
(ক) মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়;
(খ) মৃত্যুর সময়ে মৃত ব্যক্তির সাধারণ বাসস্থান এবং উক্ত বাসস্থান যে জজের নিকট দরখাস্ত করা হয় ঐ জজের স্থানীয় এক্তিয়ারে না থাকিলে, উক্ত সীমার মধ্যে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি;
(গ) মৃত ব্যক্তির পরিবার বা অন্যান্য নিকট আত্মীয় এবং তাহাদের নিজ নিজ বাসস্থানসমূহ;
(ঘ) পিটিশনার যে অধিকার দাবী করেন;
(ঙ) সার্টিফিকেট মঞ্জুরে কিংবা উহা মঞ্জুর করা হইলে উহার বৈধতার ক্ষেত্রে ৩৭০ ধারা বা এই আইনে কোন বিধানাবলী বা অন্য কোন আইনের অধীনে কোন প্রতিববন্ধকতার অনুপস্থিতি; এবং
(চ) দরখাস্তকৃত সার্টিফিকেট বিষয়ে দেনা এবং সিকিউরিটিজ৷
(২) যদি পিটিশনে কোন বক্তব্য থাকে যাহা সত্যায়নকারী ব্যক্তি মিথ্যা বলিয়া জানের বা বিশ্বাস করেন কিংবা সত্য বলিয়া বিশ্বাস না করেন, তাহলে ঐ ব্যক্তি দণ্ডবিধির ১৯৮ ধারার অধীনে অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
(৩) মৃত পাওনাদারের নিকট দেয় কোন দেনা বা দেনাসমূহ বিষয়ে কিংবা উহার কোন অংশ বিষয়ে উক্ত সার্টিফিকেটের জন্য দরখাস্ত করা যাইবে৷
ধারা-৩৭৩৷ দরখাস্ত করিবার পদ্ধতি-৷ (১) যদি জেলা জজ এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, দরখাস্ত করিবার কারণ, তাহলে তিনি শুনানীর জন্য একটা দিন নির্দিষ্ট করিবেন এবং দরখাস্ত এবং শুনানীর নির্দিষ্ট ফি সম্পর্কে নোটিশ দিবেন-
(ক) বিচারকের মতে, দরখাস্ত সম্পর্কে বিশেষ নোটিশ দিতে হইবে এইরূপ কোন ব্যক্তিকে, এবং
(খ) আদালত প্রাঙ্গনের দৃষ্টি গ্রাহ্য কোন স্থানে লটকাইয়া দিবেন এবং এতদুশ্যে সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃক প্রণীত বিধি সাপেক্ষে বিচারক যেমন উপযুক্ত মনে করেন তেমনভাবে প্রকাশিত হইবে এবং নির্দিষ্ট দিনে অথবা তত্ পরবর্তীতে যতদূর সম্ভব সুবিধাজনক সময়ে সার্টিফিকেটে বিদ্যামান অধিকার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত দিবেন৷
(২) যখন বিচারক উহাতে অধিকার দরখাস্তকারীর অধিকার ভুক্ত বলিয়া সিদ্ধান্ত দেন, তখন তিনি তাহাকে সার্টিফিকেট মঞ্জুরের আদেশ দান করিবেন৷
(৩) যদি বিচারক আইনগত বিষয় নিষ্পত্তি ব্যতীত যাহা সংক্ষিপ্ত কার্যধারায় নিষ্পত্তি করা তাহার বিবেচনায় সূক্ষ্ম এবং জটিল, সার্টিফিকেটে অধিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে না পারেন, তাহা হইলে তিনি তাহা সত্ত্বেও দরখাস্তকারীকে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে পারিবেন যদি তাহার নিকট এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তির উহাতে আপাতগ্রাহ্য স্বত্ব আছে৷
(৪) যখন একটি সার্টিফিকেটের জন্য একাধিক দরখাস্তকারী থাকেন, এবং তাহাদের একাধিক দরখাস্তকারীর মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তিতে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বলিয়া বিচারকের নিকট প্রতীয়মান হয়, তাহা হইলে কাহাকে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে হইবে এতদবিষয়ে সিদ্ধান্ত দানে তিনি দরখাস্তকারীগণের স্বার্থের পরিধি এবং অন্যান্য যোগ্যতা বিবেচনা করিবেন৷
Case Law
Section 373 Buddists : Buddhists are not governed by the Hindu Laws of succession, but by the principles of equity and good conscience [Ajitandra Bikshu Vs. Agra Bangsa Mahathero, 32 DLR 187].
Opening of the succession is the material question in s.4 of the Muslim Family Laws Ordinance, [1961 Sk. Ibrahim Vs. Nazma Begum, 44 DLR (AD) 276].
সার্টিফিকেটের বিষয়বস্তু৷- যখন জেলা জজ সার্টিফিকেট মঞ্জুর করেন তখন সার্টিফিকেটের দরখাস্তে উল্লেখিত দেনা এবং সিকিউরিটিস সার্টিফিকেটে নির্দিষ্ট করিবেন এবং যে ব্যক্তিকে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা হয় ঐ ব্যক্তিকে-
(ক) উহাদের স্বার্থে এবং লভ্যাংশ গ্রহণ করিবার; বা
(খ) আলোচনা বা হস্তান্তর করিবার; বা
(গ) সিকিউরিটি অথবা উহাদের কোন একটিতে স্বার্থ এবং লভ্যাংশ গ্রহণ বা হন্তান্তর উভয় করিবার ক্ষমতা দিবেন৷
ধারা-৩৭৫৷ সার্টিফিকেট গ্রহণকারী হইতে সিকিউরিটি গ্রহণ৷- (১) যেক্ষেত্রে ৩৭৩ ধারার (৩) বা (৪) উপধারার অধীনে জেলা জজ অগ্রসর হওয়ার প্রস্তাব করেন সেইক্ষেত্রে এবং অন্য কোন ক্ষেত্রে তিনি সার্টিফিকেট মঞ্জুরের পূর্বে এইরূপ শর্ত আরোপ করিতে পারিবেন, যে ব্যক্তিকে তিনি মঞ্জুর করিবার প্রস্তাব করেন ঐ ব্যক্তি এক বা ততোধিক জামিনদারসহ বা অন্যান্য পর্যাপ্ত জামানতসহ মুচলেকা তত্কর্তৃক গৃহীত দেনা এবং সিকিউরিটিসের হিসাব দান এবং উক্ত দেনা এবং সিকিউরিটিসের সমুদয় বা কোন অংশে অধিকারী ব্যক্তি অব্যাহতির জন্য বিচারকের নিকট দিবেন৷
(২) পিটিশনের মাধ্যমে দরখাস্ত এবং তাহার নিকট সন্তোষজনক কারণে এবং তিনি যেমন উপযুক্ত মনে করেন তেমন শর্তে সিকিউরিটি সম্পর্কে অথবা গৃহীত অর্থ আদালতে প্রদান করিতে হইবে এইরূপ বিধান করিয়া বা অন্য কোনভাবে অন্য কোন ব্যক্তিকে মুচলেকা বা অন্য কোন জামানত শর্ত নিয়োগ করিতে পারিবেন, এবং ঐ ব্যক্তি উহার ফলে তাহার নিজের নামে এমনভাবে মামলা করিতে পারিবেন যেন আদালতে বিচারকের পরিবর্তে উহা মূলত তাহাকে দেওয়া হইয়াছে এবং ঐ ব্যক্তি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির ট্রাষ্ট হিসাবে আদায়যোগ্য অর্থ আদায় করিতে পারিবেন৷
ধারা-৩৭৬৷ সার্টিফিকেটের বর্ধন৷- (১) এই ভাগের অধীনে সার্টিফিকেট ধারকের দরখাস্তের ভিত্তিতে জেলা জজ সার্টিফিকেটে মূলতঃ উল্লেখিত নয় এইরূপ দেনা বা সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট বর্ধন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি বর্ধন যে দেনা বা সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট বর্ধন করা হয় ঐ দেনা সিকিউরিটি মূলত উহাতে উল্লেখিত ছিল এমনভাবে কার্যকর হইবে৷
সার্টিফিকেটের বর্ধনের ভিত্তিতে উহাতে সুদ বা লভ্যাংশ বা কোন হস্তান্তর গ্রহণকারী ব্যক্তি সম্পর্কে ক্ষমতা অর্পণ করা যাইবে এবং ৩৭৫ ধারায় উল্লেখিত উদ্দেশ্যে মুচলেকা বা অন্য কোন জামানত সার্টিফিকেটের মূল মঞ্জুরের ন্যায় একইভাবে প্রয়োজন হইবে৷
ধারা-৩৭৭৷ সার্টিফিকেটের ফরম এবং বর্ধিত সার্টিফিকেট৷- যতদূর সম্ভব ৮নং তফসিলে বর্ণিত ফরমে সার্টিফিকেট মঞ্জুর করিতে হইবে এবং সার্টিফিকেট বর্ধন করিতে হইবে৷
ধারা-৩৭৮৷ সিকিউরিটিস সম্পর্কে ক্ষমতার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটের সংশোধন৷-যেক্ষেত্রে সনদে উল্লেখিত জামানত বিষয়ে সনদের ধারকের উপর জেলা জজ কোন ক্ষমতা অর্পণ করেন নাই অথবা জামানতের উপর সুদ বা লভ্যাংশ কিংবা হস্তান্তর গ্রহণ করার ক্ষমতা দিয়াছেন, সেক্ষেত্রে তিনি পিটিশনের মাধ্যমে দরখাস্তের ভিত্তিতে এবং তাহার নিকট সন্তোষজনক কারণে ৩৭৪ ধারায় উল্লেখিত কোন ক্ষমতা অর্পণ করিয়া বা উহাদের পরিবর্তে অন্য কোন ক্ষমতা প্রতিস্থাপন করিয়া সনদ সংশোধন করিতে পারিবেন৷
ধারা-৩৭৯৷ সার্টিফিকেটের উপর কোর্ট-ফি সংগ্রহের পদ্ধতি৷- (১) উপধারা (২)-এর বিধানাবলী সাপেক্ষে সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিটি দরখাস্তের সাথে Court-fees Act, 1870 (VII of 1870), এই ধারায় অতঃপর Court-fees Act হিসাবে উল্লিখিত, এর অধীনে প্রদেয় ফি এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বাবদ জমা দিতে হইবে৷
(২) মৃত ব্যক্তির কোন উত্তরাধিকারিনী বা ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের জন্য অথবা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য দরখাস্ত করিলে উক্ত সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৃদ্ধি বাবদ Court-fees Act এর অধীনে প্রদেয় ফি উপ-ধারা (৩)-এ উল্লেখিত উপায়ে জমা দিতে হইবে৷
(৩) দরখাস্ত মঞ্জুর করা হইলে-
(ক) মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা ওয়ারিশ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে দরখাস্তকারী কর্তৃক জমাকৃত অর্থ বিচারকের নির্দেশে Court-fees Act-এর অধীনে প্রদেয় ফি চিহ্নিত (denoting) করিবার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃতব্য স্ট্যাম্প ক্রয়ে ব্যয় করিতে হইবে; এবং
(খ) মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা ওয়ারিশ কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে বিচারক Court-fees Act-এর ২৫ ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের মেয়াদ বৃদ্ধি বাবদ Court-fees Act-এর অধীনে প্রদেয় ফি এর সম পরিমাণ অর্থ মৃত ব্যক্তির জন্য বা তাহার পক্ষে কোন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাকঘর, অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ধারণকৃত অর্থ বা নালিশযোগ্য দাবী হইতে নগদে সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিবেন এবং তদনুয়ায়ী উক্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাকঘর অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিচারকের অবগতিতে (intimation) উক্ত পরিমাণ অর্থ জমা দিবেন৷
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীনে গৃহীত কিন্তু উপ-ধারা (৩) (ক)-এর অধীন ব্যয় করা হয় নাই এমন যে কোন পরিমাণ অর্থ জমাদানকারী ব্যক্তিকে ফেরত্ দিতে হইবে৷
ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ''আর্থিক প্রতিষ্ঠান'' অর্থঋণ আদালত আইন, ১৯৯০ (১৯৯০ সনের ৪নং আইন)-এর ২(ক) ধারায় প্রদত্ত সংজ্ঞা মোতাবেক কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান৷
ধারা-৩৮০৷ সনদের স্থানীয় পরিধি৷- এইভাগের অধীনে প্রদত্ত সনদ সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হইবে৷
ধারা-৩৮১৷ সনদের ফলাফল৷- এই ভাগের বিধানাবলী সাপেক্ষে জেলা জজের সনদ উহাতে উল্লেখিত দেনা এবং সিকিউরিটিস বিষয়ে উক্ত দেনা এবং সিকিউরিটিস বিষয়ে উক্ত দেনা এবং সিকিউরিটিসের দায়বদ্ধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইবে এবং ৩৭০ ধারায় যাহা কিছু বলা থাকুক না কেন অথবা অন্য কোন ত্রুটি সত্ত্বেও উক্ত দেনা বা সিকিউরিটিস বিষয়ে প্রদত্ত সকল পরিশোধ বা লেনদেন বিষয়ে উক্ত সকল ব্যক্তিকে পূর্ণ অব্যাহতি দান করিবে৷
ধারা-৩৮২৷ বৈদেশিক রাষ্ট্রে বাংলাদেশী প্রতিনিধির দ্বারা প্রদত্ত বর্ধিত সনদের ফলাফল৷- যেক্ষেত্রে বিদেশী রাষ্ট্রে প্রেরিত বাংলাদেশের প্রতিনিধির দ্বারা ৮নঙ তফসিলে ফরমে সনদ মঞ্জুর করা হয় অথবা ঐ প্রতিনিধির দ্বারা প্রদত্ত সনদ যেক্ষেত্রে বর্ধন করা হয়, সেক্ষেত্রে সনদটি এই ভাগের অধীন সনদ সম্পর্কে ১৮৭০ সালের কোর্ট ফিস এ্যাক্ট এর বিধানাবলী মোতাবেক স্ট্যাম্পকৃত হইলে এই ভাগের অধীনে প্রদত্ত বা বর্ধিত সনদের ন্যায়, বাংলাদেশে কার্যকর হইবে৷
ধারা-৩৮৩৷ সাটিফিকেট বাতিল কর৷- এই ভাগের অধীনে প্রদত্ত সনদ নিম্নলিখিত যে কোন একটি কারণে প্রত্যাহার করা যাইবে, যথা-
(ক) সনদ প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ;
(খ) মিথ্যা প্রস্তাব পেশ করিয়া কিংবা বিষয়টিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আদালতের নিকট লুকাইয়া প্রতারণার মাধ্যমে সনদলাভ করা হইয়াছিল;
(ঘ) অবস্থার কারণে সনদ অপ্রয়োজনীয় এবং কার্যকরহীন হইয়া গিয়াছে;
(ঙ) সনদে বর্ণিত দেনা বা সিকিউরিটি বিষয়ে কোন মামলা বা কার্যধারায় উপযুক্ত আদালতের দ্বারা প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের মাধ্যমে সনদটি প্রত্যাহার করা উচিত এমন হইয়াছে৷
Case Law
Section 383- A person seeking revocation of certificate granted by a competent Court must have some interest, immediate or remote, in the property of the testator. [Arbinda Sarker Vs. Bimalendu Bhowmik and others, 48 DLR (AD) 182].
ধারা-৩৮৪৷ আপীল৷ - (১) এই ভাগের বিধানাবলী সাপেক্ষে এই ভাগের অধীনে প্রদান, প্রত্যাখান বা প্রত্যাহার বিষয়ে জেলা জজের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করা যাইবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ উপযুক্ত মনে করিলে কোন ব্যক্তিকে সনদ প্রদান করিতে হইবে এবং উহার জন্য দরখাস্তের ভিত্তিতে বিচারককে সনদ প্রদান করিবার নির্দেশ দিয়া তদনুসারে প্রদত্ত সনদ প্রত্যাহার করিয়া সনদ দিতে পারিবে৷
(২) উপধারা (১)-এর অধীনে আপীল ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধিতে আপীলের ক্ষেত্রে অনুমোদিত সময়ের মধ্যে করিতে হইবে৷
(৩) উপধারা (১) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে এবং হাইকোর্ট বিভাগের নিকট এবং দ্বারা রেফারেন্স এবং রিভিশন এবং ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির রায়ের রিভিউ সম্পর্কে যাহা উক্ত বিধির ১৪১ ধারা প্রয়োগকৃত, জেলা জজের আদেশ চূড়ান্ত হইবে৷
ধারা-৩৮৫৷ পূর্ববর্তী প্রবেট বা ব্যবস্থাপনা পত্রের ফলাফল৷- এই আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা ব্যতীত মৃত ব্যক্তির কোন বিষয় প্রদত্ত সনদ বেআইনী হইবে৷ যদি মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি সম্পর্কে পূর্বে উক্তরূপ কোন সনদ প্রবেট বা ব্যবস্থাপনাপত্র মঞ্জুর করা হয় এবং উক্ত মঞ্জুর বলবত্ থাকে৷
ধারা-৩৮৬৷ অবৈধ সনদের ধারককে সনদ বিশ্বাস কতিপয় পরিশোধের বৈধতা৷- যেক্ষেত্রে এই ভাগের অধীনে প্রদত্ত সনদ ৩৮৩ ধারার অধীনে প্রত্যাহারের কারণে কিংবা ৩৮৪ ধারার অধীনে আপীলযোগ্য আদেশে উল্লেখিত ব্যক্তিকে প্রদানের কারণে কিংবা পূর্বে মঞ্জুরের কারণে কিংবা অন্য কোন কারণে বাতিল করা হয় বা অবৈধ হয় সেক্ষেত্রে বাতিলকৃ