Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Mousumi Rahaman on October 02, 2018, 10:01:15 AM
-
দুই ধরনের রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে। কখনো কখনো রিস্ক ফ্যাক্টর প্রতিরোধ করা যায়-যেমন: ধূমপান বর্জন করে, মদ্যপান না করে, শাকসবজি বেশি বেশি খেয়ে, চর্বি পরিহার করে হৃদ্রোগের কিছু রিস্ক কমানো যায়। কিন্তু যদি কারও পরিবারে হৃদ্রোগের ইতিহাস ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে, সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হার্ট সজীব ও শক্তিশালী করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন: স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের জাঙ্ক ফুড খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। হৃদরোগ প্রতিরোধে কায়িক পরিশ্রম, হাঁটাহাঁটি, সাঁতার, সাইকেল চালানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান না করা এবং ছন্দোবদ্ধ জীবনযাপনের মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো ও প্রতিরোধ সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাক একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, যেখানে জীবন ও মৃত্যু খুব কাছাকাছি চলে আসে। কোনো ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সাধারণত ECG, ECHO, রক্তের পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায়, রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার প্রথম ধাপ হলো এসপিরিন গ্রুপের ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়ে রক্ত পাতলা করা। এরপর প্রয়োজনীয় আধুনিক চিকিৎসা যেমন- Primary Angioplasty করে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণ করা। যদি রোগীর Cardiac Arrhythmia বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন হয়, তবে এই অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যা মোটেও অবহেলা করা যাবে না। কেননা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের ফলে আবার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ৪৮-৭২ ঘণ্টা অনবরত ECG মনিটরিং করে দেখতে হবে, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যা আছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সর্বোপরি হার্ট অ্যাটাকের পর ২-৩ দিন রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। অবস্থা স্থিতিশীল হলে চিকিৎসকদের দায়িত্ব, রোগীকে কাউন্সেলিং করে খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা ও পরবর্তী চিকিৎসা যেমন- Angiogram কখন করাবে ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করা।
হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়
হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা ব্যয়বহুল অর্থাৎ Coronary Angiogam করে কখনো কখনো রিং পরানো বা বাইপাস সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে, যার ব্যয়ভার সবার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধই উত্তম। এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, যাতে হৃদরোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। এ বছর ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’-এর প্রতিপাদ্য বিষয়: My Heart, Your Heart। ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য হলো অসংক্রামক ব্যাধিজনিত মৃত্যুর হার হ্রাস করা এবং অল্প বয়সে হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। তাই বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে হৃদরোগ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করে তোলা এবং আমার, আপনার হার্টের সুস্থতা ধরে রাখা। কেননা, হার্টের প্রতিটি স্পন্দনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: অধ্যাপক, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাসচিব, অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিসিয়ান্স অব বাংলাদেশ
-
Thanks for sharing.
-
Well Write up. thanks... :)
-
:)
-
:)