Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: protima.ns on November 19, 2018, 01:53:32 PM

Title: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: protima.ns on November 19, 2018, 01:53:32 PM
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে – কোলেস্টেরল দেহের ভেতরে তৈরি হওয়া মোমের মত এক ধরনের চর্বি। এটি বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। এটি কয়েক ধরনের হয়ে থাকে ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টরল। এর মধ্যে একটা হলো উপকারি। আর তিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই কোলেস্টেরল জমা হয় রক্তনালিতে। জমা হতে হতে রক্তনালির স্বাভাবিক যে রক্তস্রোত তা বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কম পরিশ্রমের জীবন যাপন, ধূমপান, মদ্যপান, জর্দা সেবন, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি আর কিছু ওষুধ যেমন স্টেরয়েড, হাইড্রোকোথায়াজাইড ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দেহের জন্য উপকারি কোলেস্টেরল হলো এইচডিএল। কারো ওজন বাড়তে থাকেলে এটি কমতে থাকে। অথবা যদি ডায়াবেটিস হয়।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? আপনি হঠাৎ শুনলেন, পাশের বাসার ভদ্রলোকের টেলিভিশন দেখার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা শুরু হলো। ব্যথার তীব্রতা বাড়ায় অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হলো। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই তিনি অসাড় হয়ে পড়লেন। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানালেন, কিছুক্ষণ আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। একে বলা হয় ‘সাডেন ডেথ’। সুস্থ-সবল একজন মানুষ আগাম কোনো অসুখের পূর্বাভাস না দিয়েও হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, কেন এমন হয়? রক্তনালির (ধমনি) ভেতরে কোলেস্টেরল বা লিপিড (বিশেষ করে এলডিএল, ট্রাইগ্লিসারাইড) জমা হয়ে ধমনির মুখ সরু করে দেয়। সরু মুখে হঠাৎ রক্তের কিছু উপাদান পিণ্ডাকারে জমা হলে রক্তনালি (ধমনি) তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ধমনি হঠাৎ বন্ধ হলে হার্ট অ্যাটাক হয়। আর মস্তিষ্কের রক্তনালি হঠাৎ বন্ধ হলে ব্রেন স্ট্রোক হয়।

উচ্চ কোলেস্টেরলের কোনো আগাম উপসর্গ হয় না। তাই ২০ বছর বয়সের পর থেকে পাঁচ বছরে কমপক্ষে একবার সব মানুষের কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা দরকার। তবে বয়স ৪০ পার হলে বছরে দুবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা ভালো। কোলেস্টেরল পরীক্ষার জন্য ৯-১২ ঘণ্টা কোনো কিছু না খেয়ে থাকতে হয়। তাই সকালে নাশতার আগে কোলেস্টেরল পরীক্ষার জন্য রক্ত দেওয়াই উচিত। একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ‘রিস্ক স্কোর’ মেপে পরবর্তী ১০ বছরে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কতটুকু, তা জানাতে পারবেন। তাহলে কীভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাক কিংবা ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়? আসুন জেনে নিই থেরাপিউটিক লাইফ স্টাইল প্রোগ্রামের মাধ্যমে (এলডিএল, ট্রাইগ্লিসারাইড) কোলেস্টেরল কমানোর কর্মসূচি।

আপনাকে হৃদ্স্বাস্থ্য-উপযোগী খাদ্য খেতে হবে। ত্যাগ করুন আয়েশি জীবন। সম্পৃক্ত চর্বি মোট ক্যালরির ৭ শতাংশের কম নিতে হবে। দৈনিক ২০০ গ্রামের নিচে নিতে হবে কোলেস্টেরল। ফাস্ট ফুড, ট্রান্স ফ্যাট পরিহার করতে হবে। ভাতের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বেশি খিদে লাগলে সেদ্ধ সবজি খাবেন। টেলিভিশন দেখতে দেখতে খাওয়া বন্ধ করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস পানি খান।। মাংস খাবেন চর্বি ছাড়া। গরু ও ছাগলের মাংস, মেজবানি খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিন। দৈনিক তিন থেকে পাঁচবার সালাদ ও ফল খান। আইসক্রিমের বদলে শরবত খান। কেক বা ডোনাটের বদলে মাফিন খান। খাবারে দ্রবণীয় ফাইবার গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিন।

কোলেস্টেরল কমাবেন কীভাবে? চিকিৎসকেরা প্রায়ই বলেন, ‘আপনার রক্তে কোলেস্টেরল বেশি। সাবধানে খাওয়াদাওয়া করবেন।’ এই কোলেস্টেরল নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। এটা কি আমাদের কোনো কাজেই আসে না? সব কোলেস্টেরলই কি খারাপ? আর এটা বেশি হলে জীবনযাত্রাই-বা কেমন হওয়া উচিত?

চর্বি আমাদের দেহে মূলত কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড—এই দুই রূপে থাকে। ট্রাইগ্লিসারাইড শক্তি উৎপাদন করে। কোলেস্টেরল হরমোন তৈরি, কোষের দেয়াল প্রস্তুতি, স্নায়ুর কার্যক্রমসহ নানা রকমের শারীরবৃত্তীয় কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই চর্বিমাত্রই খারাপ নয়, এর কাজ আছে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত চর্বি খারাপ। খারাপ চর্বি হলো প্রধানত এলডিএল, যা রক্তনালিতে জমা হয়ে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের সৃষ্টি করে। আবার এইচডিএল হলো ভালো চর্বি, যা বেশি থাকা হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো। রক্তে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল ও এইচডিএলের মাত্রা নির্ধারিত পরিমাপের বেশি হয়ে গেলে তা নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই রোগীকে শরীরের চর্বি কমাতে উপদেশ দেওয়া হয়। রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে জীবনযাত্রায় আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। কেবল তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া কমালেই হবে না। আমিষ বা প্রোটিন, শর্করা ও চর্বি—সব উপাদানই শেষ পর্যন্ত রূপান্তরিত হয়ে শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হতে পারে। তাই মোট ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমাতে হবে, বিশেষ করে অতিরিক্ত শর্করা বা চিনি।

চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় যে চর্বি সলিড বা কঠিন অবস্থায় থাকে, যেমন: গরু-খাসির মাংসের সঙ্গে লেগে থাকা চর্বি, ঘি, মাখন, ডালডা, মার্জারিন, ক্রিম ইত্যাদি খারাপ চর্বি। খাবার রান্নায় তেল কম ব্যবহার করুন। বারবার একই তেলে ভাজাভুজি করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অতি তাপমাত্রায় এই তেল পরিবর্তিত হয়ে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়। তাই অনেক ফাস্ট ফুড, বেকারির খাবারও ক্ষতিকর।

ভোজ্যতেলের মধ্যে ক্যানোলা তেল সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। এ ছাড়া ভালো সানফ্লাওয়ার, অলিভ অয়েল ও তারপর সয়াবিন। শরীরের ওজন কমান। কায়িক শ্রম করুন, যেন ক্যালরি পোড়ে। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ধূমপান নিষেধ। হৃদ্রোগের ঝুঁকি আছে মনে করলে চিকিৎসক আপনাকে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ দিতে পারেন। সেটা নির্দেশনা অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ৪ সুপারফুডঃ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চান? তবে খাদ্যতালিকায় কিছু রদবদল করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভালো খাবার সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিছু ব্যায়াম ও খাবারের নিয়মকানুন মেনে চললে সুস্থ থাকার কৌশল রপ্ত করে ফেলতে পারবেন। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এমন এ রকম কিছু সুপারফুড রয়েছে। জেনে নিন সেই খাবারগুলোর কথা:

অলিভ অয়েলঃ হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় দৈনিক খাবারের তালিকায় অলিভ অয়েল যুক্ত করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে অলিভ অয়েলে। এতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। জলপাইয়ের তেল এবং জলপাইয়ের তৈরি খাদ্য অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেলে রয়েছে মনো-আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই। গবেষণায় দেখা গেছে, মনো-আনসেচুরেটেড ফ্যাটি এসিড দেহের খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলকে বাড়াতে সাহায্য করে।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে আছে জিরো ক্যালোরি। ফলে এটি ওজন কমায়।

রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ এই তেল ব্লাড সুগার বৃদ্ধি না করেই ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এই তেল আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে মস্তিষ্কের টিস্যুকে রক্ষা করে।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনলস। এটি সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও এই তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করে।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রয়েছে এমন এক ধরনের ফ্যাট যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং শরীরের ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে।

স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল।

বাদামঃ বাদাম কী কোলেস্টেরলে কমানোর কোন গোপন রহস্য। বেশ কয়েকটি জরিপে বেশি পরিমাণ বাদাম খাওয়া (দিনে ২/৩ বার) এবং ওজন কমে যাওয়ার মধ্যে একটি সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে। বেথ ইজরায়েল মেডিকেল সেন্টারের গবেষকরা ২০১০ সালে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ছোট একটি জরিপ পরিচালনা করেন। এতে দেখা যায় নাস্তার সময় কিছু আখরোট খেলে দুপুরের খাবার সময় পেট ভরাভরা লাগে, ফলে কম খাওয়া সম্ভব হয়। ক্যালরি কম খাওয়া হলে ওজন হ্রাসে সহায়তা হয়। বাদাম খেলে যেহেতু পেট ভরাভরা লাগে, তাই তো কম ক্যালরি খাওয়ার ব্যাপারে সহায়ক হবে। বাদামে থাকে পর্যাপ্ত চর্বি ও প্রোটিন এবং এর চর্বির প্রায় পুরোটাই অসম্পৃক্ত ধাঁচের অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর। এতে ভিটামিন বেশি না পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম সহ প্রয়োজনীয় আরো কিছু খনিজ এতে রয়েছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ যারা করেন, তারা ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদামের চর্বি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। বাদামে শর্করা সামান্যই আছে। ফলে বাদাম খেলে ওজন বাড়বে না এবং কোলেস্টেরল কমতে শুরু করবে।

মাছঃ মাছে-ভাতে বাঙালি বলা হয় আমাদের। প্রতি বেলাতেই খাবারে মাছ আমাদের চাই-ই চাই। এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে প্রচুর পরিমাণে মাছ খেতে হবে। কারণ, মাছে উচ্চমাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা রক্তচাপ কমায়। মাছ রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অন্তত সপ্তাহে একদিন মাছ খান তাদের স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা ১৩ শতাংশ কম, যারা মাছ একবারেই খান না তাদের তুলনায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা হৃদপিণ্ডের সুরক্ষা করে। চর্বি জাতীয় মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটের বিরাট উৎস। ওমেগা-৩ কার্ডিওভ্যাসকুলারের সুস্থ্যতার জন্য কাজ করে। তাছাড়া, বাত, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ এবং কিছু ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে। সাধারণত ঠাণ্ডা পানির মাছে বেশি ওমেগা-৩ থাকে। যেমন: সামুদ্রিক পোনা মাছ, হেরিং, স্যামন, ম্যাকেরল এবং ট্রাউট মাছ। তাই মাংসের বদলে মাছে পেট ভরান। মাছ কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সক্ষম। অধিকাংশ মাছেই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদান রক্ত থেকে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। আর যাঁরা একেবারেই মাছ খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ ক্যাপসুল খেতে পারেন।

ওটমিলঃ সকালের নাস্তাকে আরও স্বাস্থ্যকর অথচ সুস্বাদু করে তুলতে সবচাইতে সহজ সমাধান হলো ওটমিল। খুব সহজেই আর অনেক দ্রুত তৈরি করা যায় এই ওটস। ওটমিলে দ্রবণীয় আঁশ থাকে বলে তা লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনের (এলডিএল) ঝুঁকি কমায়। এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত। ওটমিল রক্তে কোলেস্টেরল শোষণ হওয়ার হার কমায়। বিশাল আকারের তথ্য নিয়ে বৈজ্ঞানিক পর্যালচনায় দেখা গেছে, ওটস খাবারে তৃপ্তি বাড়ায়, খাদ্যের গুণগতমান রক্ষা করে, হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করাসহ হৃদপিণ্ড সম্বন্ধীয় এবং সাধারণ বিপাকীয় ব্যবস্থা ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে ওটমিলের বেটা-গ্লুক্যান আঁশ খাবারে পরিতৃপ্তি থাকতে সাহায্য করে এবং উপকারী ‘গাট’ ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ২৯টি গবেষণা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে ওটস এবং ওটসের ভুসি অন্ত্রের কিছু রোগের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রদাহজনীত পেটের রোগ।

ওটস এবং ওটসের ভুসি এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি সম্বন্ধীয় সাম্প্রতিক এক আকর্ষণীয় গবেষণায় দেখা গেছে এটা সার্বিকভাবে কোলেস্টেরল কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। গবেষণায় বলা হয়, বিশেষভাবে উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত মানুষের উপর এই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ব্রিটেনের স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ আবেরডিনের গবেষণার প্রধান লেখক ফ্র্যাঙ্ক থিস বলেন, “সার্ভিং হিসেবে ৬০ গ্রাম ওটমিল খেলে উল্লেখযোগ্যভাবে কোলেস্টেরল কমাতে পারে।” গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখ করা যায়, খারাপ কোলেস্টেরল আনুমানিক ৪ থেকে ৬ শতাংশ কমার জন্য হৃদপিণ্ডের ধমনীর রোগের হার ৬ থেকে ১৮ শতাংশ কমিয়ে দেয়। সব ধরনের ওটস যেমন: ওটসের ভুসি, ওটমিল এবং ওট দিয়ে তৈরি যে কোনো খাবারই শরীরের জন্য উপকারী। ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে এই গবেষণা পর্যালচনার ফলাফল প্রকাশিত হয়।

ডিম রক্তে কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়ঃ ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে, তাতে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি থাকে। এত দিনের এ ধারণা আসলে সত্যি নয়। ডিম খেলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ততটা বৃদ্ধি পায় না। একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষ দৈনিক গড়ে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারে। আর একটি ডিমে রয়েছে মাত্র ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। সবচেয়ে বড় কথা, রক্তে কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয় ডিম। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে, ভালো রাখে চোখ ও হাড় ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। যেকোনো ব্যক্তি ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনো সমস্যা তো হবেই না, এমনকি কুসুমসহ সম্পূর্ণ ডিম খেলেও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি থাকে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে একটি ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর নয়। সকালের নাশতায় একটি ডিম কোলেস্টেরল প্রোফাইলের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না, যতটা প্রভাব ফেলে সকালের নাশতায় মিষ্টি বা চর্বি–জাতীয় খাবার থাকলে।

ডিমের মধ্যে যে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লোবিন, ফলেট ও ভিটামিন ডি রয়েছে, তা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেয়। এমনকি অনেক দিন সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার চেয়ে ডিম ভালো বিকল্প খাদ্য হতে পারে। অনেকে সাদা বা লালচে ডিম খাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। আসলে সব ধরনের ডিমের পুষ্টিগুণ একই রকম। তরুণেরা এবং যাঁরা বেশি কায়িক পরিশ্রম করেন, তাঁরা নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। এমনকি বয়স্ক ব্যক্তিরা সপ্তাহে কয়েকটি ডিম খেতে পারবেন। আর যাঁরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিত। [৪]

রান্নাঘরেই পাবেন রসুন: স্বাস্থ্যকর রসুনের গুণাগুণ অনেকের জানা। রসুনে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ ও অর্গানোসালফার যৌগ। এই যৌগ ঔষধি গুণ হিসেবে কাজ করে। বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে বাজে কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর রসুন। এটি রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর রসুন দৈনিক অর্ধেক বা এক কোয়া করে খেলে কোলস্টেরলের মাত্রা ৯ শতাংশ কমতে দেখা যায়।

সবুজ চায়ে আছে পলিফেনল: এটি মানুষের শরীরে দারুণ উপকার দেয়। এটি শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি আমাদের শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদ্‌রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের মেদ কোষে বেশি শর্করা ঢুকতে পারে না। ফলে এই চা আমাদের শরীরের ওজন ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ধনে: আমাদের দেহে এলডিএল নামক একধরনের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে, যা দেহের শিরা-উপশিরার দেয়ালে জমে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচলে সমস্যা বাড়ায়। এর কারণে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ধনে এই ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। আবার দেহের জন্য ভালো বা উপকারী একধরনের কোলেস্টেরল, এইচডিএলর মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে এই ধনে।

মেথি: মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটিই বলা চলে। স্বাদ তিতা ধরনের। এতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি ও তারুণ্য ধরে রাখার বিস্ময়কর এক ক্ষমতা। যাঁরা নিয়মিত মেথি খান, তাঁদের বুড়িয়ে যাওয়ার গতিটা অত্যন্ত ধীর হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে। বিশেষত কৃমি মরে। রক্তের চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। ডায়াবেটিসের রোগী থেকে শুরু করে হৃদ্‌রোগের রোগী পর্যন্ত সবাইকে তাঁদের খাবারে মেথি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আমলকী: টক আর তেতো স্বাদে ভরা আমলকী গুণে-মানে অতুলনীয়। ফলটি শুধু ভিটামিন আর খনিজ উপাদানেই ভরপুর নয়, বিভিন্ন রোগব্যাধি দূর করায়ও রয়েছে অসাধারণ গুণ। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি ঠেকাতে পারে। আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আমলকীর জুসের গুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, শরীরের সব ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে তা। নিয়মিত আমলকীর জুস খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় হৃদ্‌যন্ত্র ভালো থাকে।
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: nusratjahan on December 14, 2018, 11:11:47 AM
Thanks for sharing
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: Abdus Sattar on December 17, 2018, 11:17:53 AM
দরকারী তথ্য। ধন্যবাদ।
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: Raisa on December 17, 2018, 11:46:10 AM
 :) :)
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: Fatema Tuz - Zohora on January 07, 2019, 04:19:15 PM
Thanks for sharing
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: mosfiqur.ns on January 07, 2019, 05:50:28 PM
 8)
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: Masuma Parvin on January 07, 2019, 06:40:34 PM
Good to know.
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: Mousumi Rahaman on January 22, 2019, 03:35:19 PM
Olive oil is good for health. :)
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: Sharmin Jahan on March 27, 2019, 02:42:26 PM
Good to know.
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: rayhanul.bba on March 28, 2019, 01:19:41 AM
Thanks for sharing.
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: Sharmin Jahan on March 28, 2019, 02:46:42 PM
Thanks for Sharing.
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: mahbub010 on March 28, 2019, 03:27:51 PM
Madam, could you please make a brief summary?
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: shan_chydiu on March 29, 2019, 12:47:24 PM
helpful post
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: masud.ce@diu.edu.bd on March 29, 2019, 03:37:31 PM
Very effective
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: rayhanul.bba on March 30, 2019, 02:11:49 AM
Thanks for sharing.   
Title: Re: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? কোলেস্টেরল কমাবেন যেভাবে…
Post by: Shahrear.ns on March 31, 2019, 04:04:07 PM
informative and helpful post.