Daffodil International University

Educational => You need to know => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 12:49:20 PM

Title: সংক্রামক ব্যাধি
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 12:49:20 PM
সংক্রামক ব্যাধি

একজন রোগীর দেহ থেকে অন্য রোগীর দেহে যে রোগ ছড়িয়ে পড়ে , তাকে সংক্রামক রোগ বলে৷ আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্ত, মল, মূত্র ,থুথু ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ অন্যের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ অনেক সময়ে মশা, মাছি, আরশোলা ইত্যাদি পতঙ্গেরাও রোগের জীবাণু রোগীর শরীর বা শরীর নিঃসৃত বর্জ্য পদার্থ থেকে সুস্থ ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে দেয়৷ সংক্রামক রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য রক্তদান করার অগে দাতার রক্তে ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, এইড্স এর জীবাণু আছে কিনা তা দেখে নেওয়া হয়৷ অনেক ক্ষেত্রে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখা হয় যাতে রোগ ছড়িয়ে পড়তে না পারে৷ পতঙ্গ দমন করার মাধ্যমে অনেক সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব৷ অবাধ যৌন সংসর্গের ফলেও বিভিন্ন যৌন অসুখ এবং এইড্স আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে ছড়িয়ে পড়ে৷ দুধ, মাছ, মাংস বা ডিম জীবাণু মুক্ত করে না খেলে এদের থেকেও সংক্রামক রোগের জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে৷

নিচে সংক্রামক কিছূ রোগের নাম উল্লেখ করা হলো-
 
১.     কৃমি রোগ
২.     ম্যালেরিয়া
৩.     কালাজ্বর
৪.     টাইফয়েড জ্বর
৫.     চিকেন পক্স বা জলবসন্ত
৬.     ফাইলেরিয়া
৭.     ডেঙ্গু
Title: Re: সংক্রামক ব্যাধি
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 12:50:13 PM
কৃমি রোগ

কৃমি আমাদের দেশে একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা৷ যে কোনো বয়সের মানুষের কৃমি হতে পারে৷ তবে শিশু কিশোরদের মাঝে কৃমির সংক্রমণ বেশি দেখা যায়৷ অবশ্য ছোট শিশু যেমন - পঁাচ মাস বয়স পর্যন্ত, যখন শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধই পান করে, তখন সাধারণত কৃমি হয় না৷ আমাদের দেশের মানুষের সুতা কৃমি, কেঁচো ও হুক কৃমির সংক্রমণ বেশি হলেও ফিতা কৃমির সংক্রমণও দেখা যায়৷

কৃমি
কৃমি হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে ক্ষতিকর ও বৃহত্‌ পরজীবী৷ এটি মানুষের দেহে বাস করে এবং শরীর থেকে খাবার গ্রহণ করে বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি করে৷ কৃমি অনেক ধরনের আছে৷ তবে আমাদের দেশে কেঁচো কৃমি, বক্রকৃমি ও সুতা কৃমিতে আক্রান্তের হার বেশি৷

কৃমি কীভাবে ছড়ায়
বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোকের জন্য কোনো প্রকার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবস্থা নেই৷ এসব লোক কঁাচা পায়খানা ব্যবহার করে এবং নদীতে, খালে, উণ্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করতে অভ্যস্ত৷ ফলে পানি ও মাটিতে কৃমির ডিম ছড়িয়ে পড়ে৷ এসব মাটিতে ও পানিতে উত্‌পন্ন শাক-সবজি, ফল-মূল কঁাচা খেলে অথবা কৃমির ডিম বাহিত দূষিত পানি পান করলে কৃমির সংক্রমণ ঘটে৷ এছাড়া খালি পায়ে হঁাটার ফলে পায়ের নিচ দিয়ে হুকওয়ার্ম বা বক্রকৃমির লার্ভা শরীরে প্রবেশ করে কৃমি হতে পারে৷

সুতা কৃমি
পৃথিবীর সর্বত্রই সবচেয়ে বেশি সুতা কৃমির সংক্রমণ ঘটে৷ সুতা কৃমি ২ থেকে ১২ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের সাদা সুতার মতো চিকন৷ খাবারের সাথে পেটে গিয়ে সুতা কৃমি ক্ষুদ্রান্ত্রে অবস্থান করে কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক সুতাকৃমিদের বৃহদন্ত্রের কোলনেই বেশি পাওয়া যায়৷ স্ত্রী কৃমি রাতের দিকে মলদ্বারের বাইরে এসে ডিম পাড়ে ও কামড়ায় ফলে মলদ্বার চুলকায়৷ সুতা কৃমি মেয়েদের প্রস্রাবের দ্বারেও চলে যেতে পারে ফলে সেখানেও চুলকায়৷ যখন চুলকায় তখন তার আঙুলের ভঁাজে ও নখের মধ্যে কৃমির ডিম ঢুকে যায়৷ তাছাড়া জামা-প্যান্ট, বিছানার চাদরেও কৃমির ডিম লেগে যেতে পারে৷ আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের মলদ্বারে চুলকিয়ে সে হাতে কিছু খেলে নিজের কাছ থেকে নিজেই এবং নোংরা হাতে ধরা খাবার অন্যরা খেয়ে কৃমিতে আক্রান্ত হয়৷ মলদ্বারে চুলকানি বেশি হয় বিশেষ করে রাতে বেলায়৷ মলদ্বারে চুলকানি থেকে শিশুর ঘুমের অসুবিধা হতে পারে তাছাড়া পেটের গোলমাল দেখা যায়৷ কখনও কখনও অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতাও হতে পারে৷ কারো কারো খাবারে রুচি চলে যায়৷

কেঁচো কৃমি
বাংলাদেশের মানুষের বিশেষ করে শিশুদের অপুষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ হলো কেঁচো কৃমির সংক্রমণ৷ দেখতে কেঁচোর মতো এবং পরিণত অবস্থায় ৬ থেকে ১৪ ইঞ্চি লম্বা হয়৷ কেঁচো কৃমির রঙ হালকা হলুদ৷ সাধারণত অপরিষ্কার শাকসবজি ফলমূল, নোংরা খাবার, দূষিত পানির মাধ্যমে কেঁচো কৃমির ডিম আমাদের মুখে প্রবেশ করে৷ সেখান থেকে খাদ্যনালীর ক্ষুদ্রান্তে এ ডিম চলে যায় এবং ক্ষুদ্রান্তের এনজাইম বা পাচকরসের মাধ্যমে ডিম থেকে লার্ভা বের হয়৷ লার্ভাগুলো রক্তের মাধ্যমে যকৃত, হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসে প্রবেশ করে৷ এরপর ফুসফুসের এলভিওলাই ছিদ্র করে শ্বাসনালী দিয়ে অন্ননালী পার হয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে ক্ষুদ্রান্ত্রে এসে পূর্ণতা লাভ করে এবং ডিম পাড়ে৷ পরিণত স্ত্রী কৃমি দৈনিক প্রায় ২ লাখ ডিম মানুষের মলের সাথে নিষ্কাশন করে৷ হাত-পা ঠিকমতো না ধুলে নখের মধ্যে বা আঙুলের ভঁাজে লেগে থাকা ডিম এবং অপরিষ্কার খাবার ও পানির মাধ্যমে আমাদের মুখে প্রবেশ করে৷ অর্থাত্‌ কেঁচোকৃমির সংক্রমণ ঘটে মল থেকে মুখে (Foeco-oral route) কেঁচো কৃমির সংক্রমণে অনেক সময় প্রথম দিকে কিছু বোঝা যায় না কিন্তু ধীরে ধীরে নানা রকম লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে৷ অন্ত্রে বেশি কেঁচো কৃমি থাকলে অস্বস্তিভাব, পেটফঁাপা, পেট ফুলে ওঠা, বদহজম, ক্ষুধামন্দা বা অরুচি, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, পাতলা পায়খানা, আমমিশ্রিত মল, শুকনো কাশি, শ্বাসপ্রশ্বাসে দুর্গন্ধ, যকৃত প্রদাহ ইত্যাদি হতে পারে৷ কেঁচো কৃমি কখনো কখনো পিত্তনালীতে গিয়ে নালী বন্ধ করে দেয়, অগ্ন্যাশয় নালীতে গিয়ে নালী বন্ধ করে জন্ডিস, এপেন্ডিসে গিয়ে আটকে যেয়ে এপেন্ডিসাইটিস এর সৃষ্টি করতে পারে৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশনই একমাত্র চিকিত্‌সা৷ মাঝে মাঝে ২/১ টি কৃমি বমির সঙ্গে মুখ দিয়ে বা পায়খানার সঙ্গে বেরিয়ে আসতে পারে৷

বক্রকৃমি
হুক ওয়ার্মের মুখে হুক বা বড়শির মতো চারটি দঁাত রয়েছে এবং ২ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা সবুজাভ-সাদা রঙের হয়ে থাকে৷ বক্রকৃমির ডিম মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে পরে আর্দ্র, ভেজা মাটিতে লার্ভায় পরিণত হয় এবং সংক্রমণ করার উপযুক্ত হয়৷ মাটিতে বা ঘাসে লেগে থাকা বাচ্চা কৃমি সাধারণত পায়ের তলার চামড়া ফুটো করে শরীরে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসে থেকে শ্বাসনালী হয়ে অন্ননালীর ক্ষুদ্রান্ত্রে এসে পূর্ণতা পায় এবং অনবরত ডিম পাড়ে৷ যারা খালি পায়ে টয়লেটে, রাস্তায়, মাঠে হঁাটাচলা করে তাদের বক্র কৃমি বেশি হতে দেখা যায়৷ বিশেষত গ্রামাঞ্চলে মাঠেঘাটে মলত্যাগের প্রবণতা বেশি বলে সেখানেই এ কৃমির সংক্রমণ বেশি৷ বক্রকৃমি ক্ষুদ্রান্তে তার হুকের সাহায্যে রক্ত চোষে এবং রক্ত খেয়েই বেঁচে থাকে৷ একটি বক্রকৃমি প্রতিদিন প্রায় ০.২ মি. মি. রক্ত খায়৷ বক্রকৃমির সংক্রমণের লক্ষণ প্রধানত রক্তক্ষয় জনিত দুর্বলতা হিসাবে প্রকাশ পায়৷ বুক ও পেটের  ব্যথা, বমি অনেকটা পেপটিক আলসার রোগের মতো মনে হয়৷ এছাড়া রক্তমিশ্রিত কাশি, প্রায়ই পাতলা পায়খানা, রক্তশূণ্যতা, আমিষস্বল্পতা, এমনকি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধা প্রাপ্ত হতে পারে বিশেষ করে যারা কম খাবার খায়৷ বক্রকৃমি পায়ের তালুর চামড়া ফুটো করে প্রবেশ করায় পায়ের তালুর ত্বকে সংক্রমণ দেখা দেয় এবং পায়ের তালুতে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়৷

ফিতাকৃমি
ফিতাকৃমি দেখতে ফিতার মতো দীর্ঘ আকারের, ৫ থেকে ২৫ ফুট বা আরো বেশি লম্বা হয়৷ ছোট মাথার সঙ্গে  অসংখ্য চেপ্টা খণ্ড (শসার বীচির মতো) একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত হয়ে এ কৃমির দেহ গঠিত হয়৷ সাধারণত পেটে একটি মাত্র ফিতাকৃমি থাকে তবে বেশিও থাকতে পারে৷ ফিতাক্িঋম ক্ষুদ্রান্ত্রে ডিম পাড়ে৷ মানুষের মলের সঙ্গে বেরিয়ে ফিতাকৃমির ডিম মাটিতে পড়ে থাকে কিংবা ঘাসে লেগে থাকে৷ গরু, মহিষ, শুকর মাঠে চরার সময় এ ডিমগুলো খেলে গরু,শুকরের ও মহিষের দেহে লার্ভা প্রবেশ করে এবং সিস্ট হয়ে মাংস পেশিতে বেঁচে থাকে৷ মানুষ এ সমস্ত গরুর মাংস অসিদ্ধ বা অর্ধসিদ্ধ করে খেলে সংক্রমিত হয়৷ যারা খুব শিক কাবাব খায় তাদের এ কৃমি হওয়ার আশংকা বেশি৷ অন্ত্রে ফিতাকৃমি থাকলে দেখতে অনেকটা শসার বিচির মতো মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে৷ বিপদ দেখা দেয়  যখন মানুষের ব্রেনে বা মস্তিস্কে ফিতাকৃমি সিস্ট তৈরি করে৷ এ সিস্টগুলো মাথাব্যথা, খিঁচুনি, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন এমনকি মৃতু্যর কারণ হতে পারে৷

চিকিত্‌সা
কৃমির চিকিত্‌সা দেবার আগে মল পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া ভালো৷ যদি রোগীর মলে বা বমির সঙ্গে কেঁচো কৃমি বের হয়, রোগী যদি বলে যে রাতে তার মলদ্বার চুলকায়, মল পরীক্ষায় সুযোগ ও সামর্থ্যের অভাব, কিন্তু কৃমি আছে বলে সন্দেহ হয় তবে মল পরীক্ষা না করেও কৃমির ঔষধ দেওয়া যায়৷ চিকিত্‌সকের পরামর্শ অনুযায়ী বয়স অনুযায়ী আলাদা আলাদা মাত্রায় ঔষুধ খেতে হবে৷

কারো কারো কৃমির ঔষধ খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ, যেমন গর্ভবতী মহিলা, জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী৷

প্রতিরোধ

    * যেহেতু প্রতিরোধ চিকিত্‌সা অপেক্ষা অধিকতর ভালো তাই প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত৷
    * জণ্মের পর প্রথম ৫ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে৷
    * মল নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে হবে৷
    * খাবার তৈরি, পরিবেশন এবং খাওয়ার পূর্বে সাবান দিয়ে অবশ্যই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে
    * মলত্যাগের পর সাবান বা ছাই দিয়ে অবশ্যই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে৷
    * নিয়মিত গোসল করা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়া এবং নখ বড় হবার আগেই অবশ্যই কেটে ফেলা কারণ বড় নখের ভেতর কৃমির ডিম ঢুকে থাকে৷
    * শিশুর সুতাকৃমি হলে তাকে সুতির জাঙ্গিয়া পরিয়ে শোয়ানো উচিত যাতে সে মলদ্বার হাত দিয়ে চুলকাতে না পারে৷

    * ফুটানো পানি খাওয়া বা ব্যবহার করা এবং শাকসবজি ও ফলমূল ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া কেননা এগুলোতে কৃমির ডিম লেগে থাকতে পারে ৷
    * খালি পায়ে মাঠে, রাস্তায় ও পায়খানায় না যাওয়া এবং শিশুকে যেতে না দেয়া৷ সর্বদা স্যান্ডেল পরে থাকার অভ্যাস করা উচিত৷
    * অসিদ্ধ বা অর্ধসিদ্ধ মাংস না খাওয়া৷
    * প্রতি চার মাস পরপর পরিবারের সকলকে বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রার কৃমির ঔষুধ খাওয়ানো উচিত৷ বাড়ির একজনের কৃমি থাকলে সকলেরই সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়ির সবাইকে কৃমির ঔষধ খেতে হবে, বাড়ির কাজের মানুষটিও যেন বাদ না পরে৷

বহুল প্রচলিত কৃমি সম্পর্কিত ভুল ধারণা/ কুসংস্কার

    * মিষ্টি খেলে কৃমি হয় - এটি ঠিক নয়৷ মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে কৃমি হওয়ার ব্যাপারটি কোনোভাবেই যুক্ত নয়৷ নোংরা খাবারের মাধ্যমে কৃমি হয় সেটা টকঝাল মিষ্টি যাই হোক না কেন৷
    * পেটে কিছু কৃমি না থাকলে খাবার হজম হয় না - এটি একদম বাজে কথা৷ কৃমি কোনো উপকারই করে না, উল্টো বদহজম, ক্ষুধামন্দা ও পেটের রোগ সৃষ্টি  করে৷
    * কৃমির ঔষধ ঠাণ্ডার দিনে বা শীতকালে বা বৃষ্টির দিনে খাওয়াতে হবে - এটি ভুল ধারণা৷ এলোপ্যাথিতে কৃমির ঔষধ ঠাণ্ডা-গরম যে কোনো সময়ই খাওয়ানো যায়৷
     

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র -
ড্রাগ ডিরেক্টরি
Title: Re: সংক্রামক ব্যাধি
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 12:51:07 PM
  ম্যালেরিয়া
ম্যালেরিয়া কী ?
স্ত্রী জাতীয় এনোফিলিস মশার কামড়ে ছড়ায় এমন এক ধরনের সংক্রামক জ্বর হলো ম্যালেরিয়া৷ ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু (প্লাসমোডিয়াম) মশার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্যের কাছে ছড়াতে পারে৷

প্রকারভেদ
জীবাণুর ধরন অনুসারে ম্যালেরিয়াকে ফেলসিপেরাম, ভাইভ্যাক্স, ওভেল ও ম্যালেরি হিসেবে ভাগ করা যায৷আবার রোগের লক্ষণের ধরন অনুসারে ম্যালেরিয়াকে সাধারণ/ জটিলতাবিহীন ম্যালেরিয়া ও মারাত্মক ম্যালেরিয়া হিসাবেও চিহ্নিত করা যায়৷বাংলাদেশের বেশির ভাগ ম্যালেরিয়া ফেলসিপেরাম ধরনের৷ ভাইভেক্স ম্যালেরিয়াও রয়েছে৷ পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী তেরটি জেলা ম্যালেরিয়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত৷ এর মধ্যে প্রায় ঌ৫ ভাগ ম্যালেরিয়া হয়ে থাকে তিন পার্বত্য জেলা (রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) এবং কক্সবাজারে৷

ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ
রোগের লক্ষণের ধরন অনুসারে ম্যালেরিয়াকে সাধারণ/ জটিলতাবিহীন ম্যালেরিয়া ও মারাত্মক ম্যালেরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা যায়৷

সাধারণ/ জটিলতাবিহীন ম্যালেরিয়ার লক্ষণ : ম্যালেরিয়া জ্বর থেকে থেকে নির্দিষ্ট সময়ে আসে৷ শীত করে, কঁাপুনি দেয়৷ গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা হয়৷ এছাড়া হজমের গোলযোগ দেখা যায়৷ শরীর দুর্বল অনুভূত হয়৷ ক্লান্তি লাগে৷ এ সময়ে খিদে কমে যায়৷ তাই এ সময় রোগীকে হালকা ধরনের খাদ্যই দিতে হয়৷ বিশেষ করে তরল খাদ্য৷ শক্ত বা গুরুপাক খাদ্য বর্জন করা উচিত৷

মারাত্মক ম্যালেরিয়ার লক্ষণ
 ম্যালেরিয়া রোগের জটিল ধরন হলো মারাত্মক ম্যালেরিয়া৷ জরুরি চিকিত্‌সা না পেলে এসব রোগীর মৃতু্য হতে পারে৷ সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া (মারাত্মক ম্যালেরিয়া) রক্তশূণ্যতা, কিডনি বৈকল্য, শ্বাসকষ্ট হওয়া, জন্ডিস, খিঁচুনি, রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়৷ এক্ষেত্রে রোগী নিজে বসতে দঁাড়াতে কিংবা হঁাটতে পারে না, বারবার বমি হয়৷ রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, এমন কি মৃতু্যও হতে পারে৷

ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয়
জটিলতাবিহীন ফেলসিপেরাম ম্যালেরিয়ায় জ্বর ছাড়া তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না৷ ম্যালেরিয়া উপদ্রুত এলাকায় কোনো রোগীর জ্বর থাকলে কিংবা জ্বরের ইতিহাস ছাড়া অন্য কোনো লক্ষণ না থাকলে তাকে ম্যালেরিয়ার চিকিত্‌সা শুরুর আগে রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা যায়৷

ম্যালেরিয়া রোগের চিকিত্‌সা
সাধারণ/ জটিলতাবিহীন ম্যালেরিয়া চিকিত্‌সায় আগে মুখে খাওয়ার ঔষুধ ক্লোরোকুইন ব্যবহার করা হতো৷ ক্রমে এর কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় বর্তমানে অন্যান্য বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয়৷ যার মধ্যে বাংলাদেশে কো-আর্টেম ব্যবহার করার নিয়ম সম্প্রতি চালু হয়েছে৷যদিও ভাইভেক্স ম্যালেরিয়ায় এখনো ক্লোরোকুইন কার্যকর ঔষুধ হিসেবে বাংলাদেশে স্বীকৃত৷সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া (মারাত্নক ম্যালেরিয়া)-র রোগীকে মুখে খাওয়ার ঔষধ দিয়ে চিকিত্‌সা করানো সম্ভব নয়৷ ফলে এদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিত্‌সা দেওয়া হয়৷ এখনো কুইনাইন ইনজেকশন স্যালাইনের মাধ্যমে প্রদান করাই হচ্ছে মারাত্মক ম্যালেরিয়ার মূল চিকিত্‌সা৷ এ ধরনের রোগীর প্রয়োজনীয় নার্সিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ

    * ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের পদ্ধতিগুলো হচ্ছে কীটনাশকে ডুবানো মশারি ব্যবহার করা এবং মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার বিভিন্ন উপায় গ্রহন করা৷ মশার বংশবৃদ্ধি রোধে বিভিন্নমুখী সমন্বিত পদ্ধতি ব্যবহার করা৷ যেমন -
    * বাড়ির বাইরে গাছের টব ও জলাধারগুলো শুকনো, পানিশূন্য রাখতে হবে৷ যেসব জিনিসে বৃষ্টির পানি জমা হয়, যেমন- পুরনো টায়ার, ডাবের খোসা ইত্যাদি বাসার আশেপাশে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন৷
    * টবে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন৷
    * ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যেন পানি  জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন৷
    * ফুলদানিতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন৷
    * জনস্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে স্থির জলাধার, জলাবদ্ধ এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার করে সে ব্যাপারে পাড়ার সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে৷

মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে -

    * জানালা-দরজায় নেট এবং খাটে মশারি ব্যবহার করুন৷
    * মশা তাড়াবার জন্য মশার কয়েল, ভেপর ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন৷

সর্বোপরি দ্রুত রোগ নির্ণয় করে কার্যকর চিকিত্‌সা দেওয়া৷ ম্যালেরিয়া জটিল হয়ে ওঠার আগেই লক্ষণ দেখা মাত্র হাসাপাতালে নিয়ে আসতে হবে৷
 

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র :
Principle & Practice of Medicine by Davidson
দৈনিক প্রথম আলো
দেহের যত অসুখ বিসুখ - ডা. বরেন চক্রবর্তী
মাসিক রহস্যপত্রিকা - আপনার স্বাস্থ্য - ডা. মিজানুর
Title: Re: সংক্রামক ব্যাধি
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 12:51:56 PM
কালাজ্বর
কালাজ্বর কী
কালাজ্বর শব্দটি কালা এবং আজর এ দুটি শব্দ হিন্দি শব্দ থেকে এসেছে৷ কালামানে কালো আর আজরমানে ব্যাধি৷ তাই যে রোগে ভুগলে শরীর কালো হয়ে যায় তাকেই কালাজ্বর বলা হয়৷ কালাজ্বরের বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা অবশ্য অন্যরকম৷ লিসমা্যনিয়া ডনোভানি নামক এক ধরনের পরজীবীর সংক্রমণে যে জ্বর হয় এবং যাতে প্লীহা ও যকৃত বেড়ে যায়, শরীরের রক্তকণিকাগুলো কমে গিয়ে রক্তস্বল্পতার সৃষ্টি করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় চিকিত্‌সাশাস্ত্রে তাকে ভিসেরাল লিসমেনিয়াসিস বলা হয়৷ একেই কালাজ্বর বলা হয়ে থাকে৷ অতি ক্ষুদ্র বালুমাছি (sand fly) কামড়ালে রোগীর শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে এই রোগ ছড়ায়৷ পৃথিবীর সব দেশেই কালাজ্বর কম বেশি আছে৷
বাংলাদেশে কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব
বাংলাদেশে প্রায় সব জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে কালাজ্বরের সন্ধান পাওয়া গেলেও সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগঁাও জেলার বিভিন্ন স্থানে এ রোগ বেশি দেখা যায়৷
কালাজ্বরের লক্ষণ
·        দেখা গেছে অধিকাংশ কালাজ্বর রোগীই গরিব দরিদ্র৷
·        জ্বর - প্রথমে অল্প জ্বর থাকতে পারে আবার কোনো কোনো সময় অনেক বেশি জ্বরের সাথে কঁাপুনি থাকতে পারে৷
·        প্রথমবারের জ্বর নিজ থেকেই ভালো হয়ে যেতে পারে৷ কয়েক সপ্তাহ পর বারবার জ্বরে ভোগার পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ে৷
·       কিছুদিন রোগে ভোগার পর ধীরে ধীরে রোগীর পেটের বাম দিকে প্লীহা এবং ডান দিকের লিভার বাড়তে শুরু করে৷
·        রক্তশূন্যতা দেখা দেয়৷
·        শরীরের চামড়া কালচে হয়ে আসে৷
·        প্রচণ্ড জ্বর থাকা সত্ত্বেও রোগীর খাওয়ায় অরুচি দেখা দেয় কমই এবং রোগী অনেক বেশিই খেতে পারে৷ ফলে এরা সহজেই দুর্বল হয়ে পরে না৷ তাই রোগীরা অনেকেই প্রথমে চিকিত্‌সকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন মনে করে না৷ ফলে জটিলতা নিয়ে কালাজ্বর রোগীরা চিকিত্‌সার জন্য আসে৷
কালাজ্বর নির্ণয়
অন্যান্য জ্বরের সঙ্গে কালাজ্বরের সাদৃশ্য আছে৷ তাই প্রথম প্রথম রোগ নির্ণয় করা অনেক সময় কষ্টকর হয়৷ রোগীর রক্ত পরীক্ষা এবং অস্থিমজ্জা বা প্লীহা মজ্জা পরীক্ষা করে সাধারণত কালাজ্বর নির্ণয় করা হয়৷

কালাজ্বরের চিকিত্‌সা
রোগ নির্ণয় হয়ে গেলেস্টিবাটিন জাতীয় ওষুধ সঠিক মাত্রয় প্রয়োগ করলে অধিকাংশ রোগীই ভালো হয়ে যায়৷ সমস্যা হচ্ছে স্টিবাটিন ওষুধটিরও অনেক সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়৷ স্টিবাটিন ইনজেকশন শুরু করার পর কিছু কিছু রোগীর রক্তপাত শুরু হয়৷ এ অবস্থায় বিকল্প ওষুধের প্রয়োজন পরে৷ তবে চিকিত্‌সা না করা হলে কয়েক বছরের মধ্যে অধিকাংশ কালাজ্বরের রোগী মারা যায়৷
কালাজ্বর প্রতিরোধ
§         উপদ্রুত এলাকায় রোগী খঁুজে বের করে তার চিকিত্‌সার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং চিকিত্‌সা-পরবর্তী অবস্থার খেঁাজ রাখতে হবে৷
§         রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্‌সার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের বাহক স্যান্ড ফ্লাই বা বালু মাছি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে৷ কীটনাশক ঔষধ যেমন- ডিডিটি ছিটিয়ে বালুমাছি মারার ব্যবস্থা করতে হবে৷
§         বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে ফেলতে হবে৷ যেহেতু গোয়ালঘরেই বালুমাছি বেশি পাওয়া যায় তাই গোয়ালঘর পরিষ্কার করে আবর্জনা নিয়মিত নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে৷

ইঁদুরের গর্ত বালুমাছির জণ্ম ও বিশ্রামের অন্যতম স্থান৷ তাই ই্ঁদুরের গর্ত ভরাট করে ফেলতে হবে৷ উল্লেখ্য, এখনো এই রোগের কোনো প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার হয়নি৷

 

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্য সূত্র:
Principle & Practice of Medicine by Davidson
মাসিক রহস্যপত্রিকা -আপনার স্বাস্থ্য -ডা. মিজানুর
Title: Re: সংক্রামক ব্যাধি
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 12:52:39 PM
টাইফয়েড জ্বর
টাইফয়েড রোগটির উপসর্গ হল জ্বর কিন্তু শরীরের যে অংশ আক্রান্ত হয় তা হল ক্ষুদ্রান্ত্র৷ ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রদাহের জন্যই টাইফয়েড হয়৷

কারণ
সালমোনেলা টাইফি নামের এক প্রকার জীবাণু দিয়ে এ রোগ হয় জীবাণুযুক্ত খাবারদাবার, মাছি বা অপরিষ্কার হাতের সাহায্যে এ রোগের জীবাণু পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে৷টাইফয়েড রোগের সুপ্তিকাল ১০ থেকে ১৫ দিন৷

লক্ষণ
প্রথম সপ্তাহে টাইফয়েড রোগের প্রধান উপসর্গ হল জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, জিহ্বার উপরিভাগে ময়লা জমা ইত্যাদি৷ দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা শুরু হয়৷ এ সময় প্লীহা বড় হয়ে যেতে পারে না৷ যদি ঠিকমতো চিকিত্‌সা না হয় তবে তৃতীয় অথবা চতুর্থ সপ্তাহে পরিপাকনালীতে নানা রকমের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে৷ জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষুদ্রান্ত্র ফুটো হয়ে যেতে পারে অথবা পরিপাকনালী থেকে রক্তপাত হতে পারে৷

পরীক্ষা-নিরীক্ষা
রক্ত পরীক্ষা করে টাইফয়েড রোগ নির্ণয় করা যায়৷ প্রথম সপ্তাহে ব্লাড কালচার অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ভিডাল টেস্ট বা পায়খানা কালচার করে এ রোগের জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়৷

চিকিত্‌সা
সাধারণত কোট্রাইমক্সাজল, সাইপ্রোফ্লক্সাসিন বা অফুক্সাসিন জাতীয় ওষুধ দিয়ে টাইফয়েডের চিকিত্‌সা করা হয়৷ রোগীর অবস্থা যদি খুব খারাপ হয় এবং তিনি যদি মুখে কিছু খেতে না পারেন তকে সাইপ্রোফ্লক্সাসিন ইনজেকশন অথবা ইনজেকশন সেফট্রিয়াক্সন দিলে রোগী ক্রমশ সুস্থ হয়ে যাবেন৷ রোগী মুখে খাওয়া শুরু করলেই ইনজেকশন বন্ধ করে মুখে ওষুধ খাওয়া শুরু করতে হবে৷ পুরো চিকিত্‌সা অর্থাত্‌ ইনজেকশন আর ট্যাবলেট মিলিয়ে চলবে ২ সপ্তাহ৷

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র :
Principle & Practice of Medicine by Davidson
দেহের যত অসুখ বিসুখ ডা. বরেন চক্রবর্তী
Title: Re: সংক্রামক ব্যাধি
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 12:53:30 PM
 চিকেন পক্স বা জলবসন্ত

জলবসন্ত ছোট-বড় সবাইকে আক্রমণ করে৷ এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় প্রায় একটানা এই অস্বস্তিকর অবস্থা থাকে৷ প্রথমে সামান্য জ্বর হতে পারে, এরপর ফোস্কা পড়ে, চুলকানি হয় এবং অবশেষে ফোস্কা থেকে শুকনো মরা চামড়া উঠে আসে৷ খুব কম ক্ষেত্রেই জলবসন্ত মারাত্মক রোগ হিসাবে দেখা দিতে পারে৷ এই অস্বস্তিকর রোগের ব্যাপারে একটা সান্ত্বনা রয়েছে, সেটা হলো-আপনার একবার জলবসন্ত হয়ে গেলে, সেটা সারা জীবনের জন্য বিদায় নেয়৷ কারো জলবসন্ত হলে আপনি নিচের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করুন-

১.ব্যথানাশক ওষুধ দিন
 যদি জ্বরের কারণে আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তা হলে প্যারাসিটামল খান৷ যদি আপনার শিশুর বয়স দুবছরের কম হয়, তা হলে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷

২.হালকা পোশাক পরুন
জলবসন্তে আক্রান্ত হবার পর রোগীর ত্বক যত বেশি ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন, রোগী তত কম অস্বস্তি বোধ করবে৷ রোগীকে এক গাদা কাপড় চোপড়ে না জড়িয়ে তাকে হালকা সুতির কাপড় কিংবা পায়জামা পরান৷ কারণ এটা ত্বকে কম জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে৷

৩.রোগীর শরীর ঠাণ্ডা করুন
রোগীর শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য একটা ঠাণ্ডা ভেজা কাপড় দিয়ে ত্বক মুছে দিতে পারেন কিংবা ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করাতে পারেন৷ এতে রোগী আরামবোধ করবে৷ তবে খেয়াল রাখবেন পানি যেন বেশি ঠাণ্ডা না হয়৷

৪.রোগীকে সজীব এবং পরিষ্কার রাখুন
জলবসন্তের রোগীকে প্রতিদিন গোসল করিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে৷ এটা তার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে৷ রাতে ঘুমানোর সময় রোগীর সারাদিন পরে থাকা জামাকাপড় পাল্টে তাকে পরিষ্কার কাপড় পরাতে হবে৷ পরিষ্কার পোশাক তাকে কেবল স্বস্তিই দেয় না, এটা তার সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে৷

৫.চুলকানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন
রোগীকে বুঝিয়ে বলুন সে যেন তার শরীর চুলকানোর চেষ্টা না করে, কারণ চুলকানোর ফলে তার সংক্রমণ হতে পারে এবং ত্বকে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে৷ কিন্তু রোগী প্রবল চুলকানিকে সব সময় পুরোপুরি উপেক্ষা করতে পারবে না, তাই তাকে একটা ঠাণ্ডা, ভেজা নরম কাপড় দিন, যাতে সে এটা দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষতে পারে৷ আর এটা তার ফোস্কা না ফাটিয়ে ত্বক অক্ষুণ্ন রাখতে সাহায্য করবে৷

৬.চুলকানি নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করুন
মুখে অ্যান্টিহিস্টামিন খাওয়ালে তা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে৷ কিন্তু যদি এতে চুলকানি না কমে,  অন্তত এটা আপনার রোগীকে ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করবে, যার ফলে সে কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারবে৷

৭.নখ ছোট করে কেটে দিন
আপনার শিশু জলবসন্তে আক্রান্ত হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার আঙুলের নখ ছোট করে কেটে দিন৷ এমন কি অসুখ সেরে যাবার পরও কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত তার নখ প্রতি সপ্তাহে দু�বার কেটে দেবেন৷ কারণ নখ বড় থাকলে সে নখ দিয়ে চুলকাবে এবং এতে চুলকানো স্থানে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ হতে পারে এবং স্থায়ীভাবে দাগ পড়ে যেতে পারে৷

 ৮.অ্যান্টিবায়োটিক সহকারে চিকিত্‌সা করুন
 যদি ত্বকে সংক্রমণের চিহ্ন দেখা দেয়, যেমন পক্সের চারপাশে লাল হওয়া কিংবা পক্সের মুখে পঁুজ হওয়া, তা হলে ওই স্থানে অ্যান্টিবায়োটিক মলম মেখে দিন৷ সংক্রমিত জলবসন্তের সংখ্যা যদি অনেক বেশি হয় তা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷

৯.রোগীকে সূর্যালোক থেকে দূরে রাখুন
যার জলবসন্ত হয়েছে কিংবা সম্প্রতি জলবসন্ত থেকে সেরে উঠেছে-এদের সবাইকে সূর্যালোকের ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে হবে৷ একবার জলবসন্ত হবার পর ত্বক প্রায় এক বছর পর্যন্ত অরক্ষিত থাকে, এবং সূর্যালোকে সহজে পুড়ে যায়৷ তাই সম্প্রতি জলবসন্ত থেকে সেরে উঠেছে এমন রোগী যখন ঘরের বাইরে সরাসরি রোদের মধ্যে যাবে তার সমস্ত শরীরে ভাল করে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে৷

কখন চিকিত্‌সকের শরণাপন্ন হবেন
খুব কম ক্ষেত্রে চিকেন পক্স ভাইরাস এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহ ঘটাতে পারে এবং এ অসুখ জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ৷ তাই আপনার রোগীর উপসর্গের ব্যাপারে কোনো রকম সন্দেহ হলেই চিকিত্‌সকের শরণাপন্ন হবেন৷ জলবসন্তে আক্রান্ত রোগীর যদি নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো থাকে তা হলেও সর্বদা চিকিত্‌সকের পরামর্শ নেবেন৷

§      যদি ক্ষত শুকিয়ে মরা চামড়া উঠে যাবার পরে রোগীর জ্বর দেখা দেয়৷

§       যদি প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা, বমি, কিংবা খিঁচুনি থাকে, কিংবা রোগী কাউকে চিনতে না পারে৷

§     যদি রোগী ঘাড় লম্বা বা সোজা করবার সময় ব্যথা পায়৷

এ ছাড়া যদি রোগীর ত্বকে বেশি পরিমাণ ক্ষত থাকে এবং ক্ষতগুলো অতিরিক্ত ফোলা, লাল বা ব্যথাপূর্ণ হয় তা হলে অবশ্যই চিকিত্‌সকের শরণাপন্ন হবেন, কারণ এগুলো সংক্রমিত হতে পারে৷ চিকিত্‌সক এগুলোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন৷
 

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র :
Principle & Practice of Medicine by Davidson
মাসিক রহস্যপত্রিকা - আপনার স্বাস্থ্য - ডা. মিজানুর -
Title: Re: সংক্রামক ব্যাধি
Post by: Sultan Mahmud Sujon on October 22, 2011, 12:54:16 PM
ফাইলেরিয়া

ফাইলেরিয়া হচ্ছে শরীরের লসিকা গ্রন্থির এক ধরনের রোগ যা এক ধরনের কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়৷ ফাইলেরিয়া হলে হাত পা মোটা হয়ে ফুলে যায়৷

কীভাবে ছাড়ায়

কিউলেক্স মশার কামড়ে আক্রান্ত ব্যাক্তির দেহ থেকে ফাইলেরিয়ার শিশু-কৃমি মানুষের দেহে প্রবেশ করে এবং ৩ মাস পরে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়৷ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর, লালমণিরহাট, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলাগুলিতে এই রোগ দেখা যায়৷

লক্ষণ

    *      প্রথমিক পর্যায়ে
    *     তীব্র এবং ঘন ঘন কঁাপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং এমনিতেই সেরে যায়৷
    *     লসিকা গ্রন্থি ব্যথা, লাল এবং লসিকা নালী ফুলে যায়৷ কুচকির কাছের লসিকা গ্রন্থির নালী বেশি আক্রান্ত হয়৷
    *     অণ্ডকোষ ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়৷ মারাত্মক পর্যায়ে
    *     শরীরের যে সকল জায়গা আক্রান্ত হয় সে সকল স্থান ফুলে যায় এবং মোটা হতে থাকে৷ আক্রান্ত জায়গাগুলো শক্ত হয়ে যায়, চাপ দিলে বসে যায় না৷ হঁাটুর নিচের অংশে বেশি দেখা যায়৷
    *     লসিকা গ্রন্থি ফেটে যাওয়ার কারণে দুধের মতো সাদা লসিকা রস প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়৷
    *     অণ্ডকোষের মধ্যে পানি জমে যায়৷
    *     অণ্ডকোষে প্রদাহ হয়৷

চিকিত্সা
লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্‌সকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷

 

প্রতিরোধ

    *     সবাইকে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে৷
    *     বাড়ির আশপাশের যে সকল জায়গায় ময়লা পানি জমতে পারে সে সকল জায়গা ভরাট করে ফেলতে হবে৷
    *     বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে হবে যাতে মশা বসবাস করতে না পারে৷
    *     নিয়মিত কীটনাশক ছড়িয়ে বাড়ির আশপাশ মশামুক্ত রাখতে হবে৷
       

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র -
ড্রাগ ডিরেক্টরি
 

{mospagebreak title=ডেঙ্গু }

ডেঙ্গু

ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগ৷ এটা এডিস মশা দ্বারা ডেঙ্গু রোগীর থেকে সুস্থ মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়৷ এডিস মশা দেখতে গাঢ় নীলাভ কালো রঙের, মশার সমস্ত শরীরে আছে সাদা সাদা ডোরা কাটা দাগ৷ এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়৷ বেশির ভাগ ডেঙ্গু হয় বর্ষার সময়৷ এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশের পর ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়৷

ডেঙ্গু সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে -
(১) ক্লাসিক্যাল জ্বর এবং
(২) হেমোরেজিক জ্বর৷

ক্লাসিক্যাল জ্বর
লক্ষণ

·     তীব্র জ্বরের সঙ্গে কঁাপুনি, জ্বর ১০৩ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট উঠতে পারে৷

·        মাথাব্যথা

·        মাংসপেশি এবং গিঁটে প্রচণ্ড ব্যথা

·        গলাব্যথা

·        খাওয়ায় অরুচি

·        বমিবমি ভাব বা বমি হওয়া

·       জ্বর শুরু হওয়ার তিন চার দিন পর ত্বকে র্যাশ (লাল লাল ফুসকুড়ি) বের হয় ৷

হেমোরেজিক জ্বর
এটি ডেঙ্গুর মারাত্মক অবস্থা৷ এ ক্ষেত্রে রোগীর ত্বকের নিচে রক্ত জমাট বাধে এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন পাকস্থলী ও অন্ত্রে রক্তক্ষরণ ঘটে৷ এ অবস্থায় রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে৷

লক্ষণ

    *      জ্বর ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে৷
    *     তীব্র জ্বরের সঙ্গে কঁাপুনি
    *     মাথাব্যথা
    *     মাংসপেশি এবং গিঁটে প্রচণ্ড ব্যথা
    *     গলাব্যথা
    *     খাওয়ায় অরুচি
    *     রক্ত বমি
    *     ত্বকে র্যাশ (লাল লাল ফুসকুড়ি) বের হয়
    *     নাক দিয়ে রক্ত পড়া
    *     মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া
    *     পায়খানার সঙ্গে রক্তপড়া
    *     প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপড়া
    *     শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে
    *     রক্তের চাপ কমে যায়
    *     লসিকা গ্রন্থি ফুলে যায়
    *     চোখ লাল হয়ে যায়
    *     নাড়ীর গতি বেড়ে যায়
    *     রোগীর হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়
    *     পেটে তীব্র ব্যথা হয়
    *     রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে

ডেঙ্গু থেকে কী জটিলতা হতে পারে

    *     নিউমোনিয়া
    *     অস্থিমজ্জার স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত হওয়া
    *     চোখের প্রদাহ
    *     অণ্ডকোষের প্রদাহ
    *     ডিম্বাশয়ের প্রদাহ
    *     শক
    *     রক্তপাত
    *     রক্তশূন্যতা

প্রতিকার
রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী চিকিত্‌সা করতে হবে৷ রোগীকে বিশ্রামে থাকতে হবে৷ প্রচুর তরল খাবার খেতে দিতে হবে৷ ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনে ভালো হয়ে যায়৷ হেমোরেজিক ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে৷ ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগীকে মশারীর মধ্যে রাখতে হবে৷

প্রতিরোধ
১. মশার বংশবিস্তারের স্থানগুলো নির্মূল করবেন কীভাবে

    *     বাড়ির বাইরে গাছের টব ও জলাধারগুলো শুকনো, পানিশূন্য রাখতে হবে৷ যেসব জিনিসে বৃষ্টি বা বৃষ্টির পানি জমা হয়, যেমন- পুরনো টায়ার, ডাবের খোসা ইত্যাদি বাসার আশে পাশে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন৷
    *     টবে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন
    *     ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যেন পানি  জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন
    *     ফুলদানিতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন

জনস্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে স্থির জলাধার, জলাবদ্ধ এলাকা পরিস্কার করে, নির্মাণস্থলে বা বর্জ্য পানি ট্রিটমেন্টের স্থানে স্থির জল সরিয়ে যাতে পাড়ার লোকের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা দেন এজন্য সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে৷

২. নিজেকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করবেন কীভাবে

    *     জানালা-দরজায় নেট এবং খাটে মশারি ব্যবহার করুন৷
    *     দিনের বেলা মশা তাড়াবার ক্রিম, মশার কয়েল, ভেপর ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন৷

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র -
অসুখ বিসুখ দূরে রাখুন, ডা. মিজানুর রহমান
ইন্টারনেট
অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরীর কলাম থেকে