Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Raihana Zannat on July 05, 2018, 10:14:28 AM

Title: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: Raihana Zannat on July 05, 2018, 10:14:28 AM
পা জ্বালাপোড়া করা বা বার্নিং ফিট সিন্ড্রোম অপরিচিত কোনো রোগ নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই এ সমস্যায় ভুগছেন। তবে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সে এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বের যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। পুরুষের তুলনায় মেয়েরা এ রোগের শিকার হন বেশি। পায়ের তলা ছাড়াও গোড়ালি, পায়ের উপরিভাগ এবং লেগে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় পায়ের রঙ পরিবর্তন হয়, অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং পা ফুলে যায়। চাপ প্রয়োগ করলে কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না। মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক অনুভূতি ও অবশভাব হয় । জ্বালা ও ব্যথা রাতে বেড়ে যায় এবং প্রায়ই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এ ধরনের উপসর্গ থাকে না।

পা জ্বালাপোড়া করার কারণ:

>> ভিটামিন বি-এর উপাদান যেমন- থায়ামিন (বি-১), পাইরোডোক্রিন (বি-৬), সায়ানোকোবালামিন (বি-১২), নিকোটানিক এসিড ও রাউবোফ্ল্যাভিনের অভাবে পা জ্বালা এবং ব্যথা করে।

>> পরিবর্তিত বিপাকীয় ও হরমোনের সমস্যা (ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরোডিসম)।

>> কিডনি ফেইলুর (হিমোডায়ালাইসিস রোগী)।

>> যকৃৎ (লিভার) ফাংশন খারাপ।

>> কেমোথেরাপি।

>> দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মদপান।

>> ইলফিটিং বা ডিফেক্টিভ জুতা পরিধান।

>> অ্যালার্জিজনিত কাপড় ও মোজা ব্যবহার করা।

>> বংশানুক্রমিক অসঙ্গত স্নায়ু পদ্ধতি।

>> স্নায়ু ইনজুরি, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও সংকোচন (কমপ্রেশন)।

>> মানসিক পীড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিও এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হন।

করণীয়: চিকিৎসার শুরুতেই রোগের ইতিহাস, রোগীর শারীরিক ও ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, প্রতিকার ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। সুপরিমাপের খোলা ও আরামদায়ক জুতা পরিধান করতে হবে। আরামদায়ক সুতার মোজা ব্যবহার করা উত্তম। পায়ের আর্চ সাপোর্ট, ইনসোল ও হিল প্যাড ব্যবহারে উপসর্গ লাঘব হবে। পায়ের পেশির ব্যায়াম ও ঠাণ্ডা পানির (বরফ না) সেঁক উপসর্গ নিরাময়ে অনেক উপকারী। রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সেবন করতে হবে এবং চিকিৎসায় ভিটামিন ইনজেকশন পুশ করতে হবে। মদপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। স্নায়ু ইনজুরি, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও সংকোচন (কমপ্রেশন) হলে যথোপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। বার্নিং ফুট সিনড্রোম থেকে সুস্থ থাকতে হলে সবাইকে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকতে হবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বারডেম
Title: Re: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: Raisa on July 05, 2018, 12:11:44 PM
good post
Title: Re: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: Raihana Zannat on July 05, 2018, 12:20:31 PM
  :D
Title: Re: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: Raihana Zannat on July 05, 2018, 12:22:10 PM
Thanx Ma'm.
Title: Re: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: Nusrat Jahan Bristy on July 05, 2018, 12:24:30 PM
Informative...
Title: Re: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: Raihana Zannat on July 05, 2018, 02:54:22 PM
Thanx Ma'm.
Title: Re: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: sheikhabujar on July 06, 2018, 07:27:38 PM
Nice sharing
Title: Re: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: Mousumi Rahaman on July 07, 2018, 03:45:32 PM
Nice Post.. :)
Title: Re: পা জ্বালাপোড়া করলে...
Post by: Raihana Zannat on July 08, 2018, 09:43:06 AM
Thanx.