Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Food Habit => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on July 10, 2018, 10:50:54 AM

Title: কাঁঠাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
Post by: Mrs.Anjuara Khanom on July 10, 2018, 10:50:54 AM
কাঁঠাল সুস্বাদু, মিষ্টি, বিরাট আকৃতির গ্রীষ্মকালীন ফল। কাঁঠাল পাকা ও কাচা খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠালের তরকারিকে এঁচোড় বলে। এঁচোড় খেলে খাওয়ার রুচি বাড়ে। পাকা কাঁঠালের বিচি পুড়িয়ে বা তরকারি করে খাওয়া যায়। পেটের সমস্যা দূর হয়। এর বিচি পুড়িয়ে খেলে আমাশয় বা পাতলা পায়খানা দ্রুত সেরে যায়। তবে বেশি খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে।
মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং শিশুর বেড়ে উঠার জন্য ভিটামিন এ ও সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ইত্যাদি সবই আছে এই ফলে। গর্ভবতীদের জন্যও কাঁঠাল উপকারী। কাঁঠাল খেলে গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। স্তন্যদানের মা পরিমাণমতো পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বাড়ে। পাঁচ মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো কাঁঠালের রস খাওয়ালে বাচ্চার ক্ষুধা নিবারণ হয়। পূরণ হয় তার স্বাভাবিক পুষ্টির চাহিদাও।
ভিটামিন সি ও এ থাকায় কাঁঠাল চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ চোখের পুষ্টি জোগায়, অন্ধত্বজনিত সমস্যা দূর করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ক্ষতিকারক রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না। ক্ষত ও দেহের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকায় ভিটামিন সি। প্রখর রোদের জন্য গরমে যে সর্দি, কাশি, হাঁচি প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয় তা দূর করে ভিটামিন সি। কাঁঠালের বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ল্যাভিনয়েড নামের উপাদান, স্তন, প্রোস্টেট, পাকস্থলী ও ফুসফুসের ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করে। এটি অাঁশ জাতীয় ফল বিধায় তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে ক্ষতিকর চর্বি জমাতে বাধার সৃষ্টি করে। এর পটাশিয়াম দেহের কোষগুলোর বৃদ্ধি বা বর্ধনে সাহায্য করে। শরীরে রক্ত তৈরি করে এর আয়রন বা লৌহ। বেরিবেরি রোগ, পেটের সমস্যা দূর করে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এর ক্যালসিয়াম দেহের হাড় ও দাঁতের পুষ্টি জোগায়। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের সরবরাহ নিশ্চিত করে এর জিংক। আর দেহের অম্ল ও ক্ষারের সাম্যাবস্থা বজায় রাখে ম্যাগনেশিয়াম ও সোডিয়াম। ডায়াবেটিসের রোগীরাও কাঁঠাল পরিমাণমতো খেতে পারেন।

বিডি-প্রতিদিন/