Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Sports Zone => Cricket => Topic started by: Anuz on September 16, 2018, 09:49:06 AM
-
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তামিম ইকবাল রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার পরই মাঠে নামেন মুশফিকুর রহীম। অর্থাৎ, বাংলাদেশের ইনিংসের সূচনা তখন। স্কোরবোর্ডে ২ রান যোগ না হতেই ৩ জন ব্যাটসম্যান নেই। ওই সময় প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের একটি ধৈর্যশীল জুটির। লাসিথ মালিঙ্গা যেভাবে আগুন ঝরাচ্ছিলেন, সঙ্গে সুরাঙ্গা লাকমাল কিংবা থিসারা পেরেরারা যেভাবে নিখুঁত লাইন-লেন্থে বোলিং করছিলেন, তাতে ধৈর্যশীল জুটি স্বপ্নছাড়া আর কিছুই নয়। এমন সময়ই মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। যেন খাঁটি একজন কান্ডারি। শক্তিশালী স্নায়ুর অধিকারী একজন নাবিক। যিনি সব ঝড়-ঝঞ্জার মাঠেও শক্ত হাতে হাল ধরে রেখেছিলেন। দলের তরীকে সঠিকভাবে তিরে পৌঁছে দেয়ার যে গুরু দায়িত্ব মুশফিক নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন, সেটার একটা সুন্দর পরিসমাপ্তি তো প্রয়োজন।
মিঠুনের সঙ্গে ১৩১ রানের অনবদ্য এবং অসাধারণ এক জুটি গড়লেও সেই মালিঙ্গার তোপেই তাদের জুটিতে ভাঙন ধরে। মালিঙ্গার তোপে টিকতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার আগে আমিলা আলফোনসোর ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই উইকেট হারিয়েছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মেহেদী হাসান মিরাজ আর মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে ছোট ছোট দুটি জুটি গড়েন। লঙ্কান বোলারদের তোপের মুখে ১৫ রান করে মিরাজ এবং ১১ রান করে বিদায় নেন মাশরাফিও। রুবেল হোসেনের ২ রানের ইনিংস মুশফিককে একটু শঙ্কায় ঠেলে দেয়। ইনিংসটাকে তিন অংকে নিতে পারবেন কি না সে চিন্তায় ব্যস্ত তখন সমর্থকরাও। শেষ ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে অবশেষে তিন অঙ্কে পৌঁছালেন মুশফিক। ৪৪তম ওভারের তৃতীয় বলে সুরঙ্গা লাকমালকে বাউন্ডারি মেরেই ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন মুশফিক। সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেল পুরো বাংলাদেশ শিবির। এমনকি কোর্টনি ওয়ালশ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে মুশফিকের এই সেঞ্চুরিকে অভিনন্দন জানালেন। ১২৩ বলে ৭টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে দুর্দান্ত এই সেঞ্চুরিটি করেন মুশফিক। এশিয়া কাপে এ নিয়ে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এলো মুশফিকের ব্যাট থেকে। আর এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি হলো ৫টি।
-
:) :) :)