Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Islam & Science => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on November 15, 2011, 07:27:42 AM

Title: পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ বা কাবা শরীফের ভিত
Post by: Sultan Mahmud Sujon on November 15, 2011, 07:27:42 AM
(http://3.bp.blogspot.com/_6_YhBSaYlQQ/TQItGY30dWI/AAAAAAAAAAY/oSKEJarhRYc/s320/khana_Kaba_Makkah.jpg)

(http://3.bp.blogspot.com/_QfVWU-2pVL4/S8EdcURSunI/AAAAAAAANZ0/V1KVQ257qIM/s640/masjid-al-haram-in-makkah-saudi-arabia-kaba.jpg)

আল্লাহ্‌ কাবা শরীফ কে সম্মানিত ঘর ও মানুষকে টিকে থাকার কারন হিসাবে সৃষ্টি করেছেন ( সূরা মায়েদা ৯৭ ) অনেক মানুষ এর মনে চাই ঈশ একটি বার মহান আল্লাহ্‌ ঘর

কাবা শরিফের ইতিহাস

কাবা শরিফ মহান আল্লাহতালার এক অপূর্ব সৃষ্টি। প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলমান কাবাঘর তাওয়াফ করতে মক্কা গমন করেন। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতারা কাবাঘর নির্মাণ করেন। কাবাঘরকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা আল-ইমরানের ৯৬ আয়াতে বলেন, ‘নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের ইবাদত গা রূপে নিরূপিত হয়েছে, তা ওই ঘর যা মক্কাতে অবস্থিত। হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে, চতুর্থ আকাশে বা দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে আকরিক পাথর দ্বারা নির্মিত একটি মসজিদ রয়েছে যার নাম বাইতুল-ইজ্জত  যাকে বাইতুল মামুরও বলা হয়। এটি কাবা শরীফের বরাবরে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে ফেরেশতাদের ইবাদতগাহ। ফেরেশতারা এখানে আল্লাহ পাকের ইবাদতে মগ্ন থাকে। মুসলিম জাতির আদি পিতা হজরত আদম (আ.) ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ্ পাকের হুকুমে ফেরেশতারা বাইতুল মামুনের  নকশা পৃথিবীর মধ্যস্থলে ফেলে দেন। হজরত আদম (আ.)-এর ছেলে হজরত শীষ (আ.) ওই নকশার উপর ভিত্তি করে ওই স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এ মসজিদই আমাদের বাইতুল্লাহ  বা আল্লাহর ঘর। মক্কা শরীফের প্রসিদ্ধ স্থানসমূহ কাবা শরীফঃ কাবাঘর পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর। কাবা বা আল্লাহর ঘর, কাবা শরীফ পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থিত।

কাবা শরীফ বা আল্লাহর ঘরখানা বর্গাকৃতির।  কাবাঘরের উচ্চতা ৩৯ ফুট ৬ ইঞ্চি। এর পূর্ব দেওয়াল ৪৮ ফুট ৬ ইঞ্চি, পশ্চিম দেওয়াল ৪৬ ফুট ৫ ইঞ্চি, উত্তর দেওয়াল (হাতিমের পাশ) ৩৩ ফুট এবং দক্ষিণ দেওয়ালে (কালো পাথর কর্নার থেকে ইয়েমেনি কর্নার) ৩০ ফুট। (ইবরাহিমিক ফাউন্ডেশন) এ পবিত্র ঘরখানা মানব কল্যাণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আল্লাহর ঘর কাবা শরীফ সর্বোত্তম বরকতময় অর্থাৎ সব বরকতের আঁধার। এখানে আল্লাহ তাআলার অনেক প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী রয়েছে যেমন মাকামে ইবরাহিম, সাফা পাহাড়, মারওয়া পাহাড়, জমজম কূপ ইত্যাদি।                                                                     পবিত্র কাবা  ঘড়ের ভিতরের দৃশ্য ডা. মুজ্জামিল সিদ্দিকি, প্রেসিডেন্ট, ইসলামিক সোসাইটি, উত্তর আমেরিকা (আইএসএনএ) সৌভাগ্যক্রমে তিনি ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে এ পবিত্র ঘরখানার ভেতরে যাওয়ার সুযোগ পান। তিনি সাউন্ড ভিশনের সাক্ষাতকালে কাবাঘরের ভেতরের বর্ণনায় যা বলেন, তার কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হলো- ১. কাবা ঘরের ভেতরে কোনো ইলেকট্রিক লাইট নাই। ২. এ ঘরের মেঝে এবং ওয়াল মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মিত। ৩. এ ঘরের কোনো জানালা নাই। ৪. কাবা ঘরের ১টি মাত্র দরজা।

(http://www.paklinks.com/gsmedia/files/laeeqkhan/ATT342228.jpg)

আল্লাহ পাকের পবিত্র কাবা ঘরটির দরজা হাজরে আসওয়াদের পাশে কাবা ঘরের পূর্ব পাশে অবস্থিত। হাজরে আসওয়াদঃ হাজরে আসওয়াদ শব্দের অর্থ কালো পাথর। কাবাঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কর্নারে সিনা বরাবর উঁচুতে দেওয়ালের কোনো রূপার বৃত্তে গাঁথা কালো পাথরকে হাজরে আসওয়াদ পাথর বলে এটি বেহেশতের একটি পাথর। বেহেশত হতে আসার সময় এটি দুধের মতো সাদা ছিল। কিন্তু বনি আদমের গোনাহ্ এটিকে কালো বানিয়ে ফেলেছে। এটি চুম্বন করা সুন্নত কিন্তু চুম্বন করতে গিয়ে কাউকে কষ্ট দেওয়া গুণাহ। বর্তমানে এখানে প্রচণ্ড ভিড় থাকে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে দূরে থেকে হাত দ্বারা ইশরায় চুম্বন করা বাঞ্ছনীয়। হাজরে আসওয়াদ এবং চৌকাঠ ছাড়া বাইতুল্লাহ শরীফের অন্য কোনো জায়গায় চুমু খাওয়া জায়েজ নয়। মুলতাজামঃ কাবাঘরের দরজা ও হাজরে আসওয়াদ পাথরের মধ্যবর্তী স্থান। এটি দোয়া কবুলের স্থান। তাওয়াফ সমাপনের পর সম্ভব হলে বুক, চেহারা দেওয়ালে লাগাবেন এবং আঁকড়ে ধরবেন (যদি সুগন্ধি ব্যবহার না করে থাকেন)। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি এ স্থানে যে দোয়াই করেছি তা কবুল হয়েছে। আপনি যেহেতু ইহরাম অবস্থায় আছেন সেহেতু কাবা শরীফে মোড়ানো চাদর যেন আপনার মাথা বা চুলকে স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। রোকনে ইয়ামেনীঃ কাবাঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এটি অবস্থিত। যেহেতু এটি ইয়ামিনের দিকে অবস্থিত তাই একে রোকনে ইয়ামেনী বলা হয়। তাওয়াফের সময় এটিকে ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করতে হয়, তবে না পারলে কোনো ইশারা করার প্রয়োজন নেই। রোকনে শামীঃ কাবাঘরের উত্তর-পশ্চিম কোণ, যা সিরিয়ার দিকে অবস্থিত। হাতিমঃ কাবাঘরের উত্তর দিকে অবস্থিত অর্ধ বৃত্তাকারের কাঁধ পর্যন্ত উঁচু দেওয়াল ঘেরা স্থানকে হাতিম বলে। এটি কাবাঘরের অংশবিশেষ।

(http://cdn.chillnite.com/wp-content/uploads/2007/07/k1.jpg)

নবী করিম (সা.) নবুয়াত লাভের কিছুকাল পূর্বে কুরাইশরা কাবাঘরকে নতুন করে নির্মাণের ইচ্ছাপোষণ করেন। তখন সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, নির্মাণ কাজে শুধু হালাল উপায়ে রোজগার করা টাকাই খরচ করা হবে। কিন্তু তাদের পুঁজি কম থাকায় উত্তরদিকে সাবেক বাইতুল্লাহ্ থেকে কিছু জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ স্থানকে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এ দেওয়াল ঘেরা অংশকেই হাতিম বলে। তওয়াফের সময় এর বাইর দিয়ে তওয়াফ করতে হয়। মাকামে ইবরাহীমঃ কাবাঘরের দরজা বরাবর আনুমানিক ১০/১২ হাত পূর্বদিকে গম্বুজ আকৃতির একটি স্বচ্ছ ঘরকে মাকামে ইবরাহীম বলে। এ গম্বুজ আকৃতির ছোট ঘরটির মধ্যে সংরক্ষিত পাথরে হজরত ইবরাহীম (আ.) এ পাথরে দাঁড়িয়ে কাজ করতেন। আল্লাহর কুদরতে পাথরখানা প্রয়োজনমতো উপরে এবং নিচে উঠানামা করত। প্রত্যেক তাওয়াফের পরে মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দাঁড়িয়ে দুই রাকাত  ওয়াজিবুত তাওয়াফ  নামাজ পড়তে হয়। ভিড়ের কারণে যদি এখানে নামাজ পড়া সম্ভব না হয় তাহলে এর আশপাশে যে কোনো স্থানে পড়লে চলবে। মাতাফ বা চত্বরঃ কাবাঘরের চারপাশের তাওয়াফের স্থানকে মাতাফ বা চত্বর বলে। মিজাবে রহমতঃ বায়তুল্লাহর উত্তর দিকের ছাদে (হাতিমের মাঝ বরাবর) যে নালা বসানো আছে তাকে মিজাবে রহমত বলে। এ নালা দিয়ে ছাদের বৃষ্টির পানি নিচে পড়ে। জমজম কূপঃ মসজিদুল হারামের ভেতরে বায়তুল্লাহ্ শরীফের নিকট একটি প্রসিদ্ধ ফোয়ারার নাম জমজম কূপ। সর্বোত্তম ত্যাগের বিনিময়ে হজরত হাজেরা (আ.) এবং তার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.) এর প্রতি আল্লাহর পাকের রহমতের নিদের্শন স্বরূপ সৃষ্টি হয়েছিল জমজম কূপ। দুনিয়াতে আল্লাহ্ তায়ালার যতগুলো নিদর্শন রয়েছে তার মধ্যে জমজম কূপ অন্যতম। জমজম কূপটি হাজরে আসওয়াত থেকে ৫৪ ফুট দূরে অবস্থিত। এর গভীরতা সমতল ভূমি থেকে ৪৬ ফুট। মুখের বেড় ১৬ ফুট এবং ব্যাস ৫ ফুট। এ কূপের পানি সর্বাপেক্ষা স্বচ্ছ, উৎকৃষ্ট, পবিত্র এবং বরকতময়। এ কূপের পানি শুধু পিপাসাই নিবারণ করে না, বরং এ পানি দ্বারা ক্ষুধাও নিবৃত হয়। রাসূলে করিম (সা.) নিচে এ সম্বন্ধে বলেছেন,  এ পানি শুধু পানীয় নয় বরং খাদ্যের অংশ এবং এতে পুষ্টি রয়েছে। সাফা পাহাড়ঃ বায়তুল্লাহর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত একটি ছোট পাহাড়। যেখান থেকে হাজীদের সায়ী আরম্ভ করতে হয়। মারওয়া পাহাড়ঃ বায়তুল্লাহ্ শরীফের পূর্ব উত্তর কর্নারে ছোট একটি পাহাড়। যে স্থানে সায়ী সমাপ্ত হয়। সাফা পাহাড় এবং মারওয়া পাহারের দূরত্ব আনুমানিক ৪৫০ মি. যা সাত চক্কর দিলে সোয়া তিন কি. মি. পথ অতিক্রম করা হয়। মায়লাইনে আখজারাইনঃ সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে মসজিদুল হারামের দেওয়ালে স্থাপিত দুটি সবুজ বাতি দ্বারা নির্ধারিত স্থান। একে  মায়লাইনে আখজারাইন  বলা হয়। এ স্থানে সায়ী পালনকারীদের দৌড়ে পার হতে হয়। তবে মহিলারা স্বাভাবিকভাবে হেঁটে চলবে। মাওলিদুন নবী বা হুজুর পাকের জন্মস্থানঃ এখানেই অবস্থিত আখেরি নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্মস্থান। বর্তমানে এ স্থানটি পাঠাগার হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

(http://www.123muslim.com/attachments/islamic-art/9765d1278637444-inside-holy-kaaba-4.jpg)

কাবা শরীফ

কাবা শরীফের উচ্চতা পূর্ব দিক থেকে ১৪ মিটার, পশ্চিম ও দক্ষিন দিক থেকে ১২.১১ মিটার এবং উত্তর দিক থেকে ১১.২৮ মিটার। এর ভেতরের মেঝে রঙ্গিন মার্বেল পাথরে তৈরী। এর সিলিংকে তিনটি কাঠের পিলার ধরে রেখেছে। প্রতিটি পিলারের ব্যাস ৪৪ সে.মি.। কাবা শরীফের দুটি সিলিং রয়েছে। এর ভেতরের দেয়ালগুলি সবুজ ভেলভেটের পর্দা দিয়ে আবৃত। এই পর্দাগুলি প্রতি তিন বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়। এর ছাদে ১২৭ সে.মি লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটার আছে যেটি দিয়ে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করে। এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে। যখন কাবা ঘরের ভেতর ধোয়া হয় তখন এই কাচটি খোলা হয়। কাবা ঘরের ভেতর প্রতি বছর দুবার ধোয়া হয়, শাবান মাসের ১৫ তারিখ এবং মহররম মাসের মাঝামঝি সময়। মেঝে এবং দেয়াল গোলাপ আতর মিশ্রিত জমজমের পানি দিয়ে ধোয়া হয়। ধোয়ার পরে মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় ও টিসু দিয়ে মোছা হয়। এরপর দেয়ালগুলি পারফিউম দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা হয়। কাবা শরীফের কালো কাপড়ের আবরনটি(কিশওয়া) প্রতি বছর ৯ই জিলহজ্জ পরিবর্তন করা হয়। — সুত্র : সৌদি গেজেট, ৩ জানুয়ারী, ২০১০। কাবা শরীফের উচ্চতা পূর্ব দিক থেকে ১৪ মিটার, পশ্চিম ও দক্ষিন দিক থেকে ১২.১১ মিটার এবং উত্তর দিক থেকে ১১.২৮ মিটার। এর ভেতরের মেঝে রঙ্গিন মার্বেল পাথরে তৈরী। এর সিলিংকে তিনটি কাঠের পিলার ধরে রেখেছে। প্রতিটি পিলারের ব্যাস ৪৪ সে.মি.। কাবা শরীফের দুটি সিলিং রয়েছে। এর ভেতরের দেয়ালগুলি সবুজ ভেলভেটের পর্দা দিয়ে আবৃত। এই পর্দাগুলি প্রতি তিন বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়। এর ছাদে ১২৭ সে.মি লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটার আছে যেটি দিয়ে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করে। এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে। যখন কাবা ঘরের ভেতর ধোয়া হয় তখন এই কাচটি খোলা হয়। কাবা ঘরের ভেতর প্রতি বছর দুবার ধোয়া হয়, শাবান মাসের ১৫ তারিখ এবং মহররম মাসের মাঝামঝি সময়। মেঝে এবং দেয়াল গোলাপ আতর মিশ্রিত জমজমের পানি দিয়ে ধোয়া হয়। ধোয়ার পরে মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় ও টিসু দিয়ে মোছা হয়। এরপর দেয়ালগুলি পারফিউম দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা হয়। কাবা শরীফের কালো কাপড়ের আবরনটি(কিশওয়া) প্রতি বছর ৯ই জিলহজ্জ পরিবর্তন করা হয়। — সুত্র : সৌদি গেজেট, ৩ জানুয়ারী, ২০১০।   কাবা, কাবাঘর, কাবা শরীফ (আরবি: الكعبة al-Ka‘bah; আ-ধ্ব-ব: ['kɑbɑh]) , আরও যে নামে পরিচিত al-Kaʿbatu l-MuÅ¡arrafah (الكعبة المشرًّفة), al-Baytu l-ʿAtīq (البيت العتيق “The Primordial House”), অথবা al-Baytu l-Ḥarām (البيت الحرام “The Sacred House”), একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত, যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদ আল হারেম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। আসলে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে। ইসলাম ধর্ম মতে কাবা কে সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করা হয়।এটি মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পরে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ পরেন। হজ্জ এবং ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ করেন।

 অবস্থান এবং বাস্তবিক কাঠামো

কাবা একটি বড় পাথরের কাজ করা কাঠামো যার আকৃতি প্রায় একটি ঘন এর মত। কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকা’আব অর্থ ঘন থেকে। এটি কাছের মাক্কাহ পাহাড়ের গ্রানাইট দ্বারা তৈরি যা দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ২৫সেঃমিঃ (১০ ইঞ্চি) মার্বেল পাথরের ভিত্তির উপর যা বাইরের দিকে ৩০সেঃমিঃ (১ ফুট) বাড়িয়ে আছে। কাঠামোতে জায়গার পরিমাণ প্রায় ১৩.১০ মিঃ (৪৩ ফুট) উচ্চতা, পাশাপাশি ১১.০৩ মিঃ X ১২.৬২ মিঃ

(http://generalcomtech.com/kabah/photo/belth-kabah.jpg)

চারটি কোন কম্পাসের প্রায় চার বিন্দু বরাবর মুখ করা।কাবার পূর্ব কোনা হচ্ছে রুকন-আল- আসওয়াদ” (কাল পাথর অথবা “আল-হাজারুল-আসওয়াদ”), একটি উল্কাপিন্ডের অবশেষ; উত্তর কোনা হল “রুকন-আল-ইরাকী” (ইরাকী কোণ); পশ্চিমে রয়েছে “রুকন-আল-সামী” (পূর্ব-ভূমধ্য সাগরীয় কোণ) এবং দক্ষিণে “রুকন-আল-ইয়ামানী”

(http://generalcomtech.com/kabah/photo/curtain-hand-made-kabah.jpg)

উপরে স্বর্ণ-খচিত ক্যালিগ্রাফি করা কাপড়ের গিলাফে আবৃত থাকে। কাপড়টি কিসওয়াহ নামে পরিচিত ; যা প্রতিবছর পরিবর্তন করা হয়।কালেমা সাহাদাত এ কাপড়ের মধ্যে সুতা দিয়ে লিখার কাঠামো তৈরি করা হয়। এর দুই তৃতীয়াংশ কোরানের বাণী স্বর্ণ দিয়ে এম্রোয়ডারি করা হয়।
পবিত্র কাবা শরীফ এর ভিতরের
র্দুলভ কিছু নিদর্শনের ছবি,আপনি হয়তো দেখেননি….

পবিত্র কাবা শরীফ পরিস্কার করার জন্যে এর দরজা বছরে দুইবার খোলা হয়। রমজান এর ১৫ দিন আগে এবং হজ্জ এর ১৫ দিন আগে। কাবা শরীফের দরজার চাবি বনী সায়বা নামক এক গোত্রের কাছে থাকে (মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এই চাবী এই গোত্রের কাছে দিয়েছিলেন, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত তাদের কাছেই থাকবে)। তারা কাবা শরীফ পরিস্কার করার কাজের জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, কুটনীতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের দের অভিবাদন জানান। মক্কা শহরের গভর্নর তাদের কাবা শরীফের ভিতরে নিয়ে যান এবং তারা জমজম কুপের পানি এবং গোলাপ জল দিয়ে কাবা শরীফের ভিতর পরিস্কার করেন।
চলুন আমরা মহান আল্লাহ্‌ ঘর কাবা ভিতরের শরিফের ভিতরের দৃশ্য একবার দেখি ।

http://www.mediafire.com/?df26a85keslzlx8
http://www.mediafire.com/?8wfjbwdgc5tw8co
Title: Re: পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ বা কাবা শরীফের ভিত
Post by: Anisur Rahman on November 27, 2011, 06:44:03 PM
wonderful!
Title: Re: পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ বা কাবা শরীফের ভিত
Post by: sethy on November 28, 2011, 09:15:50 AM
Very informative post..
Title: Re: পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ বা কাবা শরীফের ভিত
Post by: Md. Zakaria Khan on December 21, 2011, 06:50:07 PM
wonderful!
সত্যিই দারুণ হয়েছে