Daffodil International University

Faculty of Humanities and Social Science => Law => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 09:52:24 AM

Title: বাংলাদেশ গেজেট
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 09:52:24 AM
     

রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১

বাংলাদেশ গেজেট

অতিরিক্ত সংখ্যা

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত

বুধবার, জানুয়ারি ২৬, ২০০৬

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০০০/১৩ই মাঘ, ১৪০৬
 

সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ২৬শে জানুয়ারি, ২০০০ (১৩ই মাঘ, ১৪০৬) তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছে :-

২০০০ সনের ৬নং আইন

আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদানকল্পে প্রণীত আইন।

যেহেতু আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;


সেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

১ । সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন । (১) এই আইন আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে ।

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে ।

   
২ । সংজ্ঞা : বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(ক) "আইনগত সহায়তা" অর্থ আর্থিকভাবে অসচ্ছল-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে আইনগত পরামর্শ প্রদান, আইনজীবির ফিস প্রদান ও মামলার খরচ প্রদানসহ অন্য যে কোন সহায়তা প্রদান;

(খ) "আদালত" অর্থ সুপ্রীম কোর্টসহ যে কোন আদালত;

(গ) "আবেদন" বা "দরখাস্ত " অর্থ আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন বা দরখাস্ত;

(ঘ) "চেয়ারম্যান" অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;

(ঙ) "জেলা কমিটি" অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত সংস্থার জেলা কমিটি;

(চ) "পরিচালক" অর্থ সংস্থার পরিচালক;

(ছ) "বিচারপ্রার্থী" অর্থ কোন আদালতে দায়েরযোগ্য বা দায়েরকৃত দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলার সম্ভাব্য বা প্রকৃত বাদী, বিবাদী, ফরিয়াদী বা আসামী;

(জ) "বোর্ড" অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত জাতীয় পরিচালনা বোর্ড"বোর্ড"

(ঝ) "সদস্য" অর্থ জাতীয় পরিচালনা বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, জেলা কমিটির কোন সদস্য;

(ঞ) "সংস্থা" অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ।

 

৩ । জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা : (১) এই আইন বলবত্‍ হইবার পর সরকার, যথাশ্রীঘ্র সম্ভব, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করিবে ।

(২) সংস্থা একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহার নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে ।

 

৪ । সংস্থার প্রধান কার্যালয় : সংস্থার প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং ইহা প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে ।

 

৫ । সংস্থার পরিচালনা : (১) সংস্থার পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সংস্থা যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ড ও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে ।

(২) সংস্থা উহার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নীতি অনুসরণ করিবে ।

 

৬ । জাতীয় পরিচালনা বোর্ড : (১) জাতীয় পরিচালনা বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-

(ক) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি ইহার চেয়ারম্যান ও হইবেন;

(খ) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত দুইজন সংসদ-সদস্য, যাহাদের মধ্যে একজন সরকার দলীয় এবং অন্যজন বিরোধী দলীয় হইবেন;

(গ) বাংলাদেশের এটর্নী জেনারেল;

(ঘ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব;

(ঙ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব;

(চ) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব;

(ছ) মহা-পুলিশ পরিদর্শক;

(জ) মহা-কারা পরিদর্শক;

(ঝ) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান;

(ঞ) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সভাপতি;

(ট) জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান;

(ঠ) সরকার কর্তৃক মনোনীত, প্রত্যেকটি জেলায় কার্যক্রম রাখিয়াছে এইরূপ প্রতিষ্ঠিত, আইন ও মানবাধিকার সম্পর্কিত বেসরকারী সংস্থার তিনজন প্রতিনিধি;

(ড) সরকার কর্তৃক মনোনীত, প্রত্যেকটি জেলায় কার্যক্রম রহিয়াছে এইরূপ প্রতিষ্ঠিত, নারী সংস্থার তিনজন প্রতিনিধি;

(ঢ) পরিচালক, যিনি ইহার সদস্য-সচিবো হইবেন ।

(২) উপ-ধারা ১(ড) ও (ঢ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বত্‍সরের মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই কোন কারণ না দর্শাইয়া উক্তরূপ কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে :

আরো শর্ত থাকে যে, উক্তরূপে কোন সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন ।

 

৭ । সংস্থার দায়িত্ব ও কার্যাবলী : সংস্থার দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা :

(ক) আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণের আইনগত সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা নিরূপণ ও উহা প্রদান সম্পর্কিত বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা;

(খ) আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে স্কীম প্রণয়ন করা;

(গ) আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করা;

(ঘ) আইনগত সহায়তা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা;

(ঙ) জেলা কমিটি কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত আবেদন বা দরখাস্ত বিবেচনা করা;

(চ) জেলা কমিটির কার্যাবলী তদারকী ও নিয়ন্ত্রণ এবং উহাদের কার্যাবলী সরেজমিনে পরিদর্শন করা;

(ছ) আইন, বিধি ও অন্যান্য তথ্য সম্বলিত ক্ষুদ্র পুস্তিকা (Pamphlet), ইত্যাদি প্রকাশসহ সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে আইনগত অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা;

(জ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন কাজ করা ।

 

৮ । বোর্ডের সভা : (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড ইহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে ।

(২) বোর্ডের সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি তিন মাসে বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে ।

(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তত্কর্তৃক নির্দেশিত কোন সদস্য বা এইরূপ কোন নির্দেশ না থাকিলে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের দ্বারা নির্বাচিত অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন ।

(৪) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না ।

(৫) বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে ।

(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্‍ সম্পর্কে কেন প্রশ্ন ও উত্থাপন করা যাইবে না ।

 

৯ । জেলা কমিটি : (১) প্রত্যেক জেলায় সংস্থার একটি জেলা কমিটি থাকিবে এবং উহা উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-

(ক) জেলা ও দায়রা জজ, যিনি ইহার চেয়ারম্যান ও হইবেন;

(খ) জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট;

(গ) জেলা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট;

(ঘ) জেলার জেল সুপারিনটেনডেন্ট;

(ঙ) জেলার সমাজকল্যাণ বিষয়ক কর্মকর্তা, যদি থাকে;

(চ) জেলার মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা; যদি থাকে;

(ছ) জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান বা তত্‍ কর্তৃক মনোনীত কমিটির একজন প্রতিনিধি;

(জ) জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি;

(ঝ) জেলার সরকারী উকিল;

(ঞ) জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর;

(ট) জেলার বেসরকারী কারাগার পরিদর্শক, যদি থাকে, তাহাদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন বেসরকারী কারাগার পরিদর্শক;

(ঠ) জেলা কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত জেলার বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যদি থাকে এর একজন প্রতিনিধি;

(ড) জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক যিনি ইহার সদস্য-সচিবো হইবেন ।

(২) যেইসব জেলায় মেট্রোপলিটন শহর রহিয়াছে সেইসব জেলার জেলা কমিটিতে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও সদস্য থাকিবেন ।

(৩) উপ-ধারা (১) (ছ), (ট), (ঠ), ও (ড) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বত্ সরের মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই মনোনয়নকারী কর্তৃপক্ষ কোন কারণ না দর্শাইয়া উক্তরূপ কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে :

আরো শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন ।

 

১০ । জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী : জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ : যথা-

(ক) সংস্থা কর্তৃক নিরূপিত যোগ্যতা ও প্রণীত নীতিমালা অনুসারে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণের আবেদন বা দরখাস্ত বিবেচনাক্রমে যতদূর সম্ভব আইনগত সহায়তা প্রদান করা;

(খ) মঞ্জুরকৃত আবেদন বা দরখাস্তের ক্ষেত্রে আবেদনকারী বা দরখাস্তকারীকে প্রদত্ত আইনগত সহায়তার ধরণ ও শর্ত নির্ধারণ করা;

(গ) জেলা পর্যায়ে আইনগত সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহন করা;

(ঘ) আইনগত সহায়তা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা;

(ঙ) বোর্ড কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা;

(চ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন কাজ করা ।
Title: Re: বাংলাদেশ গেজেট
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 09:52:49 AM
১১ । জেলা কমিটির সভা : (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, জেলা কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে ।

(২) জেলা কমিটিতে সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে :

(৩) জেলা কমিটির চেয়ারম্যান উক্ত কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন ।

(৪) জেলা কমিটির সাভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না ।

(৫) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদের শূণ্যতা বা কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কমিটির কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্‍ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না ।

 

১২ । উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ইত্যাদি : (১) সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রতিটি উপজেলায় সংস্থার উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে সংস্থার ইউনিয়ন কমিটি গঠন করিতে পারিবে ।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রত্যেক উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটি একজন চেয়ারম্যান ও চৌদ্দজন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে এবং চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগ্যতা অপসারণ পদত্যাগ ইত্যাদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে ।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত সংস্থার উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটির দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং সভার কার্য পদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে ।

 

১৩ । বোর্ডের তহবিল : (১) বোর্ডের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নলিখিত অর্থ জমা হইবে, যথা :-

(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, অন্য কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(গ) কোন বিদেশী সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(ঘ) বোর্ড কর্তৃক অন্য যে কোন উত্‍স হইতে প্রাপ্ত অর্থ ।

(২) এই তহবিলের অর্থ বোর্ডের নামে তত্ কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে ।

(৩) চেয়ারম্যান ও বোর্ডের সদস্য-সচিব এর যৌথ স্বাক্ষরে এই তহবিলের অর্থ উত্তোলন করা যাইবে ।

(৪) এই তহবিল হইতে প্রয়োজন অনুসারে, জেলা কমিটিকে অর্থ বরাদ্দ; করা হইবে ।

(৫) এই তহবিল হইতে, বোর্ডের প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে ।

(৬) বোর্ড ইহার তহবিল সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে ।

 

১৪ । জেলা কমিটির তহবিল : (১) প্রতিটি জেলা কমিটির একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে বোর্ড কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান এবং অন্য কোন উত্‍স হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে ।

(২) জেলা কমিটির তহবিলের অর্থ জেলাস্থ রাষ্ট্রীয়ত্ত ব্যাংকের কোন শাখায় জমা রাখা হইবে এবং জেলা কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য-সচিব এর যৌথ স্বাক্ষরে এই তহবিলের অর্থ উত্তোলণ করা যাইবে ।

(৩) এই তহবিল হইতে মঞ্জুরীকৃত আবেদন বা দরখাস্ত অনুযায়ী আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হইবে এবং জেলা কমিটির প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে ।

 

১৫ । আইনজীবিগণের তালিকা : (১) বোর্ড এই আইনের আওতায় প্রদত্ত আইনগত সহায়তার অধীনে বাংলাদেশের সুপ্রীমকোর্টে দায়েরযোগ্য বা দায়েরকৃত মামলার পরামর্শ প্রদান ও মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রীমকোর্টের মামলা পরিচালনায় অন্যূন ৭ (সাত) বত্সরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইনজীবীগণের মধ্য হইতে একটি তালিকা প্রণয়ন করিবে ।

(২) প্রত্যেক জেলা কমিটি এই আইনের আওতায় প্রদত্ত আইনগত সহায়তার অধীনে জেলা কোন আদালতে দায়েরযোগ্য বা দায়েরকৃত মামলার পরামর্শ প্রদান ও মামলা পরিচালনার জন্য জেলা আদালতে মামলা পরিচালনায় অন্যূন ৫ (পাঁচ) বত্সরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইনজীবিগণের মধ্য হইতে একটি তালিকা প্রণয়ন করিবে ।

(৩) এই ধারার অধীন প্রণীত প্যানেল তালিকায় অন্যূন একজন মহিলা আইনজীবী যদি উপযুক্ত পাওয়া যায়, রাখা হইবে ।

(৪) কোন বিচারপ্রার্থীর আবেদন বা দরখাস্ত বিবেচনাক্রমে যদি কোন ক্ষেত্রে, আইনগত সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাহা হইলে বোর্ড বা ক্ষেত্রমত, জেলা কমিটি উক্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত কোন আইনজীবীকে এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ নিযুক্তির ক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীর পছন্দ, যতদূর সম্ভব, বিবেচনা করা হইবে ।
Title: Re: বাংলাদেশ গেজেট
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 09:53:21 AM
১৬ । আইনগত সহায়তার জন্য আবেদন : (১) এই আইনের অধীন আইনগত সহায়তার জন্য সকল আবেদন বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত জেলা কমিটির নিকট পেশ করিতে হইবে ।

(২) এই আইনের অধীন কোন আবেদন বা দরখাস্ত জেলা কমিটি কর্তৃক অগ্রাহ্য হইলে উহা মঞ্জুরীর জন্য সংক্ষুদ্ধ বিচারপ্রার্থী উক্তরূপ সিদ্ধান্তের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে বোর্ডের নিকট আপীল পেশ করিতে পারিবেন এবং এই ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে ।

 

১৭ । বাজেট : সংস্থা প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে সংস্থার কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে ।

 

১৮ । হিসাব ও অডিট : (১) বোর্ড এবং জেলা কমিটি উহাদের আয়-ব্যয়ের হিসাববহি প্রচলিত আইন অনুসরণক্রমে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিবে ।

(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সরে সংস্থার হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও সংস্থার নিকট পেশ করিবেন ।

(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সংস্থার সকল রেকর্ড দলিল-দস্তাবেজ নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং যে কোন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন ।

 

১৯ । দলিলপত্র, কাগজাদি, ইত্যাদির কপি সরবরাহ : আইনগত সহায়তার সাথে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থী বরাবরে আদালত, কোর্ট ফি ছাড়া, বিনামূল্যে মামলার সহিত সংশ্লিষ্ট কাগজাদি দলিলপত্র ইত্যাদির কপি সরবরাহ করিবে ।

 

২০ । প্রতিবেদন : (১) সরকার সংস্থার নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং সংস্থা উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে ।

(২) জেলা কমিটি প্রতি তিন মাসে তত্কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি প্রতিবেদন চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিবে ।

 

২১ । পরিচালক : (১) সংস্থার একজন পরিচালক থাকিবেন এবং তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন ।

(২) পরিচালক, সংস্থার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক সংস্থার কার্য সম্পাদন করিবেন ।

(৩) সংস্থা, সরকারের পুর্বানুমোদনক্রমে পরিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে ।

(৪) উপ-ধারা  (১) এর অধীন পরিচালক নিয়োগ না হওয়া অবধি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্য হইতে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তা পরিচালকরূপে কাজ করিবেন ।

(৫) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ না হওয়া অবধি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উহার বিদ্যমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কার্য সম্পাদনে পরিচালককে সহায়তা প্রদান করিবে ।

 

২২ । ক্ষমতা অর্পণ : সংস্থা উহার ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে উহার চেয়ারম্যানকে অর্পণ করিতে পারিবে ।

 

২৩ । জনসেবক : সংস্থা ও জেলা কমিটির সকল সদস্য এবং সংস্থার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী Penal Code (Act XLV of 1860 2 । এ public servant (জনসেবক) অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সে অর্থে public servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবে ।

 

২৪ । প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা : এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে ।

 

২৫ । ইংরেজীতে অনুদিত পাঠ প্রকাশ : এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকার করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে ।

 

২৬ । রহিতকরণ ও হেফাজত : (১) সংস্থা প্রতিষ্ঠার সংগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৫ই চৈত্র, ১৪০৩ বাং মোতাবেক ১৯শে, ১৯৯৭ ইং তারিখে এ.আর. ও নম্বর ৭৪-আইন/১৯৯৭ এর মাধ্যমে জারীকৃত রিজলিউশন অতঃপর উক্ত রিজলিউশন বলিয়া উল্লিখিত, বাতিল হইয়া যাইবে ।

(২) উক্ত রিজলিউশন বাতিল হইবার সংগে সংগে উক্ত রিজলিউশনের অধীন-

(ক) গঠিত জাতীয় আইনগত সহায়তা কমিটি এবং জেলা কমিটিগুলি বিলুপ্ত হইবে;

(খ) বিলুপ্ত জাতীয় আইনগত কমিটি ও জেলা কমিটির সকল সম্পদ এবং নগদ ও ব্যাংক গচ্ছিত অর্থ যথাক্রমে সংস্থা ও এই আইনের অধীন গঠিত জেলা কমিটির সম্পদ ও অর্থ হইবে;

(গ) বিলুপ্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা কমিটি এবং জেলা কমিটি কর্তৃক আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত অর্থ যথাক্রমে বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, এই আইনের অধীন গঠিত জেলা কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।

 

কাজী মুহম্মদ মনজুরে মওলা

সচিব ।